ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের শঙ্কা
02 October 2018, Tuesday
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান নিয়ে মিয়ানমারের জেনারেলদের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানের কিছুটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা মিয়ানমার মৌখিকভাবে বললেও বাস্তবে তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না। মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে স্পষ্টত তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশাহত হয়েছি কারণ, আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এমন একসময় এই বক্তব্য রাখলেন যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। মিয়ানমার এই তদন্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করার কর্তৃত্ব আদালতের রয়েছে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্য না হওয়ার পরও এই বিচার ও তদন্তে কোনো বাধা নেই। এ ব্যাপারে আইসিসির অবস্থান হচ্ছে যদিও মিয়ানমার আইসিসির সদস্য দেশ নয়, তার পরেও ঘটনার এক অংশ যেহেতু বাংলাদেশে ঘটেছে এবং বাংলাদেশ যেহেতু আইসিসির সদস্য সেহেতু আন্তর্জাতিক আদালত বিচারকার্য করতে পারবে।
অপর দিকে, মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র চীন রোহিঙ্গা সঙ্কটের আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে থাকা অবস্থায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘রাখাইন প্রদেশের ইস্যুটি মূলত মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার একটি সমস্যা। এ ইস্যুটিকে জটিল, বিস্তৃত বা আন্তর্জাতিকীকরণ হোক- এতে চীনের সম্মতি নেই।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীন মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ-রাখাইন প্রদেশ ইস্যুটি যথাযথভাবে সমাধানের জন্য একটি চার দফা নীতিতে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর প্রায় তিন মাস পর নভেম্বর মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। পশ্চিমা গণমাধ্যমে তখন এই চুক্তির সমালোচনা করা হয়েছিল এবং ধারণা করা হয় যে চীনের চাপে পড়েই বাংলাদেশ সে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। এরপর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রশ্ন উঠলেই মিয়ানমার যাচাই বাছাইয়ের নামে প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে দেয়। এরপর একজন রোহিঙ্গাও নিজ ভূমিতে ফিরতে পারেনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছিল তাতে চীন যে মধ্যস্থতা করেছিল তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেল। বাংলাদেশ সম্ভবত এখন উপলব্ধি করছে এই চুক্তিটি বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসঙ্ঘে দেয়া ভাষণে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লংঘনের তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিল যে উদ্যোগ গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে ভেটো দেয় চীন।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘চীন বাংলাদেশেরও বন্ধু, মিয়ানমারেরও বন্ধু। চীন সত্যিকার অর্থে অনেস্ট ব্রোকারের (সৎ মধ্যস্থতাকারী) ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু তারা সেটা করেনি। চীন খুব সুস্পষ্টভাবে, শক্তভাবে মিয়ানমারের অন্যায্য এবং লজ্জাজনক ভূমিকার পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে গত এক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। জাতিসঙ্ঘ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমার ইস্যুতে বেশ সোচ্চার হয়েছে। চীনের এই অবস্থানের পর রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ হবে এ দেশে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিক অধিকারসহ দেশে ফেরত পাঠানো। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
জাতিসঙ্ঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্মম নির্যাতনের নানা বিবরণের পাশাপাশি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল এবং দেশ শাসনে তাদের প্রভাব না থাকার আহ্বান জানানো হয়। জাতিসঙ্ঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক সরকারের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা করা উচিত। দেশের রাজনীতি থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অপসারণ করা উচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে সেনাপ্রধানসহ মিয়ানমারের শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিচার হওয়া প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা থামানোর জন্য হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র কড়া সমালোচনাও করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার প্রকৃতপক্ষে শাসন করছে সেনাবাহিনী। পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন দখল করে রেখেছে সেনা কর্মকর্তারা। অংসান সু চিকে সামনে রেখে রাষ্ট্র পরিচালনায় বেসামরিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সীমান্ত এবং প্রতিরক্ষার মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর হাতে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিয়ানমারের সেনা শাসকদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন।
রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করা রাখাইন প্রদেশে চীনের বড় ধরনের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। গত ০১ অক্টোবর মিয়ানমার টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে রাখাইন অঞ্চলে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনে চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছেছে মিয়ানমার। (Myanmar successfully renegotiates debt, ownership terms for Kyaukphyu- www.mmtimes.com/news/myanmar-successfully-renegotiates-debt-ownership-terms-kyaukphyu.html)
মিয়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, রাখাইনে কিয়াকপিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে মিয়ানমার ও চীন। এ বছরের শেষ দিকে ওই চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আওতায় চীন এসইজেড অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গভীর সমুদ্রবন্দরের ৭০ শতাংশের মালিক হবে চীন।
বাকি ৩০ শতাংশ মিয়ানমার সরকার ও স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকবে। প্রায় ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ওই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিআইটিআইসি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমে যেখান কিয়াকপিউ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) হবে সেখান থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে গত বছর রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাখাইনে শিল্প ও অবকাঠামো তৈরির জন্য এক হাজার ৭০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
কিয়াকপিউয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর। অঞ্চলটিতে ছোট আকারের একটি বন্দর রয়েছে, যা দেশীয় পণ্য রফতানিতে ব্যবহার করা হয়। এই বন্দরটি চীনের বেল্ড অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সামুদ্রিক অবকাঠামোর জন্য কৌশলগভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পাকিস্তানের গোয়াদর ও শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে। বন্দরটি পশ্চিমা দেশ থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চীনের বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে। একই সাথে এই অঞ্চল দিয়ে তেল-গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। রাখাইনের উপকূল থেকে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত ৭৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে।
বাংলাদেশেও একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল চীন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। বাংলাদেশ গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছিল বেইজিং। কিন্তু পরে তা আর এগোয়নি। এখন কিয়াকপিউয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বাংলাদেশে চীনা অর্থায়নে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ফলে চীনের সাথে বাংলাদেশের ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের জন্য এটি এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। কার্যত বাংলাদেশ এখন অনেকটা উভয় সঙ্কটে পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন প্রকাশ্য মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। রাখাইনে চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থ থাকায় রোহিঙ্গাদের এই প্রদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে হয়তো চীনের দ্বিধা রয়েছে। চীনের এ অবস্থানের কারণে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়াটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ভূমিকাও রহস্যময়। গত বছর আগস্টে মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন এই শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে ভারত উদ্বেগ জানিয়েছিল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির সহিংস কর্মকাণ্ডে। অনেক পরে শরণার্থী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেও মিয়ানমারের সমালোচনা করে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি দেশটি। রোহিঙ্গা প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতির সাথে ভারতের বিস্তর ফারাক রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আগামী দিনে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে অধিকতর গুরুত্ব পেতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলো হয়তো রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে চায়। ন্যায়বিচারের স্বার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধের জড়িত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হওয়া উচিত। তবে এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে একটি রেজিম চেঞ্জের পরিকল্পনা থাকাও বিচিত্র নয়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে যথেষ্ট সতর্কতার সাথে এই সঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ হবে এ দেশে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিক অধিকারসহ দেশে ফেরত পাঠানো। আগামী দিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা বাড়তে পারে। এসব রাষ্ট্র নিজ নিজ স্বার্থ দেখবে। রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ যে গভীর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে তাতে এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ যদি বড় রাষ্ট্রগুলোর প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে ক্ষেত্র হয়ে উঠলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন