বাংলাদেশকে আর কখনো জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া যাবে না
17 August 2015, Monday
আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে একই দিনে দেশে বানানো ৪৬৯টি সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের সক্ষমতা সম্পর্কে আগাম বার্তা দিয়েছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি। বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল টাইমার দিয়ে, যে কারণে বোমাগুলো একই সময় বিস্ফোরিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ এর আগে বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরিত হতে দেখেছে, যার বেশির ভাগই ছিল জর্দার কৌটা বোমা, ছুড়ে মারলে যা বিস্ফোরিত হয়। কিন্তু টাইমার দিয়ে একই সময় বোমার বিস্ফোরণ বাংলাদেশে এই প্রথম। এই বিস্ফোরণে দুজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান আর আহত হয়েছিলেন আরো শখানেক। বিস্ফোরণগুলোর সক্ষমতা তেমন একটা ভয়াবহ না থাকলেও জেএমবি এটি প্রমাণ করতে চেয়েছে যে তারা ইচ্ছা করলে যেকোনো স্থানে যখন-তখন আরো ভয়াবহ প্রাণঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম। মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাড়া দেশের সব কটি জেলায় প্রকাশ্যে দিনের বেলায় সকাল ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। শুধু ঢাকা শহরের ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার মধ্যে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সংলগ্ন এলাকা, সচিবালয়, সুপ্রিম কোর্ট এলাকা, রমনায় অবস্থিত পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ মার্কেট, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা জজ কোর্ট, হোটেল শেরাটন (রূপসী বাংলা), মার্কিন দূতাবাসের সন্নিকট, এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে। যেদিন দেশ কাঁপানো এই ঘটনা ঘটে সেদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া দুই ঘণ্টা আগে পাঁচ দিনের চীন সফরের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। সঙ্গে তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান। সাংবাদিকরা এ ঘটনা সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, এটি কিছু রকবাজ মানুষের কাজ। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। এর পরও মানুষ আতঙ্কিত হয়েছিল; কারণ ঠিক এক বছর আগে ২১ আগস্ট সংসদে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার চারপাশে দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম তৈরি করায় সে যাত্রায় শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে তিনিসহ গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরো প্রায় ৩০০ জন। শেখ হাসিনা কানে বিস্ফোরণজনিত ক্ষত নিয়ে এখন তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সাংবাদিকদের কাছে প্রথম দিকে স্বীকার করেন, এটি একটি সমন্বিত হামলা এবং তাদের কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল এমন একটি হামলা আগস্টের ১৪ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে হতে পারে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সেই বাবরই বলেন, এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল এবং ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। তিনিও জনগণকে আতঙ্কিত হতে বারণ করেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা-পরবর্তী অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই হামলার সঙ্গে বাবর, হাওয়া ভবন আর সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। ১৭ তারিখের বিস্ফোরণের পর প্রায় সব ঘটনাস্থলে জেএমবির একটি লিফলেট পাওয়া গিয়েছিল। যাতে লেখা ছিল- দেশে এখন ইসলামী আইন বাস্তবায়নের সময় হয়েছে। মানুষ দ্বারা প্রণীত আইন দিয়ে আর দেশ চলবে না। জেএমবি একসময় হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করত। তাদের কর্মপরিধি সাধারণত উত্তরবঙ্গের রাজশাহী বিভাগে সীমাবদ্ধ থাকলেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে সরকারের নির্লিপ্ততার কারণে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতায় তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসাদউল্লাহ গালিব তাদের মূল মন্ত্রণাদাতা এবং এই জঙ্গিদের প্রায় সবাই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছে এবং কখনো না কখনো জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। জঙ্গিনেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই এই জেএমবিরই সৃষ্টিকর্তা, যার অস্তিত্ব বেগম জিয়ার শিল্পমন্ত্রী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী অস্বীকার করে বলেছিলেন, 'বাংলাভাই বলে কিছু নেই। এসব মিডিয়ার সৃষ্টি।'
বাংলাদেশকে আর কখনো জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া যাবে না
১৭ আগস্টের বোমা বিস্ফোরণের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গ্রেপ্তার করে; যাদের প্রায় সবাই মাদ্রাসার ছাত্র বা শিক্ষক। কিন্তু এযাবৎ কারো কোনো শাস্তি হয়নি। গত কয়েক বছরে জঙ্গি সন্দেহে যেসব ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের প্রায় সবাই আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেছে। চারদলীয় জোট ২০০১ সালে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান শুরু হয় এবং বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে একটি জঙ্গিবাদের আস্তানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করা শুরু করে। চট্টগ্রামে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হওয়ার পর বাংলাদেশ এই অঞ্চলে অস্ত্র চোরাচালানের একটি নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতারা বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় সহায়তায় এসব অস্ত্র আমদানি করত। এর যুক্তি হিসেবে সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম জিয়ার তৎকালীন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করে বলেন, তাদের সমর্থন করা বাংলাদেশের নৈতিক দায়িত্ব।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাসংগ্রামের মূলমন্ত্র ছিল এই দেশটি হবে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। শুরুতে যাত্রাটা সেভাবেই শুরু হয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ যে ধর্মহীনতা নয়, তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের দিকে নজর দিলেই বোঝা যায়। তিনি একজন মুমিন মুসলমান ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। একাত্তরের পর তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করেন। কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন এবং সেই কমিশনের ফাইনাল রিপোর্টে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেশে মদ, জুয়া, ঘোড়দৌড় নিষিদ্ধ করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা শুরু হয়। জ্যামিতিক হারে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে দেশে বাড়তে থাকে কওমি মাদ্রাসা আর তাদের ছাত্রসংখ্যা। এসব কওমি মাদ্রাসাকে বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময় একটি নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিটি কওমি মাদ্রাসা এখন একেকটি জঙ্গি তৈরির কারখানা বললে অত্যুক্তি হবে না। মাদ্রাসা থেকে পাস করে অনেকেই মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবেশ করে এবং তাদের পশ্চাৎমুখী ধ্যানধারণা সতীর্থদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, তাদের এই বিষয়ে মদদ দেন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের আমির ও পরামর্শদাতাদের প্রায় সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ব্লগার রাজীব হত্যাকারীদের সবাই ঢাকার একটি দামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই বিশ্ববিদ্যালয় এখন জঙ্গিদের একটি অভয়াশ্রম হয়ে উঠেছে বলে অনেকের অভিযোগ। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা কত বড় জঙ্গি তৈরির কারখানা তা মাওলানা শফী ২০১৩ সালের ১৩ মে ঢাকা দখল করে প্রমাণ করেছেন। এর পরও এক অজ্ঞাত কারণে সরকার তাদের তোয়াজ করে চলে। সে সময় দেখা গেছে সেই জঙ্গিদের প্রতি বেগম জিয়ার আর তাঁর জোটের কী দরদ! তাদের ধারণা, সেই রাতেই হেফাজতের কাঁধে চড়ে তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে। দেশের এই জঙ্গিদের সংখ্যা কখনো মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশের বেশি নয়। অথচ এই ২ শতাংশ মানুষের হাতে দেশের সব ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আর মুক্তমনা শিক্ষিতজনরা জিম্মি হয়ে আছে। একাত্তরে দেশে মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল। গত ৪০ বছরে নীরবে দেশ ত্যাগের ফলে তাদের সংখ্যা এখন ৫ থেকে ৭ শতাংশে ঠেকেছে। এর বাইরে অনেক মুক্তমনা মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও দেশ ছেড়েছে। দেশে নিয়মিত বিরতি দিয়ে অসত্য ও বানোয়াট অজুহাত দিয়ে ব্লগার হত্যা করা হচ্ছে। যাকে-তাকে যখন-তখন নাস্তিক-মুরতাদ ঘোষণা করা হচ্ছে। তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে কাদের কাদের পরবর্তীকালে হত্যা করা হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর একদল লোক, যারা নিজেদের আওয়ামী ওলামা লীগ বলে পরিচয় দেয়, তারাও এই জঙ্গিদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। অথচ বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগকে একটি অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনার ধারক দল হিসেবে দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ব্যক্তি হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তাঁর চলনে-বলনে তিনি সব সময় শালীনতাকে অসম্ভব রকম গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রকাশ্যে তিনি কখনো একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তির মতো আচরণ করেন না। তাঁর দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো গোষ্ঠী যদি জঙ্গিদের সুরে কথা বলে, তখন তা নিশ্চয় সমর্থনযোগ্য নয়।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের দেশব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের পর এটা ধারণা করা গিয়েছিল যে দেশে জঙ্গিবাদের চাষাবাদ বন্ধ হবে। বর্তমান সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে অনেকটা বন্ধ হয়েছে ঠিক, কিন্তু তা অন্য আবরণে ফিরে আসার জোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের রয়েছে বিরাট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং দেশে ও দেশের বাইরে একটি শক্ত নেটওয়ার্ক। তাদের কাজকর্মের কায়দাকানুনের সঙ্গে অনেক সময় আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাল মেলাতে পারে না। পুলিশবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে বড় ধরনের তেমন কোনো অভিযোগ না থাকলেও তাদের অনেকের সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা অনেক সময় নিরীহ মানুষকে হয়রানি করতে যতটুকু তৎপর, আইন ভঙ্গকারীদের প্রতি ততটাই উদাসীন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে চাই আরো দক্ষ ও কার্যকর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা তৎপরতা। লাগাম টেনে ধরতে হবে আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে বেসাতি করে এমন সব ব্যক্তি আর সংগঠনের। শেখ হাসিনা একা দেশের জন্য যে পরিশ্রম করেন বাকিরা (ব্যতিক্রম বাদ দিলে) তার সিকি ভাগও করলে বাংলাদেশে আর কখনো ১৭ আগস্টের পুনরাবৃত্তি হবে না। অর্জনের ফল পেতে সময় লাগে। দুষ্কর্মের ফল পেতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। এই বাস্তব উপলব্ধিটা দলের নেতাকর্মীদের হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা রাখে। বাংলাদেশ আর কখনো আরেকটি ১৭ অথবা ২১ আগস্ট দেখতে চায় না। বাংলাদেশ যে জঙ্গিবাদ দমনে সক্ষম, তা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। কয়েকজন অপরিণামদর্শী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীরও কারণে তাকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন