ইহজাগতিকতার বিস্তার সত্ত্বেও টিকে আছে কুসংস্কার
28 July 2019, Sunday
কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনিতে কয়েকটি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কেউ একজন কারোর প্রতি সন্দেহের আঙুল তুলে বলে দিল লোকটি অথবা মহিলাটি ছেলেধরার ফিকিরে আছে, আর অমনি উন্মত্ত জনতা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। এ রকম ঘটনার সময় মানুষের মধ্যে যে উন্মত্ততা দেখা দেয়, তা কোনো সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষের পক্ষে রোখা কঠিন হয়ে পড়ে। বরং যে রুখতে যাবে, সে-ও ছেলেধরার সহযোগী হিসেবে পিটুনি খাবে।
কাজেই এ রকম পরিস্থিতিতে কেউ প্রতিবাদ করেছে- এমন খবর পাওয়া যায় না। ১৯৭২-৭৩-এ ঢাকার রাস্তায়, বিশেষ করে মতিঝিল এলাকায় অনেক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ঢাকা শহর আজকের মতো জনাকীর্ণ ছিল না। অফিসের সময় কিংবা অফিস ছুটির পর মতিঝিল এলাকা থাকত জনাকীর্ণ। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সেক্টর, কর্পোরেশন ও ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকার ফলে মতিঝিল ওই সময় শহরের খুব ব্যস্ত এলাকা ছিল। এখনকার মতো যানজট না থাকায় এবং ফুটপাতগুলো যাতায়াতের জন্য বাধা-বিপত্তি থেকে মুক্ত থাকার ফলে অনেক মানুষই হেঁটে চলাচল করত।
তখন কোনো একজন চিৎকার করে বলল, ওই ‘রাজাকার’ যায়- আর যায় কোথায়? উন্মত্ত মানুষের পিটুনিতে কথিত রাজাকার নির্ঘাত মৃত্যুবরণ করত। মতিঝিলের মতো এলাকায় পুলিশি তৎপরতায় উন্মত্ত জনতাকে রোখার কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এমন কোনো দৃষ্টান্ত আমার জানা নেই। যারা সুস্থ চিন্তা করত, তারা এ ধরনের ঘটনার মধ্যে বিশেষ ধরনের মতলবের গন্ধ পেত। তারা বলত, ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধার করার জন্যই রাজাকারের ‘রা’ তোলা হতো। খোদ রাজধানীর বুকে এ ধরনের গড়ন খুহপযরহম-এর জন্য কারও কোনো বিচার বা শাস্তি হয়েছে এমন কোনো নজির পাওয়া যায় না।
তখন সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। রাজাকার শব্দটির প্রতি ছিল মানুষের মধ্যে ব্যাপক ঘৃণা। এমন ঘৃণার বশবর্তী হয়ে নিজ হাতে বিচারের ভার তুলে নিয়ে হত্যা করলে দোষের কী আছে- এমন মনোভাব বেশ প্রবল ছিল তখন। তাই পুলিশি হস্তক্ষেপও হতো না। বড়জোর অপঘাতে মৃত্যু হিসেবে ঘটনাটি পুলিশের ডায়রিতে লেখা হতো। জনাকীর্ণ স্থানে, যেমন হাটবাজারে পকেটমার ধরা পড়লে তার তাৎক্ষণিক বিচার ও শাস্তি হয়ে যেত। এ ধরনের মারধরকে বলা হয় হাঁটুরে মার। হাঁটুরে মারের কবলে পড়লে রক্ষা নেই।
এ সময়ে ‘ছেলেধরা’ অজুহাতে নির্দয় গণপিটুনিতে নির্দোষ মানুষের মৃত্যুর পেছনে একটা কাহিনী আছে। গত কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হচ্ছিল পদ্মা সেতুর জন্য শত শত নরমুণ্ডের প্রয়োজন হবে। এ অপপ্রচারে অনেক মানুষই বিশ্বাস স্থাপন করেছে। আমার মতো মানুষ, যাদের যথেষ্ট বয়স হয়েছে তাদের ছোটবেলায় একটা গল্প প্রচলিত ছিল। তা হল, নদীর উপর দিয়ে কোনো সেতু তৈরি করে টিকিয়ে রাখতে হলে দেবতার উদ্দেশে নরবলি দিতে হয়। ছোটবেলায় আরও শুনেছি ভৈরব ব্রিজ, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও হাওড়া ব্রিজের জন্য ব্রিটিশ আমলে নরবলি দিতে হয়েছিল।
নরবলি দেয়া হয়েছে বলেই এ সেতুগুলো টিকে আছে। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষে অনেক সড়ক সেতু এবং রেল সেতু নির্মিত হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে, প্রতিটি সেতুর জন্যই নরবলি দিতে হয়েছে। কী করে এ ধরনের বিশ্বাস সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে গেড়ে বসেছিল, তা কেউ জানে না। জানার চেষ্টাও করেনি। কিন্তু বিশ্বাসটি প্রজন্ম পরম্পরায় বেশ দৃঢ়মূল হয়ে আছে। রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ভূ-উপগ্রহ ও গুগলের এ জমানায় এ রকম অন্ধ বিশ্বাস বা কুসংস্কার যে অনেক মানুষের মনে ঠাঁই করে আছে তা ভাবতেও অবাক লাগে!
অনেক রথী-মহারথী ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর আস্থা নেই বলে এসব ঘটনা ঘটছে। আবার কেউ বলছেন, মানুষ মূল্যবোধ ও শুভচিন্তা হারিয়ে ফেলেছে বলেই গণপিটুনির মতো অবাঞ্ছিত ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা হয়তো আছে। তারা তো সব ঘটনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন না। আবার এটাও সত্য, অপরাধের ঘটনা সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করলেও অনেক ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু তদন্ত হয় না। ফলে বিচারও হয় না।
এ ছাড়া বিচারে দীর্ঘসূত্রতার সমস্যা তো আছেই। এসব শৈথিল্যের একটি বড় কারণ দুর্নীতি। দুর্নীতি এখন বিরাট সামাজিক অভিশাপে পরিণত হয়েছে। আলোচিত ঘটনা-দুর্ঘটনার পেছনে বিচারহীনতার সংস্কৃতিরও অবদান আছে। সময়মতো সঠিক বিচার হলে অনেক ধরনের অপরাধই বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু বিচারহীনতার ফলে অপরাধের মাত্রা তো কমছেই না, বরং জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে।
আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার আছে। এগুলোর কিছু দৃষ্টান্ত দিতে হয়। ছোটবেলায় ‘মুসলমানি’ বা খতনা করাতেন হাজাম শ্রেণির লোকেরা। হাজামরা বিশেষ একটি পেশার মানুষ। খতনা করানোই এদের পেশা। খতনা করানোর সময় শিশুটির জ্বালাযন্ত্রণা যাতে না হয়, তার জন্য শিশুর মায়েরা পানিতে চুল ভিজিয়ে রাখত। এটা করলে নাকি শিশুর খতনার কষ্ট অনেক কমে যেত। প্রশ্ন হল, এর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? আমাদের ছোটবেলায় বেদে সম্প্রদায় বেশ বড় ছিল।
বর্তমানে নদী-নালা শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বেদে-বেদেনীদের খুব একটা দেখা যায় না। এরা সম্ভবত তাদের বংশগত পেশা ত্যাগ করে অন্য পেশায় চলে গেছে। তদসত্ত্বেও এখনও বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এদের দেখা মেলে। এরা নৌকায় ঘুরে বেড়ায়। নৌকার মধ্যেই এরা ঘর-সংসার করে। সাপের খেলা দেখিয়ে, তাবিজ-কবচ দিয়ে এবং দাঁতের পোকা বের করে এরা জীবিকা অর্জন করে। আশ্চর্যের বিষয় হল, এরা ম্যাজিকের আশ্রয় নিয়ে দাঁত থেকে পোকা বের করে এনে মানুষকে দেখায়। মানুষও বিশ্বাস করে দাঁতে পোকা হয়। এরও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
একইভাবে তাবিজ-কবচের ফলে রোগ থেকে আরোগ্য লাভ হবে, এমন বিশ্বাসেরও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ছোটবেলায় আরও দেখেছি কলেরা মহামারী আকারে দেখা দিত। টিউবওয়েলের পানি পান না করা এবং উন্মুক্ত স্থানে পায়খানা করার ফলে এ রোগের জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ত। শত শত মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। কখনও এক পরিবারের সবাই মৃত্যুবরণ করত এবং পরিবারটির বংশধারার অবসান ঘটত। এ রকম মহামারীকে মানুষ দেবতার অভিশাপ বলে মনে করত।
হিন্দুরা বিশ্বাস করত ওলাদেবীর আগমনের ফলেই কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। অনেক মুসলমানও এ ধারণায় বিশ্বাস করত। তাই রোগটির নাম ছিল ওলা ওঠা। ওলাদেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য তেরাস্তা বা চৌরাস্তার মধ্যস্থলে কলাপাতা বিছিয়ে মিষ্টান্ন রেখে চারপাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়া হতো। এটা ছিল ওলাদেবীর জন্য ভোগ। মানুষ বিশ্বাস করত ওলাদেবী প্রসন্ন হলে এ বালাই আর থাকবে না। খাঁটি মুসলমানেরা কলেরা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য জিকিরের ব্যবস্থা করত।
আমি ছোটবেলায় এ রকম সমস্বরে গ্রামের মানুষকে জিকির করতে দেখেছি। এখন বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা, বাসি-পচা খাবার না খাওয়া এবং স্যানিটারি পায়খানার প্রচলনের ফলে কলেরা হয় না বললেই চলে। এ ছাড়া পেটের পীড়ায় খাওয়ার স্যালাইনের ব্যবহার এ রোগকেও জয় করেছে। একইভাবে গুটিবসন্তও ছিল মানুষের জন্য ভয়াবহ অভিশাপ। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে ১৭৭৬-এর মন্বন্তরের সময় গুটিবসন্তের মহামারীর মর্মস্পর্শী বর্ণনা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগের ফলে পৃথিবী থেকে গুটিবসন্ত বিদায় নিয়েছে। এখন হয়তো জীবাণুযুদ্ধের প্রয়োজনে গুটিবসন্তের জীবাণু আমেরিকা কিংবা রাশিয়ার অস্ত্র গুদামে মজুদ আছে। যুদ্ধের জন্য হয়তো এ ভয়াবহ জীবাণু ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
আরও কত রকমের কুসংস্কার বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আছে। জাদু টোনা করা, ভূত ধরার খবর এবং ভণ্ডপীরদের এসব মুসিবতের চিকিৎসার নামে মানুষ হত্যার খবর এখনও সংবাদপত্রে বের হয়। রুনা লায়লার একটি গানে ‘লোকে বলে আমায় নাকি ভূতে ধরেছে’- এই লাইনটি আছে। কুসংস্কারের দৃষ্টান্ত দিতে গেলে আরও অনেক দেয়া যায়। স্কুলে পড়ার সময় মা কিছুতেই পরীক্ষার সময় ডিম খেয়ে স্কুলে যেতে দিতেন না। তার বিশ্বাস ছিল ডিম খেয়ে পরীক্ষা দিলে ছেলেটি পরীক্ষায় ডিম পাবে। এমন বিশ্বাসেরও কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। মায়ের কাছ থেকে দূরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে ডিম খেয়ে কত পরীক্ষা দিলাম, কই পরীক্ষায় তো খারাপ করিনি!
মওলানা ভাসানী পানি পড়া দিতেন। একদিন এক খুবই দরিদ্র কৃষক পানি পড়ার জন্য তার রুগ্ন সন্তানকে কোলে নিয়ে মওলানা ভাসানীর কাছে এলো। মওলানা সাহেব ছেলেটিকে দেখেই দুধ গরম করালেন এবং গ্লাসে গরম দুধ ঢেলে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণে কচি কলাপাতার ডিগি ছিঁড়ে ভিজিয়ে দিলেন এবং তারপর একটু ‘ফুঁ’ দিয়ে শিশুটিকে ওই দুধ পান করালেন। তখন মওলানা সাহেবের পাশেই বসে ছিলেন তার বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিশীল কিছু সহকর্মী। মওলানা ওই কৃষকটিকে নিজের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ২০টি টাকা দিয়ে বললেন, বাচ্চাটিকে তিন মাস খাঁটি গরুর দুধ খাওয়াবেন।
গরিব কৃষকটি দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে বিদায় নিল। মওলানার বিজ্ঞানমনস্ক সহকর্মীরা জিজ্ঞেস করলেন, হুজুর এটা কী করলেন? তিনি জবাব দিলেন, বাচ্চাটি আসলে চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। সুতরাং দুধের মতো সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে ছেলেটি সুস্থ হয়ে যাবে। আর ‘ফুঁ’ দিলাম আল্লাহর নাম পড়ে এই জন্য যে, তার যেন আস্থা বৃদ্ধি পায়। লোকটি বিশ্বাস ও বিজ্ঞান দুই-ই নিয়ে গেল!
আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যায় মনের আস্থার একটি বিরাট ভূমিকা আছে। আস্থা মনের বল জোগায়, তার সঙ্গে শরীরেও শক্তি সঞ্চার করে। গ্ল্যান্ডগুলো থেকে উপকারী নিঃসরণ হয় অথবা ক্ষতিকর নিঃসরণ কমে যায়। এভাবে অনেক মানুষই দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। দুঃখ লাগে যখন দেখি, গভীরভাবে চিন্তাভাবনা না করে মানুষের মধ্যে বিদ্যমান কুসংস্কার নিয়ে রাজনীতি করা হয়। বলা হচ্ছে, বিএনপির ষড়যন্ত্রকারীরা গণপিটুনির অন্তরালে তৎপর রয়েছে।
যেমন একবার বলা হয়েছিল ‘রানা প্লাজা’ ধসের জন্য দায়ী অবরোধকারী বিএনপি কর্মীদের ঝাঁকুনি। এর চেয়েও আষাঢ়ে গল্প আর কী হতে পারে? আমাদের প্রাগৈতিহাসিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও কুসংস্কার জড়িত আছে। নববধূকে ধান-দূর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে যে আকাক্সক্ষাটি প্রতিফলিত হয় তা হল বধূটি ধানের গুচ্ছ বা দূর্বা লতার মতো বংশ বিস্তার করবে। অর্থাৎ সে অন্তত নিঃসন্তান হবে না।
জগৎব্যাপী ইহজাগতিক ভাবধারার ব্যাপক বিকাশ সত্ত্বেও কুসংস্কারপূর্ণ মনোভাব এখনও বেশ জাঁকিয়ে টিকে আছে। এনসাইক্লোপেডিয়া অফ সোশ্যাল সায়েন্সে লেখা হয়েছে- Magical ideas and procedures are plentiful in contemporary civilization. The secularization of modern life has proceeded at the expense of religion and its gods rather than at the expense of magic. এ মন্তব্যটি খুবই প্রণিধানযোগ্য। রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করা সম্ভব হলেও সমাজ থেকে কুসংস্কারকে পৃথক করা সম্ভব হয়নি। ওয়ালস্ট্রিটে বিনিয়োগকারীরা আগে ক্ষেত্রবিশেষে গণকের শরণাপন্ন হতেন।
আমাদের সমাজেও অনেক রাজনীতিক ও শিক্ষিত মানুষ গণকের কাছে যায় ভবিষ্যৎ কেমন হবে জানার জন্য। পীরের দরবারে যায় ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় আশীর্বাদের জন্য। হাতের আঙুলে অনেককেই বিভিন্ন পাথরের আংটি পরতে দেখা যায়। এমনকি ধর্মীয় দৃষ্টিতে এগুলো অবাঞ্ছিত হলেও অনেকে এসবের আশ্রয় নিয়ে থাকে। সুতরাং সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর এবং রাজনৈতিক দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে না পারলে গণপিটুনির মতো বর্বর কর্মযজ্ঞের মূলোৎপাটন করা সম্ভব হবে না।
ড. মাহবুব উল্লাহ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ
উৎসঃ যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন