স্কুলে থাকাকালে দর্শন শব্দটা নিয়ে বিদগ্ধজনের কাছ থেকে বেশ মজার মন্তব্য শুনেছি। একজন বলেছিলেন, ধরা যাক একটি ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘর, যেখানে একটি কুচকুচে কালো রঙের বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। তুমি সেটাকে ধরার চেষ্টা করছ, কিন্তু পারছ না। কেন পারছ না? প্রথমত, কালো ঘরে কালো বিড়াল, দেখাই তো যাবে না। আর আসল কথা হচ্ছে বিড়ালটাই যে সেখানে নেই। এ কথা শুনে হাসব না কাঁদব, সেটা ভেবে পেতাম না। দর্শন যে বিশেষ ধরনের জ্ঞানকাণ্ডের নাম, সেটা বুঝতে সমস্যা হতো না। দর্শনশাস্ত্রের মাহাত্ম্য আছে এবং সব জ্ঞানের শীর্ষে তার স্থান। ইংরেজিতে বলা হয়_ আর্ট অব অল আর্টস, সায়েন্স অব অল সায়েন্সেস। কিন্তু কালো টাকাও কি সত্যিই দর্শনের মতো অলীক কিছু বিষয়?
অর্থনীতিতে বল্গ্যাক মানি বা কালো টাকা বহুল আলোচিত শব্দ। এটা নিয়েও অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল সন্ধানের মতো হাসিঠাট্টা করা চলে। এ সূত্র ধরেই কেউ হয়তো বলবেন, বাংলাদেশের কোনো নোটই কালো রঙের নয়। ম্যাজেন্টা, সবুজ, বাদামি_ এসব রঙের প্রাধান্য নোটে। দুই টাকার নোটে অবশ্য দোয়েল পাখি রয়েছে, যার বর্ণ কালো। তবে এখন মূল্যস্ফীতির দাপটে এ ধরনের দোয়েল মার্কা কালো নোটের চল প্রায় উঠেই যাচ্ছে। আসলে আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, টাকা কালো বা সাদা যা-ই হোক, সেটা কী কাজে লাগানো হচ্ছে এবং কেমন করে লাগানো হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক কর্মকর্তা ড. জায়েদী সাত্তার সম্প্রতি অর্থজগৎ পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে যে কালো টাকা রয়েছে সেটা বাংলাদেশেই ঘুরছে। সুতরাং কালো টাকাকে সাদা করার জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনা প্রদানের প্রয়োজন নেই। তার কথার মর্মার্থ দাঁড়ায়_ অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ উপার্জনকারীর পকেটে বা সিন্দুকে যদি আটকা পড়ে থাকত, তাহলে সেখানে অর্থমন্ত্রীর উচিত হতো কালো টাকা সাদা করা অর্থাৎ বিনিয়োগে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান।
কিন্তু যেহেতু কালো টাকা ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিমধ্যেই খাটছে কিংবা আরও কালো টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে, সেহেতু নতুনভাবে ফ্ল্যাট কিনলে তাকে সাদা করে দেওয়া হবে, এমন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না।
আসলে কালো টাকা কী? আমরা জানি, অবৈধ উপায়ে কোনো উপার্জন করলে সে উপার্জন আয়কর রিটার্নে দেখানো সম্ভব হয় না। কোনো সরকারি দফতরের পিয়ন এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ফাইল নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০-২০ টাকা ঘুষ নিচ্ছে_ এ ধরনের আয়ের কথা বলছি না। কারণ অত অল্প উপার্জন করযোগ্যই নয়! আমি বলতে চাই রাঘববোয়ালদের কথা। কোটি কোটি টাকা লেনদেনে এক শতাংশ হারে ঘুষ বা কমিশন নিলেও অনেক টাকা হয়ে যায়। চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, অল্প কেনাবেচা_ এসব খাত থেকে অনৈতিক পথে বিপুল সম্পদ কারও হাতে আসতে পারে। সেটা দেশের ভেতরে আসতে পারে কিংবা দেশের বাইরে চলে যেতে পারে। এসবই করের রিটার্নে দেখানো যায় না। এরাই হচ্ছে আসল কালো টাকা। এর অর্থ হচ্ছে, কালো টাকা চিহ্নিত করতে হলে উৎসস্থলে কী প্রক্রিয়ায় জন্ম, সেটা চিহ্নিত করতে হবে। অবৈধ পন্থায় অনুপার্জিত অর্থকেই আমরা কালো টাকা বলে থাকি। যে আয়ে কষ্ট আছে, শ্রম আছে, স্বচ্ছতা আছে, সে আয়কে কালো টাকা বলা চলে না। তবে কর ব্যবস্থার প্রকৃতি এমন হতে পারে, যে কেউ কর প্রদানে ঝামেলা বা নিছক অবহেলা বা কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যও স্বচ্ছভাবে উপার্জিত অর্থ ট্যাক্স রিটার্নে দেখায় না, বরং গোপন রাখে। তখন সে অর্থ অপ্রদর্শিত কালো টাকায় পরিণত হয়। পাঠক, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে আমি এ ধরনের অপ্রদর্শিত কালো টাকা এবং প্রকৃত কালো টাকার মধ্যে পার্থক্য টানতে চাইছি।
ধরা যাক, কোনো পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক তার রফতানি থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ বিদেশেই রেখে দিতে চান। এ অবস্থায় তিনি হয়তো বিদেশি ক্রেতার সঙ্গে গোপনে সমঝোতায় আসেন এভাবে_ তার যা মূল্য হিসেবে প্রাপ্য, তার তুলনায় এলসি ও অন্যান্য ডকুমেন্টে কম দেখাবেন এবং সে অর্থ বিদেশে জমা পড়বে। এ বিষয়টি আন্ডার ইনভয়েসিং হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে মেশিন, কাঁচামাল এসব কেনার সময়ে প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি দেখিয়েও দেশ থেকে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলেই অর্থ দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। এভাবে নিজের নামে বা বেনামে বিদেশে অর্থ জমা করা সম্ভব। এ পন্থায় যে কালো টাকা সৃষ্টি হয় সেটাকে কি আমরা অবৈধ পন্থায় রোজগার বলব? এমনটি বলা যাবে না। কারণ তিনি উপার্জন করেছেন বৈধভাবে, কিন্তু ব্যবহার হয়েছে অবৈধ ও সেই সূত্রে অপ্রদর্শিত এই আয় থেকে সরকার কোনো কর পায়নি। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশে কালো টাকার সমস্যা যত না তীব্র, তার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র এই পুঁজি পাচারের সমস্যা। পুঁজি পাচার বলতে বোঝাচ্ছি বৈধ-অবৈধভাবে উপার্জিত আয়ের একটি অংশ বিদেশে পাচার করে সরকারের কর বিভাগকে ফাঁকি প্রদান করা। এটাও অপ্রদর্শিত আয়। কিন্তু এ অর্থ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতিশীল ও সঞ্চারমান কোনো অর্থ নয়। সুতরাং জায়েদী সাত্তার যেমন বলেছেন, বাংলাদেশে কালো টাকা থাকলে অসুবিধা কী, সেটা আংশিক সত্য। অবশ্য তিনি এটাও বলেছিলেন যে, নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কালো টাকা অপ্রদর্শিত হোক কিংবা পাচারকৃত হোক_ দুটিই সমানভাবে অগ্রহণযোগ্য। তবে তিনি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে চালু থাকা কালো টাকাকে ততটা ক্ষতিকর মনে করেন না।
এখন আমি একটা হাইপোথিসিস বলব। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি সম্প্রতি বহুল আলোচিত। এ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে_ এটা গুরুতর অভিযোগ এবং এ জন্য পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ধরা যাক, অন্তত চার হাজার কোটি টাকা অনিয়ম করে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ধনবান কিছু লোককে এ অর্থ ব্যাংক থেকে সরিয়ে নিতে যারা সহায়তা করেছেন, তারা এ অর্থের ১০ শতাংশ হারে কমিশন নিয়েছেন। অর্থাৎ ৪০০ কোটি টাকা কমিশন বাবদ হাতে এসেছে এবং এটা চারজনের মধ্যে বণ্টন হয়েছে ১০০ কোটি টাকা করে। যারা এ অর্থ হাতে পেয়েছেন, তারা কীভাবে এর ব্যবহার করবেন বলে আপনাদের মনে হয়? এর সবটাই কি দেশের বাইরে পাচার হবে? আবার যে ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পুরো অর্থ বিনিয়োগ করেনি তারাই-বা সে অর্থের ব্যবহার কীভাবে করেছে? ধরা যাক, একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী বেসিক ব্যাংক থেকে অনিয়ম করে দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। তারা এর জন্য রাজনৈতিক নেতা ও ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ঘুষ দিয়েছে ১০ শতাংশ হারে ২০০ কোটি টাকা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমোদ-প্রমোদ ও ফুর্তির পেছনে স্থানীয় বাজারে ব্যয় করেছে ১০ কোটি টাকা। আয়কর বিভাগকে খুশি কিংবা তাদেরকে করের ব্যাপারে উদাসীন রাখার জন্য ব্যয় করেছে ১০ কোটি টাকা। এভাবে যে ২২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে তার প্রায় সবটাই দেশের ভেতরে ঘুরছে। এর পর ব্যাংক থেকে যে অর্থ ওই গোষ্ঠী নিয়েছে তা থেকে হাতে থাকে ১৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ধরা যাক তারা ৭৮০ কোটি টাকা দেশের ভেতরেই স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় এবং বৈধ-অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছে। বাকি এক হাজার কোটি টাকা হয়তো বাইরে পাচার করেছে। অর্থাৎ দুই হাজার কোটি টাকা ঋণের/লুটের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকাই হয়তো বাইরে পাচার হয়ে গেছে [তবে ব্যাংক থেকে নেওয়া সব ধরনের খেলাপি ঋণের বা মন্দ ঋণের অর্থ এভাবে পাচার হয়েছে বা হচ্ছে, তেমন সহজ হিসাব করা ঠিক হবে না]। এ ধরনের অর্থ পাচারের অপ্রত্যক্ষ প্রমাণ পাই আমরা কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ধনিক শ্রেণীর নতুন সম্পত্তি ক্রয়ের হিড়িক থেকে। তাদের কেউ কেউ সন্তানদের বিদেশে লেখাপড়ার জন্য অঢেল অর্থ ব্যয় করেন, সে রকম অনেক ঘটনাও আমাদের জানা।
আমার মতে, বাইরে যে অর্থ গেল সেটা অর্থনীতিতে যত না ক্ষতি করে তার তুলনায় দেশের ভেতরে ঘুরপাক খেতে থাকা অর্থ ততটা করে না। সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এই পাচার করা কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা। এ বিষয়টি কেবল ড. জায়েদী সাত্তার নয়, মূলধারার অনেক অর্থনীতিবিদকেই বর্তমানে আলোড়িত করছে। স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যেও এ তাগিদ স্পষ্ট। আমরা জানি যে, বাংলাদেশে সঞ্চয়ের হারের তুলনায় বিনিয়োগের হার কম। ২০১৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ হার ছিল জিডিপির ২১.৩৯ শতাংশ এবং সরকারি বিনিয়োগ ৭.৩০ শতাংশ। অর্থাৎ মোট বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৮.৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, জাতীয় সঞ্চয় ছিল ৩০.৫৪ শতাংশ। প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে ২ শতাংশের মতো পার্থক্য তার অর্থমূল্য কত? আমাদের জিডিপির পরিমাণ চলতি হিসাবে সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকার মতো। এর ২ শতাংশ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এই অর্থ সঞ্চয় হয়েছে, কিন্তু দেশের ভেতরে বিনিয়োগ হয়নি। এ অর্থ যারা সঞ্চয় করেছেন, তারা কি সব বিদেশে থাকেন এবং বিদেশেই টাকাটা রেখে দিয়েছেন? তা কি দেশে তৈরি হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে?
কারও কারও মতে, এ অর্থ দেশের বাজারেই আহরিত এবং চোরাপথে বিদেশে পাচারকৃত হয়েছে। এর একটি অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। তবে সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়ের বা বিনিয়োগের হিসাবে আসছে না। নানা ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির চাকচিক্য নিয়ে যে ধাঁধা বা পাজল, এটাই তার কারণ হতে পারে। কেউ কেউ এ সূত্রেই এটা বলেন যে, যেহেতু এ অর্থ সঞ্চিত হয়ে বিনিয়োগে সক্ষম কিন্তু অনিচ্ছুক ব্যক্তিদের হাতে আছে, তাদের সুযোগ দেওয়া হলে অবশ্যই তারা দেশেই বিনিয়োগ করবেন এবং অর্থনীতিতে গতি আনবেন। আমি ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের/লুটের পরিব্যয় সংক্রান্ত যে হিসাব উল্লেখ করেছি তাতে দেখা যায়, সব টাকা দেশে সঞ্চিত অবস্থায় বিরাজমান নেই। ধরা যাক, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের যে ব্যবধান তা জিডিপির ২ শতাংশ বা ২৭ হাজার কোটি টাকা_ এর অর্ধেক ধরে নিচ্ছি বৈধভাবেই বাইরের বাঙালিরা উপার্জন করে বাইরে সঞ্চয় করে রেখেছেন। কিন্তু বাকি অর্ধেক অর্থাৎ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হয়তো দেশ থেকেই বাইরে অবৈধভাবে কালো টাকারূপে পাচার করা হয়েছে। আরেকটু এগিয়ে বলতে পারি, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি কিছু ব্যক্তির নামে-বেনামে যে তিন হাজার কোটি টাকা রয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সেটাও হয়তো অনেকখানি এ ধরনের অর্থেরই অংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি হতে দেখছি। তার অর্থমূল্য বের করতে পারলে এবং তার উৎস নিয়ে হিসাব-কিতাব করলে নিশ্চয়ই কিছু কালো অর্থের সন্ধান মিলবে। কিন্তু বিদেশেও তো অনেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ি কিনছেন। তার হিসাব তো বাইরে চলে গেছে। যে অর্থ আদপেই দেশে নেই, সেটা ধরবেন কীভাবে, ফিরিয়েই-বা আনবেন কোত্থেকে? সুতরাং প্রণোদনা এখানে কার্যকর হবে না। সরকারের বরং উচিত হবে, পুঁজি পাচার রোধ আইন জোরদার করা এবং এর প্রয়োগে উপযুক্ত কাঠামো গড়ে তোলা।
ড. জায়েদী সাত্তারও বলেছেন, পাচার না হয়ে যে কালো অর্থ দেশেই বিনিয়োগ হচ্ছে তার জন্য বিশেষ প্রণোদনার প্রয়োজন কী? কেউ বলতে পারেন সাধারণ কোনো সৎ নাগরিক ভুল করে বা অন্যভাবে আয় প্রদর্শন না করে থাকলে তাদের সম্পত্তি ক্রয় বা অন্য কোনো প্রয়োজনে জরিমানা করে একটি সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু রাঘববোয়ালদের জন্য সে সুযোগ দেওয়াটা নৈতিকভাবে অসমর্থনযোগ্য। কারণ সততা এর দ্বারা নিরুৎসাহিত হবে।
পরিশেষে বলব, কালো টাকা হচ্ছে বল্গ্যাক মানি বা কালো বিড়াল, যেটাকে অন্ধকার ঘরে খুঁজলে কখনও পাওয়া যাবে না।
অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন