শুদ্ধি অভিযানে সিদ্ধি অর্জন
06 November 2019, Wednesday
আমি একজন পরম আশাবাদী মানুষ। গ্লাসটি ‘অর্ধেক খালি’ না দেখে ‘অর্ধেক ভর্তি’ হিসেবে দেখতে চেষ্টা করি। তেমনি পেঁয়াজের ঊর্ধ্বগতি থামাতে প্রধানমন্ত্রীর পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধের মধ্যেও কল্যাণ খুঁজতে চেষ্টা করেছি। এটাকে ঘুর্নাক্ষরেও জাতির সাথে মশকারা হিসেবে গণ্য করতে পারিনি। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যারা ভালোবাসেন তারাও পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ রেখেছেন। তারা যথাসময়ে তা না করলে এই পেঁয়াজের কেজি যে এক হাজার টাকা স্পর্শ করত, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আশা করি, সামনের কোনো সংবাদ সম্মেলনে এ দেশের কোনো সৌভাগ্যবান সাংবাদিক মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর এই দরদমাখা ত্যাগটির জন্য জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
সরকার কর্তৃক গৃহীত শুদ্ধি অভিযানকেও তেমনি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখার চেষ্টা শুরু করেছি। তিন ন’য়ে সাতাশ লাখ কোটি টাকা গচ্চা যাওয়ার পরও এখন যদি দু-এক কোটি টাকা ফেরত আসে, সেগুলোকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখা উচিত।
৯ লাখ কোটিকে কেন সাতাশ লাখ কোটি টাকা বললাম তার ব্যাখ্যা একটু পরে আসছে।
সরকারের আগের দুই টার্মের মন্ত্রী, এ টার্মের সংসদ সদস্য ও অন্যতম জোটসঙ্গী রাশেদ খান মেনন রাজসাক্ষীর মতো স্বীকার করেছেন, গত ১০ বছরে ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। অবশ্য গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির কোনো রিপোর্ট মেননদের এন্ডোর্সমেন্টের অপেক্ষা রাখে না। তিন ন’য়ে সাতাশটি শুধু আমার অনুমান। কারণ, এ দেশ থেকে এক টাকা পাচার হলে সহজেই ধরে নেয়া যায় যে, কমপক্ষে এর তিনগুণ টাকা পাবলিকের পকেট থেকে লুট করা হয়েছে। গরিব এ দেশটি এই সময়ের ভেতরে অতি ধনী মানুষ বৃদ্ধি পাওয়া দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথম হয়েছে এবং ধনী মানুষ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তৃতীয় হয়েছে। পাবলিকের পকেট লুট হলেও এটিকে একটি পজিটিভ সংবাদ হিসেবেই দেখি।
আর লুটপাটের এ অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে একটি রাজনৈতিক ভিশন ও চেতনাকে প্রশ্রয় দিয়ে। সেই রাজনৈতিক ভিশনটি ছিল ‘রাজাকারের গোষ্ঠী’ ক্ষমতায় ফিরে এলে এ দেশটিকে শেষ করে দেবে এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’কে সমূলে উৎপাটিত করে ফেলবে। অর্থাৎ যারা এখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তাদের ছাড়া বাদবাকি সবাই ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’। এ আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে মূলত একধরনের লুটপাটতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কাজেই ‘চেতনা’ সমুন্নত রাখতে এই পয়সা আসলে তেমন কিছু নয়।
দুই দিন আগে এক টকশোতে দেখলাম, এসব লুণ্ঠনের ডাটা বা তথ্য পরিবেশন করায় বন্ধুবর ডা: সায়ন্থকে রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন সরকারপন্থী জনৈক সাংবাদিক নেতা! তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দেয়, গণমাধ্যম আসলেই কতটুকু স্বাধীন।
আরেকটু হলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কেসে সায়ন্থকেও ফাঁসিয়ে দেয়া হতো। জামায়াতের নেতাদের প্রথমে ধরা হয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে। অবস্থাদৃষ্টে মনে করা যায়, তখন জামায়াত নেতারা যাই বলতেন, সেটাই ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার শামিল’ বলে গণ্য হতো। এগুলো স্মরণ করে এবং সাংবাদিক নেতার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও ভাষা দেখে সে দিন ডা: সায়ন্থের জন্যও সেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যুক্তিতে না পারলে কণ্ঠ রোধের অনেক উপায় যে রয়েছে, এই ‘সাংবাদিক নেতা’ সে দিন সেটিই বুঝিয়ে দিলেন।
দুর্মুখেরা এই শুদ্ধি অভিযান নিয়ে না না কথা বলেছে। সে দিকে কান না দিয়ে অভিযানটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কোনো মন্তব্য করা থেকেও যত দূর সম্ভব বিরত থেকেছি। কিন্তু সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীকুলের উচ্ছ্বাসে শেষ পর্যন্ত দু-একটি কথা বলতে বাধ্য করেছে। ‘লি কুয়ান, শেখ হাসিনা ও শুদ্ধি অভিযান’ শিরোনামে একটি কলাম অনেকের নজর কেড়েছে। কলামটির লেখক ‘সর্বাধিক প্রচারে’র দাবিদার দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি দৈনিকের সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বলাই বাহুল্য যে, শুদ্ধি অভিযানের শেষটি দেখার আগেই এটিকে এযাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ শুদ্ধি অভিযান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগের সরকারগুলোও শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছিল। সেগুলোর প্রতিটিতে এই কলামিস্ট মহোদয় গলদ দেখলেও বর্তমান শুদ্ধি অভিযানে তিনি তা দেখছেন না।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আপত্তি থাকার পরও র্যাব যে সুনাম অর্জন করেছিল, তা আগের সরকারের আমলেই। এ সত্যটি কারো কারো মানতে কষ্টই হবে। তখন র্যাবের অভিযানগুলোর প্রতিটি ছিল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের টার্গেট করলে র্যাব কখনোই তখন জনগণের কাছ থেকে এত সমর্থন ও সহানুভূতি পেত না। ভবিষ্যতে র্যাবের প্রতিটি অপারেশন নিয়ে নিরপেক্ষ ও নির্মোহ গবেষণা করা হলে বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে। একটা মিথ্যাকে যেমন বেশিদিন সত্য বলে চালানো যায় না, তেমনি একটি সত্যকেও বেশি দিন চেপে রাখা যায় না। যত কৌশল অবলম্বন করা হোক, যত প্যাঁচ লাগানো হোক, সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।
লি কুয়ান ইউয়ের তুলনা টানা হয়েছে। জানি না, মানুষটি সম্পর্কে কতটুকু জেনে এ কথা বলা হলো। এই লি কুয়ান নিজের লোকদের এক যুগব্যাপী মহা লুটপাটের বন্দোবস্ত করে পরে হঠাৎ শুদ্ধি অভিযানে নামেননি। লি কুয়ান কখনোই নিশিরাতের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেননি। তার দেশের মানুষ মেধা, দক্ষতা এবং দেশপ্রেমের প্রমাণ পেয়েই তাদের আস্থা অর্পণ করেছিল তার ওপর।
লি কুয়ান কখনোই মেধাহীন চামচা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বা প্রশাসন ভরে ফেলেননি। কখনোই নিজের নামে দায়েরকৃত দুর্নীতির মামলা ক্ষমতার জোরে বাতিল করেননি এবং একই কিসিমের আরো হালকা ধরনের মামলায় কোনো প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দেননি। নিজের মনমতো রায় না হওয়ায় লি কুয়ান ইউ কখনোই তার দেশের কোনো বিচারককে দেশ থেকে বের করে দেননি। লি কুয়ান কিংবা তার মন্ত্রীরা কর্মচারীদের ‘রয়ে-সয়ে’ ঘুষ খেতে পরামর্শ দেননি। তিনি কখনোই সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করে তার জনগণকে সন্ত্রস্ত করেননি। তাই লি কুয়ান সম্পর্কে তার জনগণের মনে কখনোই কোনো বিরূপ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। এই লি কুয়ান অন্য কোনো দেশের কাছে নিজের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বা জাতির স্বার্থ তুলে দেননি। কখনোই দেশবাসীর স্বার্থের ওপর অন্য দেশের স্বার্থকে স্থান দেননি। জনগণ ভালোবেসেই তার দলকে বারবার ক্ষমতায় বসিয়েছে। জনগণকে উন্নয়নের গল্প শোনাতে হয়নি। জনগণ তাদের প্রাত্যহিক জীবনেই সেসব উন্নয়নের নমুনা দেখেছে। লি কুয়ান শুধু কিছু কসমেটিক উন্নয়ন করে জনগণকে ভেল্কি দেখাননি। তার উন্নয়ন ছিল টেকসই।
অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে লি কুয়ান ইউ প্রথম থেকেই দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছিলেন। সমগ্র মালয়েশিয়ায় (সিঙ্গাপুর তখন মালয়েশিয়ার সাথে সংযুক্ত ছিল) তিনি টপ স্টুডেন্ট হয়ে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেও তিনি নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
আমাদের কথিত মেধাবীদের মতো তিনি আত্মকেন্দ্রিক ও অহমবোধে আক্রান্ত ছিলেন না। বিদেশী ডিগ্রি নিয়ে নিজ জাতির সেবায় ব্রত হয়েছেন। নিজের দেশের মানুষ তার ওপর আস্থা রাখতে পেরেছিল। সেই আস্থার প্রতিদান তারা পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাসিকে নিয়ন্ত্রণের যে অভিযোগ করা হয় সেটাকেও তিনি মেরিটোক্র্যাসি দিয়ে ভরে দিয়েছিলেন। তিনি জোর করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেননি। জনগণ নিজেদের ইচ্ছায়ই বারবার তাকে এবং তার দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। এজন্য তাকে কখনোই কারচুপি করতে হয়নি। কাজেই তার সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করেই এ ধরনের তুলনা টানা উত্তম।
লি কুয়ানের কথা স্মরণ হলে যেকোনো সচেতন ও শিক্ষিত বাংলাদেশীর তার কিছু বিশেষ মন্তব্যের কথা মনে পড়বে। এগুলো কায়দা করে ঢেকে রেখে এই কীর্তিমানের জয়গান গাওয়া বুমেরাং হতে পারে। কারণ, কেউ যদি লি কুয়ানের তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রথম (From Third World to First : The Singapore Story:1965-2000) নামক বিশ্বখ্যাত আত্মজীবনীটি অনুবাদ করেন, তবে কমপক্ষে একটি প্যারা বাদ দিয়ে তাকে সেই বইটির অনুবাদ করতে হবে। কারণ তিনি সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে কিছু ঘটনা বিবৃত করেছেন। বাংলাদেশের কোনো সরকার সেই বইয়ের তথ্য নিয়ে কোনো দিন প্রতিবাদ উত্থাপন করেছেন বলে শোনা যায়নি। কাজেই লি কুয়ান ইউ নিয়ে বেশি কথা বলতে গেলে সেই অপ্রিয় তথ্যটিও বেরিয়ে আসতে পারে।
কিছু দিন আগের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের একটা বড় অংশ ইংরেজি গ্রন্থ পড়েন না কিংবা পড়তে পারেন না। এই না জানাটি এদের জন্য শাপে বর হয়েছে। বাইরের বই পড়তে পারলে এরা হয়তো এ দেশের বুদ্ধিজীবী থাকতে পারবেন না।
একই আবেগ ও উচ্ছ্বাস পশ্চিম বাংলার নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকে নিয়েও প্রথমে দেখা গিয়েছিল। নিজেদের নোবেল লরিয়েটকে টক দইয়ের মামলায় ফাঁসিয়ে প্রতিবেশী দেশের গুনিজনকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে আনা তখন ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মর্ত্যরে কী কথা লিখে এই অমর্ত্য সেন নোবেল পেয়েছিলেন, সেটা আর তলিয়ে দেখা হয়নি। শ্রী সেনের গবেষণার বিষয় ছিল ‘দুর্ভিক্ষ’। ১৯৭৪ সালে আমাদের দেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষও তার সেই গবেষণায় স্থান পেয়েছিল। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন খাদ্যশস্যের অপ্রতুলতার জন্য নয়, ব্যাপক লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণেই সেই মর্মান্তিক দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়েছিল।
এসব কিছু জানলে হয়তো অমর্ত্য সেনের কপালে সে আমন্ত্রণ জুটত না। একই ডাইলেমা সম্ভবত লি কুয়ান ইউর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এত সব উচ্ছ্বাস দেখেই মালুম হচ্ছে, ‘শুদ্ধি’ অভিযানটি বিশুদ্ধভাবেই এর চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে! বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান শুধু রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য করেই বলেছিলেন, ‘দেশটি আজ বাজিকরদের হাতে পড়ে গেছে।’ এখন মনে হচ্ছে, এই বাজিকরদের বিস্তৃতি অনেক জায়গা জুড়ে। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অনেক বাজিকর আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। দেখাচ্ছে অনেক ভেল্কিবাজি। হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়েছে লাখ টাকা। এখন কয়েক টাকা ফেরত দিয়েই ‘সাধু সাধু’ বলে রব উঠিয়েছে। ভেল্কিবাজি করে জনগণকে দেখানো হচ্ছে রসগোল্লা-সন্দেশ। মুখে নেয়ার পর টের পাওয়া যাচ্ছে, আসলে আটা অথবা মাটির গুটি।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার পর আজব খেলা শুরু হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার, দুর্নীতি দমন এমনকি চিকিৎসাব্যবস্থাও বিশেষ কারো খামখেয়ালি বা বদান্যতা প্রদর্শনের হাতিয়ার হয়ে পড়েছে। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙে আমরা যেন মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি। আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তে অন্যরকম শাসনব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়ে পড়েছে। মহাদাপুটে দস্যুরাজ লিনচিং মবের দাবি অনুসারে, অঙ্গুলি হেলন করছে। চরম দণ্ডাদেশ দেখে লিনচিং মব আপাত ঠাণ্ডা হলে কিছু দিন পর বেকসুর খালাস পেয়ে যাচ্ছে।
সরকারের নৈতিক অবস্থানই যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে এ ধরনের শুদ্ধি অভিযানের সার্থকতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়াই স্বাভাবিক। পুলিশ এবং দলীয় বাহিনী দিয়ে অত্যন্ত খোলামেলাভাবে ২৯ ডিসেম্বরে নিশিরাতের নির্বাচন হয়েছে। এর আগের দু’টি নির্বাচনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এর মাধ্যমে জনগণের হাত থেকে ক্ষমতা সরিয়ে নিয়ে পুলিশ ও পোষ্যদের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পুলিশকে ‘গোপালিশকরণ’ও সম্পন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই এদের দুর্নীতি এবং লুটপাটের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যাদেরকে সাথে নিয়ে গত ১১ বছর অনেক অকাজ-কুকাজ করা হলো, এখন তাদের পানে চোখ উল্টানো কতটুকু সম্ভব?
তারপরও একজন আশাবাদী মানুষ হিসেবে এর শেষ দেখার অপেক্ষায় আছি!
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন