গাজার বর্তমান যুদ্ধবিরতি নামমাত্র থাকলে অঞ্চলটি ‘না যুদ্ধ, না শান্তি’ এমন এক প্রাণঘাতী অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ধাবিত হবে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধান কূটনীতিক মাজেদ আল-আনসারি।
তিনি গাজায় দ্রুত একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী ও অস্থায়ী প্রশাসন গঠন করে পূর্ণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পথ তৈরির তাগিদ জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
আনসারি বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না যেখানে যুদ্ধ নেই, কিন্তু মানুষ মারা যাচ্ছে এবং শান্তি নেই।’ তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর হয়ে গাজার ক্ষতি মূল্যায়ন, পুনর্গঠনের প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি রক্ষায় কাজ শুরু করতে হবে এবং সেটিই যুদ্ধের পরবর্তী ধাপকে টেকসই করবে।
তৎপরতায় দেরি হলে এ অসহায় ‘থেমে থাকা’ অবস্থাই আরও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। আনসারি বলেন, কাতার ও আঞ্চলিক দেশগুলো চাইছে, এই বাহিনী জাতিসংঘ সমর্থিত হোক।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও টানা চার দিন ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার রাতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের অভিযোগ, মৃত বন্দিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়াকে ইস্যু করে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে দিতে চাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
গতকাল মৃত তিনজনের দেহাবশেষ পাঠানো হলেও ইসরায়েল বলছে দেহাবশেষগুলো তাদের কোনো বন্দির নয়। তবে রেড ক্রস জানিয়েছে, হামাস পর্যায়ক্রমে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ গাজায় হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল। মরদেহগুলোর বেশির ভাগেই নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন। এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে এক বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হলে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা গিলা বেহারাভ-মিয়ারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এসব ঘটনা ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ‘পদ্ধতিগত নির্যাতন’-এর প্রমাণ দিচ্ছে।