নববর্ষের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন ॥ দায় কার, কে দায়ী
24 April 2015, Friday
রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সচেতন নাগরিক সমাজ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। ১৬ এপ্রিল থেকে গত নয় দিন ধরে জাতীয় গণমাধ্যমে প্রথম পাতায় প্রতিদিনই এ নিয়ে খবর ছাপা হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিভিশনেও যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনার ফলোআপ প্রচার করা হচ্ছে। ৭১ টেলিভিশনে ফারজানা রূপার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ক্রুদ্ধ হয়ে জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন ‘আনসার বাংলা টিম’ তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে আমরা জেনেছি দুষ্কৃতকারীদের একটি সংঘবদ্ধ দল পরিকল্পিতভাবে বার বার নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। এই দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্র আহত হয়েছেন। দৈনিক যুগান্তরে এতদসংক্রান্ত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘বর্ষবরণে টিএসসিতে পুলিশের সামনেই পাশবিকতা : ছয় নারী বিবস্ত্র, শ্লীলতাহানির শিকার ২০।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছেÑ ‘... পহেলা বৈশাখের দিন সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আসতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চত্বরই ছিল লোকে-লোকারণ্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও টিএসসিতে ভিড় ছিল বেশি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগত যুবকরা হামলে পড়ে নারীদের ওপর। বিকেল পর্যন্ত ইভটিজিংয়ের ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিকেল গড়াতেই একশ্রেণীর বখাটে হামলে পড়ে নারীদের ওপর। ঘটনাস্থলের চারদিক পুলিশ পরিবেষ্টিত থাকলেও তখন তাদের কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং পুলিশের উপস্থিতিতেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হামলার শিকার হয়ে হাত ভেঙ্গে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দীর। এ সময় আরও বেশ কয়েক ছাত্র বখাটেদের হামলায় আহত হন বলে জানান লিটন।
‘ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন জানান, পহেলা বৈশাখের পুরো দিনটিতেই অসংখ্য নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমিসহ কয়েক বন্ধু শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসছিলাম। রাজু ভাস্কর্যের কাছাকাছি এলে দেখতে পাই বিভিন্ন স্থানে জটলা পাকিয়ে আছে। মাঝে মধ্যেই নারীকণ্ঠে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারের আওয়াজ আসছে। পরে দেখি বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র নারীদের ভিড়ের মাঝে ঠেলে দিয়ে বস্ত্রহরণ করে শ্লীলতাহানি করছে। রাজু ভাস্কর্যের পূর্বপাশে একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে খুব বেশি মানুষের জটলা দেখছিলাম। তার পাশেই দু’জন পুলিশ দাঁড়িয়েছিল। গিয়ে দেখি, এক নারীর ওপর সবাই হামলে পড়েছে। আমি ও বন্ধুরা মিলে ধাক্কা দিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় আমাদের দু’জন আহত হন। অনেক কষ্ট করে সবাইকে যখন সরিয়ে দেই তখন একটি মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় বিবস্ত্র হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাশে পড়ে ছিল। তাকে পাঞ্জাবি দিয়ে ঢেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এর পাশেই সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসিসংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশস্থলে আরও অন্তত ছয়টি স্থানে একই ঘটনা ঘটেছে।
‘প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত অপর একজন রমনা থানা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমিত দে যুগান্তরকে জানান, তিনিও একই ধরনের ঘটনা দেখেছেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিভিন্ন সময়ে সহায়তা করতে বললেও তারা কেউ এগিয়ে আসেননি।’ (যুগান্তর, ১৬ এপ্রিল, ২০১৫)।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল রাজধানীতে নববর্ষের অনুষ্ঠানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঢাকায় বাংলা নববর্ষের দিনভর উৎসবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয় সেখানে পুলিশ সর্বত্র সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের নজরদারিতে রাখবে এটা বাস্তব কারণেই সম্ভব নয়। তেমন কিছু করতে হলে পুলিশের বর্তমান যে সংখ্যা তা তিনগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। পুলিশের নজরদারির কাজ সিসিটিভি ক্যামেরা অনেক সহজ করে দিয়েছে। ১৭ এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নববর্ষের দিন সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসসি এলাকায় ১৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা সক্রিয় ছিল, যার মনিটর ছিল সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের পুলিশের কন্ট্রোল রুমে। ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়েছে কিভাবে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র বার বার নারীদের উত্ত্যক্ত করছে। এই অসহায় নারীদের ভেতর কিশোরী ও বালিকাও ছিল। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা লিটন নন্দী ও অমিত দেসহ তাদের কয়েক সঙ্গী দুষ্কৃতকারীদের কবল থেকে অসহায় নারীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। লিটন নিজের পাঞ্জাবি খুলে এক লাঞ্ছিত নারীর লজ্জা নিবারণ করেছেন। রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের নেত্রী ইশাত কাশফিয়া ইরা প্রায় বিবস্ত্র লাঞ্ছিত এক নারীকে শাড়ি পরিয়ে বাড়ি যেতে সাহায্য করেছেন। গণমাধ্যমে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার খবরের পাশাপাশি লিটন-ইরাদের মানবিকতার ঘটনাও প্রকাশিত হয়েছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় পুলিশের। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা পুলিশ বসিয়েছে। বিকেল থেকে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কন্ট্রোল রুমে মনিটরের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁরা তৎপর হলে সন্ধ্যার ঘটনা ঘটত না। পুলিশের কাজ করেছেন লিটনরা। তারা দুজন দুষ্কৃতিকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলেও রহস্যজনক কারণে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরদিন গণমাধ্যমে নববর্ষে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করলেও পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে লাঞ্ছনার ঘটনাকে গুরুত্বহীন করে ফেলেছে। যে কারণে সংক্ষুব্ধরা বার বার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় যে কজন অপরাধীকে শনাক্ত করা গিয়েছে তাদের ছবি কাগজে ছেপে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। (সমকাল, ১৯ এপ্রিল ২০১৫) সাত দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নারী লাঞ্ছনা প্রতিহত করতে গিয়ে যে ছাত্ররা আহত হয়েছেন তাঁদের বক্তব্য গ্রহণ না করে পুলিশ তাদের নিষ্ক্রিয়তার পক্ষে সাফাই গাইছে। যে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ দু’মাস আগে অভিজিত হত্যার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল এবং পুলিশ যে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিনও।
বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত আগে থেকেই তাদের বক্তব্য নিয়ে তৈরি ছিল। যে যার মতো সরকারের মুণ্ডুপাত করে বক্তব্য দিয়েছে। জামায়াত-হেফাজতের কট্টর সমর্থক ‘অধিকার’-এর মতো এনজিওরা ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে সরকারকে তুলোধুনো করেছে, যা সরকারের প্রাপ্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় নিঃসন্দেহে সরকারের। নারীরা যাতে নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারেন, পহেলা বৈশাখের মতো সার্বজনীন সামাজিক উৎসবে নিঃশঙ্ক চিত্তে অংশগ্রহণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। তবে বছরের শুরুতে প্রথম তিন মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট যে নজিরবিহীন তাণ্ডব, সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে সেটি মোকাবেলা করা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামান্যসংখ্যক সদস্য দিয়ে যেমন সম্ভব ছিল না, একইভাবে রাজধানীজুড়ে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের দিনভর উৎসব আয়োজনে কয়েকটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল বিশেষ উদ্দেশ্যে যদি গেরিলা কায়দায় নারী লাঞ্ছনাসহ যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে সেটি প্রতিহত করা পুলিশের বর্তমান সামর্থ্যরে বাইরে। তবে পুলিশের উচিত অপরাধের বহুমাত্রিক গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে তাদের দায়িত্ব পালন করা, দায় উপেক্ষা নয়।
ঘটনার দু’দিন পর হেফাজতে ইসলামীর প্রধান শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখের নামে নারীদের পর্দাহীন করা হচ্ছে। বিধর্মীদের সংস্কৃতির দ্বারা বাংলাদেশের মুসলমানরা প্রবাহিত হচ্ছে।’ (ইনকিলাব, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫) হেফাজত প্রধান আহমদ শফী যিনি নারীদের সম্পর্কে অশ্লীল ও কদর্য মন্তব্য করে ‘তেঁতুল হুজুর’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন তিনি বা তাঁর সমর্থকরা এ কথা অস্বীকার করতে পারবেন না, সেই পাকিস্তান আমল থেকে যখন ধর্মীয় গণ্ডি অতিক্রম করে বাংলা নববর্ষ ধর্মনিরপেক্ষতার সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, তখন থেকে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী অপশক্তি একে ‘ইসলামবিরোধী’ ও ‘হিন্দুয়ানি’ বলছে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন রাস্তায় আলপনা আঁকাও তাদের বিবেচনায় ‘হিন্দুয়ানি’ ও ‘ইসলামবিরোধী।’ পাকিস্তানের ২৪ বছরে আমরা দেখেছি সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারক শাসকরা এবং তাদের তল্পিবাহকরা যা কিছু বাঙালীর জাতীয় চেতনার সমার্থক, যা কিছু অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকÑ সবই তারা নাকচ করেছে ইসলাম ও পাকিস্তানবিরোধী আখ্যা দিয়ে। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধও তাদের বিবেচনায় ইসলাম ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিন্দু ভারতের চক্রান্ত। ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এই পাকিস্তানপন্থী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কিভাবে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শেকড় বিস্তার করেছে, কিভাবে বিএনপির মতো দল তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে এ নিয়ে গত চার দশকে কম লেখালেখি হয়নি।
হেফাজতপ্রধান আহমদ শফীর বক্তব্য অনুযায়ী নারীদের দেখলে যে পুরুষের লালা ঝরে না সে পুরুষই নয়! হুজুরের নির্দেশে যেভাবে শফীদের ছাত্ররা ঠাণ্ডা মাথায় মানুষ খুন করে, পুরুষত্ব প্রমাণের পাশাপাশি ‘ইমানি দায়িত্ব’ পালনের জন্য তারা নববর্ষের মতো বিজাতীয় অনুষ্ঠানে বেপর্দা মেয়েদের শায়েস্তা করবে এটাই স্বাভাবিক। ‘অধিকার’-এর মতো এনজিওরা কিংবা গণমাধ্যমেও যাঁরা প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন তাঁরা একবারও বলছেন না পুরুষের মনোজগতে নারীদের প্রতি অশ্রদ্ধা ও নারী নির্যাতনের আদর্শিক ক্ষেত্র কিভাবে তৈরি হচ্ছে। কিভাবে একজন বালক নারীর সমান অধিকার ও মর্যাদাবিরোধী হয়ে বেড়ে উঠছে, কিভাবে তাদের মনোজগতে বেপর্দা নারীরা ‘গণিমতের মাল’ হিসেবে বিচরণ করেÑ সুযোগ পেলেই যা নির্যাতনে রূপ নেয় এবং কিভাবে ধর্মের নামে ধর্ষণ ও নির্যাতনকে বৈধতা দেয়া হয়। বেপর্দা নারী লাঞ্ছনাযোগ্যÑ এই বিকার বা পাশবপ্রবৃত্তি ততদিন পুরুষের মনোজগত থেকে নির্মূল করা যাবে না যতদিন জামায়াত-হেফাজতের রাজনীতি ও দর্শন বাংলাদেশে সক্রিয় থাকবে।
এবার নববর্ষ উদ্যাপনের সময় ভারতসহ অন্যান্য দেশের যে সব সাংবাদিক বাংলাদেশ সফর করছিলেন তাঁরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের মতো সার্বজনীন ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী উৎসব বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ভারতে শুধু নয়, অন্য কোন দেশেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য, এটিই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা। ’৭১-এ যারা বাংলাদেশ চায়নি, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে ধ্বংস করে যারা এ দেশের মাটিতে আবার পাকিস্তানী দ্বিজাতিতত্ত্বের ঝাণ্ডা ওড়াতে চায় তারা সুযোগ পেলেই বাংলা নববর্ষসহ বাঙালীর যে কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অভিব্যক্তি কলঙ্কিত করতে চাইবে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে এখনই সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ এবং কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা যাবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন