হৃদয় ভাঙার কষ্ট কমাতে পারে খুব সাধারণ একটি ওষুধ
31 December 2017, Sunday
হৃদয় ভেঙে গেলে জোড়া লাগে না, এর কোন ওষুধ নেই- এমন কথা সাহিত্যে প্রায়শই শোনা যায়। আসলে কিন্তু মনের কষ্ট কমাতে আপনি খুব পরিচিত একটি ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন, জানালেন গবেষকেরা।
শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নয়, চাকরি চলে যাওয়া বা কোন বড় সুযোগ হাতছাড়া হলে মানুষের মাঝে দেখা যায় ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম। ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টাকির নাথান ডেওয়াল ব্যাখ্যা করেন, শারীরিক ও মানসিক কষ্ট একত্রিত হলে পরিস্থিতিটা কেমন দেখায়।
এর আগে ডেওয়াল ভিকোডিন নামের একটি পেইনকিলার নিয়ে গবেষণা করেন। মস্তিষ্কের যেখানে শারীরিক ব্যথার অনুভূতি হয় সেখানেই মানসিক কষ্টের অনুভূতি দেখা যায়। এই এলাকায় ভিকোডিনের কোন প্রভাব আছে কিনা তা দেখেন তিনি। তিনি সম্প্রতি এটা দেখতে চান যে অ্যাসেটামিনোফেন (সাধারণত যাকে টাইলিনল নামে চিনি আমরা) এর কোন প্রভাব আছে কিনা এই ক্ষেত্রে।
সাইকোলজিকাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে তিন সপ্তাহের জন্য প্লাসিবো অথবা অ্যাসেটামিনোফেন দেওয়া হয়। এরপর প্রতি রাত্রে তাদের মানসিক কষ্টের পরিমাণ লিখে রাখতে বলা হয়। দেখা যায়, যারা অ্যাসেটামিনোফেন নিচ্ছিলেন তাদের মানসিক কষ্টের পরিমাণ অন্যদের চাইতে কম ছিল।
এটা কীভাবে কাজ করে?
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ব্রেইন ইমেজিং করা হয়। দেখা যায়, ওষুধ খাওয়ার পর মস্তিষ্কের যে অংশে মানসিক কষ্ট দেখা দিত তা আগের তুলনায় ভোঁতা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। ডেওয়াল ব্যাখা করেন, ব্যাপারটা এমন যে কেউ আপনাকে প্রেমে প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্তু আপনি ব্যাপারটাকে পাত্তা দিচ্ছেন না, ফলে কষ্ট কম হচ্ছে। যদিও মানুষের কষ্ট একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হয় না এই উপায়ে, তবে কিছুটা ফলাফল পাওয়া যায়।
তবে টাইলিনলের যথেচ্ছ ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ হবে না কারোই, বিশেষ করে যদি আপনার লিভারে কোন সমস্যা থাকে। প্রথমে মানসিক কষ্ট কমানোর কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখুন। কয়েক সপ্তাহের বেশী বিষাদ থাকলে বা খুব বেশি কষ্ট হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
সূত্র: Reader’s Digest
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন