হিন্দুত্ববাদই খেয়ে ফেলবে ভারতের অর্থনীতি
21 May 2018, Monday
বিজেপি শাসিত হিন্দুত্ববাদী ভারতে যেভাবে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে বিশাল এই দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। বিশেষ করে দেশটি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী।
প্রতিবেশী এই দেশটিতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, বর্ণবিদ্বেষ সবকিছুকেই ভিন্নভাবে উপস্থাপনের যে কদর্য প্রয়াস চলছে তাতে দেশটির ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারময় হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে শঙ্কা সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক।
প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাষ্ট্র বাংলাদেশে যে কোনো ধরনের অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা যেমন ভারতের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, ঠিক একইভাবে ভারত যদি কোনো কারণে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, তার অশুভ প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও ভয়ানক আঁচ সৃষ্টি করতে পারে।
সে কারণেই দুটি দেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক, সেটা যে কোনো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কামনা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণে দেখা যায়, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত হবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অবশ্য সেই সময়ের মধ্যে চীনের অবস্থান থাকবে শীর্ষে।
এসব প্রক্ষেপণ তখনই বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব যদি দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। উন্নয়নের পথে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা ভারত সম্পর্কে ভারতেরই এক প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ দীপক লাল আশির দশকে দুই খণ্ডে রচিত একটি গ্রন্থে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একে বলেছিলেন, Hindu rate of growth. এই পরিস্থিতির জন্য তিনি হাজার বছর ধরে ভারতে বিদ্যমান বর্ণপ্রথা এবং রাষ্ট্রীয় প্রাধান্যভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়ী করেছিলেন।
’৯০-এর দশকের প্রথমদিকে মনমোহন সিং ভারতের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে ভারতকে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির দেশ থেকে বাজারনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত করার জন্য ধীরেসুস্থে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। অব্যবহিত আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরসিমা রাও। ভারত যখন মুক্তবাজার অর্থনীতির পথে যাত্রা শুরু করল, সেই থেকে ভারতীয় অর্থনীতির, প্রবৃদ্ধির হার একটি সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত হতে থাকল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রায় সমান্তরালভাবে ঘটল বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা। রামযাত্রার নামে হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য অযোধ্যায় সমবেত হয়েছিল। ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করল। নরসিমা রাওয়ের সরকার গেরুয়া বসনধারী হিন্দুত্ববাদীদের নিবৃত্ত করার পরিবর্তে দূর থেকে দাঁড়িয়ে শুধু দেখে থাকার ভূমিকা অবলম্বন করল। সরকারটি যদিও ছিল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী কংগ্রেসের, তদসত্ত্বেও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের কোনো বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেল না। সে সময় কংগ্রেস-নেতৃত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভীতিতে সন্ত্রস্ত ছিল।
হিন্দুত্ববাদীরা তাদের কল্পিত অযোধ্যায় রামমন্দির ছিল বলেই দাবি তুলেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, মোগল সম্রাট বাবরের সময় এ রামমন্দিরকে বাবরি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। হিন্দুত্ববাদীদের ইতিহাসবিরুদ্ধ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের অনেক প্রগতিশীল ইতিহাসবিদ কলম ধরেছিলেন। তারা প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস থেকে তথ্য সন্নিবেশ করে প্রমাণ করেছিলেন, হিন্দুত্ববাদীদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। সত্যিকারের ইতিহাস কোনোভাবেই পৌরাণিক কাহিনী বা মিথ হতে পারে না। সেই সময়ের কংগ্রেসি সরকার নীতিগত অবস্থান নিতে চরম অক্ষমতা ও রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল।
এর কয়েক বছর আগে ইন্দিরাতনয় রাজীব গান্ধী অযোধ্যা থেকে তার নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করেছিলেন। অযোধ্যা থেকে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভারতে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। অনেকে অবশ্য এ ঘোষণাকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য রামরাজ্য কথাটির ব্যাখ্যা হাজির করে বলতে চেয়েছেন, ‘রামরাজ্য মানে সত্য ও ন্যায়ের শাসন’। ব্যাখ্যায় যা কিছু বলা হোক না কেন, এর মধ্যেও যে হিন্দুত্ববাদের গন্ধ ছিল তা অস্বীকার করা যাবে না। সাম্প্রতিক ইতিহাস থেকে এ ঘটনাগুলো উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি এ কারণে যে, বাংলাদেশের ‘ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীদের’ দৃষ্টিতে কংগ্রেস হল একটি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী রাজনৈতিক দল। কিন্তু এ দলটির রাজনৈতিক আচরণ ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রশ্নাতীত নয়। ভারতে কংগ্রেস শাসনামলেও অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।
ভারতে বর্ণবিদ্বেষও এতই প্রবল যে মণ্ডল কমিশনের রিপোর্টের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শিক্ষিত তরুণ হিন্দুদের অগ্নিতে আত্মহুতি দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। মণ্ডল কমিশনে হরিজনসহ নিুবর্ণের হিন্দুদের জন্য বিশেষ সুযোগ অব্যাহত রাখার এবং ক্ষেত্রবিশেষে সম্প্রসারিত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। ভারতে বর্ণবিদ্বেষ যে কত প্রবল এ ঘটনা তারই প্রমাণ। শুধু তাই নয়, সময়ে সময়ে হরিজনদের পুড়িয়ে মেরেছে উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা।
বর্ণগতভাবে বিভক্ত ভারতীয় সমাজকে আধুনিকতা ও প্রগতির পথে এগিয়ে নেয়া যে কত দুরূহ তা বলাই বাহুল্য। সে কারণে মনে সন্দেহ জাগে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় শক্তিধর অর্থনীতিতে পরিণত হবে কিনা। তবে একটি কথা না বললে কোনো কোনো কংগ্রেসি নেতার প্রতি সুবিচার করা হবে না। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন এক সময়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
সব ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধার পরাকাষ্ঠা প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি চেয়েছিলেন তার দেহরক্ষী বাহিনীতে সব ধর্মের ব্যক্তিরা যেন থাকতে পারে। এ বিশ্বাসের সুবাদে তার দেহরক্ষী বাহিনীতে শিখদেরও অবস্থান ছিল। অবশ্য তার পরামর্শকরা তাকে এই অবস্থান থেকে সরে যেতে পরামর্শ দিয়েছিল। তিনি এর প্রতি কর্ণপাত করেননি। শেষমেশ দেখা গেল তার দেহরক্ষী শিখরাই তাকে হত্যা করল। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি এমন আন্তরিক বিশ্বাস অন্তত ভারতের ইতিহাসে খুবই ব্যতিক্রমী।
অবশ্য ঘটনার আগেও ঘটনা আছে। শিখদের পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনা স্বর্ণমন্দিরে শিখ বিদ্রোহীরা সশস্ত্র অবস্থান গ্রহণ করেছিল। এই বিদ্রোহীরা বিশ্বাস করত স্বর্ণমন্দির তাদের জন্য খুবই নিরাপদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশেই ভারতীয় সামরিক বাহিনী স্বর্ণমন্দিরে অভিযান চালায়।
এ অভিযানে কয়েকশ শিখ বিদ্রোহী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল শিখদের অতি পূজনীয় ধর্ম গুরু সন্ত ভিন্দ্রানওয়ালে। এই ট্র্যাজিক ঘটনা পূর্ব পাঞ্জাবের শিখদের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পূর্ব পাঞ্জাবের শিখদের বিদ্রোহ দমন করতে গিয়ে ভারত সরকারকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
শিখ বিদ্রোহীরা রাজধানী দিল্লিতেও গুপ্ত হামলা চালিয়েছিল। ভারত বিশাল দেশ। এ দেশ হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান ও আদিবাসীসহ অনেক সম্প্রদায়ের আবাস। এমন একটি দেশে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারলে কী ধরনের নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি হতে পারে তা কল্পনাতীত নয়।
এখনও কাশ্মীরে ভয়াবহ সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে। এমন পরিস্থিতিতেও বিজেপির ইচ্ছা কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বজায় রাখা। বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদ ভারতের জন্য কী পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা একান্তভাবেই ভবিষ্যতের গর্ভে নিহিত।
সাম্প্রতিক একটি ঘটনা বাহ্যিকভাবে দৃশ্যমান ভারতের মর্যাদাকে ভয়ঙ্করভাবে ধূলিমলিন করে দিয়েছে। পাকিস্তানের লেনিন পুরস্কারপ্রাপ্ত সর্বজনশ্রদ্ধেয় কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের কন্যার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা শুধু বড় রকমের অন্যায় নয়, ভারতের মর্যাদারও হানিকর। পাকিস্তানি হওয়া সত্ত্বেও কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজ যতবার ভারতে গেছেন ততবারই তাকে সাদর আতিথ্য দেয়া হয়েছে। দুই কন্যা সালিমা ও মনিজা হাসমির ক্ষেত্রেও অতীতে কখনও এর ব্যত্যয় হয়নি।
দিল্লি তাদের উদারতার পতাকা হিসেবে ব্যবহার করেছে। এর ফলে দিল্লি তথা ভারতের কোনো ক্ষতি হয়নি, বরং মর্যাদা উজ্জ্বল হয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বুদ্ধিবৃত্তিক আয়োজনে দুই বোনই যত্নআত্মি ও আতিথ্য পেয়েছেন।
পাকিস্তানি সাংবাদিক জাবেদ নাকভি পাকিস্তানের অত্যন্ত মর্যাদাশীল ও প্রাচীন পত্রিকা ডনে একটি কলাম লিখে জানিয়েছেন, ‘মনিজার সঙ্গে আমার সর্বশেষ দেখা হয় দিল্লিতে তার ছেলে আলী মাদিহ হাসমির একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। আলীর টুইট থেকেই প্রথম জানলাম, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মনিজাকে দিল্লিতে একটি সম্মেলনে বক্তব্য দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
আমার মনে হয়, যদি কংগ্রেস সরকার মনিজার সঙ্গে এ আচরণ করত, তাহলে এটি ধাক্কা খাওয়ার মতো বিষয় হতো। কিন্তু মোদি সরকারের কথা একেবারেই আলাদা। এই সাংবাদিকের মতে, মোদি সরকারের চেতনার সঙ্গে তুলনা হতে পারে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের ইসলামী উগ্রবাদী নীতির সঙ্গে। পাকিস্তানের জেনারেল জিয়ার আদলে ২০১৪ সাল থেকে মোদি সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে রাজপথ পর্যন্ত তাদের গোঁড়ামি ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানের শক্তিশালী লেখক ফাহমিদা রিয়াজ তার ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে জিয়াউল হকের রুদ্ররোষ থেকে বাঁচার জন্য দিল্লিতে এসে উঠেছিলেন।
সেই সময় দিল্লির প্রকাশ্য রাজনৈতিক অবস্থানের মধ্যে এক ধরনের সৌন্দর্য ছিল। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকারের পূর্বসুরি বাজপেয়ি সরকারের আমলে একদিন ফাহমিদাকে জীবন নিয়ে পালাতে হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তার লেখা একটি কবিতা পড়ছিলেন। তার কবিতাটির প্রতিপাদ্য ছিল ভারতীয়রাও কীভাবে বোকামি করে পাকিস্তানি জ্ঞাতি ভাইদের মতো রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলছে।
ফাহমিদার সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের আরেক বিখ্যাত কবি আহমেদ ফারাজ। ফাহমিদা কবিতাটি পড়ার সময় দর্শকদের মধ্য থেকে কেউ একজন ক্ষেপে গিয়ে পিস্তল বের করে তার দিকে তাক করলেন। ফাহমিদা ও ফারাজ দ্রুত সরে গেলেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এরপর থেকে তাদের চুপই থাকতে হয়েছে। মনিজার ভারতের ভিসা পেতেও জটিলতায় পড়তে হয়েছে। মনে হচ্ছে, ভারতে উদার প্রগতিশীলদের শক্তি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
কী ইতিহাস, কী পাঠ্যপুস্তক, কী প্রতিষ্ঠান সবকিছুতেই হিন্দুত্ববাদের মোড়ক পরিয়ে দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে, বহুজাতি ও বহুধর্মের দেশ ভারতে সংখ্যালঘুরা নির্বাসিত হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতার সাংবিধানিক নীতির প্রতি নিষ্ঠুর পরিহাসস্বরূপ ভারত এখন মানুষের দেশ না হয়ে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ভারত কীভাবে ২০৫০ সালে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ কি একেবারেই অযৌক্তিক? বাংলাদেশের উদারতাবাদী বুদ্ধিজীবীরা এ ব্যাপারে আরও একটু বেশি সরব হলে হয়তো পরিস্থিতির একটু হেরফের হতে পারে। এই হেরফের ঘটানোর জন্যই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সহিষ্ণু ও উদারতাপন্থী বাংলাদেশের জনগণই হতে পারে দক্ষিণ-এশিয়া উপমহাদেশের জন্য ভরসাস্থল।
ড. মাহবুব উল্লাহ : অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ
উৎসঃ যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন