
ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ে সিরিয়া একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন সিরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যুগের অবসানের পর এ চুক্তি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আজ বৃহস্পতিবার সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানী ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় পর সিরিয়ার কোন নেতার যুক্তরাষ্ট্রে এটাই প্রথম সফর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কয়েকটি চুক্তি বছরের শেষ নাগাদ স্বাক্ষরিত হতে পারে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এসব চুক্তি মূলত নিরাপত্তা ও সামরিক ইস্যুতে হবে। সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ঠেকাতে চুক্তিতে জোর দেওয়া হবে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের বিক্ষোভে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, শাইবানী সরকারি সফরে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে সিরিয়ার ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া। শেষবার ১৯৯৯ সালে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারুক আল-শারা ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সিরিয়া ও ইসরায়েলকে একটি চুক্তিতে আসতে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের শত্রুতা বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি বাফার জোনে সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে। এই জোন দুই দেশের সেনাবাহিনীকে আলাদা করে রেখেছ। তবে ইসরায়েল সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে।এদিকে ইসরায়েল সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।