নিচের ছবিগুলো তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের! ৬০০ ছাত্রছাত্রীর গণবিয়ের....
সাধারণত ইন্টারমিডিয়েট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর ১/২ বছরই ছেলেমেয়েদের প্রেম নামক নস্টালজিক খেলাকরে। একমাত্র শারিরীক ভাবে অক্ষম ব্যক্তি ছাড়া সবার জীবনেই প্রেম অাসে এই সময়টাতে , শরীরের পাজরকে মোচরদিয়ে ছুটে অাসতে চায় যৌনতা....।
সেই মোহে ছুটে বেড়ায় সবাই,পড়ালেখার মনোযোগ হারিয়ে ফেলে অনেকেই। "ছ্যাঁকা" নামক একধরনের অনিরাময়যোগ্য প্রেম রোগে অাক্রান্ত হয়ে একাডেমি ক্যারিয়ারের ইতিও টানতে হয় কারো কারো।
পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকদের যেখানে একজন স্টুডেন্টের সকল বিষয়ের অভিভাবকের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল সেখানে পরিবার শুধু দায়িত্ব নেয় টাকা পাঠানোর অার শিক্ষকরা দায়িত্ব নেন শুধু পড়ানোর!! এর বাহিরে একটা মানুষের বিশেষ করে একজন টিনএজের কত ধরনের মানষিক সাপোর্ট দরকার হয় তার খবর কেউ নেননা।
যার ফল সরুপ অনেক মেধাবীর অকালমৃত্যু হয়। সে মৃত্যু কাউকে পাঠিয়ে দেয় পরপারে কাউকে বা পাবনায় কেউ বা ভবঘুরে।
এসব ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশ থেকে অালাদা ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষক এবং ছাত্রদের গার্জিয়ানরা। স্বপ্ন দেখি এমন কালচার চালুহোক সবখানে তাতে করে কমে যাবে অনেক অমিতসম্ভাবনাময় ছাত্রছাত্রীর জীবন। কমে যাবে লিভটুগেদার, অবৈধ সন্তান প্রসব করানোর মত মানষিক যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে ওই ছাত্রীটি.....
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেছে গণবিবাহ উৎসব। ২২তম এই বিয়ে উৎসবে ৬০০ ছাত্র-ছাত্রী বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বিয়ের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে। এতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন প্রতিনিধি এবং বর-কনেদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নবদম্পতিদের মধুময় দাম্পত্য জীবনের জন্য সুন্দর দিকনির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া, নানা উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সবাইকে নিয়ে ঘুড়তে যাওয়া কনসার্ট করা হয়, মজাদার খাওয়াদাওয়ার অায়োজন থাকে, নবদম্পতিদের অভিনন্দন
তথ্যসূত্র Ashraf Rahman ওয়াল থেকে....
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন