শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অপসারণকে কেন্দ্র করে কিছু সংখ্যক শিক্ষক আন্দোলন করছিলেন। ছাত্রলীগের কয়েকজন মাস্তান সেই শিক্ষকদের ওপর হামলা করে। লাঞ্ছিত শিক্ষকদের মধ্যে ড. জাফর ইকবালের সহধর্মিণী ড. ইয়াসমিন হকও ছিলেন। একজন নারী শিক্ষক হয়েও তিনি মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও দৃষ্টিকটু পর্যায়ের লাঞ্ছিত হন। বোধগম্য কারণেই এই হামলার খবর প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অত্যন্ত ফলাও করে প্রচার ও সম্প্রচার করা হয়। এর ফলে চার দিকে হৈ চৈ পড়ে যায় এবং সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু সেই সমালোচনা মাত্র ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সামনে এসে যান ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক এবং কথাশিল্পী জাফর ইকবাল। হামলার দিন থেকেই তিনি পাকা অভিনেতার মত আকর্ষণীয় নাটক করেন। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। হাতের কাছে বন্ধ ছাতা ফেলে রেখে তিনি বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে থাকেন। শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চেয়েও তার বড় পরিচয় তিনি একজন জনপ্রিয় কথাশিল্পী। তাই তার বৃষ্টিতে খামাখা ভেজাটাও নাকি প্রতিবাদের স্টাইল। বলা যেতে পারে, নতুন এবং অভিনব স্টাইল। ঠিক আছে, এটি যদি তার প্রতিবাদের নিজস্ব স্টাইল হয়ে থাকে এবং এই বয়সে অন্যদের সাথে গিয়ে শ্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ করার এনার্জী না থাকে তাহলে তার বৃষ্টিস্নাত প্রতিবাদকেই মেনে নেয়া যায়। কিন্তু প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি যেসব কথা বলেন সেসব কথা শুনে যুগপৎ বিস্মিত হই এবং কিছুটা হোঁচট খাই। কারণ তিনি এগুলো কি বললেন? তিনি বললেন, যেসব ছাত্র শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলেছে তাদের ব্যাপারে তিনি এত ব্যথিত এবং শরমিন্দা হয়েছেন যে, তার নাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার ইচ্ছা জেগেছিল। ড. জাফর ইকবাল এই হামলার নিন্দা জানাতে গিয়ে বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ আগস্ট রোববার যা ঘটেছে সেটা নাকি তিনি তার জীবনেও ঘটতে দেখেননি। এটা নাকি তার জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা হলো। তিনি আরও বলেন যে, ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে হামলা করার ঘটনা নাকি তিনি তার জীবনে প্রথম দেখলেন। ঘটনার সময় জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন দুই ঘণ্টা পরে মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন তিনি। জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলেও তিনি এ বিষয়ে ‘কমেন্ট’ করতে রাজি হননি। এরমধ্যে একটি ঘটনা ঘটে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এদের মধ্যে তিন নেতাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ। আর ৪ ছাত্র যারা ছাত্রলীগেরও কর্মী, তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই ড. জাফর ইকবাল সম্পূর্ণ উল্টে গেলেন এবং মারলেন এক বিরাট ডিগবাজি। যারা তার ইনস অ্যান্ড আউটস ভালো করে জানেন, তারা কিন্তু তার এই ডিগবাজিতে মোটেই তাজ্জব হননি। তারা বরং এই অধ্যাপকের এই ভোল পাল্টানোর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। যারা দূর থেকে জাফর ইকবালের এই সাজানো নাটক এবং সুনিপুণ অভিনয় প্রত্যক্ষ করছিলেন তারা বিলক্ষণ বুঝতে পারেন যে, এবার এই কথা সাহিত্যিক স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তার আগের অবস্থানের সম্পূর্ণ ইউ টার্ন ঘটিয়ে জাফর ইকবাল সাহেব বললেন যে, ছাত্র লীগের ৭ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অন্যায়। জাফর ইকবাল প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর কে হামলা করেছে? ছাত্রলীগের ছেলেরা? না, এরা তো ছাত্র, আমাদের ছাত্র। এত কমবয়সী ছেলে, এরা কী বোঝে? ওদেরকে আপনি যা বোঝাবেন, তা-ই বুঝবে। কাজেই আমি যখন দেখলাম যে ৩ জন আর ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তখন আমার লিটারালি (আক্ষরিক অর্থে) ওদের জন্য মায়া লাগছে।’এদের যারা বিপথগামী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘এই বাচ্চা ছেলেগুলোকে মিসগাইড করে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখন তারা বিপদে পড়েছে। ছাত্রত্ব বাতিল হবে, শাস্তি হবে। ওরা কি দোষ করেছে? কাজেই, এখন আমার খুবই খারাপ লাগছে। ছাত্র লীগের ছেলেদের শাস্তি দেয়াটা এক ধরনের অন্যায়। যে তাদের পাঠিয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেন। ছাত্রলীগ থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে’, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘এরা আমাদের ছাত্র। এদের আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে, ওদের সঙ্গে কথা বলে, ওদেরকে ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে পারব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আগাছাকে দূর করে দিতে। আমি বলি, না। আগাছাকে আমরা ফুলগাছে পরিণত করব। আমাদের ছাত্র, আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন। আমরা ওদেরকে ঠিক করে দেব।’॥দুই॥এভাবে ভোল পাল্টিয়ে জাফর ইকবাল প্রমাণ করলেন যে, তিনি বহুরূপী। তার একই অঙ্গে অনেক রূপ। হঠাৎ করে তিনি দয়ার সাগর হয়ে ওঠেন। ছাত্রলীগের মারমুখো ছেলেদের জন্য তার দরদ উথলে ওঠে। তার এই ভোল পাল্টানো দেখে এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অসংখ্য তীর্যক মন্তব্য আসতে থাকে। এর মধ্যে একজন খুব চমৎকার এবং প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যকারীর নাম পিনাকি ভট্টাচার্য। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক এবং ঔষধ শিল্পের সাথে জড়িত। কি হিসেবে জড়িত সেটি আমি জানিনা, তবে শুনেছি তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির একক মালিক অথবা শেয়ার হোল্ডার। জাফর ইকবালের এই ডিগবাজি দেখে ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি হিন্দু পুরাণের একটি কাহিনী বর্ণনা করেছেন। কাহিনীটি নিম্নরূপ:এই কাহিনীর একটি অংশে ছিল ৪টি চরিত্র। প্রথম দুটি চরিত্র হলো শ্রী চৈতন্য এবং শ্রী নিত্যানন্দ। অপর দুটি চরিত্র হলো জগাই ও মাধাই। চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী এবং ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক। তিনি বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের নদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণ তাকে শ্রীকৃষ্ণের পূর্ণাবতার মনে করেন। শ্রী চৈতন্য ছিলেন বৈষ্ণব ভক্তিযোগ মতবাদের একজন বিশিষ্ট প্রবক্তা। তিনি রাধা ও কৃষ্ণ রূপে ঈশ্বরের পূজা প্রচার করেন এবং ‘হরে কৃষ্ণ’ মন্ত্রটি জনপ্রিয় করে তোলেন। শ্রী চৈতন্যের সখা বা বন্ধু ছিলেন শ্রী নিত্যানন্দ। তাদের এলাকায় ছিল দুই মাস্তান। এক জনের নাম জগাই। আরেকজনের নাম মাধাই। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “শ্রী চৈতন্যের সময় নদীয়াতে জগাই মাধাই বলে দুই দুর্বৃত্ত ছিল। সারাদিন মদ খেয়ে চুর হয়ে গু-ামি করতো। একদিন শ্রী চৈতন্যের সখা নিত্যানন্দকে জগাই মাধাই ভাঙ্গা কলসির কোনা মাথায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। শ্রী চৈতন্য এই খবর পেয়ে রাগে দলবল নিয়ে জগাই মাধাইকে শায়েস্তা করতে আসেন। তখন নিত্যানন্দ শ্রী চৈতন্যকে থামাতে গিয়ে হাত জোড় করে বলেন, ‘মেরেছে কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেবো না?’ শ্রী নিত্যানন্দের এটা একটা বিখ্যাত বাণী।’ তিনি আরও বলেন, শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ‘জয় বাংলা’ বলে ছাত্রলীগের হামলার পরে তাৎক্ষণিক ভাবে গলায় দড়ি দিতে চাইলেও আজ অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেদের শাস্তি দেওয়া অন্যায়’।আহা!! আমার তো এখন তাকে ‘শ্রী শ্রী জাফর ইকবালানন্দ’ ডাকতে ইচ্ছে করছে। আর দুহাত তুলে গাইতে ইচ্ছা করছে ‘দয়াল নিতাই কারো ছেড়ে যাবে না’। প্রিয় পাঠক, ড. জাফর ইকবালকে ইকবালানন্দ ডাকার কোনো ইচ্ছা আমার অথবা দৈনিক ইনকিলাবের মোটেই নেই। পিনাকি ভট্টাচার্য না বলে যদি আমরা জাফর ইকবালকে ‘ইকবালানন্দ’ বলতাম তাহলে সাথে সাথে পরদিন আওয়ামী ঘরানা তাদের সমস্ত খানদানসহ আমাদের ‘মৌলবাদী’, ‘সাম্প্রদায়িকতাবাদী’, ‘ধর্মান্ধ’ এমনকি হয়তো ‘জঙ্গি’ বলেও গালাগালি করতো।॥তিন॥প্রিয় পাঠক, জাফর ইকবালের এই ভেলকিবাজি সম্পর্কে আমি বা ইনকিলাব আজ নিজ থেকে কিছু বলব না। আমরা বরং তার ঘরানার অর্থাৎ সেক্যুলার ক্যাম্পের লোকজনের মন্তব্য এখানে তুলে দেব। ওপরে একজনের মন্তব্য উদ্ধৃত করেছি। এখন আরেক জনের মন্তব্য উদ্ধৃত করব। তিনি ‘সাপ্তাহিক’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এই সম্পাদক গোলাম মোর্তজা বলেছেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা অপরাধ করেছে, না করেনি? যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে ‘শাস্তি দেয়া অন্যায়’ কেন? ড. জাফর ইকবাল, ড. ইয়াসমিন হক নিজের মুখেই তো বলেছেন, শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়েছে এই ছাত্ররা।‘যারা পাঠিয়েছেন, তাদের শাস্তি দিন’- এই বক্তব্যে ড. জাফর ইকবাল ভিসিকে বুঝিয়েছেন। বোঝাতেই পারেন। কারণ ভিসি ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেছেন। অবশ্যই তদন্তের ভিত্তিতে ভিসির শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু যারা সরাসরি শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করল, সেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে দায়মুক্তি দেয়া যায়?ছাত্রলীগের এই ছেলেদের বিরুদ্ধেই তো জাফর ইকবাল আগের দিন অভিযোগ করেছেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি করে। পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে।’ বাচ্চা ছেলেরা ‘শিক্ষক পেটাবে’ অন্যের বুদ্ধিতে, চাঁদাবাজি করবে, তাদের শাস্তি দেয়া যাবে না, শাস্তি দিলে ‘অন্যায়’ হবে?জাফর ইকবাল ছাত্রলীগের মাস্তানদের ফুলগাছে পরিণত করতে চেয়েছেন। এতদিন এদের ফুলগাছে পরিণত করেননি কেন? আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন, ‘এরা আমাদের ছাত্র, আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেন’। প্রধানমন্ত্রী কি করে ‘ছাত্রদের’ আপনাদের কাছে পাঠাবেন? এরা কি প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকে? এরা তো আপনাদের কাছে থাকে। আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এরা। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাতে বলছেন, কোন হিসেবে, কোন বিবেচনায়?আপনার কাছে এসে যখন ৫ লাখ টাকা চাঁদার কথা বলল, তখন ‘মাথায় হাত বুলিয়ে’, কথা বলে, ঠিক জায়গায় নিয়ে আসেননি কেন? ড. জাফর ইকবাল, ড. ইয়াসমিন হক, আজ আপনারা লাঞ্ছিত হয়েছেন। ছাত্রলীগ কি এবারেই প্রথম এমন জঘন্য কাজ করল? তারা এ ধরনের কাজ আগেও করেছে। নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়, তারপরও কয়েকটি উদাহরণ দেই-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সালে, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩ সালে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে শিক্ষকদের পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। বুয়েটের একজন শিক্ষককে আটকে রেখে পেটানো হয়েছে। বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শ্রেণিকক্ষে আটকে শিক্ষক পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ শিক্ষক পিটিয়েছে বরিশাল বিএম কলেজে। সারা দেশে ছাত্রলীগের হাতে গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৬৫-৭০ জন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, পিটুনি খেয়েছেন। এই হিসেব কিন্তু আপনাদের লাঞ্ছিত হওয়ার বাইরে। সারাদেশে যারা শিক্ষক পিটিয়েছে তাদেরকে আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দিতে বলছেন? কোন বিশ্বাসে? অবাক করলেন জাফর ইকবাল সাহেব! আপনি তো একজন বড় ইন্টেলেকচ্যুয়াল! সব জেনেও যে না জানার ভান করে তাকে কি বলব? ॥চার॥আরেক জনের মন্তব্য উদ্ধৃত করছি। তিনি হলেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান। তিনি বলছেন, ‘ড. জাফর ইকবাল ও তার মিসেস ড. ইয়াসমিন হক সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টা শেষ করে দিচ্ছেন। ড. ইয়াসমীন হককে সমিহ না করার জন্য ভিসি বিরোধী আন্দোলন। ছাত্রলীগের হামলা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জাফর ইকবাল ও উনার বউয়ের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও গ্রহণযোগ্য নয়। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই। ২০০০ সালের শুরুতে শাবির ভিসি ছিলেন মরহুম প্রফেসর হাবিবুর রহমান। তাকে পীর হাবিব বলেছিলেন, আমেরিকা ফেরত ড. জাফর ইকবাল শিক্ষিত লোক, কিন্তু তোমাকে শেষ করে দেবে। জাফর ইকবাল চীনাপন্থী, এ কথা বললে তিনি মাইন্ড করেন। কিন্তু রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস মঞ্চে তিনি বক্তৃতা করেন, সেটার ব্যাখ্যা কি? বিএনপি জমানায়ও জাফর ইকবাল ক্যাম্পাস অশান্ত রাখেন- যখন ভিসি তার হাতের বাইরে। পীর হাবিব তার লেখাটি শেষ করেছেন এই বলে, ‘কি বই মেলা, কি ভার্সিটি, সবখানে বউয়ের প্রভাব ড. জাফর ইকবালের ওপর। আল্লাহ এ ভার্সিটিকে এই দম্পতির হাত থেকে রক্ষা করো। জাগো বাহে কোনঠে সবাই।’ ছাত্র ভক্তদের ব্যবহার করাই তার শক্তি।আসলে ড. জাফর ইকবাল একজন ছদ্মবেশী আওয়ামী লীগার। আওয়ামী লীগ এখন একটি অজনপ্রিয় দল। তাই আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচয় দিতে তার শরম লাগে। এখানে তিনি ড. জেকিল এবং মি. হাইডের দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তার মুখে এক আর মনে আরেক। তার টার্গেট হলো শাবি তার এবং তার পতœী ইয়াসমিন হকের করায়ত্ব হোক। যতক্ষণ সেটা না হচ্ছে ততক্ষণ তিনি সেখানে অশান্তির আগুন জ্বালিয়েই রাখবেন। কিন্তু বাইরে বলতে থাকবেন, “ওম শান্তি, ওম শান্তি”। কিন্তু শান্তি সেখানে থাকবে সুদূর পরাহত।Email:
[email protected]
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন