
গাজামুখী মানবিক সহায়তা জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটক করার পর প্রায় ১৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এতে থাকা ১২ জন আন্তর্জাতিক কর্মীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর সংগঠকরা।
আটককৃতদের আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আইনজীবীরা প্রস্তুত রয়েছেন জানিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্ট’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ফ্লোটিলা সংগঠক হুয়াইদা আররাফ বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীরা অপেক্ষায় আছেন এবং আজ রাতেই তাঁদের (আটকদের) সঙ্গে যোগাযোগের দাবি জানাবেন।’
ব্রিটেনের পতাকাবাহী ‘ম্যাডলিন’ জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছিল এবং মানবিক সহায়তা নিয়ে অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঠিক সে সময়েই ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী এটি জোরপূর্বক আটক করে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আররাফ বলেন, ‘এই নাগরিকরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলসীমায় শান্তিপূর্ণভাবে চলাচল করছিলেন। কিন্তু ইসরায়েল জোরপূর্বক তাঁদের অপহরণ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের ভাষায় এটি করা হয়েছে ‘গাজায় নৌ অবরোধ বজায় রাখতে’— অথচ এই ধরনের অবরোধ আরোপের কোনো আন্তর্জাতিক বৈধতা তাদের নেই। ’
ব্রিটেনের সরকারের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন হুয়াইদা আররাফ। তিনি বলেন, ‘ম্যাডলিন যেহেতু যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী জাহাজ, তাই এই ঘটনার নিন্দা জানানো যুক্তরাজ্য সরকারের কর্তব্য ছিল। অথচ তারা নীরব থেকেছে।’
আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। আটক ১২ কর্মী এখনো ইসরায়েলি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা।