Image description
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির পরিমাণ এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য এক ধাপ মাত্র পিছিয়ে। ছবি : সংগৃহীত।
 

ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এমন সময় যখন তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির পরিমাণ এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য এক ধাপ মাত্র পিছিয়ে।

 

এর আগে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ইরান ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ২৭৪.৮ কিলোগ্রামে (৬০৫.৮ পাউন্ড) পৌঁছেছে, যা নভেম্বরের প্রতিবেদন থেকে ৯২.৫ কিলোগ্রাম (২০৩.৯ পাউন্ড) বেশি।

 
 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম থেকে মাত্র একটি ধাপ ৯০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়ামের পরিমাণ।

 

২০২৪ সালের নভেম্বর এবং আগস্টে প্রকাশিত আইএইএ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ যথাক্রমে ১৮২.৩ কিলোগ্রাম (৪০১.৯ পাউন্ড) এবং ১৬৪.৭ কিলোগ্রাম (৩৬৩.১ পাউন্ড) ছিল।

এর পরবর্তী পর্যায়ে, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইরান ৮,২৯৪.৪ কিলোগ্রাম (১৮,২৮৬ পাউন্ড) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা নভেম্বরের প্রতিবেদন থেকে ১,৬৯০.০ কিলোগ্রাম (৩,৭২৫.৮ পাউন্ড) বেশি।

বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা এখনো স্থগিত রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

পরমাণু বিশেষজ্ঞরা এই ধাপগুলোকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, কারণ ইরান একমাত্র দেশ যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করেও এমন উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যদি ৪২ কিলোগ্রাম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হয়, তবে এটি একটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে। সুতরাং, ইরানের এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে, পারমাণবিক আলোচনাগুলোর উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ বা কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে, যা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

 

সূত্র : পিবিএস নিউজ