কথাবার্তায় সংযমী হওয়া উত্তম
06 July 2015, Monday
ইসলামে পবিত্রতম মাস রমজান। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মাস সংযমের মাস। আল্লাহ এই মাসে শয়তানকে নাকি বন্দি করে রাখেন। যেসব বান্দা সারা বছর নামাজ-কালাম করে না, তারাও রমজানের চাঁদ দেখা গেলে মাথায় টুপি দিয়ে বের হয়। ঘুষখোর, চষমখোর, মদখোর, আদম ব্যাপারী, মাদকসেবী, চোরাকারবারি, মানুষ পাচারকারী, ভেজাল সেমাই কারখানার মালিক, পকেটমার- কেউ বাদ যায় না। এবারের রোজা শুরু হয়েছে শুক্রবারে। জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি মসজিদে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। রোজার প্রথম শুক্রবার বলে কথা! পরের শুক্রবারে তেমনটি আর দেখা গেল না। শেষেরটায় আবার দেখা যাবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তেমন একটা হেরফের হয় না। রমজান চলে গেলে ইবাদতের সেই স্পৃহা অনেকের মধ্যে দেখা যায় না। রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনকে বলা হয় রহমতের কাল। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে করুণা ভিক্ষা। দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত, মানে পাপের ক্ষমা। আর শেষ ১০ দিন নাজাত, পাপ ও দোজখ থেকে পরিত্রাণ। মুসলিম বিশ্ব এখন মাগফিরাতের সময়কাল অতিক্রম করছে। এই মাসে বিশ্বের মুসলমানরা তাদের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে বেশি করে ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী কারো অমঙ্গল কামনা করা মহাপাপ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা কিতাবের কথাবার্তা তেমন একটা শোনেন না। আর ব্যক্তিটি যদি ক্ষমতা হারানো বেগম জিয়া হন, তাহলে তো কথাই নেই। বেগম জিয়া দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন। একবার সংক্ষিপ্ত সময়সহ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হন। প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরের বার ক্ষমতায় ফিরে আসার। বাংলাদেশের অতীত রাজনৈতিক ধারা বিশ্লেষণ করলে তা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু তিনি সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে নিজের পন্থা অনুযায়ী ক্ষমতায় যেতে চাইলেন। তাঁর প্রধান মন্ত্রণাগুরু নিজের জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানের বাইরে চিন্তা করার মতো মেধা নেই। তাঁর পরামর্শে দেশের রাজনীতিতে আমদানি হলো পেট্রলবোমার মতো ভয়ংকর জীবন হরণকারী অস্ত্র। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নির্বিচারে সেই পেট্রলবোমার ইস্তেমাল হলো চারদিকে। মারা পড়ল এক শর বেশি নিরপরাধ মানুষ। ধ্বংস হলো হাজার কোটি টাকার সম্পদ। দলের বাঘা বাঘা নেতারা জানিয়ে দিলেন কত মানুষ মরল তা গোনা-গুনতির সময় নেই। দলকে যেকোনোভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে। পাশে সাহস জোগালেন নষ্ট হয়ে যাওয়া এক দল সুধী। আওয়ামী লীগের ভেতরের কিছু দুর্বল চিত্তের নেতার দোদুল্যমানতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থানের কারণে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচন বয়কট করল বিএনপি-জামায়াতসহ তাদের নেতৃত্বে থাকা এক দল হোন্ডা পার্টি। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর বেগম জিয়া আর তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গ বললেন, নির্বাচন হলে কী হবে, শেখ হাসিনা এক বছরও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই এক বছর থেকে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করার দিন থেকে আবার পেট্রলবোমার হামলা শুরু হলো। আবার শখানেক নিরীহ মানুষের প্রাণহানি। দুই দফায় গুরুতর আহত হলো আরো শদুয়েক। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া আর দশটা রাজনৈতিক দলের একটির নেতা। সংসদ-রাজপথ কোথাও নেই তাঁর দল। এই মুহূর্তে বিএনপির অবস্থা দেখে মনে হয় না, তারা নিকট ভবিষ্যতে আর ক্ষমতায় আসবে। আসতে হলে অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন। তা করার সক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে। দল অনেকটা অবসরে। কারো কারো মতে, স্থায়ীভাবে অবসরে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ছুটি।
দল অবসরে থাকলেও বেগম জিয়ার রমজানে ইফতারনির্ভর রাজনীতি কিন্তু থেমে নেই। রহমতের ১০ দিন শুরু হতেই তিনি নিজ দলের ও শরিকদের ইফতারে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন। ইফতারের শুরুতে উপস্থিত হাজিরানে মজলিশের উদ্দেশে কিছু সময় বয়ান করছেন, যার প্রায় সবটুকুই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'লেডি হিটলার' উপাধি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, তাঁর নেতৃত্বে এমন আন্দোলন শুরু হবে যে তা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেবে এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হবেন। শেখ হাসিনাকে উপদেশ দেন, তখন কোথায় পালাবেন তা ঠিক করে রাখেন। তাঁকে তুলনা করেন 'হীরক রাজা'র সঙ্গে। অবাক হলাম, তিনি 'হীরক রাজা'র নাম শুনেছেন! এর আগে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ করে দিতেন। তা তিনি কেন করতেন সম্প্রতি সৌদি দূতাবাসের কিছু গোপন দলিল উন্মোচিত হওয়ার পর বোঝা গেল। এটি ২০১৩ সালের কথা। সেই দলিল থেকে জানা গেল, সে সময় বেগম জিয়া ও তাঁর দলের ষড়যন্ত্রের চাকা ওভারটাইম কাজ করছিল। সরকার সেই চাকা সময়মতো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে থামাতে সক্ষম হয়েছিল। এখনো ষড়যন্ত্র থেমে গেছে তা মনে করার কোনো কারণ নেই। কথাবার্তায় সংযমী হওয়া উত্তম বেগম জিয়া গেলেন জামায়াতের ইফতারে দুই মিনিট দেরি করে। ইফতার শুরু করলেন ৯ মিনিট পর। তিনি পথে খেজুর-শরবত খেয়ে রোজা খুলেছিলেন কি না জানি না। তাঁর জন্য জামায়াতের নেতারাও অপেক্ষা করেছেন। সময়মতো ইফতার না করলে রোজা নষ্ট হয় তা-ও কিতাবে আছে। বেগম জিয়া জামায়াতের ইফতারে গিয়ে কোনো বয়ানে শরিক না হলেও সবাইকে একটা বার্তা দিয়েছেন। যে যতই যা বলুক, তিনি জামায়াতকে ছাড়বেন না। ছাড়লে তাঁর হুকুমে পেট্রলবোমা কে মারবে? আর এক ইফতারে গিয়ে বেগম জিয়া বলেন, এই রমজান মাসে মানুষ বেশ কষ্টে আছে। রাস্তায় নামলে তা মনে হয় না। সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে এই রমজানে শুধু ইফতারের সময় দেশে ৭০ হাজার কোটি টাকার ইফতারের কেনাকাটা হবে। এনবিআরের হিসাব মতে, গত ঈদে মানুষ চার হাজার কোটি টাকার ঈদ বাজার করেছে। সরকারি কর্মকর্তা আর কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ হলো। বেজায় আপত্তি বেগম জিয়ার। বললেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার সুবিধা বিলি করছে। বলতে পারতেন ভবিষ্যতে তিনি ক্ষমতায় গেলে বেতন আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে। বেগম জিয়া ইফতারের পূর্বমুহূর্তে বলেন, সরকার পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন দিচ্ছে না। সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দিয়েছিল। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা চেষ্টার কম করেননি। বেগম জিয়ার সাফ কথা, তিনি নির্বাচনে জিতবেন এমন একটি অসাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হলেই তিনি অংশগ্রহণ করবেন। সেটি সম্ভব নয়। বর্জন করলেন সেই নির্বাচন। সরকার না চাইলে ২০১৯ সালের আগে নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখি না। ক্ষমতার বাইরে এত দিন অপেক্ষা করতে পারাটা বেগম জিয়ার জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। সময় কাটাবেন কী করে? আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। জনগণ তাদের পরে ক্ষমতায় এনেছে।
মিথ্যা কথা বলা, গিবত অর্থাৎ পরনিন্দা-পরচর্চা করা হারাম। ইসলাম ধর্মে এ বিষয়টিকে রমজানে বিশেষভাবে নিষেধ করা হয়েছে। সবাই কিতাব মেনে চলেন, তা হলফ করে বলা যায় না। চললে ইফতারের পূর্বমুহূর্তে মিথ্যা কথা কেউ বলতেন না অথবা রোজার মাসে হারাম কাজ থেকে সবাই বিরত থাকতেন। নাজাতের সময় শুরু হলে বেগম জিয়ার পবিত্র মক্কায় যাওয়ার কথা আছে। যাঁরা এই সময় এই নগরীতে যান তাঁরা সবাই পাপ থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। আমিও চেয়েছি। বেগম জিয়াও চাইবেন আশা করি। লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানেরও তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা আছে। হলে আরো ভালো। সম্ভবত আরো কয়েক নাজাতের সময় তাঁকে এখানে আসতে হবে। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য পবিত্র মক্কায় মোনাজাত হয়েছিল। সেই মোনাজাত কাজে আসেনি; কারণ তা বদ-মতলবে করা হয়েছিল। বেগম জিয়া পবিত্র কাবা শরিফে মোনাজাত করার সময় তা মনে রাখলে ভালো।
বেগম জিয়া যখন ইফতার রাজনীতিতে ব্যস্ত ঠিক তখনই দেশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেল। প্রথমটি সংসদে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট পাস হলো। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। ৪৩ বছরের মাথায় তা প্রায় তিন লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিএনপি বলল, ভুয়া সরকারের ভুয়া বাজেট। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে বসিয়ে বাজেট ঘোষণা করা হতো, কারণ তাঁর সময় সরকার ছিল অসাংবিধানিক। বিএনপি যা-ই বলুক, এই বাজেটের মধ্য থেকেই এই অর্থবছর দেশ পরিচালিত হবে। কারো পছন্দ না হলে তিনি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। এই প্রথমবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। বেগম জিয়ার সময় তা তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়ালে সে কী একটা হইচই! এই রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশ আগামী সাত মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। সব শেষে বাংলাদেশের বড় অর্জন বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয়ের নিরিখে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের ক্লাবের সদস্য হয়েছে, যা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। সঙ্গে আছে ভারত ও পাকিস্তান। বিএনপি তো বটেই, এতে অনেকেই খুশি হয়নি। কারণ তা তাদের দুই চোখের বালু শেখ হাসিনার সময় হয়েছে। কারো কারো মতে, এর ফলে মানুষের আয় যে রাতারাতি দ্বিগুণ হয়ে গেল তা নয়। শুধু মর্যাদা বাড়ল। মর্যাদা তাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাদের প্রত্যাশা বাংলাদেশ আজীবন 'ফকিন্নি'দের ক্লাবে থাকুক। এমন চিন্তা বেগম জিয়ার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান করতেন। বলতেন, 'ফকিন্নিদের ক্লাবে (স্বল্পন্নোত দেশ) থাকলে খয়রাত-ভিক্ষা বেশি পাওয়া যায়।' পবিত্র মাসে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। কথাবার্তায় এখন মনে হয় তিনি বিএনপির বেতনভুক কর্মকর্তা। তাঁর মতে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পেছনে সরকারের কোনো অবদান নেই। অবদান দেশের মানুষের। এমন আহাম্মকি কথা তিনি কী করে বলেন বুঝতে পারি না। যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যবাহিনী যুদ্ধ করে। তাদের পরিচালনা করেন সেনাপতি। যোগ্য সেনাপতি না থাকলে যুদ্ধে বিজয় সম্ভব নয়। এখানে সমষ্টিগতভাবে সরকার দিকনির্দেশকের দায়িত্ব পালন করেছে, আর প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটি স্বীকার করে নিতে কার্পণ্য হীনম্মন্যতার পরিচায়ক। বেগম জিয়ার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন, সরকার সব মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। গণতন্ত্র আর উন্নয়ন পরস্পরবিরোধী নয়। তবে পেট্রলবোমার গণতন্ত্র না থাকলে দেশ ও জনগণের কোনো ক্ষতি নেই। কারো কারো মতে, এখন সরকারের অসময়ে হানিমুন চলছে। হানিমুনের সময় থাকে না। এখন তো মানুষ ৭০-৮০ বছরে বিয়ে করেও হানিমুনে যায়। যে যতবার বিয়ে করে সে ততবার যায়। শীত বা গ্রীষ্ম যেকোনো সময়। বলা যেতে পারে সরকারের এখন পৌষ মাস। তবে সেই পৌষ মাসেও সরকারের সর্বনাশ করার চেষ্টা অনেকেই করছেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড তার একটা ভালো উদাহরণ। হলমার্ক আর বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি তো আছেই। এসব বিষয়ে পরে লেখার ইচ্ছা রইল। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশ যদি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশই হবে, তাহলে এত মানুষ অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিতে চায় কেন? তাদের জানা উচিত, সব দেশেই এই রকম কিছু মানুষ থাকে, যারা নিজ দেশের সুযোগ-সুবিধা কাজে না লাগিয়ে অন্য দেশে নিজের ঘরবসতি বানানোর চেষ্টা করে। বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেই দেশে ভারতের পর সবচেয়ে বেশি মানুষ রাস্তা আর পার্কে ঘুমায়। তারা গৃহহীন। কারাগারের কয়েদির সংখ্যার দিক থেকে সেই দেশ সব সময় প্রথম ছিল।
বেগম জিয়া নাজাতের সময়কালে পবিত্র মক্কায় যাবেন। তিনি নিজেরসহ সবার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন- এই প্রত্যাশা করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন