মিয়ানমারকে কতটুকু বিশ্বাস করা যায়
04 November 2017, Saturday
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করে এসেছেন। কিন্তু এ সফরে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি।
সফরটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপ হল : পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের যে সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে বলা হয়েছে, তা মিয়ানমার কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না। আর এ সংখ্যা নিয়ে বিতর্কেই আটকে যায় সমঝোতায় আসার চেষ্টা। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে কৌশলগত কারণে মিয়ানমার নানাভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রায় অসম্ভব (যুগান্তর, ৩১ অক্টোবর ২০১৭)।
মিয়ানারের সংবাদপত্রগুলোও আমাদের এমন বার্তাই দিচ্ছে। ২৫ অক্টোবর The Irrawaddy-র শিরোনাম ছিল অনেকটা এ রকম : Myanmar-Bangladesh Meeting Fails to Reach Repatriation Agreement. সংবাদে বলা হয়েছে, মিয়ানমার ধীরে ধীরে এগোতে চায়। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব উ কা জেয়া সংবাদ সম্মেলনে এ কথাই জানিয়েছেন। তারা শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। ওই সফরে কোনো যৌথ ইশতেহারও প্রকাশিত হয়নি।
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক ‘চাপ’ আছে। তাই তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝানোর জন্য এ ধরনের একটি মৌখিক সমঝোতায় যেতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনো চুক্তি করবে না।
কেননা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হলে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। কিন্তু তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেবে- এ ধরনের সংবাদ আমার অন্তত জানা নেই। উপরন্তু রোহিঙ্গাদের তারা তাদের নিজস্ব বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবে না। ওইসব ঘর-বাড়ি দখল হয়ে গেছে। নাগরিকত্বের কোনো কাগজপত্রও তাদের কাছে নেই। ফলে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন আদৌ সম্ভব হবে কিনা কিংবা সম্ভব হলেও কতজনকে ফেরত নেবে মিয়ানমার এ প্রশ্ন থাকলই।
অতীতে যারা এসেছিল, তাদের ক্ষেত্রেও লোক দেখানো কিছু পুনর্বাসন হয়েছে। তাদের বড় অংশই রয়ে গেছে কক্সবাজারে- কিছু নিবন্ধিত, কিছু অনিবন্ধিত অবস্থায়। বাংলাদেশ নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের থাকার একটি ব্যবস্থা করে দিয়েছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী নতুন করে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে কতজন ফেরত যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
টিআর গঠন করা মূলত সময়ক্ষেপণ করার নামান্তর। ফলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে এদেশে থেকে যেতে পারে, অনেকটা ফিলিস্তিনিদের মতো!
ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু হওয়ার কাহিনী অনেক পুরনো। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বাধ্যতামূলকভাবে কৃত্রিম ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল সৃষ্টি করে যে সংকটের জন্ম দিয়েছিল, আজ এত বছর পরও সেই সংকটের কোনো সমাধান হয়নি।
ইসরাইলের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৪ মে, আর আরব লীগ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ‘কাগজ-কলমে’ প্রতিষ্ঠা করে ১৯৪৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। কাগজ-কলমে বললাম এ কারণে যে, গাজা ও পশ্চিম তীরের নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ‘অস্তিত্ব’, তা শুধু কাগজ-কলমেই আছে।
বিশ্ব আসরে এ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বীকৃতি নেই। তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বহির্বিশ্বে একজন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মান পান! কিন্তু যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিজ মাতৃভূমি থেকে উৎখাত হয়ে যুগের পর যুগ লেবাননসহ অন্যান্য দেশে উদ্বাস্তুর জীবনযাপন করছেন।
আজ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদেরও কি সে রকম উদ্বাস্তুর জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হবে? নিজ বাসভূম থেকে তারা উৎখাত হয়েছে। তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ২৫ আগস্ট যে সংকটের শুরু, তার রেশ ধরে ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ৬ লাখ ২০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজার এলাকায় বসবাস করছে অবৈধভাবে।
এ নিয়ে বিগত দিনগুলোতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি দেশটি। মিয়ানমার সরকারের মূল ব্যক্তি অং সান সু চির নির্বাচনে বিজয় এবং সেখানে তার দল এনএলডি সরকার গঠনের পর অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন, এ সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হবে।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সু চি প্রমাণ করলেন তিনি মূলত সেনাবাহিনীর স্বার্থেই কাজ করছেন। অর্থাৎ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর কট্টরপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধ ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, সু চি মূলত সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অং সান সু চির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দেখা হলেও তাতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সু চি কোনো ইতিবাচক মনোভাব দেখাননি। তিনি নিজেও বারবার বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাঙালি মুসলমান ও বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশ থেকেই তারা মিয়ানমারে এসেছেন এবং বসবাস করছেন!
অথচ ইতিহাস বলে ভিন্নকথা। রোহিঙ্গারা সেখানে বসবাস করে আসছে শত বছর ধরে। এক সময় রোহিঙ্গাদের বর্তমান আবাসভূমি আরাকান ছিল স্বাধীন রাজ্য। ১৭৮৪ সালে বার্মার রাজা বোডপায়া এটি দখল করে বার্মার অধীন একটি করদ রাজ্যে পরিণত করেন। আরাকান রাজ্যের রাজা বৌদ্ধ হলেও তিনি মুসলমান উপাধি গ্রহণ করতেন। তার মুদ্রাতে ফার্সি ভাষায় লেখা থাকত কালেমা। আরাকান রাজদরবারে কাজ করতেন অনেক বাঙালি মুসলমান।
বাংলার সঙ্গে আরাকানের ছিল গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ধারণা করা হয়, রোহিঙ্গা নামটি এসেছে আরাকানের রাজধানীর নাম স্রোহং থেকে। কালের পরিক্রমায় স্রোহং থেকে রোয়াং, সেখান থেকে রোয়াইঙ্গিয়া, অতঃপর রোহিঙ্গা। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে ডাকা হতো রোসাং নামে।
১৪০৬ সালে আরাকানের রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নরমিখলা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বাংলার তৎকালীন রাজধানী গৌড়ে পলায়ন করেন। গৌড়ের তৎকালীন শাসক জালালুদ্দিন শাহ নরমিখলার সাহায্যে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠিয়ে বর্মী রাজাকে উৎখাতে সহায়তা করেন। নরমিখলা মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ নাম নিয়ে আরাকানের সিংহাসনে বসেন।
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল রোসাং রাজদরবার। মহাকবি আলাওল রোসাং রাজদরবারে রাজকবি ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন পদ্মাবতী। এছাড়া সতী ময়না, লোর চন্দ্রানী, সয়ফুল মূলক, জঙ্গনামা ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ রচিত হয়েছিল রোসাং রাজদরবারের আনুকূল্যে। ইতিহাস বলে, ভাই আওরঙ্গজেবের সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরাজিত হয়ে মোগল যুবরাজ শাহ সুজা ১৬৬০ সালে সড়কপথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে আরাকানে পলায়ন করেন।
তৎকালীন রোসাং রাজা চন্দ্র সুধর্মা বিশ্বাসঘাতকতা করে শাহ সুজা এবং তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এরপর আরাকানে যে দীর্ঘমেয়াদি অরাজকতা সৃষ্টি হয়, তার অবসান ঘটে বার্মার হাতে আরাকানের স্বাধীনতা হরণের মধ্য দিয়ে। সুতরাং ঐতিহাসিকভাবেই আরাকানের সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের একটা সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আরাকানের মুসলমানরা, যারা রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত, তারা বাংলাদেশি।
মিয়ানমারের ইতিহাস থেকে জানা যায়, দেশটির পার্লামেন্টে অতীতে মুসলমান রোহিঙ্গারা আরাকান থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাদের নামধামও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তারা যদি ওই সময়ে মিয়ানমারের নাগরিক না হয়ে থাকেন, তাহলে তারা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কীভাবে? আসলে মিয়ানমার সরকার একটা ‘কৌশল’ অবলম্বন করছে, যার মাধ্যমে তারা আরাকানকে মুসলমানশূন্য করতে চায়।
এ কারণেই ১৯৮২ সালে তারা সেখানে একটি তথাকথিত নাগরিকত্ব আইন চালু করেছিল, যার মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছিল। এই প্রক্রিয়া, অর্থাৎ মিয়ানমারকে মুসলমানশূন্য করা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সংকটের সৃষ্টি।
সুতরাং মিয়ানমার স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে- আমরা যদি এটা চিন্তা করে থাকি, তাহলে সেটা ভুল হবে। সুতরাং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই গেল। তাদের একটা অংশ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশে গেছে। বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হয়েছে কেউ কেউ। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন কেউ কেউ। আবার একটা অংশ রয়ে গেছে শরণার্থী শিবিরে।
যদিও এটা সত্য, শরণার্থী শিবিরে যারা আগে থেকে আছে, তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্তৃক নিবন্ধিত। কিন্তু একটা বড় অংশই নিবন্ধিত নয়। এখন তাদের সঙ্গে যোগ হল নতুন আসা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা। এ সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ যে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ভারতের সাহায্য চেয়েছিল।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ভারত আদর্শ বন্ধুর মতো বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে দিল্লি ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে’ (আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯ সেপ্টেম্বর)। এ তথ্যের কি আদৌ কোনো সত্যতা আছে?
রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার- তারা মিয়ানমার সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি ঢাকাতেও এসেছিলেন। রোহিঙ্গা প্রশ্ন তখন আলোচিত হয়।
এটা স্পষ্ট, রোহিঙ্গা প্রশ্নে আমরা বৃহৎ ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সমর্থন পাব না। কারণ এসব শক্তির মিয়ানমারে যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। তবে জাতিসংঘকে আমরা ব্যবহার করতে পারি। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং নিন্দাও জানানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার মতো কোনো অর্থনৈতিক অবরোধের কথা বলা হয়নি। এতে করে আরাকানে জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হবে না। এবং নিরাপত্তা পরিষদের কোনো অনুমোদন না থাকায় সেখানে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও গঠন করা যাবে না। ফলে বর্তমান সংকটে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে, এটা আমার মনে হয় না।
মিয়ানমার সফরকালে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সু চির আলোচনায় এ প্রশ্ন উঠলে সু চি নাকি বলেছেন, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে চায় না। কথাটা তিনি কীভাবে বলেছেন জানি না। তবে রোহিঙ্গাদের ওপর জীবনের ঝুঁকি থাকলে তারা সেখানে গিয়ে থাকবে কীভাবে? রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সঙ্গে যেসব প্রশ্ন জড়িত তা হচ্ছে : ১. তাদের নিজ নিজ বাড়িঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই তাদের কোনো ক্যাম্পে রাখা চলবে না; ২. তাদের বাড়িঘর তৈরি করে দিতে হবে। মিয়ানমার জাতিসংঘের সাহায্য নিয়েও এটা করতে পারে; ৩. রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সেখানে আন্তর্জাতিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। জাতিসংঘ এ ব্যাপারে সহায়তা করবে; ৪. চরমপন্থী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আমরা দেখতে চাই রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাক এবং নিজ বাসভূমিতে কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই বসবাস করুক। মিয়ানমারের অতীত ভূমিকা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ বিষয়টির আন্তর্জাতিকীকরণ করতে পারে। এছাড়া মিয়ানমারকে রাজি করানো যাবে না। রোহিঙ্গা প্রশ্নে একদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবেও মিয়ানমারকে ‘চাপে’ রাখার কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎসঃ যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন