Image description
 

গাজায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন ও সেখানে সেনা পাঠানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া, চীন ও বেশ কয়েকটি আরব দেশ। গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী শাসন কাঠামো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।

জাতিসংঘের চারজন কূটনীতিক জানান, খসড়া প্রস্তাব থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার আওতায় প্রস্তাবিত ‘শান্তি বোর্ড’ সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে ভেটো ক্ষমতাধর বেইজিং ও মস্কো।

গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনে জাতিসংঘের অনুমোদন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে রাশিয়া, চীন এবং একাধিক আরব দেশ আপত্তি জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, প্রস্তাবটি অবিলম্বে পাস করা প্রয়োজন, এর গতি নষ্ট করা উচিত নয়।

গত সপ্তাহে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম খসড়ায় বলা হয়, ২০২৭ সাল পর্যন্ত গাজায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক বাহিনীকে বিস্তৃত ম্যান্ডেট দেয়া হবে। আর এই বাহিনী ‘বোর্ড অব পিসের’ সঙ্গে সমন্বয় করবে। তবে এই বোর্ড এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

আরব দেশগুলো ওই বাহিনীতে সেনা পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে, তবে তারা বলেছে এ জন্য আন্তর্জাতিক অনুমোদন প্রয়োজন। রাশিয়া, চীন ও আলজেরিয়া খসড়াটি প্রত্যাখ্যান করেছে। আর নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র দুই সদস্য বাদে বাকিরা সংশোধনী জমা দিয়েছে।

আপত্তির মূল বিষয়গুলো হল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি স্পষ্ট নীতিমালার অনুপস্থিতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী কখন প্রত্যাহার করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা।

পরে প্রস্তাবের সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়িত হলে এবং পুনর্গঠনে অগ্রগতি এলে ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ‘বিশ্বাসযোগ্য পথ’ তৈরি হতে পারে। এতে আরো বলা হয়েছে, স্থিতিশীলতা বাহিনী গাজায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনলে, নির্ধারিত ‘মানদণ্ড ও সময়সূচি’ অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনী গাজা ছাড়বে।

নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সদস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শান্তি বোর্ডে কে থাকবে এবং এটি কীভাবে কাজ করবে তা স্পষ্ট করতে বলেছেন।