যেটা অন্যায়, সেটা অন্যায়-ই
26 December 2017, Tuesday
শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কে আমার খুবই স্পষ্ট কথা হলো, ঘুষ কম নেওয়া বা বেশি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য বা তফাৎ নেই। এই কথাগুলো অপরাধকে আরও উসকে দেয়। অর্থাৎ যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়-ই। এগুলো অন্যায়ের ছেয়েও বড় অন্যায়। দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সাথে আলাপকালে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকেও এই বাণী উচ্ছারিত হয়েছিল। এতে অপরাধ আরও বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ছোট ছোট হতে আস্তে আস্তে বড়র দিকে অগ্রসর হয়। সুতরাং ঘুষ নেওয়া অথবা এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ করা সর্বদা পরিতাজ্য।
যারা এই কর্মের সাথে জড়িত তাদের ঘৃণার চোখে দেখতে হবে এবং এটা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করার জন্য এই মহূর্তে সময় না থাকলে, আর সময় কই? কিন্তু যেটা অন্যায়, রাষ্ট্রীয় সামাজিক পর্যায়ে এই অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে। ঘুষ সহনীয় পর্যায়ে নেয়ার অর্থটা কী? অর্থাৎ ঘুষ তো নেয়াই হলো সুতরাং এই ধরণের ব্যাপারগুলো হলো দুর্নীতি।
তিনি বলেন, এই দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এই দেশে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ঘুষ না দিয়ে কোনো কিছু করা যায় না, কিছু পাওয়া যায় না। ঘুষ ছাড়া কেউ কারো কথা শুনেও না। সুতরাং মন্ত্রীর উচিৎ এই ধরণের কথা আল্লার ওয়াস্তে না বলে, সোজা বলতে হবে, ‘রং, এবসুলেটলি রং, এইটা ক্রিমিনাল ইউ হ্যাব টু ইস্টাবলিশ।’আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন