আসলেই কিচ্ছু হবে না!
04 January 2018, Thursday
তোমার কোনো গুণ নাই, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তানিয়াকে বাবা মায়ের কাছে প্রায়ই এসব বকা শুনতে হয়। যেকোনো বিষয়ে উদাসীন থাকা, কোনো কাজ ঠিকভাবে না করতে পারা, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এমন অনেক কারণে আমাদের অনেকের মধ্যেই ব্যক্তিত্বের সঠিক বিকাশ হয় না। যার ফলে জীবনের নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয়।
আসলে সবার ভেতরেই ক্রিয়েটিভিটি থাকে, প্রয়োজন শুধু চেষ্টা, পরিবারের সহযোগিতা আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এগুলোই তানিয়ার মতো
পিছিয়ে পড়াদের জীবনে সফলতা এনে দিতে পারে। কিন্তু কাজটি খুব সহজ নয়। তবে খুব কঠিনও নয়, আসুন দেখে নেই কী করলে আত্মউন্নয়ন ঘটিয়ে নিজের ভেতরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠা সম্ভব:
কোনো পরিবর্তনই একদিনে সম্ভব নয়, প্রথমেই একটি তালিকা তৈরি করুন, আপনি কি পারেন, কোন কাজটি করতে পছন্দ করেন। আপনার জীবনের সফলতা এবং ব্যর্থতাও লিখুন। আর সফলতার পেছনের কারণ কি ছিলো বলে আপনার মনে হয়? ব্যর্থতাই বা কেন এলো একটু ভাবুন।
আপনার ঘরের দেয়ালে টাঙানো একটি ছবির দিকে ৫ মিনিট তাকিয়ে থাকুন। এবার আপনি এই ছবিটির কী দেখলেন, এটি কী বোঝাতে চায় এসব নিয়ে ভেবে ছবিটি সম্পর্কে ১০০ ওয়ার্ড লিখুন। এবার লেখাটি বিশ্লেষণ করে একটি ৩০০ ওয়ার্ডের গল্প তৈরি করুন।
যেকোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে প্রতিদিন আধাঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করুন। প্রথমদিকে যখন একা থাকেন তখনই এটা করুন। আর প্রথমদিকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন এতে মনের ওপর কম চাপ পড়বে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয় নিয়ে ৫ মিনিট করে চিন্তা করুন। নিয়মিত এটা করলে দেখবেন মনের ওপর এমন নিয়ন্ত্রণ আসবে যে, লোকাল বাসে যাতায়াত করার সময়ও এটা করতে পারবেন। অনেক শব্দেও কোনো সমস্যা হবে না।
এবার একটি মজার বিষয়, ১৫ মিনিট ধরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন। কিন্তু লক্ষ্য রাখুন একবারও আমি, আমার, আমাকে এই শব্দগুলো ব্যবহার না করে যেকোনো বিষয়ে বিস্তারিত চিন্তা করে নিজেকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করুন। আর এই প্রশ্নগুলো লিখে রাখুন। যে প্রশ্নগুলো লিখেছেন সেগুলোর উত্তরগুলোও নিজের মতো করে লিখে রাখুন। নিয়মিত এটা করলে আমাদের জানার এবং পর্যক্ষেণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এভাবে নিজের সম্পর্কে কমপক্ষে ১০ টি প্রশ্ন লিখুন। যেমন গত মঙ্গলবার কী করেছি, অথবা জীবনের বিশেষ অর্জন কী? প্রশ্নের উত্তরগুলিও বিস্তারিতভাবে গুছিয়ে লিখে রাখুন। এই উত্তরগুলো গানে গানে বলুন। চেষ্টা করুন একই গান যেন বারবার ব্যবহার না হয়।
প্রতিদিন নিজেকেই ছোট যেকোনো একটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করুন। আর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেই কাজটি শেষ করার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা করা যাবে না।
নিয়মিত এ বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন জীবনের পাতা থেকে হতাশা, ব্যর্থতার মতো শব্দগুলো মুছে দিয়ে নিজের ভেতরের শক্তি এবং বিশ্বাস দৃঢ় করে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠুন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন