স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশে যে জিনিসটির চাষ বা চর্চা বেশি হয়েছে, সেটি হচ্ছে ঘৃণা। আমরা এখন চার পাশে যা প্রত্যক্ষ করছি তা হলো সেই ঘৃণার ‘বাম্পার ফলন’। এর চারাটি পরিচর্যা করে আজকের অবস্থানে যারা নিয়ে এসেছেন, তাদের মধ্যে প্রফেসর জাফর ইকবাল অন্যতম বলে অনেকের অভিযোগ। নিজে শিক্ষক হলেও তিনি মাদরাসার শিক্ষকদের ঘৃণা করেন। দেশের সব ধর্ষক যদি মাদরাসার শিক্ষক হতো তবে বোধহয় কারো কারো খুশির সীমা থাকত না। সাদা দিলের প্রফেসর জনৈক ছাত্রের সারা শরীরে বমি করে ভাসিয়ে দিতে মনস্থ করেছিলেন। সেই ছাত্রের গোস্তাখি ছিল, ক্ষোভে দুঃখে নিজের বুকে ‘আমি রাজাকার’ লিখে সেটি রাজপথে প্রদর্শন করা।
এই কর্মটি সেই ছাত্রটি বিনা কারণে করেনি। সর্বদা দাঁত মুখ খিঁচানো জনৈকা নেত্রী কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়েছিলেন অহেতুক। নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে এসে এই গালি খেয়ে মর্মাহত ছাত্রছাত্রীদের মনের কথাই সেই ছাত্র তুলে ধরেছিলেন। তথাকথিত ‘রাজাকার’ হওয়া আপাতত নফল হলেও এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অচিরেই তা করণীয় হয়ে পড়তে পারে। সেই আলামত স্পষ্ট হয়ে পড়ছে দুঃখজনকভাবে।
স্বাধীনতার পরপর একক জাতিসত্তার এই চমৎকার ও অন্য জাতি রাষ্ট্রটিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। তার জন্য ‘ঘৃণার চাষ’টিও প্রথম থেকেই শুরু করা হয়। তার বাম্পার ফলন এখন দেখা যাচ্ছে। প্রফেসর প্রবরের বমনের খায়েশ থেকেই স্পষ্ট হয়, এ দেশে ঘৃণার চর্চা বা চাষ কোন পর্যায়ে রয়েছে। স্বাধীনতার পরপর সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান তার পত্রিকায় শিরোনাম করেছিলেন, সাড়ে ছয় কোটি কোলাবরেটর। অর্থাৎ একাত্তরে ইন্ডিয়ায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত এক কোটি ছাড়া বাদবাকি সবাই কোলাবরেটর। এ কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওই ছেলেটি বলেছিল, আমি রাজাকার। একই কারণে এনায়েতুল্লাহ খান এমন ‘শিরোনাম’ করেছিলেন।
মূলত মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতার শরণার্থী শিবিরে কিংবা মতান্তরে বিশেষ রেস্তোরাঁয় অবস্থান নেয়া নেতানেত্রীরা স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরা কৃতিত্ব দাবি করে বসেন। এরা নতুন রাষ্ট্রের ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় সেজে বাদবাকি সবার প্রতি নমশূদ্রের মতো আচরণ করেছেন। এদের সাথে পরে যোগ দেন খাটেরতলা বা চৌকিরতলা থেকে যারা কথিত যুদ্ধ করেছেন কিংবা পাকবাহিনীকে মুরগি সরবরাহ করেছেন, তাদের একটি দল।
রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিন্নতার কারণে এক সহপাঠী অন্য সহপাঠীকে পিটাতে পিটাতে মেরে ফেলেছে। এর পেছনে ঘৃণার তীব্রতা কত বেশি, তা সহজেই অনুমেয়। এটিকে গত ৫০ বছর যাবত অত্যন্ত যতœসহকারে লালন ও পরিচর্যা করা হয়েছে। শুধু মদ খেয়ে এই হত্যা সংঘটিত করা হয়নি বরং ‘চেতনা’র সেই উত্তেজক শরবত খেয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। ‘একটা দুইটা অমুক ধরো, সকাল বিকাল নাশতা করো’ এ ধরনের উগ্র অসহিষ্ণু সেøাগান আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছি। তবে আজ সেই ‘সকাল বিকাল নাশতায়’ একটা দুইটা বিশ্বজিৎ বা আবরার ঢুকে পড়লেই আঁতকে উঠি। কাজেই ছাত্রলীগকে বর্তমান দানব বানাতে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমরা সবাই কম বেশি দায়ী। দু’দিন আগেও এক ছেলেকে কুপিয়ে শিবির /ছাত্রদল হিসেবে পুলিশের হাতে সঁপে দেয়া হয়েছে। মিডিয়ার শিরোনাম দেখলেই চোখ কপালে উঠে যায়। প্রশ্ন হলো, ছাত্রলীগকে এই কাজের দায়িত্ব কে দিয়েছে?
আর এই ঘৃণা সঙ্গত কারণেই একমুখী থাকেনি। খুব দ্রুতই তা দ্বিমুখী হয়ে পড়েছে। আপনি আমাকে ঘৃণা করবেন, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন, আর আমি আপনাকে শুধুই মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসে যাবো-ি সেটা হয় কি? এই ঘৃণার চাষটি শুধু রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ধর্ম, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং বিনোদন জগতেও অবাঞ্চিত এই চর্চা ছড়িয়ে পড়েছিল।
স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশে যে হাজার হাজার নাটক সিনেমা রচিত হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোতে একজন দাড়ি টুপিওয়ালা ভিলেন অতি অত্যাবশ্যক কী কারণে? অন্য দিকে এ দেশের নানা প্রান্তে একই সময়ে যে লাখ লাখ ওয়াজ মাহফিল হয়েছে তার প্রায় আশি ভাগ মাহফিল থেকে বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক জগতের দিকপালদের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘তেঁতুল হুজুর’ কথাটি সামনে এসেছে।
এ দেশের হর্তাকর্তারা এক দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করার জন্য তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। অন্য দিকে, দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে এক সহপাঠী অন্য সহপাঠীকে লাঠি দিয়ে পিটাতে পিটাতে নৃশংসভাবে মেরে ফেলেন! লগি-বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাপের মতো মেরে সেই লাশের ওপর নৃত্য করা হয়েছে! বিশ্বজিৎকে হত্যার জন্যও কিন্তু অস্ত্রের ঝনঝনানির দরকার পড়েনি। সাগর-রুনিকেও কুপিয়ে মারা হয়েছে। সত্যি এক আজব ও নির্দয় মশকরা দেশের মানুষের সাথে। নুন খাইয়ে না মেরে যেন চিনি খাইয়ে মারা হয়। তারপর সেটা নিয়ে অদ্ভুত সন্তুষ্টও প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বজিৎ ও আবরারকে হত্যা করা হয়েছে ‘শিবির’ সন্দেহ করে। মিডিয়ার কিছু লোকের কথা শুনে মনে হয়, বিশ্বজিৎ ও আবরার শিবির হলে খুনিদের এই পাপ লঘু হয়ে পড়ত। কাজেই কয়েকজন ঘাতকের বিচার করলেই হবে না। এই সমাজে যারা এই ফ্যাসিবাদী ঘৃণার চাষ শুরু করেছেন এবং এখনো তা অব্যাহত রেখেছেন বদমতলবে, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের সমাজের সার্বিক পরিশুদ্ধি সম্ভব হবে না।
এক মানুষের প্রতি অন্য মানুষের ঘৃণা, একটি পক্ষের প্রতি অন্য পক্ষের বিদ্বেষ, এক মতের প্রতি অন্য মতের অসহনশীলতা কত চরমে পৌঁছালে এমন বীভৎস কাণ্ড ঘটানো সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। একক জাতিসত্তার বিরল এই রাষ্ট্রটিতে এত ঘৃণা কারা সৃষ্টি করল? কেন করল? কিভাবে করা হলো? আজ জাতির অস্তিত্বের স্বার্থেই এই প্রশ্নগুলোর জবাব খোঁজা জরুরি। নতুন করে ঘৃণা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়- এই বিদ্বেষের বিষবাষ্প থেকে জাতিকে উদ্ধারের নিমিত্তেই আমার এই লেখা।
এই ঘৃণা সৃষ্টির পেছনে অবশ্য একটা দুঃখজনক ইতিহাস আর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। তদানীন্তন পাকিস্তানের স্বৈরশাসক এবং সামরিক জান্তার প্রতি এই ঘৃণা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘৃণা যতটুকু না নিজের প্রয়োজনে লালন করা হচ্ছে তার চেয়ে মনে হয় অন্যের স্বার্থেই বেশি অপব্যবহৃত হচ্ছে। সেটা নিয়েও বোধহয় তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। তবে সে ঘৃণাকে যখন চমৎকার জাতিরাষ্ট্রকে বিভক্ত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তখন তাকে আর স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়া যায় না।
এখন কোনো পাগলেও বিশ্বাস করবে না, দেশটি আবার কোনো দিন পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। কিন্তু মহলবিশেষ সেই জুজুর ভয় দেখাতে দেখাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অন্য কোনো দেশের হাতে তুলে দিয়েছে। সাহিত্য সংস্কৃতি ও অন্যান্য নান্দনিকতার মোড়কে তারা অনবরত ঘৃণা ছড়িয়ে গেছে।
আমরা জানি, পৃথিবীতে একমাত্র পারমাণবিক বোমার ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে আণবিক বোমার আঘাতে মুহূর্তের মধ্যেই জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি নামের দু’টি নগরীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। সাথে সাথে মারা পড়ে লাখ লাখ মানুষ। পঙ্গু হয়ে যায় আরো কয়েক গুণ। অথচ সেই যুদ্ধের কিছু দিনের মধ্যেই সবকিছু ভুলে জাপান তাদের পারমাণবিক ঘাতক যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু হয়ে পড়ে। পরবর্তী ইতিহাস সবার জানা। জাপানের দুর্ভাগ্য, তারা সময়ে আমাদের মতো কোনো কল্পলেখক গল্পকার, ইতিহাস নির্মাতা, নটনটী, জাঁদরেল বুদ্ধিজীবী পায়নি, এমন কোনো জোট পায়নি। ফলে জাপানের মানুষের দেশপ্রেম আদৌ আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না।
জাপানিদের মতো ‘বেঠিক’ কাজটি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে। ১৯৭১ এর মূল ঘাতক ভুট্টোকে ১৯৭৪ সালে আমন্ত্রণ করে এনে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে সেই ভুট্টোকে তিনি স্কুলের পুরনো বন্ধুদের মতো ‘জাতা মেরে’ ধরেছিলেন। জানি না নব্য চেতনার সম্রাট হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিরা সেই ছবিগুলো দেখেন কিনা।
এই সম্রাটরা ভুলে যান, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মতো এ ইস্যুও জনমত বিভক্ত ছিল স্বাভাবিকভাবে। এমনকি একই পরিবারের মধ্যে ভিন্ন মতের প্রতিফলন দেখা গেছে। স্বয়ং এই চেতনার ‘ফিল্টারের স্বত্বাধিকারী’র আপন নানাও মুসলিম লীগার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তবে আশার কথা হলো, আগে গোলক ধাঁধায় থাকলেও অনেকের কাছেই এখন বিষয়টি খোলাসা হচ্ছে। কিন্তু মনে হচ্ছে, বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ড. আসিফ নজরুলের মন্তব্য অনেকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তার সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত কেন সহায়তা করেছিল? করেছিল মূলত নিজের স্বার্থে। প্রথম স্বার্থ ছিল, শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তানকে বিভক্ত করা। দ্বিতীয় স্বার্থ ছিল বাংলাদেশকে চুষে খাওয়ার চিন্তা। কায়দামতো সরকার এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বলে সেটি অনেক দিন পর্যন্ত করতে পারেনি ভারত। ওয়ান-ইলেভেন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধাপে ধাপে সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশকে চুষে খেতে দিতে রাজি বা বাধ্য সরকার অবশেষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ দেশে।’
এখন অনেকের মনে হয়, ১৯৭১ সালে একাই পাকিস্তানের সাথে লড়ে দেশ স্বাধীন করতে পারলে ভালো হতো। সেটা কি সত্যিই সম্ভব ছিল? যদি আমাদের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধী তৈরি না হতো, যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারতাম, আমাদের ভূপ্রকৃতি আর জলবায়ুতে বেশি দিন টিকে থাকতে পারত না পাকিস্তানের সৈন্যরা, তা হলে এটা সম্ভব হতো।
মাথা মোটা শয়তান পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে আমরা এখন পড়েছি শেয়ালবুদ্ধির দোস্তর দুষ্টামিতে।
আমরা যখন ‘এক-এগারোর তোহফা’ হিসেবে ২০০৮ সালের সাজানো নির্বাচনের কথা বলেছি তখন সেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলে সত্যায়িত করেছিলেন আসিফ নজরুল। দেরিতে হলেও এখন চোখ খুলেছে। ইদানীং মাত্রাধিক সত্য বলায় তিনি তার ‘নিরপেক্ষ’ খেতাবের বারোটা বাজিয়েছেন। যতই কায়দা কানুন করে মনের কথাটি বলেন না কেন, বর্তমানে তিনি মহলবিশেষের দৃষ্টিতে মন্দ হওয়ার অনেক নর্মই পূরণ করে ফেলেছেন। তার অতীত কর্ম কিংবা অবস্থান এ ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
তিনি জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণ-আদালতের বিচারকদের মধ্যে একজন ছিলেন। বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকেও তিনি প্রশংসা করে গেছেন। তার কথাগুলো বলা শুরু করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব:) এম এ জলিল সেই আশির দশকেই। তিনি বলে গেছেন, ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা।’ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সেক্টর কমান্ডার প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘তাহলে কি আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ইন্ডিয়ার ভূমিকা ও সহযোগিতা নিয়ে এ দেশের ইসলামপন্থীদের আশঙ্কাগুলো অমূলক ছিল না?’
এমন শঙ্কা ও সন্দেহ থেকে নিজেদের রাজনৈতিক ভূমিকা নির্ধারণ করেছিলেন ১৯৭১ সালে ডানপন্থীরা এবং কিছু বামপন্থী দল। শুধু পুতুলের মরহুম দাদা শ্বশুরই নন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জেতা আওয়ামী লীগের অনেক এমপিএ, এমএনএ এই ভাবনা থেকে নিজ দলের চেয়ে আলাদা অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
দেশের মানুষ বলাবলি করছে, আওয়ামী লীগ তাদের জন্মশত্রু কিন্তু ১৯৯৪-৯৬ সালের মিত্র জামায়াতের এই মহা উপকার করে দিয়েছে। অর্থাৎ জামায়াত গত ৫০ বছর চেষ্টা করেও যা বোঝাতে পারেনি- আওয়ামী লীগ গত ১০ বছরেই তা জনগণকে টের পাইয়ে দিয়েছে।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন