আমি বিএনপির ওপর রিসেন্টলি বেশি লিখছি না। কি লিখব? বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনিতেই নানান সমস্যায় জর্জরিত। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা দিয়ে লাভ কি? সরকারের ক্র্যাক ডাউন যে এত হেভি সেটা এবার বিরোধী দলের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা এবং কর্মী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, সভা-সমিতি-মিছিল তো দূরের কথা, মানববন্ধন এমনকি ইনডোর মিটিং পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। বাম দলগুলো মনে করেছিল, তাদের প্রতি সরকার ততখানি খড়গহস্ত হবে না। তারা আরও ভেবেছিল, যত ঝড় সেগুলো বিএনপি এবং জামায়াতের ওপর দিয়েই যাবে। তাই তারা লিপ সার্ভিস দেওয়া হলেও গ্যাস এবং মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই মানববন্ধনও সরকার টলারেট করেনি। তাদের পিটুনি দিয়ে মানববন্ধন ভেঙে দিয়েছে। আমি জানি না, ভ্যাটের বিরুদ্ধে ছাত্রদের এই আন্দোলন কোথায় গিয়ে ঠেকবে। তবে গত শনি এবং রোববার পুলিশ এবং র্যাবের যে মহড়া দেখেছি সেটিও ভীতিকর। এখানে রূপালি রেখা হলো এই যে, ছাত্ররা হাজারে হাজারে রাস্তায় নেমে এসেছে। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো তারা রাস্তায় পদচারণা করছে। রোববার এই কলাম লেখার সময় টিভি অন করলাম। দেখলাম, উত্তরা, বনানী, বারিধারা, গুলশান, ধানমন্ডি, রামপুরা প্রভৃতি এলাকায় ছাত্ররা রাস্তা অবরোধ করেছে। তবে তারা শান্তিপূর্ণ রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স যেতে দিচ্ছে, এমনকি ভিন্ন গাড়িতে বহন করা রোগীকেও যেতে দিচ্ছে।ছাত্ররা যেটি করতে পারছে, বিএনপি সেটা করতে পারছে না কেন? এই ধরনের চিন্তা, আত্মসমালোচনা এবং আত্মবিশ্লেষণ কি বিএনপি কখনো করে? বিএনপি তথা বিরোধী দল হয়তো বলতে চাইবে যে, ছাত্ররা এখন আর কোনো রাজনৈতিক দলের আহ্বানে রাস্তায় নামবে না। সেই দিন অতীত হয়েছে। কিন্তু এটি তো ভুলে গেলে চলবে না যে, অতীতে আন্দোলনের শুরুতে ছিল ছাত্ররাই, বিশেষ করে ছাত্রলীগ। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানও ঘটেছিল ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন ১১ দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে। সুতরাং ছাত্ররা জনগণের কাছে একবোরে অপাঙক্তেয় হয়ে গেছে, এমন কথা বলা ঠিক হবে না। বরং সঠিক সময়ে সঠিক ইস্যুর ভিত্তিতে আন্দোলন করলে জনগণও সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবে, আবার ছাত্ররাও হবে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা টাকা কামাইয়ের ধান্দায় ছিল। আর এখন তো ছাত্রলীগের কাজই হচ্ছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, রংবাজি আর লাঠিয়ালগিরি। এই ধরনের ছাত্র সংগঠনের প্রতি মানুষের তথা সাধারণ ছাত্র সমাজের আন্তরিক সমর্থন থাকবে কি করে? আরো একটি প্রশ্ন আছে। সেটি হলো আদর্শ। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফার ভিত্তিতে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসন আন্দোলন শুরু করেন। স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়ে যান। সরকারের দমন নীতির ফলে ৬৯ সাল পর্যন্ত ৩ বছর ৬ দফা আন্দোলন স্থবির ও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। অনুরূপভাবে সংগঠন হিসেবেও আওয়ামী লীগ মন্থর হয়ে পড়ে। ৩ বছর নিষ্ক্রিয় ও স্থবির থাকা সত্ত্বেও এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আটক থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ নীতি এবং কর্মসূচির প্রশ্নে আপোষ করেনি। তাই ৩ বছর পর ১৯৬৯ সালে আন্দোলন যখন পুনরুজ্জীবিত হয় তখন ৬ দফার প্রশ্নে ছাত্র সমাজ, বিশেষ করে ছাত্রলীগ কোনো ছাড় দেয়নি। কিন্তু যেহেতু সেটি ছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাই অন্যান্য দল সেই আন্দোলনে আরও ৫টি দফা ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে ১১ দফার ভিত্তিতে প্রথমে দুর্বার গণআন্দোলন এবং পরে গণঅভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়। এই ঘটনা দ্বারা আমি একথাই বুঝাতে চাচ্ছি যে, আন্দোলন মাঝে মাঝে ঝিম মেরে গেছে, রাজনৈতিক সংগঠন মাঝে মাঝে হোঁচট খেয়েছে, কিন্তু তাদের আদর্শ এবং কর্মসূচি থেকে শেখ মুজিব, আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা এবং ছাত্রলীগ একচুলও বিচ্যুত হয়নি। ॥দুই॥বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধী দলের ওপর অনেক দমন-পীড়ন হয়েছে। সেজন্য তাদের প্রতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু তাই বলে গ্রেফতার এবং হুলিয়ার পর বিএনপির নেতারা যদি বলেন, ‘আন্দোলন তোমায় আজকে দিলাম ছুটি’, তাহলে সেটি কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরিত্র বহন করে না। বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ ছাড়া পেয়েছেন, আবার অনেকে এখনও কারাগারে রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে হুলিয়া রয়েছে, আবার অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই। যাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া রয়েছে তারা না হয় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া নেই, যারা মুক্ত মানব, তারা কি করছেন? আন্দোলন করার ক্ষমতা যদি না থাকে তাহলে কেউ তাদের দোষারোপ করবে না। কিন্তু তাই বলে আদর্শবিরোধী কথাবার্তা বলবেন কেন? একজনের উদাহরণ দিচ্ছি। তিনি হলেন লে. জে. মাহবুবুর রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান। এখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। খুব আরাম-আয়েশেই তিনি রাজনীতি করছেন। কোনোদিন তিনি গ্রেফতার হননি, কোনোদিন তার বিরুদ্ধে হুলিয়াও জারি হয়নি। তিনি সরকারের এমন গুডবুকে কেমন করে থাকেন সেটি আমার বোধগম্য নয়। তিনি মাঝে মাঝেই উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলেন। একজন রাজনৈতিক কর্মী যে ভাষায় কথা বলেন তার মধ্যে সেই ভাষা নেই। যে ভাষায় এবং যে ভঙ্গিমায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কথা বলেন সে ভাষায় মাহবুবুর রহমানরা কথা বলেন না। যে ভাষায় শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন কথা বলেন সে ভাষায় তিনি কথা বলেন না। এমনকি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও কথা বলেন (যদিও তিনি বিএনপির মেম্বর নন) সেই ভাষা এবং সেই স্পিরিটে মাহবুবুর রহমানরা কথা বলেন না। মিয়ানমার কানেক্টেড আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হচ্ছে না। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের একটি অশনিসঙ্কেত রয়েছে, এখান থেকে জঙ্গি তৎপরতা সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অথচ সেই একই সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে এত মাথাব্যথার কি আছে, যেখানে ভারতের ৫ লাখ লোক ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে? বিএনপিতে একটি অংশ আছে যারা মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করে। তারা ভারতকে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা হুমকি মনে করে না। মাহবুবুর রহমানের মতো নেতারা ভারতের ব্যাপারে আপোষকামী। তাই তার মতো নেতারা মিয়ানমারের ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে চিল্লাচিল্লি করেন, কিন্তু ভারতের ভিসাবিহীন ৫ লাখ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সম্পর্কে খামোশ থাকেন। এ কথা সবাই জানেন যে, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ ঘটেছে ভারতকে বহুমুখী ট্রানজিট দেওয়ার ফলে। বাংলাদেশের আরও সর্বনাশ হয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ফলে। এসব ইস্যুতে বিএনপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ একেবারে নির্বিকার। ভারতের ব্যাপারে বিএনপির এই অংশটির ভূমিকার সাথে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কোনো তফাৎ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিকে কেন বেশি পছন্দ করবে সেটি স্বাধীনচেতা মানুষের মনে একটি জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐদিকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের আন্দোলন সম্পর্কে উত্তেজনাকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। (রোববার, ১৩ সেপ্টেম্বর)। তাই বিএনপির ওপর আলোচনা অসমাপ্ত রেখে চলুন ছাত্র ও শিক্ষক আন্দোলনের দিকে যাই। ॥তিন॥প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের আন্দোলন বানচাল করার জন্য সরকার বাঁকা পথে হাঁটছে। বিকেলে টেলিভিশনে দেখা গেল, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার ১৪ তারিখ থেকে এই ছুটি শুরু হবে এবং শনিবার ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছুটি চলবে। ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অবরোধ চলছে। রাজধানী ঢাকার বাড্ডা, রামপুরা, ধানমন্ডি, সাভার, মিরপুর, কলাবাগান, পান্থপথ, শ্যামলী, আসাদগেট, বনানী, মহাখালী ও উত্তরাসহ বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ থাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রামপুরা ব্রিজ, বসুন্ধরা গেট, মহাখালী, উত্তরা, ধানমন্ডি, বনানী ও মালিবাগ-শান্তিনগর এই ৭টি ব্লকে ভাগ করে ঢাকাকে অচল করেছে টিউশন ফির ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা এই পরিকল্পনার কথা প্রচার করেছিল। আন্দোলন চলাকালে রাজধানীবাসীকে ঘর থেকে না বের হওয়ার অনুরোধ জানায় তারা। টিউশন ফির ওপর আরোপিত ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুরো ঢাকাজুড়ে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে পুরো ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রোববার সকাল ১০টায় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সংলগ্ন আফতাবনগর এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা। নর্থসাউথ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনে অবস্থান নেয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাদের ক্যাম্পাসের সামনে (মহাখালী) রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ব্যস্ততম কাকলি পয়েন্টের রাস্তা আটকে দেওয়ার কারণে এয়ারপোর্ট রোডে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ধানমন্ডিতেও বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুর-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহকে ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত করা আব্দুল্লাহপুরে আইইউবিএটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি ও বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্রদের অবস্থানের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে গত বুধবারে পুলিশ গুলি করার পরে দাবানলের মতো সেটি পুরো ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনের প্রক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বলা হয়, ভ্যাট দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে, শিক্ষার্থীদের নয়। তবে রাজস্ব বোর্ডের ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট তুলে না নিলে তারা তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে, যা আজ (রোববার) থেকে শুরু হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ও রাজশাহী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন সস্থানে শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলায় কার্যত সেসব এলাকায়ও অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীতে অবরোধ-বিক্ষোভে যানবাহন চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। অন্যদিকে দেশের ৩৭টি পাবলিক ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, শিক্ষকরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে কোনো বৈঠকে বসবেন না। কারণ, অর্থমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন। তারা বলেন, এ ব্যাপারে তারা পরিষ্কার ঘোষণা শুনতে চান প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ নিজে কিছু না বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ছাত্র ও শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির চূড়ান্ত পরিণতি কি হবে সেটি দেখার জন্য সচেতন মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। Email:
[email protected]
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন