সাবের হোসেন চৌধুরী। ইন্টার পার্লামেন্ট ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের কনিষ্ঠতম সদস্য এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে প্রথমআলোতাঁর মুখোমুখি হয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান
প্রথমআলো: আইপিইউ সম্মেলনের আগে, এমনকি সম্মেলন চলাকালেও দেশের কয়েকটি স্থানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে সম্মেলনে নিরাপত্তাঝুঁকি কতটা ছিল?
সাবের হোসেন চৌধুরী: কিছুটা উদ্বেগ তো ছিলই। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার কারণে গত বছর ঢাকায় যে কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, সেটি বাতিল হয়ে যায়। আমরা বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং সদস্যদের বলেছি, যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীই সফল হবে। আর বাস্তবতা হলো, জঙ্গি হামলা যেকোনো সময় যেকোনো দেশে ঘটতে পারে। তাই বলে কি আমরা সম্মেলন করব না? গতবারের থেকে এবারের ঘটনাটি ভিন্ন। গতবার জঙ্গিরা আক্রমণ করেছিল, এবার অভিযানে ধরা পড়েছে। আবার দেখুন, কাছাকাছি সময় কিন্তু লন্ডন ও পিটার্সবার্গে হামলা হলো।
প্রথমআলো: আইপিইউ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ কী অর্জন করল?
সাবের হোসেন চৌধুরী: বৈষম্য দূর করা, রাজনীতিকে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত রাখা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং কোনো দেশের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপ না করাসহ অনেক বিষয় আইপিইউর ঢাকা ঘোষণায় যুক্ত হয়েছে। আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে আমরা একটি স্পষ্ট বক্তব্য পেয়েছি। এখন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দায়িত্ব বেড়ে গেল। দ্বিতীয়ত, সংসদীয় কূটনীতির ক্ষেত্রেও এটি বড় পদক্ষেপ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পরিচিতি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে পেরেছি। আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেসব অর্জন, সেগুলোও আমরা তুলে ধরেছি। একটি উদাহরণ দিই। সম্মেলন উপলক্ষে আমরা একটি ছোট্ট মেলার আয়োজন করি। সেখান থেকেও কয়েক কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য বিদেশি অতিথিরা কিনে নিয়ে গেছেন। এমন অনেক দেশের প্রতিনিধিরা এসেছেন, যেখানে আমাদের কোনো মিশন নেই। এই সাংসদদের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো। বিশেষ করে, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক সাংসদ এসেছেন, যাঁরা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
প্রথমআলো: আইপিইউ সম্মেলনে আপনারা এক দেশের ওপর অন্য দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়েছেন। কিন্তু রাশিয়া তো ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করেছে। তাদের সাংসদেরা বিষয়টি কীভাবে নিয়েছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: রাশিয়া, চীন, বাংলাদেশের সাংসদেরা সমর্থন করেছেন বলেই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবটি কোনো নির্দিষ্ট দেশকে উদ্দেশ্য করে নয়। বিশ্বব্যাপীই এ সমস্যা চলছে। এই যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেন, বিষয়টি জটিল। একদিকে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, অন্যদিকে মানবাধিকার। সিরিয়ার রাসায়নিক গ্যাস অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষ হত্যা নিঃসন্দেহে মানবাধিকার লঙ্ঘন। আবার অন্য দেশে হামলা চালানো সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত। এ কারণেই প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার কথাও আছে।
প্রথমআলো: আপনি মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলেছেন। কিন্তু মিয়ানমারে যে জাতিগত নিপীড়নের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তো আইপিইউ কোনো প্রস্তাব নেয়নি?
সাবের হোসেন চৌধুরী: প্রস্তাব নেয়নি সত্য। কিন্তু সভাপতির ভাষণে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, সেখানে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রথমআলো: আইপিইউ সম্মেলনে মিয়ানমারের যোগদান না করার কারণও কি এটি? পাকিস্তান কেন এল না?
সাবের হোসেন চৌধুরী: মিয়ানমারের সংসদীয় ব্যবস্থার উন্নয়নে তাদের অনুরোধেই আইপিইউ অনেক সহায়তা করেছে। আমরা আশা করেছিলাম তারা আসবে। সরকার, অর্থাৎ নির্বাহী বিভাগ ও সংসদের অবস্থান তো এক হতে পারে না। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সংসদ যদি সরকারেরই অংশ হয়ে যায়, সংসদের স্বতন্ত্র অবস্থান না থাকে, তাহলে এই সংসদীয় সংলাপ বা কূটনীতি অর্থহীন হয়ে পড়ে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের আলাদা অবস্থান থাকতে হবে। পাকিস্তানের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।
প্রথমআলো: আইপিইউর গৃহীত প্রস্তাবগুলো তো সংশ্লিষ্ট দেশগুলো মানতে বাধ্য নয়। এর নৈতিক মূল্য থাকলেও আইনগত ভিত্তি নেই।
সাবের হোসেন চৌধুরী: কিন্তু আইপিইউর প্রস্তাবগুলো তো সংশ্লিষ্ট দেশের সংসদগুলো অনুমোদন করতে বাধ্য। আর যে সংসদ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে, সেখানে সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা মন্ত্রীরাও আছেন। সুতরাং, তাঁরাও এর অংশীদার হয়ে গেলেন। আমরা সব সময় সমস্যার সমাধান দিয়ে দিতে না পারি, কিন্তু কথা বলার তো একটা জায়গা তৈরি করতে পেরেছি। এই ফোরামে কিন্তু ছোট-বড় বলে কিছু নেই। সবারই সমান ভোট। যেসব দেশে নারী সাংসদ আছেন, সেসব দেশের তিনটি ভোট, আর নারী ভোটার না থাকলে দুটি ভোট। এর মাধ্যমে আমরা নারীর অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে চেয়েছি।
প্রথমআলো: সাংসদদের অধিকারের সঙ্গে আচরণবিধির বিষয়টিও এসে যায়। বাংলাদেশের নবম সংসদে আপনি সাংসদদের আচরণবিধি নিয়ে একটি বেসরকারি প্রস্তাবও এনেছিলেন। কিন্তু সেটি পাস হয়নি।
সাবের হোসেন চৌধুরী: আমার প্রত্যাশা ছিল প্রস্তাবটি সংসদে পাস হবে। সংসদে উপস্থাপিতও হয়েছিল। এই সম্মেলনের পর সংসদ সেটি বিবেচনা করে দেখতে পারে। একই সঙ্গে সাংসদের অধিকারের প্রশ্নটিও সামনে এনেছি। আমরা সাংসদদের মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু সাংসদদের অধিকারই যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে তাঁরা জনগণের অধিকার কীভাবে রক্ষা করবেন? আইপিইউতে একটি কমিটি আছে, যার নাম কমিটি টু হিউম্যান রাইটস ফর পার্লামেন্টারিয়ানস। আমার সঙ্গে আইপিইউর সম্পর্কটিও এই কমিটির মাধ্যমে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের কাছে যাই। এবারের সম্মেলনেও ওই দুই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
প্রথমআলো: কিন্তু নবম সংসদে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। সেসবও তো সাংসদের অধিকার হরণ?
সাবের হোসেন চৌধুরী: কেউ অভিযোগ আনলে আইপিইউ তদন্ত করে এবং সে সম্পর্কে প্রস্তাব নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ না এলে আমরা কিছু করতে পারি না। ওই ঘটনাগুলো কেউ আমাদের ফোরামে আনেননি। অভিযোগ এলে কমিটি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত।
প্রথমআলো: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে দেশের সংসদ জনগণের দ্বারা ‘নির্বাচিত’ নয়, সে দেশের আইপিইউ সম্মেলন করা তামাশামাত্র।
সাবের হোসেন চৌধুরী: এই বক্তব্য খুবই হালকা। জবাব দিয়ে এর গুরুত্ব বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।
প্রথমআলো: এই সম্মেলনের সময় কিংবা তারও আগে আপনাকে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না?
সাবের হোসেন চৌধুরী: এই সম্মেলনে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তবে যখন আইপিইউর নির্বাচন হয়, তখন কেউ কেউ ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে তখন যা বলেছি, এখনো আমার বক্তব্য একই। গণতন্ত্র হলো বাছাই বা পছন্দের সুযোগ। সেখানে একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা একদিকে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে, অন্যদিকে জনগণকেও বঞ্চিত করেছে ভোটাধিকার থেকে। আমি তো বলব বিএনপি নির্বাচনে না এসে আমাকেই প্রতিযোগিতার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে।
প্রথমআলো: আইপিইউর সম্মেলনে রাজনীতিতে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত রাখা এবং তরুণ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা এবং সুশাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: আইপিইউর মৌলিক নীতি হলো গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও সুশাসন। ঢাকা ঘোষণায় যেহেতু এই বিষয়গুলো সংযুক্ত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের সংসদের দায়িত্ব বেড়ে গেল।
প্রথমআলো: আপনি নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বাস্তবতা হতাশাজনক।
সাবের হোসেন চৌধুরী: পুরোটা হতাশাজনক নয়। বিশ্বব্যাপীই সংসদে নারীর অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়েছে। এখন সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে নারী স্পিকারের সংখ্যা বেশি, ৫৩ জন। কিন্তু নির্বাহী পদে নারীর অবস্থান দুর্বল। এর প্রতিকারে রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও অধিকসংখ্যক নারীকে মনোনয়ন দিতে হবে। তরুণ জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে বড় বৈষম্য আছে। বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের নিচে। কিন্তু তাঁদের প্রতিনিধিত্ব ১ দশমিক ৯ শতাংশ। এ কারণেই আমরা সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিত্বের কথা বলে আসছি। এটাই হলো ইনক্লুসিভ পার্লামেন্ট।
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেত্রী নারী, স্পিকার নারী। স্থানীয় সরকার তথা তৃণমূলেও তাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এটি আরও বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। অনেক দেশে ‘কোটা’ ব্যবস্থা আছে। ২০৩০-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় আছে, কাউকে পেছনে ফেলে নয়, অর্থাৎ সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও সামনে নিয়ে আসতে হবে।
প্রথম আলো: ২০১৪ সালে আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পাইনি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বা ভালো কিছু আশা করছেন?
সাবের হোসেন চৌধুরী: আমাদের সামনেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হবে আশা করি। এ ব্যাপারে সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি গতবার যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল, সেই বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। ‘খেলার মাঠ সমতল নয়’—এই অজুহাতে কারোরই নির্বাচন বর্জন করা উচিত নয়। আইপিইউ সব সময় চায় কোনো দেশ থেকে প্রতিনিধিদল এলে আমরা জোর দিই সরকারি ও বিরোধী—উভয় পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকে। শুধু সরকারি দল হলে চলবে না।
প্রথমআলো: কিন্তু যেসব দেশে একটিমাত্র দল আছে?
সাবের হোসেন চৌধুরী: অনেকে চীনের উদাহরণ দেন। কিন্তু তারা বলছে, তৃণমূল পর্যায়ে তাদের প্রতিযোগিতা আছে। একাধিক প্রার্থী থাকেন। নির্বাচন করেই জয়ী হতে হয়। গণতন্ত্র তো এখন সব দেশে এক রকম নয়। একেক দেশের কাঠামো একেক রকম। বাছাই–প্রক্রিয়ায় সেই দেশের মানুষ সন্তুষ্ট থাকলে আমরা বলে দিতে পারি না, এটি গণতন্ত্র নয়।
প্রথমআলো: বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে ঘাটতি, সেটি পূরণ করতে আইপিইউ কোনো সহায়তা করতে পারে কি?
সাবের হোসেন চৌধুরী: সার্বিক বিষয়ে পারফেক্ট বা খাঁটি গণতন্ত্র কোনো দেশে আছে বলে মনে করি না। সব দেশেই গণতন্ত্রের ঘাটতি আছে; কম আর বেশি। কোনো সদস্যদেশ সহায়তা চাইলেই আমরা সাড়া দিই। নিজের থেকে যাই না। মিয়ানমার, কম্বোডিয়া সহায়তা চেয়েছে, আমরা সহায়তা করেছি।
প্রথমআলো: একই দিনের খবর—আইপিইউ সম্মেলনের সফল সমাপ্তি আর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিজয়কে কীভাবে দেখছেন; বিসিবির সাবেক সভাপতি হিসেবে?
সাবের হোসেন চৌধুরী: ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর কঠিন সময়ে আমরা ঢাকায় একটি মিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন করেছিলাম। সেই সাফল্য নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রণোদনা জুগিয়েছে।
প্রথমআলো: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সাবের হোসেন চৌধুরী: আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথমআলো
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন