
চলমান এইচএসসির উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রবিবার (২০ জুলাই) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত চারটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া শিক্ষকরা হলেন নরসিংদীর বারৈচা কলেজের বাংলা প্রভাষক মধুছন্দা লিপি, পরীক্ষক কোড-২২১৪; সাভারের হাজী ইউনুছ আলী কলেজের বাংলা প্রভাষক মো. জাকির হোসাইন, পরীক্ষক কোড- ২৩৩৬; ডেমরার রোকেয়া আহসান কলেজের শিক্ষক মুরছানা আক্তার, পরীক্ষক কোড- ২৪৩৯; গাজীপুরের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা প্রভাষক মো. রাকিবুল হাসান, পরীক্ষক কোড- ২৩০২। তাদের মধ্যে প্রভাষক মধুছন্দা লিপির বিরুদ্ধে বাংলা ১ম পত্র-১০১, মো. জাকির হোসাইনের বিরুদ্ধে বাংলা ২য় পত্র-১০২, মুরছানা আক্তারের বিরুদ্ধে ইংরেজি ২য় পত্র-১০৮ ও মো. রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে বাংলা ২য় পত্র-১০২ বিষয়ের উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার উল্লিখিত বিষয়সমূহের উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্তি ভরাট করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রাথমিক তদন্তে তা প্রমাণিত হয়। এ ধরণের কার্যকলাপের ফলে শিক্ষা বোর্ডের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের মনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক/পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট/পূরণ করানো বা মূল্যায়ন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অপরাধের ব্যাখ্যা চেয়ে চার শিক্ষককে কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।