দেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে জাপানের দ্বীপ ওকিনাওয়ার নাহা শহরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের জন্য অবস্থান করছি। ওকিনাওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেই যে যুক্তরাষ্ট্র দখল করেছিল, তা তারা ১৯৭২ সাল পর্যন্ত নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। আন্তর্জাতিক চাপ আর জাপানের জনমতের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে জাপানের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে এখানে এলে বোঝা যায় এই দ্বীপ জাপানের অন্যান্য দ্বীপের চেয়ে কত আলাদা। মনে হয়, প্রশান্ত মহসাগরের মাঝখানে একটি ছোট্ট আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরে যত মার্কিন জাহাজ টহল দেয়, তার ৭৫ শতাংশের মূল ঘাঁটি এই দ্বীপে। সাধারণ মানুষের মনে এই দ্বীপে মার্কিনদের আধিপত্য নিয়ে দারুণ ক্ষোভ। তারা মনে করে, এই দ্বীপে যত অপরাধ হয়, তার সিংহভাগের জন্য দায়ী দ্বীপে অবস্থানকারী মার্কিন সেনারা। বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের ব্যবধান তিন ঘণ্টা। স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় আমার এক বন্ধু বাংলাদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানালেন 'মেশিনম্যান তো বেঁচে গেল।' বুঝতে পারিনি। পরে মনে হলো, অনেকেই জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, যিনি দেইল্যা রাজাকার বলে পরিচিত তাঁকে কী কারণে যেন 'মেশিনম্যান' বলে। মনে ছিল না বুধবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দেওয়া ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারের উচ্চ আদালতে করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে। তাড়াতাড়ি দেশের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম খুলে দেখি, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন এবং রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাঈদীর ফাঁসির রায় বাতিল করে তার বদলে তাঁকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এটি ছিল একটি বিভক্ত রায়, অর্থাৎ আদালতের পাঁচজন বিচারপতি এই রায়ের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি যে রায় দেন, সেটিই বিবেচ্য হয়ে থাকে। বাকিদের দ্বিমত লিপিবদ্ধ থাকে। রায় দেওয়ার সময় মহামান্য আদালতের কারা এই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত করেছেন, তা জানা যায়নি। দ্বিমত দুই ধরনের হতে পারে। যাঁরা দ্বিমত করেছেন, তাঁরা সাঈদীকে বেকসুর খালাস দিতে চেয়েছিলেন অথবা হতে পারে তাঁরা ট্রাইব্যুনালের রায় বলবত রাখতে চেয়েছিলেন। যখন পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যাবে তখন পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর আমৃত্যু কারাদণ্ডের মধ্যে তফাত কী জানতে চাইলে আমার এক আইনজীবী বন্ধু জানালেন, প্রথমটি হলে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১৪ বছর কারা ভোগ করে; তবে আসামি যদি কারাগারে সদাচরণ করে, তাহলে তার সাজা কমও হতে পারে। আর দ্বিতীয়টি হলে আসামিকে মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হয়। জামায়াতের আমির গোলাম আযম আর বিএনপি নেতা আবদুল আলিমকে সাজা দেওয়ার সময় মহামান্য আদালত উল্লেখ করেছিলেন, ১৯৭১ সালে তাঁদের অপরাধ মৃত্যুদণ্ডযোগ্য হলেও বয়সের কথা চিন্তা করে তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলো। আলিম এরই মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে সাঈদীকে কী কারণে এই দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, তা এই লেখা লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এসব বিষয় সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। আমার উকিল বন্ধু আরো জানালেন, রায়ে এই রকম দণ্ড দিলে আসামি আমৃত্যু কারাভোগ করবে, তবে সে যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে তাহলে রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমাও করতে পারেন। তবে এগুলো আইনের ব্যাখ্যার ব্যাপার।
মানুষ আস্থা হারালে ক্ষতি সরকারের
রায় ঘোষণার পর ১৪ দল তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা আদালতের প্রতি সম্মান রেখে এই রায় মেনে নিয়েছে। জামায়াত-শিবির এই রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ও রবিবার হরতাল ডেকেছে। অনেকের কাছে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন বলে পরিচিত বিএনপি এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা গেল, রায় ঘোষণার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত দেশে ও দেশের বাইরে সাধারণ মানুষ এই রায়ে দারুণ ক্ষুব্ধ ও রায়ের পেছনে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আর মতলব আবিষ্কারে ব্যস্ত। অনেকে আমার কাছে এই রায় সম্পর্কে আমার মত জানতে চেয়েছেন। তাঁদের বলেছি, এই রায়ে আমি অনেকটা হতভম্ব আর হতাশ, ক্ষুব্ধ তো বটেই। বলেছি, জানার চেষ্টা করছি ট্রাইব্যুনালের কি এমন কোনো বিষয় চোখে পড়েনি, যা উচ্চ আদালত আমলে নিয়েছেন? দেশ থেকে এত দূরে বসে এসব বিষয়ে মন্তব্য করা সহজ নয়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল সাঈদীর মামলার রায় দেন। রায়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়; যার মধ্যে দুটি ছিল হত্যাকাণ্ড। এই রায়েই সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হয়। রায়ের বিরুদ্ধে সাঈদী উচ্চ আদালতে আপিল করেন আর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেন যে আটটি অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দিয়েছে তার বিরুদ্ধে (এটিও রায়ের অংশ)। মামলার শুনানি শেষ হয় গত ১৬ এপ্রিল এবং তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়, যে অপেক্ষার শেষ হলো বুধবার চরম হতাশার মধ্য দিয়ে। উচ্চ আদালতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরো তিনজনের রায় অপেক্ষমাণ আছে; যার মধ্যে আছেন জামায়াতের আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ও বিএনপির সাকা চৌধুরী। একাত্তরের আলবদর প্রধান জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় ট্রাইব্যুনালে অপেক্ষমাণ আছে। এর আগে একবার রায়ের দিন ধার্য করা হলে রায়দানের ঠিক আগ মুহূর্তে আদালতকে জানানো হলো, আসামি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আদালত রায় ঘোষণা পিছিয়ে দিলে এক দিন পর নিজামী সুস্থ হয়ে যান। পরেরবার আবারও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, তা বলা মুশকিল। তবে উচ্চ আদালতে সাঈদীর রায় ঘোষণার পর মনে হচ্ছে, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রতি অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকের আগাম ধারণা, আগামীতে যে রায়গুলো হবে, তাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁদের বলি, উচ্চ আদালতের ওপর মানুষের এখনো ভরসা আছে। তাঁদের উত্তর, সমস্যা উচ্চ আদালতের নয়, সরকারকে নিয়ে। তাঁদের ধারণা, সরকার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেছে। তাঁদের বোঝাতে ব্যর্থ হই, আদালত স্বাধীন এবং সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। আমার কথায় তেমন কেউ বিশ্বাস করলেন বলে মনে হলো না।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি দীর্ঘদিনের। দেশের মানুষ এ-ও জানে, সেই বিচার করা তখনই সম্ভব, যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি থাকে। হাজারও গলদ থাকা সত্ত্বেও এখনো দেশের আপামর জনগণ মনে করে, এই কাজটি শুধু আওয়ামী লীগকে দিয়েই সম্ভব। কারণ দেশের অন্য বৃহৎ দল বিএনপি কখনো এই বিচার করবে না। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া একাত্তরের এই দুর্বৃত্তদের প্রকাশ্যে শুধু রাজনীতি করারই অধিকার দেননি, তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া তাদের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশও করেছেন। ক্ষমতায় গেলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এমন অঙ্গীকার করেছিল। নির্বাচনে মানুষ তাদের প্রাণ খুলে সমর্থন জানিয়েছিল। আওয়ামী লীগও তাদের দেওয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী কিছুটা বিলম্বে হলেও বিচার কাজ শুরু করেছিল। মানুষ তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিচার না পেয়ে প্রথম হোঁচট খেল, যখন মিরপুরের কসাই হিসেবে খ্যাত কাদের মোল্লার একাত্তরে গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আবার বাদী পক্ষের, অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চ আদালতে আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণসমাজ এই রায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠাতে সরকার সংসদের মাধ্যমে আইনে পরিবর্তন এনে বাদী পক্ষেরও আপিল করার সুযোগের ধারা সংযোজন করে এবং উচ্চ আদালতে আপিল করে। আদালত কাদের মোল্লাকে একাত্তরে তাঁর কৃতকর্মের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে, যা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ না হওয়াতে সাধারণ জনগণের মনে নানা ধরনের সন্দেহ উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। একজন সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে লিখেছেন, রায়ের আগে সৌদি বাদশাহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি টেলিফোন করেন আর তাতেই রায় পাল্টে যায়। তিনি আরো লিখেছেন, এই মুহূর্তে জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই তিনি সব কলকাঠি নাড়ছেন। সৌদি বাদশাহ নাকি বলেছেন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড হলে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়া বন্ধ করে দেবেন। কাদের মোল্লার ফাঁসির আগে প্রকাশ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মোল্লাকে ফাঁসিতে না ঝোলানোর জন্য অনুরোধ করলে তা যিনি উপেক্ষা করতে পারেন, সেই শেখ হাসিনা কেন সৌদি বাদশাহর টেলিফোনে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড পাল্টে দিতে বিচারালয়ে হস্তক্ষেপ করবেন? আর তাই যদি হয়, তাহলে রায়টি বিভক্তি রায় কেন হলো? বেশির ভাগের মত হচ্ছে, সরকার এই মামলাটিসহ অন্য সব মামলাকেও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। তাতে নাকি আগামী নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থন তাদের দিকে আসবে। এমনটি যদি সত্য হয়, তাহলে সরকার বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি করা আর সাপের ঘরে বসবাস করা একই কথা। জামায়াত কী ধরনের হিংস্র সংগঠন, তা কাদের মোল্লার রায়ের দিন দেখা গেছে। এক দিনের হরতাল ডেকে তারা দেশে এক ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশসহ ৭০ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেই জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত! বিশ্বাস করি কিভাবে? অনেকের মতে রায়ের দিন জামায়াত-শিবির হরতাল না ডাকা মানে লক্ষণ ভালো নয়। নিজামীর রায় যে দিন পেছাল, সেদিন অথবা গত বুধবার হরতাল ছিল না। ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে, আর এতে যদি সন্দেহের বিন্দুমাত্র কারণ থাকে, তাহলে তা হবে আত্মঘাতী। একজন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কাছে বিচার চেয়েছিলাম তা তারা করছে। কিন্তু সব সময় প্রত্যাশিত বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। সামনের নির্বাচনে তাদের বাদ দিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তবে সেই মুক্তিযুদ্ধের সরকারে কারা থাকবেন তা পরিষ্কার নয়। আসলে এখনো বাংলাদেশের মানুষের সব কিছুর জন্য আওয়ামী লীগের কাছেই প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। যেকোনো কারণে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে এই দলটির ওপর ক্ষোভটাও বেশি হয়। আওয়ামী লীগ সব সময় এই বিষয়গুলো যে বুঝতে পারে, তা কিন্তু নয়। এই যেমন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রচণ্ড অভাব। তাদের দু-একজন ছাড়া সবাই বেশ পরিশ্রম করছেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের কাজে গাফিলতির কথা তেমন একটা শোনা যায়নি। তার পরও অনেক সময় আদালত কোনো কোনো প্রসিকিউটরকে কাজে গাফিলতির জন্য ভর্ৎসনা করেন। কোনো কোনো প্রসিকিউটরকে সওয়াল-জবাবের সময় অপ্রস্তুত মনে হয়। দুই-একজন প্রসিকিউটরের নিজেদের মধ্যেও পেশাগত টেনশন আছে। এসব বিষয়ের দিকে সরকার নজর না দিলে মানুষ তো হতাশ ও রায়ে ক্ষুব্ধ হতেই পারে।
আইনে লেখা আছে, রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে বিবাদী রিভিউ করতে পারবে না। বিবাদী পারবে না বলে যদি লেখা থাকে তাহলে রাষ্ট্রপক্ষের উচিত হবে দ্রুততম সময়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা। প্রয়োজনে আইনও সংশোধন করা যেতে পারে। সরকারের ওপর মানুষের আস্থা হারালে ক্ষতি সরকারের। বিচারাধীন মামলাগুলোর প্রত্যাশিত নিষ্পত্তি বর্তমান সরকারের আমলে যদি না হয়, তাহলে আর কখনো হবে না বলে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। এই বিষয়ে বর্তমান সরকারই শেষ ভরসা।
লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক
( কালের কণ্ঠ )
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন