.বাংলাপিডিয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে এক হাজার ১১১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর হিসাব আছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯১ জন শিক্ষক, চিকিৎসক ৪৯ জন, আইনজীবী ৪২ জন, সাংবাদিক ১৩ জন, সাহিত্যিক-শিল্পী-প্রকৌশলী ১৬ জন। অন্যদিকে ‘জেনোসাইড বাংলাদেশ’-এর উৎস থেকে জানতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষকের সংখ্যা ১৯। প্রয়াত শিক্ষকদের কয়েকজনকে যেমন অধ্যাপক জি সি দেব ও অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনী বাঙালি জাতির বরেণ্য সন্তানদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে চোখ বেঁধে নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন করে, ঘটায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী এসব বুদ্ধিজীবীই ছিলেন বাংলাদেশের সুশীল সমাজের শিরোমণি।
১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৫৪-এর নির্বাচন, ১৯৫৮-এর পর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা ও ১১ দফার জন্য সংগ্রাম এবং ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান—বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধিকার ও পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক বুদ্ধিজীবী চিন্তাভাবনা-বিশ্লেষণ দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনকে পুষ্ট করেছেন। বিভিন্নভাবে মানুষকে সংগঠিত করেছেন, স্বীকার করেছেন নির্যাতন, হয়েছেন বৈষম্যের মুখোমুখি, এমনকি জীবনও দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ অধ্যাপক শামসুজ্জোহার কথা আমাদের সবার স্মরণ আছে। তাঁরা হলেন বর্তমান বাংলাদেশের সুশীল সমাজের গৌরবোজ্জ্বল পূর্বসূরি।
শব্দবিভ্রাট
প্রথমেই স্বীকার করতে হবে, ‘সুশীল সমাজ’ শব্দযূথ ‘সিভিল সোসাইটি’ নামের প্রত্যয়টির জুতসই অনুবাদ নয়। ‘সিভিল সোসাইটি’র বঙ্গমাত্রিক ধারণাকে যথাযথভাবে প্রকাশ করে এ রকম বাংলা শব্দ খোঁজার প্রচেষ্টা কম হয়নি। আশির দশকের দ্বিতীয় ভাগে নন-গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন (এনজিও) শব্দটি বাংলা করতে বহু জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হয়েছিল। এনজিওর বাংলা এখন ব্যবহৃত হয় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, অর্থাৎ আক্ষরিক অনুবাদ কাজে দেয়নি। আর সম্প্রতি আমরা আদিবাসী শব্দটি নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে লিপ্ত। আসলে শব্দ তো শব্দ নয়, এর পেছনে থাকে রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক চিন্তা বা দুশ্চিন্তা। সে জন্য সঠিক শব্দচয়ন গুরুত্বপূর্ণ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যখন ২০০৬ সালের মার্চ মাসে ‘জবাবদিহিমূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সুশীল সমাজের উদ্যোগ’ শীর্ষক কর্মসূচিটি শুরু করে এবং নাগরিক কমিটি ২০০৬-এর নেতৃত্বে ‘রূপকল্প ২০২১’ প্রস্তুত করে, তখন দুটি প্রত্যয়ের সঠিক বাংলা নির্ণয়ের চেষ্টা হয়। একটি ছিল ইংরেজি ‘ভিশন’ শব্দটির সঠিক বাংলা কী হবে। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে নাগরিক কমিটি ২০০৬-এর প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে ভিশনের বাংলা হবে রূপকল্প। পরবর্তী সময়ে ২ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়। এই অনুবাদে পৌঁছাতে আমাদের সাহায্য করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সুখের বিষয়, পরবর্তী সময়ে শব্দটি জাতীয় পর্যায়ে বহুল প্রচলন পায়; ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেরও নাম দেয় ‘রূপকল্প ২০২১’। প্রাসঙ্গিক মনে করে রূপকল্প শব্দটি ব্যবহারের উৎসটি উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করলাম।
কিন্তু ‘সিভিল সোসাইটি’র বাংলা নিয়ে কোনো ভালো নিষ্পত্তি করা যায়নি। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রস্তাব করেছিলেন ‘জনসমাজ’ বা ‘আত্মজ সমাজ’। কেউ কেউ ‘সুধী সমাজ’ বা ‘পুর সমাজ’ পছন্দ করলেন। তবে অনেকেই ‘নাগরিক সমাজ’-এর পক্ষে মত দিলেন। সেটাই আমরা তখন আমাদের উদ্যোগের জন্য গ্রহণ করি, তবে ‘নাগরিক’ শব্দটিকে নগরবাসীর সঙ্গে সমার্থক করে দেখে অনেকেই আবার একমত হলেন না। তাই লক্ষ করবেন, সিপিডির ২০০৬ সালের নামকরণে একই সঙ্গে ‘সুশীল সমাজ’ ও ‘নাগরিক কমিটি’ স্থান পেয়েছে। পরে অবশ্য বিভিন্ন কারণে ‘সুশীল সমাজ’ শব্দযূথ প্রচলন পায়। যথাযথ বাংলা শব্দের অভাবে আমি সুশীল সমাজ শব্দযুগলের অসম্পূর্ণতাকে স্বীকার করে নিয়েই তা এই নিবন্ধের শিরোনামে স্থান দিয়েছি।
স্মরণ আছে, সে সময় এক বড় রাজনীতিবিদ, যিনি এখন যুদ্ধাপরাধে বিচারাধীন, আমাকে শ্লেষ করে বলেছিলেন, ‘সুশীল মানে তো নাপিত, তোমরা সবাই নাপিত।’ আমি সহাস্যে উত্তর দিয়েছিলাম, নাপিতের আরেক নাম নরসুন্দর, সুশীল সমাজ মানুষকে সুন্দর করার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত।
সঠিক বাংলা শব্দচয়নের সমস্যাই বলে দেয় ‘সুশীল সমাজ’ প্রত্যয়টি কতখানি জটিল। তাই এর কোনো একক ও অনন্য সংজ্ঞা আছে বলে মনে করি না। আর্থসামাজিক বিবর্তন, পরিবর্তনশীল রাষ্ট্রকাঠামো, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রবণতা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সুশীল সমাজের একটি বর্গীয় সংজ্ঞা (জেনেরিক ডেফিনেশন) নিরূপণ করা গেলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রেক্ষিত নির্দিষ্ট (কনটেক্সট স্পেসিফিক)৷ সে অর্থে এটি এখনো একটি বিকাশমান প্রত্যয় (এভলভিং কনসেপ্ট), যা অনেকাংশে জাতীয় পরিস্থিতি দ্বারা নির্ণায়িত হয়।
তাত্ত্বিক বিবেচনা
সুশীল সমাজের সংজ্ঞা সন্ধানের ক্ষেত্রে প্রায়ই আমরা িখ্রষ্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের মহাজ্ঞানী অ্যারিস্টটলের লেখাকে উৎসবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করি। সেই ধ্রুপদি যুগের অন্য যাঁরা ব্যক্তিসত্তার মুক্তি ও একটি ন্যায়পরায়ণ সমাজের আন্তসম্পর্ক নিয়ে আরও চিন্তা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সক্রেটিস, প্লেটো ও সিসেরো। সে সময় সুশীল সমাজ, রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সমাজের সমার্থক ছিল, যা বর্তমানে প্রচলিত ধারণার ঠিক বিপরীত। সে সময় সাম্রাজ্য বিস্তার দ্বারা রাষ্ট্রকাঠামোর বিকাশকে সভ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং সেটিই ছিল সুশীল সমাজের অবস্থানের নির্ণায়ক। পরবর্তী সময়ে যুক্তিবাদের যুগে রাষ্ট্র ও সমাজের ঐতিহাসিক বিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সুশীল সমাজের ধারণাটি ইউরোপীয় চিন্তকদের রচনায় বড়ভাবে স্থান করে নেয়। জন লক, জ্যাঁ জ্যাক রুশো, ইমানুয়েল কান্ট প্রমুখ সমাজবিদ দার্শনিক এই চিন্তার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অষ্টাদশ শতকে শিল্পবিপ্লবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সুশীল সমাজ নিয়ে ঔৎসুক্য নতুন মাত্রা লাভ করে। স্কটিশ নবজাগরণের গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক অ্যাডাম ফার্গুসন সম্ভবত সিভিল সোসাইটি প্রত্যয়টি প্রথম ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, সিভিল সোসাইটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে মানবজাতি তার শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর তুলে ধরতে পারে এবং সম্প্রীতির সর্বোত্তম প্রকাশ ঘটাতে পারে। তিনি অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বাইরে মানুষের একটি সামাজিক অস্তিত্বের কথা বলেন। স্কটিশ নবজাগরণের অন্য তাত্ত্বিক অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব অ্যাডাম স্মিথ ও ডেভিড হিউমের লেখার মধ্যেও ফার্গুসনের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে।
উনিশ শতকে ফরাসি সমাজবিদ অ্যালেক্সিস টকভিলের মতো অনেকেই সুশীল সমাজের সনাতনী ধারণাকে অবলম্বন করেই প্রত্যয়টির নির্দিষ্ট আর্থসামাজিক স্বার্থসংশ্লিষ্টতা চিহ্নিত করেন। টকভিলের মতবাদের আধুনিক প্রকাশ দেখি আমরা মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রবার্ট পাটনামের লেখায়। সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি ভেঙে পড়া ও শিল্পপঁুজির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিধিকে চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সুশীল সমাজের প্রত্যয়গত বিবর্তনের পরবর্তী পর্যায়টি দর্শনশাস্ত্রের অন্যতম দিকপাল জর্জ হেগেলের রচনা দ্বারা সূচিত। হেগেলের চিন্তায় সুশীল সমাজ পরিবার ও রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নিয়ন্ত্রিত বাজারব্যবস্থার চলক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তিনি বাজারব্যবস্থা বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী, শ্রেণি ও সংগঠনকে বস্তুগত স্বার্থের ধারক হিসেবে মনে করতেন। ধর্মীয় ও সম্প্রদায়গত উদ্যোগকেও এ ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের অংশ মনে করা হতো। পুঁজিবাদের পরিপক্বতা লাভের পরিপ্রেক্ষিতে ও হেগেলীয় চিন্তার ওপর ভিত্তি করে মহামতি কার্ল মার্ক্স সুশীল সমাজের ধারণাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজকে প্রতিস্থাপন না করে তিনি এ দুটিকে পুঁজির স্বার্থ রক্ষাকারী সহযোগী হিসেবে দেখেছেন। তাই তিনি প্রাক্কলন করেছিলেন শ্রমিকশ্রেণি, আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বহারার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে, জিম্মি রাষ্ট্রকে মুক্ত করবে। সে ক্ষেত্রে সুশীল সমাজও সর্বহারার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রে যুক্ত হয়ে প্রকৃত জনমঙ্গলে নিবিষ্ট হবে।
সুশীল সমাজসম্বন্ধীয় তাত্ত্বিক চিন্তার আধুনিক পর্যায়ে হেগেলীয় ও মার্ক্সীয় চিন্তার সংশ্লেষণ ঘটে অকাল প্রয়াত ইতািলর সুবিখ্যাত চিন্তাবিদ অ্যান্তনিওনি গ্রামিসের লেখনীতে। গ্রামিস আধুনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক সমাজ’ ও ‘সুশীল বা নাগরিক সমাজ’ এই দুটি প্রত্যয়ের অবতারণা করেন। এখানে প্রথমটি প্রত্যক্ষভাবে এবং প্রায়ই নিবর্তনমূলকভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে (ব্যাপক অর্থে) ব্যবহার করে তার আধিপত্য বিস্তার করে। অন্যদিকে, সুশীল সমাজ স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বেচ্ছামূলকভাবে সংগঠিত হয়ে তার অধিকারের জায়গাটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করে। রাষ্ট্রসম্পর্কিত ও রাষ্ট্রবহির্ভূত (নন-স্টেট) কর্মের কর্তারা একটি দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের ভেতর দিয়ে বাজার, পরিবার ও সমাজের চৌহদ্দি নিরন্তরভাবে নির্ধারণ করতে থাকেন। গ্রামিস অবশ্য নিজেই বলেছেন, দুই সমাজের এই বিভাজন নিতান্তই একটি বিশ্লেষণী কাঠামো; কারণ বহু ক্ষেত্রেই এরা আংশিকভাবে হলেও একে অন্যের অপ্রকৃত (ভার্চুয়াল) বেষ্টনীতে ক্রিয়াশীল হয়।
সুশীল সমাজসম্পর্কিত গ্রামিসয় বিশ্লেষণী কাঠামোর বিপরীতে ইদানীং পাটনামের বিশ্লেষণী ধারা বহুল প্রচলন পেয়েছে। তাঁর ধারণা অনুযায়ী সরকারের দক্ষতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন—এ দুটিই ‘নাগরিক সম্প্রদায়’-এর তৎপরতার ফলে অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। পাটনাম একে বলেছেন ‘সামাজিক পুঁজি’ (সোশ্যাল ক্যাপিটাল), যা ‘নাগরিক শক্তি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং এ দুটো যখন পারস্পরিক সামাজিক সম্পর্কের দ্বারা অনুবিদ্ধ (এমবেডেড) হয়, নাগরিক শক্তি তখনই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। লক্ষণীয়, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের বিশ্লেষণে গ্রামিসয় কাঠামো মৌলিকভাবে প্রাসঙ্গিক হলেও নব্য টকভেলীয় (পাটনাম প্রবর্তিত) ধারণাগুলোও বাস্তবতা অনুধাবনে বেশ সহায়ক।
রাষ্ট্রজীবনে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার এই দ্বান্দ্বিক তত্ত্ব বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে উপনিবেশবাদবিরোধী বহু মুক্তিসংগ্রামকে প্রভাবিত করে। গ্রামিস সুশীল সমাজের মধ্যে খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে সংলগ্ন-বুদ্ধিজীবীর (অর্গানিক ইন্টেলেকচুয়াল) উদ্ভবের সম্ভাবনা দেখেছেন। এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকায় জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে বহু নেতা এ ধরনের বুদ্ধিজীবী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেউ কেউ ৬ দফা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত বুদ্ধিজীবীদের যেমন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক রেহমান সোবহান প্রমুখকে অর্গানিক বুদ্ধিজীবী বলতে চাইবেন। বাংলাদেশের বামপন্থী অনেক নেতাই ছিলেন এ দলের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে মনে পড়ে শ্রমিক হিসেবে আদমজী পাটকলে কর্মরত অবস্থায় নিহত উচ্চশিিক্ষত কমিউনিস্ট সংগঠক শহীদ তাজুলের কথা।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ বুদ্বিজীবী স্মারক বক্তৃতা হিসেবে পঠিত।)
আগামীকাল: সুশীল সমাজ: সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বিশেষ ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন