ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে নারীদের নিয়ে অব্যাহত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও স্লাটশেমিংয়ের বিরুদ্ধে দেশের সব অপরাধীর শাস্তি দাবি করেন তারা।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা হলপাড়া থেকে মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি মুহসিন হল ও ভিসি চত্বর ঘুরে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন যাত্রীছাউনিতে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে রূপ নেয়।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘নারীদের নিয়ে একের পর এক স্লাটশেমিং ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে, অথচ রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রাষ্ট্র ধীরে ধীরে এই অপরাধীদের আশ্রয়দাতা হয়ে উঠছে।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘মুজতবা খন্দকারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে আমরা শাহবাগ থানা ঘেরাও করব। যারা রিলস বানানোর নামে নারীদের টার্গেট করে, তাদের হাতে-গলায় আঘাত করতে আমরা বাধ্য হব।’
মাস্টার দা সূর্য সেন হলের ভিপি আজিজুল হক বলেন, ‘বিএনপিপন্থি এক অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের এক শিক্ষিকার এআই ছবি ব্যবহার করে অপমান করেছেন; এটি নিন্দনীয়। বাংলাদেশের ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি নারী। নারীদের হেয় করে কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখলে তা কখনোই পূরণ হবে না।’
হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিকা মোনামী ম্যামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও স্লাটশেমিংয়ের পরেও বিএনপি, ছাত্রদল কিংবা অন্য কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। নারী জাতির প্রতি এমন অবমাননার পরেও তাদের নীরবতা লজ্জাজনক।’
শিক্ষার্থীরা বলেন, নারীদের মর্যাদা রক্ষা ও অনলাইন অপমান-হয়রানি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।