ঘরভাঙা নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে যেসব ছবি হতে পারে
26 December 2017, Tuesday
স্বামী কেন আসামি : নামের সাথেই বোঝা যায় এ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন নায়ক স্বয়ং। সিনেমার শুরুতে দেখা যাবে নায়ক-নায়িকার পরিচয়। আস্তে আস্তে সম্পর্ক গড়াতে থাকে প্রেমের দিকে। এই প্রেম একদিন বিয়ের দিকে গড়ায়। এরপর নানাবিধ সমস্যার মধ্যে যেতে যেতে একদিন হঠাৎ নায়িকা সংবাদ সম্মেলন করে নায়কের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনে। সে অভিযোগের পরিপ্রেেিত স্বামীকে একজন আসামি হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়। এভাবেই সিনেমার কাহিনীটি এগিয়ে যেতে থাকবে। সিনেমার শেষে নায়ক কারণ দেখিয়ে নায়িকাকে ডিভোর্স দেয়।
দুই বধূ এক স্বামী : নায়ক-নায়িকা দুইজনের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবেই যেতে থাকে। হঠাৎ নায়িকার মনের আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা দেয়। কারণ ইতোমধ্যে অন্য আরেক নায়িকার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে; এ অবস্থায় নায়ক আসলে কার জীবনে আসবে এ রকম এক টানটান উত্তেজনা নিয়েই এই সিনেমাটি।
স্বামী ছিনতাই : কাজের সূত্রে দুইজনের দেখা। এরপর প্রেম। এরপরে পরিণয়। সংসার বেশ ভালোই চলছিল। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর নায়ক-নায়িকার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে অন্য একটা কুচক্রী মহল নায়ককে নিজের করে নেয়ার স্বপ্ন দেখে। নায়িকার স্বামী মানে নায়ককে সাইড নায়িকা ছিনতাই করার চেষ্টা করে। কাহিনীর বাকি অংশ জানতে হলে সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হবে।
মায়ের অধিকার : ছবির নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এখানে মূল নায়ক সন্তান। সে নানা বিরূপ পরিবেশে বড় হতে থাকে। ২০ বছর পর সে বড় হলে বাবার কাছে মায়ের স্বীকৃতি চেয়ে দাবি নিয়ে যায়। বাবা একসময় তুখোড় নায়ক ছিল। সে সন্তানের দাবির মুখে ও তার অবস্থানে অনড় থাকে। সে বলে আমি সন্তানের স্বীকৃতি দিলেও তার মায়ের স্বীকৃতি দেবো না। এই সিনেমার একটি টুইস্ট থাকে। সেই টুইস্ট হলে সিনেমা শেষে নায়ক-নায়িকার মিলন হলেও এই সিনেমার শেষে ভাঙন হয়।
সন্তান যখন ইস্যু : নায়িকা দীর্ঘ দিন ক্যামেরার সামনে নেই। তার ভক্ত অনুরাগীরা তাকে খুব মিস করছে। এটা ভেবে নায়িকা ভক্তদের সামনে আসার একটা প্ল্যান করে। নয়ছয় মেলাতে না পেরে একটা কুবুদ্ধি মাথায় আসে। তার সদ্যোজাত শিশুসন্তানকে নিয়ে একটা টকশোতে গেলে মোটামুটি হিট হওয়া যাবে। সেখানে নিজের গ্ল্যামার দেখানো যাবে। নায়ক বাসায় আধা ঘুম অবস্থায় টিভিতে নায়িকাকে দেখে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। এরপর একদিন নায়িকা তার সন্তানকে একা রেখে বিদেশ চলে যায়, যা নায়ক মানতে পারে না। সে দিলদরিয়া মানুষ। নায়িকার এহেন কর্মে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এ রকম নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে সিনেমার পরিসমাপ্তি ঘটে।
ঘরের শত্রু বিভীষণ : নায়ক যখন নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, ঠিক তখনি তার স্ত্রী ভিলেনদের সাথে হাত মিলিয়ে নায়ককে নাস্তানাবুদ করার স্বপ্ন দেখছে। নায়কের ভাষ্য মতে, এটা একটা ফাঁদ। যে ফাঁদে পা দেয় নায়িকা। নায়কের ঘরের শত্রু তার জীবনকে বিভীষিকাময় করে তোলে। এ রকম এক পারিবারিক জঞ্জাল নিয়েই সিনেমাটি।
মেয়েটি এখন কোথায় যাবে : সুখের সংসারে স্বামী, সন্তান থাকার পরও প্রকৃত সুখ নেই নায়িকার। নিজের চরম দুর্দিনের মুহূর্তে নায়ককে কাছে না পাওয়ার আকুতি ভেসে ওঠে সিনেমাটিতে। নায়কের অবহেলায় একসময় নায়িকা দিশেহারা হয়ে ওঠে। একদিন নিজের স্বীকৃতির জন্য উঠেপড়ে লাগে নায়িকা। কিন্তু নায়ক তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। তাও মুখ বুজে সহ্য করে। একদিন নায়িকা হঠাৎ শুনল নায়ক আর তাকে চায় না। এই মুহূর্তে মেয়েটি এখন কোথায় যাবে? বাকি অংশ জানতে হলে সিনেমা হলে আসুন।
নয় বছর পর : নয় বছর দু’জনের সম্পর্ক গোপন থাকে। কিন্তু এভাবে চললে নায়ক-নায়িকার চলাফেরা বেশ কষ্ট হয়ে যায়। তারা দুইজন সিদ্ধান্ত নিলো তাদের প্রকাশ্যে আসা দরকার। এ জন্য একটা ফন্দি আঁটল। সে ফন্দি অনুসারে একদিন তারা প্রকাশ্যে আসে। সবাই তাদের সম্পর্ক জানতে পারে। কিন্তু এটি যে নয় বছর পর হবে তারা তা ভাবতেও পারেনি। নয় বছর ভালো থাকার পর একদিন তারা আলাদা হয়ে যায়। এ রকম একটি ট্র্যাজেডি গল্প নিয়েই এই সিনেমা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন