
ইসরাইলকে শাস্তি না দিলে এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য আমেরিকা ক্ষতিপূরণ না দিলে তেহরান পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ইরানের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ হুঁশিয়ারি বলেছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম আরটিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বলেন, যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয় এবং ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থাকে শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে তেহরান এই শাসনব্যবস্থার (ইসরাইল) বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক প্রতিরোধ পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। ’
ওয়াশিংটনের পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করার অনুরোধের জবাবে কর্মকর্তা বলেন, তেহরান স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি এবং আলোচনাকে ‘প্রিম্যাচিউর’ মনে করে।
তিনি বলেন, আমেরিকানরা আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করছে, কিন্তু ইরান... সংঘাতের অস্থায়ী সমাপ্তির অবস্থায় রয়েছে।
ইরানি বাহিনীকে আরও যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকার বিষয়ে সতর্ক করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের হাত ট্রিগারের ওপর রয়েছে। কিন্তু শিশু-হত্যাকারী সরকারের কোনও ভুল হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে, এবার আমরা শত্রুর প্রথম গুলি চালানোর জন্য অপেক্ষা করব না।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ‘এই অঞ্চলে তার প্রক্সি শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা’।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরাইল। ১২ দিনের এই আগ্রাসনে ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩-এর অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি।