ইউরোপ থেকে সর্বশেষ যে খবরটি এসেছে, তা ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য সত্যিই একটি দুঃসংবাদ। দক্ষিণপন্থী যে উত্থান সারা ইউরোপে ঘটছে, তাতে সর্বশেষ যোগ হল চেক রিপাবলিকের নাম। ২০ ও ২১ অক্টোবর সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর তাতে বিজয়ী হয়েছে দক্ষিণপন্থী এএনও পার্টি। এর নেতা আন্দ্রেই বাবিস, যাকে বলা হয় ‘চেক রিপাবলিকের ডোনাল্ড ট্রাম্প’, তিনি হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। বাবিস চেক রিপাবলিকের একজন ধনী ব্যক্তি। প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের তিনি মালিক। অতীতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনিই এখন হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী সরকারপ্রধান। নির্বাচনে তার দল পেয়েছে শতকরা ২৯ দশমিক ৬ ভাগ ভোট। ২০০ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে তার দলের আসন এখন ৭৮। দ্বিতীয় অবস্থান সিভিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (১১ দশমিক ৩ ভাগ ভোট, ২৫ আসন)। আর তৃতীয় অবস্থানে আছে চেক পিরেট পার্টি (১০ দশমিক ৮ ভাগ ভোট)। বাবিসকে এখন এদের সঙ্গে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হবে। তবে শঙ্কার কারণটা হচ্ছে, এই তিনটি দলই অভিবাসন ও ইসলামবিরোধী। একইসঙ্গে বাবিস ‘ইউরো জোন’ থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। বাবিস তার ভাষায় ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। দক্ষিণপন্থী এই দলগুলো চেক রিপাবলিকে ইসলাম ধর্ম নিষিদ্ধ করার, কাবাবের দোকান বন্ধ করার, এমনকি মসজিদগুলোর সামনে শূকর চড়ানোর হুমকিও দিয়েছে!
চেক রিপাবলিকের এই নির্বাচনী ফলাফল অনেক শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। এক. এর ফলে ইউরোপে দক্ষিণপন্থী শক্তি আরও শক্তিশালী হল- ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সর্বশেষ চেক রিপাবলিক। এ দলগুলোর কেউ ক্ষমতায়, কেউ শক্তিশালী বিরোধী দলে। এরা সবাই মিলে ইউরোপে অভিবাসনবিরোধী তথা ইসলামবিরোধী একটি অবস্থান নিতে পারে।
দুই. বাবিসের রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল আছে। এরা আগামীতে ইইউবিরোধী একটা অবস্থান নিতে পারে। পূর্ব ইউরোপ যদি আবারও আগের অবস্থানে যায়, আমি অবাক হব না। আমি গত প্রায় তিন সপ্তাহ ইউরোপে থেকে দেখেছি কীভাবে বদলে যাচ্ছে ইউরোপ। স্পেনের কাতালোনিয়ার ঘটনা যেমন ইউরোপের অন্যত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে উসকে দিতে পারে, ঠিক তেমনি লি পেন (ফ্রান্স), কুর্জ (অস্ট্রিয়া) ও বাবিসের (চেক) মতো চরম দক্ষিণপন্থী নেতাদের উত্থান ইউরোপে চরম জাতিগত বিদ্বেষ জন্ম দিতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও আমি অস্বীকার করতে পারি না। এদিকে কাতালোনিয়া নিয়ে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়েছেন তিনি কাতালোনিয়ার স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন চালু করবেন। কিন্তু স্বাধীনতাকামীরা অনড় অবস্থানে আছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, অন্যত্র এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্ম হবে, যা ইউরোপের ঐক্যকে দুর্বল করবে। এমনিতেই এখন একটি উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতির স্রোত ইউরোপের সর্বত্র বইছে ব্যাপক অভিবাসী আগমনকে কেন্দ্র করে। আমি সপ্তাহখানেক আগে ফ্রান্সে ছিলাম। সেখানে দেখেছি, উগ্র দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রভাব বাড়ছে। একই ঘটনা জার্মানিতেও, সেখানে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে গেছে উগ্র দক্ষিণপন্থী দল ‘অলটারনেট ফর জার্মানি’ (এএফডি) পার্টি। সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার নির্বাচনে ভোটাররা উগ্র দক্ষিণপন্থীদের বিজয়ী করেছে। এর বাইরে হল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়াসহ প্রায় প্রতিটি দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থীদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বাড়ছে। কোথাও কোথাও এরা ক্ষমতায়, কোথাওবা দ্বিতীয় অবস্থানে।
এ পরিস্থিতিতে কাতালোনিয়ার গণভোট পুরো দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছিল। এ মুহূর্তে এটা স্পষ্ট নয়, কাতালোনিয়ার সংকটের সমাধান হবে কীভাবে। একটা মীমাংসা না হলে তা ইউরোপের সর্বত্র ছড়িয়ে যাবে। মীমাংসাটা হতে হবে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার আর কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইইউ এ ব্যাপারে কোনো মধ্যস্থতা করবে না। তাই সারা ইউরোপের দৃষ্টি এখন কাতালোনিয়ার দিকে। এখানে বলা ভালো, ইউরোপে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের খবর নতুন নয়। অনেক ইউরোপীয় দেশে এ ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খবর আমরা জানি। জার্মানির কথা যদি বলি, তাহলে বেভেরিয়া রাজ্যের কথা আমাকে বলতেই হবে। বেভেরিয়া জার্মানির অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কিছুটা আলাদা। অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ এ রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা আছে। এখানকার মূল দল সিএসইউ হচ্ছে ক্ষমতাসীন সিডিইউ’র স্থানীয় সংগঠন। সিডিইউ এখানে আলাদাভাবে কোনো প্রার্থী দেয় না। সিডিইউ’র হয়ে কাজ করে সিএসইউ। সম্প্রতি দলটি চ্যান্সেলর মার্কেলকে বাধ্য করেছে অভিবাসীদের কোটা সীমিত করে দিতে। জার্মান রাজনীতিতে বেভেরিয়ার ভূমিকা অনেকটা যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে স্কটল্যান্ডের ভূমিকার মতো। ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকা, না থাকা নিয়ে একটি গণভোট হয়েছিল। তাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকার পক্ষেই রায় পড়েছিল। এখন স্কটিকা ন্যাশনাল পার্টিপ্রধান নিকোলা স্টুরজিওন চাচ্ছেন আরেকটি গণভোট, যার মাধ্যমে স্কটল্যান্ডের মানুষ আরেকবার ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা স্বাধীন হবেন, নাকি ব্রিটেনের সঙ্গেই থেকে যাবেন। এটা তো স্পষ্ট- স্কটল্যান্ড ইইউতে ব্রিটেনের জায়গাটি নিতে চায়। আর এজন্যই দরকার স্বাধীনতা।
বেলজিয়াম মূলত জাতিগতভাবে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে- ওয়ালুন্স (Walloons) ও ফ্লেমিস (Flemish)। ওয়ালুন্সরা ফরাসি ভাষাভাষী। আর ফ্লেমিসদের নিজস্ব ভাষা আছে। তাদের মাঝে স্বাধীনতার চেতনাও আছে। কাতালোনিয়া যদি স্বাধীন হয়ে যায়, তাহলে ফ্লেমিসদের স্বাধীনতা আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। ডেনমার্ক থেকে ৮০০ মাইল দূরে অবস্থিত ফারো (Faroe) দ্বীপপুঞ্জেও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আছে। দ্বীপটি ডেনমার্কের অধীনে হলেও অতি সম্প্রতি তারা স্বশাসনের কথা ঘোষণা করেছে। ইতালির দুটো অঞ্চল লমবারদি ও ভেনেতোতে চলতি মাসের শেষে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে গণভোট হবে। ২০১৪ সালের মার্চের এক গণভোটে ৮৯ ভাগ ভেনেতোর মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছিল। সেখানে অনেকটা কাতালোনিয়ার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সেখানে শক্তিশালী। বাস্ক (Basque) অঞ্চলের খবর নিশ্চয় অনেকেই জানেন। স্পেনের অন্তর্ভুক্ত বাস্ক মূলত স্বায়ত্তশাসিত একটি অঞ্চল। এর কিছু অংশ আবার ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত। স্বাধীনতাকামী ইটিএ দীর্ঘদিন ধরে বাস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে আসছে। সাম্প্রতিক সময় স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার বাস্ক অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। তারপরও স্বাধীনতাকামীরা সক্রিয়। তারা মাঝেমধ্যেই বোমা হামলা চালিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে নানা কারণে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণ, অনুন্নয়ন, নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ইত্যাদি কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা শক্তিশালী হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে, উগ্র দক্ষিণপন্থী কিছু দল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারাকে উসকে দিয়েছে। যেমন বলা যেতে পারে অলটারনেটিভ ফর ডয়েট্সল্যান্ড (জার্মানি), জবিক বা মুভমেন্ট ফর বেটার হাঙ্গেরি, ফ্রন্ট ন্যাশনাল (ফ্রান্স), গোল্ডেন ডন (গ্রিস), ফ্রাইহাইটলিসে পার্টাই ওস্টারির্স (অস্ট্রিয়া), দি ফিন্স (ফিনল্যান্ড), সুইডেন ডেমোক্রেটস (সুইডেন), ডেনিস পিপলস পার্টি (ডেনমার্ক), পার্টাই ভুর দি ভ্রিজহেইড (হল্যান্ড), লিগানর্ড (ইতালি) ইত্যাদি রাজনৈতিক দলের কথা। এসব রাজনৈতিক দল উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে প্রমোট করছে। কোথাও কোথাও তারা পার্লামেন্টেও আছে। একটা পরিসংখ্যান দিই। সম্প্রতি জার্মানিতে যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে এএফডি পেয়েছে শতকরা ১২ ভাগ ভোট। দলটি এখন জার্মানির তৃতীয় শক্তি। সাবেক পূর্ব জার্মানিতে এ দলটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। প্রচণ্ড ইসলাম তথা অভিবাসনবিরোধী দলটি যদি ভবিষ্যতে পূর্ব জার্মানিতে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে, আমি অবাক হব না। হাঙ্গেরিতেও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জবিক তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ফ্রান্সে উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারিয়ান লি পেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডে শতকরা ২৬ ভাগ ভোট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি ম্যাক্রোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ফ্রান্সের ১৩টি অঞ্চলের মাঝে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে (২০১৫) ন্যাশনাল ফ্রন্ট অন্তত ৬টি অঞ্চলে প্রথম অবস্থানে আছে। গ্রিসে ২০১৫ সালের নির্বাচনে গোল্ডেন ডন পার্টি শতকরা ৭ ভাগ ভোট পেয়েছিল। অস্ট্রিয়ার গত সপ্তাহের সংসদ নির্বাচনে দুটি উগ্রপন্থী দলের প্রাপ্ত ভোটের হার যথাক্রমে শতকরা ২৪ ভাগ (পিপলস পার্টি) ও শতকরা ২০.৫ ভাগ (ফ্রিডম পার্টি)। ফিনল্যান্ডে দি ফিনস পার্টির অবস্থান দ্বিতীয়। ২০১৫ সালে তারা সরকারে যোগ দেয়। ২০১১ সালে তারা সংসদ নির্বাচনে ৩৯ ভাগ ভোট পেয়ে সবাইকে অবাক করেছিল। সুইডেনে সুইডেন ডেমোক্রেট পার্টি ১২ দশমিক ৯ ভাগ ভোট পেয়ে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি পেয়েছিল ২১ দশমিক ৫ ভাগ ভোট। ডেনমার্কে ডেনিস পিপলস পার্টি শতকরা ২১ ভাগ ভোট পেয়ে (২০১১ সালে ১২ ভাগ ভোট) দেশটির দ্বিতীয় বড় দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। হল্যান্ডে পার্টাই ভুর দি ভ্রিজহেইড এখন ক্ষমতার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। দলটির নেতা গার্ট উইলডার্স নানা কারণে বিতর্কিত। বলা হয়, তিনিই মূলত ‘ট্রাম্পইজমের’ জনক। প্রচণ্ড ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্য তিনি বারবার সমালোচিত হয়েছেন। ইতালির নব্য নাৎসি হিসেবে পরিচিত লিগানর্ড (Liganord) পার্টি প্রায় ১৩ ভাগ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আগামীতে ক্ষমতার অন্যতম অংশীদার হবে বলে অনেকে মনে করে। এ ধরনের পরিসংখ্যান আরও দেয়া যায়, যাতে দেখা যাবে উগপ্রন্থীদের উত্থান ঘটেছে ইউরোপে। আগামীতে এই উগ্রপন্থীরা কোনো কোনো অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সূচনা করতে পারে।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন এ তালিকায় যোগ হল চেক রিপাবলিকের নাম। চেক নেতা আন্দ্রেই বাবিস নতুন এক রাজনীতির সূচনা করতে পারেন, যেখানে পূর্ব ইউরোপের ইইউভুক্ত দেশগুলো একত্রিত হতে পারে। অন্তত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে তারা একটি আলাদা অবস্থান নিতে পারে, যা কিনা ইইউ’র ভাঙনকে ত্বরান্বিত করবে মাত্র।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎসঃ যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন