একই দিনে দুটি সাড়া জাগানো খবর সচরাচর ঘটে না, এবার বাংলাদেশে ঘটল। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী ব্রাদার্সের বড়জন মহাপ্রতাপশালী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। একই সঙ্গে তিনি দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্যপদটিও হারিয়েছেন এবং দলের সদস্যপদও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁকে এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে, কেন তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না। দ্বিতীয়জন যিনি একই দিন সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন তিনি কক্সবাজার-৪ আসনের স্বনামে খ্যাত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বরখাস্তের সিদ্ধান্ত যেহেতু মন্ত্রিসভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন এবং তা রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছেন সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের জন্য তাঁর বড় নিন্দুকও যদি তাঁকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি হীন্মমন্যতায় ভুগছেন। আর বদিকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতের। তিনি যেহেতু সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য এবং যেহেতু এ প্রসঙ্গে সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাঁর আটকের ব্যাপারেও সরকারের কোনো আপত্তি ছিল না এবং এ ব্যাপারে সরকারও আদালতে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি; বরং নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে কারাগারে পাঠাতে সরকারের অনুমতি নিতে হয়েছে। এ ব্যাপারেও সরকার বাহবা পেতে পারে। প্রথমে আসি লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে।
টাঙ্গাইলে সিদ্দিকী পরিবারের দাপট ও ক্ষমতা সম্পর্কে ওই জেলার সবাই ওয়াকিবহাল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে শেখ হাসিনা টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে মনোনয়ন দেন। তখন কাদের সিদ্দিকী কারাগারে। সেবার স্বল্প ভোটে তিনি পরাজিত হন। পরবর্তীকালে ১৯৯৬ সালে তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু কাদের সিদ্দিকীকে খুবই স্নেহ করতেন এবং বাকশাল প্রবর্তন হওয়ার পর তাঁকে জেলা গভর্নর নিয়োগ দেন। সেই মেয়াদে কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে ঘরবাড়ি দখলসংক্রান্ত নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে অযথা বিতণ্ডার সূত্রপাত করেন। পরবর্তীকালে তিনি নিজে একটি দল গঠন করে তার সভাপতি হন এবং সুযোগ পেলেই শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আগে তাঁর সম্পর্কে তেমন কোনো উৎপাতের বা বড় ধরনের কোনো অভিযোগের কথা শোনা যায়নি; বরং মাঝেমধ্যে তিনি তাঁর ছোট ভাইয়ের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। তবে আশির দশকে প্রবাসে থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সভাপতি হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। আবার ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানও নিয়েছিলেন। অনেকের মুখে শুনেছি, তিনি প্রচুর পড়াশোনা করেন। তবে যে মানুষটি এত পড়াশোনা করেন, তিনি হঠাৎ করে রাজনীতিতে এমন একজন বড় মাপের খলনায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হবেন আগে তা কল্পনা করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে তিনি গিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কে। মতান্তরে তিনি সফরসঙ্গী ছিলেন না। তিনি মেক্সিকোতে যাচ্ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার আনতে। এই ফাঁকে নিউ ইয়র্কে যাত্রা বিরতি। ২৭ সেপ্টেম্বর, যেদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করবেন, সেদিন লতিফ সিদ্দিকীকে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসী একটি রেস্টুরেন্টে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে। সেই সংবর্ধনা সভায় সবাইকে হতবাক করে দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী মুসলমানদের অন্যতম ফরজ হজ নিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। একইভাবে মন্তব্য করেন তাবলিগ জামায়াত নিয়ে। বলেন তিনি জামায়াতকে যত ঘৃণা করেন তার চেয়েও বেশি করেন হজ ও তাবলিগ জামায়াতকে। তিনি খুবই তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর নাম উচ্চারণ করেন ও প্রবাসী বাঙালিদের কামলা বলে আখ্যায়িত করেন। টক শোতে যাঁরা অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন ও সাংবাদিকদের একহাত নেন। প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও চরম অপমানজনক উক্তি করেন এবং আবিষ্কার করেন, তাঁকে নাকি বাংলাদেশ সরকার এক কোটি ৭০ লাখ টাকা বেতন দেয়। এত বেতন সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও পান না। অথচ জানামতে, জয় বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোনো বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন না। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক একজন উপদেষ্টা মাত্র, সরকারের কেউ নন। বলাবাহুল্য, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য দেশে ও দেশের বাইরে ধর্মপরায়ণ মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে চরম আঘাত করেছে। লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করার আগেই শুনেছেন এবং লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, তিনি দেশে ফিরেই এহেন অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যের জন্য লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ফিরতি পথে তিনি সিলেটে এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতিকালে সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা করেন, তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন দৃঢ় অবস্থানই মানুষ প্রত্যাশা করে
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য নিয়ে বিএনপি তো বটেই, আরো অনেকেই রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তৎপর হয়েছিল। বিএনপি গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে না পেরে কয়েক মাস ধরে নিয়মিত আন্দোলনের হুমকি দিয়ে চলেছে; কিন্তু তেমন একটা জুত করতে পারছে না। কারণ দেশের মানুষ একেবারে স্বর্গে না থাকলেও তেমন একটা অশান্তিতে নেই। তারা আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমায় পুড়ে জীবন দিতে রাজি নয়। মির্জা ফখরুল আবার সব কিছুতেই ধূম্রজাল আবিষ্কার করতে সচেষ্ট থাকেন। বললেন, প্রধানমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে এক ধরনের ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দল ও মন্ত্রিসভা থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের বিষয়টি 'আইওয়াশ'। বিএনপির এই সব নেতার বোঝা উচিত, মানুষ এখন তাঁদের বক্তব্য তেমন গুরুত্ব সহকারে নেয় না। তাঁরা এখন অনেকটা সিনেমার রিলিফ কমেডিয়ান। লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন; যদিও কেউ কেউ অনুমান করছেন, ব্যবস্থা নিতে এই যে সপ্তাহ দুয়েকের মতো সময় লাগল, তাতে নিশ্চয় কোনো ষড়যন্ত্র ছিল। এটি তাঁদের না বোঝার কোনো কারণ নেই, মন্ত্রিসভার একজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কাছেই পদত্যাগ করতে পারেন এবং তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেন, আর তাঁকে অপসারণ করতে হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগে। তাঁদের দুজনই তখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ রকম ব্যবস্থা সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আগে কখনো আর ঘটেনি। রাষ্ট্রপতি জিয়া ১৯৮০ সালে ব্যারিস্টার মওদুদকে অপসারণ করেছিলেন। তখন দেশে রাষ্ট্রপতির শাসন বলবত ছিল।
শেখ হাসিনার এই দ্রুত পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আমলের কথা মনে করিয়ে দিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসনামলে দুর্নীতি, দেশবিরোধী তৎপরতা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭২ সালের ৬ এপ্রিল গণপরিষদের ১৬ জন সদস্যকে বহিষ্কার করেন। ৯ এপ্রিল করেন আরো সাতজনকে এবং সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর ১৯ জনকেসহ মোট ৪২ জন গণপরিষদ সদস্যকে সংসদ ও দল থেকে বহিষ্কার করেন। তাঁর কন্যার কাছ থেকেও মানুষ এমন কঠোর ও দৃঢ় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে। এই যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে হতাশ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দেশের মানুষের প্রত্যাশা সম্পর্কে সব সময় স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। দেশের মানুষ মনে করে, তাঁর বর্তমান মন্ত্রিসভা আগেরবারের তুলনায় অনেক গতিশীল সত্য, তবে সবারই যে মন্ত্রিসভায় থাকার যোগ্যতা আছে, তা কিন্তু নয়। আওয়ামী লীগের মতো এত বৃহৎ একটি দলে যোগ্য ব্যক্তির অভাব নেই, কিন্তু তাঁদের সব সময় কাজে লাগানো হয় না। আর সবাই দুর্নীতিমুক্ত, তা-ও হলফ করে বলা যাবে না। অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা ছাড়াও ক্লিন ইমেজের অনেক মন্ত্রী আছেন। অনেকে এক নিঃশ্বাসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অথবা যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম বলেন। মন্ত্রিসভায় নিশ্চয় আরো ক্লিন ইমেজের সদস্য আছেন। সবার নাম জানা সম্ভব নয়। অনেকের মতে, মন্ত্রিসভায় কিছু সদস্য আছেন, যাঁরা না থাকলে সরকারের কোনো ক্ষতি নেই এবং তাতে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাঁদের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ দেখি না। পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে যখন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক আপত্তি তুলল, তখন প্রথমদিকে একটু দ্বিধান্বিত থাকলেও তাঁকেও প্রধানমন্ত্রী সরিয়ে দেন। এতে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। এখন বিশ্বব্যাংক এসব কথিত দুর্নীতি নিয়ে চুপচাপ, আর দেশে যেসব মহল এই একটি প্রসঙ্গ নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল, তারাও এখন মৌনব্রত পালন করছে। বাংলাদেশে সুবিধাবাদিতা সর্বক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে।
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সব কিছু হারিয়ে এখন রাজনৈতিকভাবে অনেকটা দেউলিয়া। খবরে জানা গেছে, তিনি এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন এবং 'সবুজ সংকেত' পেলেই ফিরবেন বলে মনে করছেন। তবে এই 'সবুজ সংকেত' কে দেবেন, তা পরিষ্কার নয়। তিনি ঘোষণা করেছেন, তিনি আরো শক্ত কথা বলবেন এবং সক্রেটিস হবেন। বলার বাদ রেখেছেন শুধু যে তিনি নাস্তিক হবেন। অথচ তিনি নিজে ১৯৯৮ সালে হজ করেছেন। সবাই জানেন, তিনি বেশ পড়ালেখা করেন। তাঁর জানা উচিত, গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসকে যখন হেমলক বিষ পান করিয়ে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন, 'The hour of departure has arrived. And we go our separate ways-I to die and you to live. Which of these two is better, only God knows.' সক্রেটিসও জীবনের শেষ মুহূর্তে ঈশ্বরকে স্বীকার করেছিলেন। এ ব্যাপারে লতিফ সিদ্দিকীর মন্তব্য জানতে ইচ্ছা করছে।
টেকনাফের সংসদ সদস্য বদি। ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তাঁর পুরো পরিবারই এই কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ বহু পুরনো। ইতিমধ্যে তিনি এলাকার গডফাদার হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন। সব সময় হাতে কথা বলেন বলে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার চড়-থাপ্পড় খাননি স্কুলের শিক্ষক থেকে ইউএনও পর্যন্ত- টেকনাফের কোনো সরকারি কর্মকর্তা খুব কমই আছেন। সেই বদি এখন দুর্নীতির দায় কাঁধে নিয়ে কারাগারে। মানুষ প্রত্যাশা করে, বিচারের মাধ্যমে তাঁর যথোপযুক্ত শাস্তি হবে। এ তো গেল লতিফ আর বদি উপাখ্যান। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালানোর এখনই সময়। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার সামনে তেমন কোনো বড় চ্যালেঞ্জ নেই। এই অঙ্গসংগঠনগুলোকে 'সাইজ' করতে পারলে তিনি পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে দেশ শাসন করতে পারবেন। হত্যার দায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম প্রধানকে বঙ্গবন্ধু আইনের মুখোমুখি করেছিলেন এবং আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও দলের স্বার্থে কঠোর হতে পিছপা হননি। তাঁর কন্যাও প্রয়োজনে তেমনটি হবেন বলে মানুষ আশা করে। আর এতেই সবার মঙ্গল।
লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
( কালের কণ্ঠ)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন