বিপদের নাম মাদক, আপদের নাম মাদকবিরোধী অভিযান
02 June 2018, Saturday
একজন স্বৈরশাসকের নানা কীর্তি দেখে এক কবি আক্ষেপভরে উচ্চারণ করেছিলেন, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ। কবির বর্ণিত সেই উটটি ছিল অ্যানালগ। এখনকার উটটি হলো ডিজিটাল উট। এই উট সামনে যা পায় তাকেই পায়ের নিচে পিষ্ট করে, কিন্তু কোনো আওয়াজ বের হয় না।
এ যেন ছোটবেলায় পড়া সেই গল্প। একদল দুষ্ট বালক ডোবায় ঢিল ছুড়ছিল। ডোবায় অবস্থানরত ব্যাঙদের জীবন এতে হয়ে পড়ে দুর্বিষহ। ডোবার ভেতর থেকে তখন এক ব্যাঙ বলে ওঠে- বাছারা, ঢিল ছোড়া বন্ধ করো। তোমাদের জন্যে যা খেলা, আমাদের জন্যে সেটাই মরণজ্বালা।
জনগণ আজ অসহায় ব্যাঙের মতো। ওদের নিয়ে খেলছে সরকারি ও বেসরকারি নানান বাহিনী। গল্পের ব্যাঙ জবান খুলে নিজের জ্বালার কথা বলতে পেরেছিল। ব্যাঙরূপী এই জনগণ তাও পারে না। শুধু নিজেকে রক্ষার জন্য ডোবার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিরাপদ জায়গা খোঁজে।
এ রকম একটি খেলার কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন জনৈক প্রবাসী বন্ধু। তিনি লিখেছেন, ‘আজকে ভাতিজা ইশতি আল্লাহর রহমতে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে পুলিশের পাতানো ফাঁদ থেকে বেঁচে গেছে। ও আজকে ‘পাঠাও’ রাইড নিয়েছিল। হাতিরঝিল চেকপোস্টে পুলিশ বাইক থামিয়ে ব্যাগ চেক করে ছেড়ে দেয়। পরে ওর সন্দেহ হওয়ায় নিজেই ব্যাগ চেক করে ছোট প্যাকেটে চারটা ট্যাবলেটের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সাথে সাথে ফেলে দেয়। একটু পরই রামপুরা ব্রিজের নিচে পুলিশের আরেকটা চেকপোস্ট বাইক থামিয়ে ব্যাগে চিরুনি খোঁজা খুঁজে কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে ছেড়ে দেয়। আল্লাহ না করুক, এ রকম বিপদ হলে কাকে ফোন দেবো? কী করব?’
এ আতঙ্ক ভর করেছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনে। যে কেউ যেকোনো সময় এই আপদে জড়িয়ে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় মন থেকে শুধু একটি আকুতিই বের হয়ে আসে, ‘হে আল্লাহ! দেশটিকে বাঁচাও, দেশের মানুষকে বাঁচাও।’ এ দেশের মানুষ সত্যি সত্যিই ডোবায় আবদ্ধ ব্যাঙের মতো হয়ে পড়েছে কিংবা তার চেয়েও অসহায়। এই ব্যাঙদের কেউ পুলিশের ঢিলে মারা গেলেও তজ্জন্য অভিযুক্ত পুলিশের কোনো বিচার হয় না। শুধু একটা ক্রসফায়ারের গল্প ফাঁদলেই চলে।
পুলিশের খেলামতো ইশতি নামের এই ব্যাঙের ছানাটি ধরা খেলে আশপাশের ব্যাঙ সমাজ কিছুই করতে পারত না। সহজ-সরল ব্যাঙছানাটি পুলিশের ঢিলে কিংবা ভয়ে হার্টফেল করে মারা গেলে পরের দিন যথারীতি একই ক্রসফায়ারের গল্প বলা হতো। যে দেশে বছরে কয়েক শ’ সিনেমা ও নাটক তৈরি হয়, সেখানে পুলিশ কেন সেই একই ক্রসফায়ারের গল্প শোনায়- তা বোধগম্য হয় না। বর্তমানে বেকার হয়ে পড়া সিনেমার কাহিনী রচয়িতাদের চাকরি দিলে হয়তো একই গল্প পুলিশকে বারবার লিখতে হতো না।
এমন ‘মনের সুখে গুলি করা’র মতো (ঞৎরমমবৎ ঐধঢ়ঢ়ু) পুলিশ অন্ধকার মহাদেশ হিসেবে পরিচিত আফ্রিকার কোনো দেশেও পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। এ ব্যাপারে অন্ধকার মহাদেশটিতেও যতটুকু আলো ছড়িয়েছে, আমাদের এখানে ততটুকু অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে। এ দেশে নির্বিঘেœ গাছ কাটার জন্য মন অসম্ভব খারাপ করেন অনেক আলোকিত মানুষ। কিন্তু পুলিশের ট্রিগার হ্যাপি মানুষ হত্যার সময় তারাই মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।
দেশের বিবেক বলে দাবিদার এসব কথিত আলোকিত মানুষের অনেকেই এখন লম্বা শীতনিদ্রায় চলে গেছেন। এদের মধ্যে যারা এখনো গলা খাঁকারি দেন, তারাও এসব বিষয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেন। জনস্বার্থে কথা বলাকেও এই গুণীরা নিরপেক্ষতার জন্য ক্ষতিকর বলে গণ্য করেন। এখন অবশ্য নিজেদের নিরপেক্ষতা খোয়া যাওয়ার ভয়ের সাথে প্রাণটিও খোয়া যাওয়ার ভয় যুক্ত হয়েছে।
ফলে এরা সবাই আজব প্রাণী হাটটিমা টিম টিম হয়ে পড়েছেন। দেশটিকে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছে দিয়ে দু’টি খাড়া শিং নিয়ে এরা মাঠে বসে সত্যি সত্যিই ডিম পাড়ছেন। দেশের বিবেক, সুশীল, আলোকিত মানুষ এসব নাম না দিয়ে ওদের নাম হওয়া উচিত, ‘এরা হাটটিমা টিম টিম, এদের খাড়া দু’টি শিং এরা মাঠে পাড়ে ডিম।’
মূলধারার মিডিয়ার এই হাটটিমা টিমরা নীরব থাকলেও বিশ্বের অনেক নামীদামি মিডিয়ায় এসব বিভীষিকাময় খবর উঠে আসছে। The Guardian ২৫ মে সংখ্যায় শিরোনাম করেছে, Bangladesh's Philippines-style drugs war creating 'atmosphere of terror'। এ শিরোনামের নিচেই বড় করে লিখেছে- Human rights activists say campaign, in which 50 people shot dead in a week, is politically motivated. বর্তমান মাদকবিরোধী অভিযানকে পলিটিক্যালি মটিভেটেড ভাবতে বিশ্ব মিডিয়ার সময় লাগেনি। কারণ, এই সরকারের পূর্বাপর ইতিহাস সবার জানা রয়েছে।
অজ্ঞাত, অখ্যাত সংস্থার প্রশ্নবোধক গবেষণার খবর এ দেশের হাটটিমা টিম গণমাধ্যম তুলে ধরে। বিশ্ববিখ্যাত গার্ডিয়ানের এ রিপোর্টটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও দেশের মূলধারার মিডিয়ায় তেমনভাবে আলোচনায় আসেনি। এ দেশের মিডিয়ার বড় অংশ হয়ে পড়েছে হাটটিমা টিম টিম, এরা মাঠে পাড়ে ডিম, এদের খাড়া দু’টি শিং।
২.
ফলে রাজনীতির সাথে সাথে পুলিশের দুর্বৃত্তায়ন নতুন মাত্রায় পৌঁছে গেছে। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে সাইজ করতে বিশেষ দলের ক্যাডার দিয়ে পুলিশ ভরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে আগেই পত্রপত্রিকা জানিয়েছে। বিরোধী দলগুলো মোটামুটি সাইজ হওয়ার পর এরা এখন সাধারণ মানুষকে টাইট করার কাজে নেমে পড়েছে।
শুধু সরকারের রাজনৈতিক মনোবাঞ্ছা পূরণেই এই ক্রসফায়ারের প্রয়োগ হচ্ছে না, অভিযোগ- এলিট বাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের কেউ কেউ ভাড়া খাটাও শুরু করেছে। আমরা দেখেছি, কিভাবে সরকারদলীয় নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে ক্রসফায়ারে দিতে র্যাবকে ভাড়া করেছিল। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সেই সাতটি লাশ ভেসে উঠলে এ কুকীর্তি জনগণের গোচরে আসে।
এসব কথা উচ্চারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই রিস্কি হলেও রুট কজ অ্যানালাইসিসের স্বার্থে তা বলতেই হবে। তা না হলে পুরো জাতির অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। গণমাধ্যম ও সুশীলসমাজের সবাই হাটটিমা টিম হয়ে পড়েনি। এখান থেকে জাতির রেসকিউয়ার হিসেবে একটি দল বেরিয়ে আসবেই।
এ কথাটি সত্যি যে, ক্রসফায়ার বর্তমান সরকার শুরু করেনি। প্রভাবশালী ও মতলববাজ একটি দেশের পরামর্শে চারদলীয় জোট সরকারের আমলেই এ ধারাটি শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে এটা ছিল পেইনকিলারের মতো। কিন্তু পেইনকিলার কোনো রোগের স্থায়ী চিকিৎসা নয়, অচিরেই তা স্পষ্ট হয়েছে।
আজ যারা এর মহাসমঝদার সেজেছেন, তখন এরাই ছিলেন ক্রসফায়ারের চরম বিরোধী। নিজেরা ক্ষমতায় এলে ক্রসফায়ার বন্ধ করে দেবেন বলে ওয়াদাও করেছিলেন। সেই ওয়াদা তো রক্ষা করছেনই না, বরং সেটাকে আরো ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। চিহ্নিত অপরাধীদের দিয়ে এটা শুরু হলেও আজ তা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপরেও প্রয়োগ হচ্ছে। গত ক’বছরে সেই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হলেও সরকার তা কানে তুলছে না।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধী দলের অভিযোগের জবাবে গোসসাভরে ওবায়দুল কাদের বলেন, (বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে) পুলিশ কি ওখানে জুঁইফুলের গান গাইবে?
এ কথা শুনে ১৭ কোটি হতভাগ্য আদম সন্তান পরম করুণাময়ের কাছে একটি প্রার্থনাই করছে- হে পরওয়ারদেগার! এ জুঁইফুলের গায়ককে আর একটিবার মাত্র বিস্কিট খেতে খেতে সেই গল্প বলার বন্দোবস্ত করো। আমরা তোমার কাছে কিছুই চাই না। শুধু আর একটিবার মাত্র সেই গল্প শুনতে চাই। হে পরওয়ারদেগার! তোমার এই অপার শক্তির সামনে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ১৭ কোটি বনি আদমের এই প্রার্থনা কবুল করো। আমিন। আমিন। ছুম্মা আমিন।
৩.
যেসব কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে মাদকের প্রসার বন্ধ করা সম্ভব, তার কোনো একটি উদ্যোগও সরকার গ্রহণ করেনি, বরং যুবসমাজকে মাদকে ডুবিয়ে রাখতে একধরনের মদদ ও প্রশ্রয় স্পষ্ট হয়েছে।
এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণ এই মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করত। জঙ্গিবাদ দমনের নামে এটিকে অকার্যকর বা জব্দ করে ফেলা হয়েছে। আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরো গাছটিই উপড়ে ফেলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে সরকার ও তল্পিবাহী বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করেছে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কবলে পড়ে এবং ধর্মীয় রক্ষাকবচটি অকার্যকর হওয়ায় পরকীয়ার মতো অপকর্ম স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। ফলে দেদার ঘর ভাঙছে। মানুষের শান্তি নির্বাসিত হয়েছে। এসব ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তানেরা মাদকের কোলে আশ্রয় নিচ্ছে। এ বিষয়গুলোকে অবহেলা করে কিংবা ঢেকে রেখে মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সফল হওয়া যাবে না। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাসের প্রতি অ্যালার্জিক এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবীর এই মাদকের চাহিদা বাড়িয়ে তুলছেন বলা অযৌক্তিক নয়। আজ মাদকাসক্ত তারকাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আইডল হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
এই মাদকের কবলে পড়ে কত সংসার যে ধ্বংস হচ্ছে, তার ইয়ত্তা নেই। মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে বেশ কয়েকজন মা-বাবাও জীবন খুইয়েছেন। তন্মধ্যে পুলিশ অফিসারের মেয়ে ঐশীর নামটি সর্বাগ্রে চলে আসে। সন্তানসন্ততিকে অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম ও স্মার্ট বানাতে গিয়ে মা-বাবারাই সন্তানকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন।
পরিহাসের বিষয় হলো, যারা সারা দেশকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কিংবা নিজেরা এজাতীয় গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন; তাদের সন্তানেরাই মাদকাসক্ত। এ দেশের একজন বাঘা সম্পাদক, যিনি মাদকের বিরুদ্ধে প্রথম ধাপের ‘জিহাদি’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, তার নিজের শাহজাদাটিই নাকি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। কাজেই মাদকের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম বিরাট বড় অশ্বডিম্ব প্রসব করছে। এটি যেন এইডসের বিজ্ঞাপন ‘লাগবা বাজি’র মতো।
৪.
দেশের মধ্যে ইয়াবাসহ নানান মাদকের আমদানি, উৎপাদন ও বণ্টন নেটওয়ার্ক সৃষ্টিতে কাদের হাত রয়েছে; সে সম্পর্কে দেশবাসীর মোটামুটি ধারণা আছে। ইয়াবা সম্রাটের নামটিও ইয়াবার প্রসারের সাথে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো মন্ত্রীর ছেলে ইয়াবা ফ্যাক্টরির মালিক কি না, তাও অজানা নেই। এদের টিকিটিও স্পর্শ করা হচ্ছে না। যেসব পুলিশ অফিসার মাদকের সাথে জড়িত বলে শোনা যায়- তাদেরকেও পাকড়াও করা হচ্ছে না। সরকার যদি মাদকের প্রসার বন্ধে সত্যিই আন্তরিক হয়, তাহলে প্রথমে এদেরকে আটক করলেই চলে। মূল জায়গায় হাত না দিয়ে মাঠপর্যায়ের ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবহারকারীদের ক্রসফায়ারে হত্যা করার ফলে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানটি নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অনেকেই বলছেন, সর্ষের মধ্যেই ভূত রেখে ভূত তাড়ানোর সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই ভূত কোনো দিন সরবে না। মাঝখান থেকে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হবে এবং ঘুষবাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
সরকার এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চায়। ভয়াবহ মাদকের ছোবলে যখন সারা দেশ কাতরাচ্ছে, বোধহয় সরকার তখন এই মাদক ডিলারদের ধরতে অন্য মওকা মারার তালে রয়েছে। অভিযানটি এমন একটি সময়ে শুরু করা হয়েছে, যখন বিরোধী দল সর্বাত্মক আন্দোলনের কথা ভাবছে। মাদক অভিযানের আড়ালে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে সাইজ করার অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছে।
এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যটি শুধু জনগণ নয়, পুলিশও ভালোভাবেই জেনে গেছে। কাজেই ঊর্ধ্বতনের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার সাথে সাথে নিজেদের জন্যও দুই পয়সা কামানোর ধান্ধা থাকবে- এটাই স্বাভাবিক।
শুধু নিজে বাঁচার চিন্তা করলে এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। পুরো দেশ ও জাতিকে বাঁচানোর চিন্তাভাবনা করতে হবে। হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। অপরাধীকে ধরে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। ক্রসফায়ার কোনো সমাধান হতে পারে না। যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, কাউকে বিচারবহির্ভূত পন্থায় হত্যা করা ঠিক হবে না।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন