একটি ছোট্ট সংবাদ। ছাপা হয়েছিল একটি জাতীয় দৈনিকের তৃতীয় পাতায়। সংবাদটি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে। সংবাদের শিরোনামÑ ‘চুক্তি কার্যকর নিয়ে দূতদের সংশয়’ (একটি জাতীয় দৈনিক, ২৮ নভেম্বর)। অতিসম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের একটি সম্মেলন। বিদেশে বাংলাদেশকে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তারা এই প্রথমবারের মতো ঢাকায় একটি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশি দূতরা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ফলে তারা নানা অজুহাতে চুক্তি কার্যকর করা নিয়ে টালবাহানা করতে পারে।’ বাংলাদেশি সিনিয়র কূটনীতিকরা যখন এ ধরনের মনোভাব প্রদর্শন করেন, তখন বিষয়টাকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমারের নেপিদোতে আসেম সম্মেলনে যোগ দেন। এর পর ২৩ নভেম্বর তিনি সেখানে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য অ্যারেঞ্জমেন্ট অন রিটার্ন অব ডিসপ্লেসড পারসন ফ্রম রাখাইন স্টেট’ নামে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর পর ঢাকায় এসে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন গত ২৫ নভেম্বর। এর পর পরই ঢাকায় সিনিয়র কূটনীতিকদের এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত হয়তো এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত নেবে না। এখানে লক্ষ করার বিষয়, সমঝোতা স্মারকে কিন্তু রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে ‘ডিসপ্লেসড’ পারসন, অর্থাৎ বাস্তুচ্যুত নাগরিক। যারা সমঝোতা স্মারকটি দেখেছেন, তারা লক্ষ করেছেন সেখানে ১৯ দফা আছে। এই দফাগুলো নিয়েও কথা আছে। অতীতে দু-দুটো চুক্তি হয়েছিল মিয়ানমারের সঙ্গে। একটি ১৯৭৮ সালে, অপরটি ১৯৯২ সালে। এবারে সমঝোতা স্মারকে ১৯৯২ সালের চুক্তি অনুসরণ করা হবে বলে বলা হয়েছে। যতদূর জানা যায়, অতীতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গা ওইসব চুক্তিবলে ফেরত গেছে। কিন্তু তার পরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বৈধ ও অবৈধভাবে কক্সবাজারে রয়ে গেছে। এদের একটা অংশ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গেছে। একটা অংশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করেছে। অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। ইউএনএইচসিআর ওদের দেখভাল করছে। তাদের হিসাবে বৈধ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কয়েক হাজার। অবৈধ অর্থাৎ রেজিস্টারবিহীন রোহিঙ্গা নাগরিকদের সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি। তারা অবৈধভাবে ক্যাম্প করে বসাবস করছে। এখন যোগ হলো আরও প্রায় ৭ লাখ। এদের মধ্য থেকে কতজনকে মিয়ানমার ফেরত নেবে, সে প্রশ্ন থাকলই। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের অফিস থেকে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে! সমঝোতা চুক্তিতে ওই ১৯৯২ সালের চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটা একটা বড় ধরনের ফাঁদ। আমরা সম্ভবত সেই ফাঁদে পা দিতে যাচ্ছি। ১৯৯২ সালের চুক্তি ‘াবৎরভরপধঃরড়হ’ শব্দটা আছে। অর্থাৎ মিয়ানমারে যেসব রোহিঙ্গার নাম দেওয়া হবে, তাদের নাম-ঠিকানা ইত্যাদি তারা যাচাই করবে। অতীতে এ ধরনের নামের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার এর কোনো জবাব দেয়নি। এবারও সেই ফাঁদে আটকে যাবে বাংলাদেশ! তথাকথিত াবৎরভরপধঃরড়হ-এর নামে তারা সময়ক্ষেপণ করবে। লোক দেখানো কিছু রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত নিতে পারে। কিন্তু একটা বড় অংশকেই তথাকথিত াবৎরভরপধঃরড়হ-এর নামে আর ফেরত নেবে না। এটাই মিয়ানমারের স্ট্র্যাটেজি। যেহেতু মিয়ানমারের ওপর একটি আন্তর্জাতিক ‘চাপ’ আছে, সেহেতু তারা রোহিঙ্গাদের নিতে রাজি হয়েছে। এটাও বিশ্ববাসীকে দেখানো যে, তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিচ্ছে। কিন্তু নেবে না। তারা সময়ক্ষেপণ করবে। বর্তমানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার নারী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এরা সবাই অন্তঃসত্ত্বা। এদের সন্তান এখন জন্ম নেবে বাংলাদেশে। জন্মসূত্রে ওইসব সন্তান হবে বাংলাদেশি নাগরিক। মিয়ানমার ওইসব সন্তানকে ফেরত নেবে না। সন্তান না গেলে মায়েরাও যেতে চাইবে না। ফলে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর এ দেশে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরণার্থীসংক্রান্ত যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে তাতে কোনো শরণার্থীকে ‘জোর করে’ ফেরত পাঠানো যাবে না। আর ইউএনএইচসিআর দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, এদের জোর করে ফেরত না পাঠানোর জন্য। ফলে আগামীতে এ ক্ষেত্রে একটা জটিলতা তৈরি হতে পারে। বলা হচ্ছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা। এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা প্রাথমিক স্টেজ। অর্থাৎ দু’পক্ষ বসবে। নীতিমালা ঠিক করবে। কীভাবে, কোন প্রসেসে ‘কাজ’টি শুরু হবে, তা নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সে রকম একটি আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি-ঘর করতে সময় লাগবে! তার কথা থেকেই বোঝা যায়, পুরোপুরি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় লাগবে। ভয়টা হচ্ছে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা দীর্ঘ হতে পারে। বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। এতে করে লাভ হবে মিয়ানমারের। আমাদের কোনো লাভ নেই। মিয়ানমারের একগুঁয়েমির কারণে আমরা তাদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছি। কিন্তু তার পরও তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে বলে মনে হয় না। তাদের একগুঁয়েমি মনোভাব আজকের নয়। পাঠক নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারেন, অতীতে মিয়ানমার জাতিসংঘ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক আইন, প্রচলিত বিধিবিধান তারা মানে না। সেনাবাহিনীর কথায় এখন চলে রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে অং সান সু চি বহির্বিশ্বে তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে তারা একের পর এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এটা আমরা বিবেচনায় নিতে পারি না। কিন্তু মুখ্য করতে পারি। কূটনৈতিক চ্যানেলে এখন আমাদের তৎপরতা বাড়াতে হবে। দক্ষ কূটনীতিকদের প্রয়োজনে নিয়োগ দিতে হবে। কয়েকটি দেশে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। এসব দেশের সিভিল সোসাইটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। আইনপ্রণেতাদের সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়াতে হবে। চীন ও রাশিয়ার বাংলাদেশে বড় বাণিজ্যিক স্বার্থ রয়েছে। এই বাণিজ্যিক স্বার্থের বিষয়টি আমরা আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনে যাননি। এমনকি রাশিয়ায়ও যাননি। এ ধরনের একটি সংকট হলে, সাধারণত সরকারের বিশেষ দূত, নিদেনপক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ সফর করেন। নিজ দেশের অবস্থা বিদেশে তুলে ধরেন। জনমত সৃষ্টি করেন। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিতে ভোটাভুটিতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এখানেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা নেই। ওআইসি প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল। ১৩৫টি রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ১০টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ রয়েছে। এখানেও আমাদের ব্যর্থতা, আমরা সার্কভুক্ত দেশগুলোতেও রোহিঙ্গা প্রশ্নে সমর্থন আদায় করতে পারিনি। একমাত্র পাকিস্তান ও মালদ্বীপকে আমরা আমাদের পাশে পেয়েছি।
অতিসম্প্রতি টিলারসনের একটি বক্তব্যে আশাবাদী হওয়ার মতো কারণ রয়েছে। টিলারসন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, মিয়ানমারে ‘জাতিগত নিধন’র মতো ঘটনা ঘটেছে। কিছুটা হলেও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্র এখন স্বীকার করে নিচ্ছে যে, মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আমরা এ বক্তব্য আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। আমরা বারবার বলে আসছি, যারা রোহিঙ্গা হত্যা আর অত্যাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হোক। যারা বিভিন্ন দেশে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হচ্ছে। তাই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের দাবি করলে মিয়ানমার একটা ‘চাপ’-এর মুখে থাকবে। তাই একদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততর করা, অন্যদিকে গণহত্যার বিচার দাবি করতে পারে বাংলাদেশ। মনে রাখতে হবে মিয়ানমারের স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে সময়ক্ষেপণ করা। তাই আমরা তাদের পাতা ফাঁদে যেন পা না দিই, এটা সব সময় বিবেচনায় নিতে হবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঙ্গে একটা মূল প্রশ্ন জড়িত। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের প্রশ্নটি জড়িত। মিয়ানমার এদের আদৌ তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেবে কিনা? সমঝোতা স্মারকে ‘বাস্তুচ্যুত রাখাইনের নাগরিক’ কথাটা লেখা আছে। রোহিঙ্গা নেই। তাদের প্রত্যাবাসন তাই প্রশ্নবিদ্ধ! বলা ভালো মিয়ানমার এসব রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক হিসেবেও স্বীকার করে না। এমনকি তারা রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করতেও নারাজ। পোপকেও তারা এ শব্দটি ব্যবহার করতে দেয়নি। তারা এদের মুসলমান নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে। মিয়ানমারে যে ১২৫টির মতো নৃগোষ্ঠী রয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গা তথা মুসলমান জনগোষ্ঠীর নাম নেই। ফলে প্রশ্ন জাগে, রোহিঙ্গারা কি তাদের নিজ নিজ বাসভূমে থাকতে পারবে? সমঝোতা স্মারকে এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই কোথাও। শুধু প্রত্যাবাসনের কথা বলা হয়েছে! নিজ বাসভূমি কথাটা নেই। এ ক্ষেত্রে আমরা মিয়ানমারের তৈরি করা ফাঁদে পা দিতে পারি! মিয়ানমারের সুস্পষ্ট একটা পরিকল্পনা আছে, রোহিঙ্গাদের অন্যত্র অনেকটা শত শত ক্যাম্প তৈরি করে সেখানে তাদের পুনর্বাসন করা! এতে করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থ রক্ষিত হবে। তারা একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রোহিঙ্গাদের রাখবে। এতে করে মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনামলে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ৭টি হোমল্যান্ড তৈরি করে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে সেখানে যেতে বাধ্য করেছিল। মিয়ানমারের স্ট্র্যাটেজি অনেকটা সে রকম। এতে করে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সেখানে আরও খারাপ হবে। সমঝোতা স্মারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন শুরু থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বা হবে, তা বলা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআরকে যদি জড়িত না করি, তা হলে নানা জটিলতা তৈরি হবে। অবশ্যই আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে জড়িত করতে হবে, যা মিয়ানমার চায় না। এটা জরুরি এ কারণে যে, এতে করে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং রোহিঙ্গারা এক ধরনের স্বস্তিতে থাকবে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে যে, মিয়ানমার সরকার তিনটি এলাকায় (মংডু, বুথিয়াডং ও রাথেডং) একাধিক টাউনশিপ নির্মাণ করছে, যেখানে কিছু রোহিঙ্গাকে স্থান করে দেওয়া হবে। এ জন্য স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি একটি কমিটিও গঠন করেছেন, যার নাম টহরড়হ ঊহঃবৎঢ়ৎরংব ঋড়ৎ ঐঁসধহরঃধরড়হ অংংরংঃধহপব, জবংবঃষষবসবহঃ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ জধশযরহব (টঊঐজউ)। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এসব টাউনশিপ নির্মাণে রাখাইন রাজ্য সরকারকে সম্পৃক্ত তথা তাদের জড়িত করা হয়নি। এ নিয়ে সেখানে এক ধরনের অসন্তোষ আছে। ফলে সমঝোতা স্মারকটি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ইতোমধ্যে। জাতিসংঘ বলছে, রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইন এখনো নিরাপদ নয়। আর অ্যামনেস্টি বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যাবাসন অচিন্তনীয় ও বিপজ্জনক। আর এমনি এক পরিস্থিতিতে আমাদের কূটনীতিকরা বললেন, তারা শতকরা একশ ভাগ মিয়ানমারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না! ফলে একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু এই সমঝোতা স্মারক সব প্রশ্নের জবাব দেয় না।
য় ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন