গত ৩০ জুলাই ‘দৈনিক ইনকিলাব’র প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রাজনৈতিক ভাষ্যে আমি পরিষ্কার বলেছি যে, নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে বেগম জিয়া তথা বিএনপি তার এতদিনের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন বলে আওয়ামী নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী ঘরানার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে সুসংগঠিত প্রচারণা চালাচ্ছে সেটি সঠিক নয়। সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেছে। গত ১ অগাস্ট বেগম জিয়া দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে তার এবং বিএনপির অবস্থান এক চুলও পরিবর্তন হয়নি। ৩০ জুলাই ইনকিলাবের রাজনৈতিক ভাষ্যে আমরা বলেছিলাম, গত ২৫ জুলাই শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ বেগম জিয়ার সাথে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করতে আসেন। সেখানে বেগম জিয়ার একটি মন্তব্যকে এক শ্রেণীর সরকারপন্থী মিডিয়া ইচ্ছেমত বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করছে। বিকৃত ব্যাখ্যার সেই প্রক্রিয়ায় বলা হচ্ছে যে, বেগম জিয়া তথা বিএনপি আগামী নির্বাচন ইস্যুতে একটি বিশাল ছাড় দিয়েছেন। বলা হচ্ছে যে, তিনি আর তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে অনড় নন। এখন তিনি তত্ত্বাবধায়ক তো দূরের কথা, নির্বাচনকালে তিনি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি থেকেও সরে এসেছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি। দাবি মেনে সরকার যদি মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয় তাহলে শেখ হাসিনার অধীনে হলেও বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বেগম জিয়ার ঐ বক্তব্যের সূত্র ধরে শুধুমাত্র আওয়ামীপন্থী পত্র-পত্রিকাই নয়, আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতাও বিএনপি বিশেষ করে বেগম জিয়ার প্রতি বক্রোক্তি করছেন। একটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ফলাও করে বলা হয়েছে যে, বর্তমান সরকার প্রধান বা প্রেসিডেন্ট স্বপদে বহাল থাকলেও সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতেও আপত্তি নেই বিএনপির। তাদের কাছে তিনি বলেছেন যে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কেয়ারটেকার সরকার একটি অপরিহার্য শর্ত নয়। তিনি বলেন, নাম যাই হোক না কেন, এটি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেও হতে পারে। তবে তিনি সেখানে একথাও দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।এই বিষয়ে আওয়ামী ঘরানা যে কথা ছড়াচ্ছে সেই কথা এবং তাদের বক্তব্যের রসদ যুগিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ। দৈনিক যুগান্তরকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়ে তিনি বলেছেন, ৪ শর্তে নাকি বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে পারে। এসব শর্ত হলো- (১) নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, (২) আইনশৃঙ্খলাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা, (৩) মেয়াদ শেষে সংসদ বাতিল এবং (৪) বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে রেখেইে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন। এমাজউদ্দিন এসব শর্ত কোথায় পেলেন সেটা তার পরিষ্কার করে বলা প্রয়োজন। এছাড়া এই ধরনের নীতিগত বক্তব্য দেয়ার জন্য তাকে অথারাইজ করা হয়েছে কিনা সেটিও তাকে পরিষ্কার করে বলতে হবে। বেগম জিয়ার এই স্পষ্ট বক্তব্যের পর এমাজউদ্দিন সাহেব কি বলবেন? তাকে নিয়ে বিএনপির র্যাংক এ্যান্ড ফাইলের মধ্যে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বেগম জিয়ার বক্তব্যের পর এমাজউদ্দিনের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিৎ।‘দুই’গত রোববার ২ অগাস্ট দৈনিক ইনকিলাবসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর মোতাবেক, বেগম জিয়া সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হাসিনার অধীনে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।’ তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের অনুষ্ঠানে আমি বলেছিলাম, আমরা নির্বাচন চাই, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এটা পরিষ্কার। তিনি বলেন, এটাকে কোনো কোনো পত্রিকা নানাভাবে অপব্যাখ্যা দিয়েছে। এটা নিয়ে কোনো একটি পত্রিকা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ‘দৈনিক ইত্তেফাক’র কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি, হাসিনা মার্কা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে না। তাই আজও বলছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে বিএনপি ‘নতুন ধারার’ রাজনীতির সূচনা করে দেশ পরিচালনা করবে বলে জানান বিএনপি নেত্রী। গত শনিবার রাতে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে রাজশাহী জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দসহ আইনজীবীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। বেগম জিয়া বলেন, এর আগে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করি। ওই সভায় আমি বলেছিলাম, আমরা বলছি না তত্ত্বাবধায়ক সরকারই থাকতে হবে, নাম যাই হোক তা নির্দলীয় হতে হবে।গত কয়েকদিনে একাধিক জাতীয় দৈনিক বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তোলে। পত্রিকায় এই মর্মে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, বিএনপি ‘তত্ত্বাবধায়ক’ অবস্থান থেকে সরে এসেছে। অবশ্য বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, সরকারের তলপিবাহক কিছু মিডিয়া এবং সংস্থা দূরভিসন্ধিমূলকভাবে অপপ্রচার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্তি কাটাতে বক্তব্য রাখলেন বিএনপি প্রধান।বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধান বিরোধী কাজ করছে। তারা নাবালককে ভোটার করছে। তাদের লজ্জা থাকলে এখনই পদত্যাগ করা উচিত। আওয়ামী লীগ টিকবে না, তিনি আজীবন প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকবেন না। তার যদি সামান্যতম আত্মসম্মান বোধ থাকে, তাহলে তিনি পদ ছেড়ে দেবেন। তা না হলে জনগণ তাকে ছেড়ে দেবে না, তাকে এমনভাবে পাকড়াও করবে, তখন তার কি অবস্থা হবে, আমি জানি না।‘তিন’বেগম জিয়া আরও বলেন, আওয়ামী লীগে কিছু পরগাছা জুটেছে। এরা অতীতে বারবার নির্বাচন করেছে, কিন্তু তারা কোনো ইলেকশনেই জয়ী হতে পারেনি, জামানতও থাকেনি। এই পরগাছাদের কথা শুনে আওয়ামী লীগ নিজেকে ধ্বংস করছে। গত তিন মাসের আন্দোলনে যানবাহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের জন্য ক্ষমতাসীন দল ও জোট দায়ী অভিযোগ করে তিনি বলেন, কথায় কথায় তারা বলে বিএনপি নাকি পেট্রোলবোমা দেয়। আমরা এই রাজনীতি করি না। আমরা দেখাব, এই পেট্রলবোমা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ দেয়। তাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছে ওই পরগাছারা। পরগাছারাই ওইসব কাজ করেছে। বাসে আগুন কে দেয়? পুলিশ দেয়। পুলিশকে বলা হয়, তাদের বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশ এটা নিজেরাও বলেছে, তারও রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। আওয়ামী লীগের লোকজন পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করে, বাসে আগুন দেয়, আর মিথ্যা মামলা দেয় বিএনপির বিরুদ্ধে। এসব অপকর্ম ওই পরগাছারা শিখিয়েছে। স্বাধীনতার পর জাসদের কর্মকা-ের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, বিএনপির তখন জন্ম হয়নি। এই পরগাছাগুলো দলে ছিল। তারা কত মানুষ হত্যা করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতে আক্রমণ করেছে। তখন ইচ্ছেমতো তারা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে বাজে কথা বলেছে, অসম্মান করেছে। এখন যেহেতু নেতা নেই, পারলে জুতাটাকে চুমো দিতে থাকবে। ক্ষমতায় থাকার জন্য জুতাকে বারবার সালাম করবে। পরগাছার জন্য দেশ আজ শেষ হতে বসেছে। দেশটাকে ওরা ফোকলা করে দিয়েছে।‘চার’বেগম খালেদা জিয়া ৩৩ বছর ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একজন পলিটিশিয়ান হিসেবে তাকে হিসাব করে কথা বলতে হয়। তার এই ধরনের ডিপ্লোম্যাটিক কথাকে আওয়ামী ঘরানা এবং তাদের লেজুড় দলসমূহ ইচ্ছে মত বিকৃত করে ব্যাখ্যা করছে। তাই তাদের অন্যতম প্রিন্ট মিডিয়ায় গত সোমবার প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদের শিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘বিএনপির লক্ষ্য আগাম নির্বাচন/ প্রধানমন্ত্রীর অধীনেও সম্মত’। সংবাদে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বিএনপির মূল লক্ষ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যেতেও আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা চায় তারা। আগাম নির্বাচনে সরকার সম্মত হলেই বিএনপি এ সংক্রান্ত রূপরেখা প্রকাশ করবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেই সবকিছু চূড়ান্ত করতে চায় দলের হাই কমান্ড। বিএনপির নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।সুখের বিষয়, ৩৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বেগম জিয়া কোনদিন নীতির প্রশ্নে আপোষ করেননি। আজ ভারত বা আওয়ামী লীগের কোন সমালোচনা করতে বিএনপির কোনো নেতা হয় সাহস পান না, নতুবা ভাশুর জ্ঞান করে সুুবিধাবাদী চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়ে সেটি এড়িয়ে যান। কিন্তু বেগম জিয়া একা একাই যা কিছু করার করছেন এবং যেখানে যা বলার তা বলছেন। এখন যখন আওয়ামী সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে কেউ কেউ ওকালতি করছেন তখন বেগম জিয়াই সেখানে পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে আছেন। ‘পাঁচ’নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় বেগম জিয়া তথা বিএনপির যে অবস্থান সেখান থেকে সরে আসার কোনো কারণ এখনো ঘটেনি। কারণ, এই ইস্যুতে বেগম জিয়ার অবস্থান নৈতিকভাবে যেমন শক্ত তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে সম্পূর্ণ সমর্থিত। এতদিন ধরে দেশের মানুষ জেনে এসেছেন যে, জাতিসংঘও বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। কিন্তু জাতিসংঘ যে তার চেয়ে বেশি কিছু চেয়েছিল সেটা এদেশের অনেক তথ্য সমৃদ্ধ মানুষও জানতেন না। ৪/৫ দিন আগে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফর করে এবং বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে জাতিসংঘে ফিরে গিয়ে মহাসচিব বান কি মুনের নিকট ৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন। মহাসচিব এসব সুপারিশ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের নিকট পাঠিয়ে দেন। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর মোতাবেক এই ৪ দফা ছিল নিম্নরূপ: প্রথম দফায়, বাংলাদেশের বিদ্যমান সঙ্কট সমাধান করতে হলে অবিলম্বে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি প্রদান, তাদের অফিস খুলে দেয়াসহ স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালু রাখা, সভা-সমাবেশে বাধা না দেয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।দ্বিতীয় দফায় তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ছুটি দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী পরিষদে দু’পক্ষের লোক থাকবেন। তবে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দু’জন নিরপেক্ষ ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করবেন।তারানকো তার প্রস্তাবের তৃতীয় দফায় উল্লেখ করেন, প্রথম ২ দফা প্রস্তাবে দু’পক্ষ সম্মত না হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার যে পদ্ধতি রয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।চতুর্থ দফায় তিনি উল্লেখ করেন, সেক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকারে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন। জাতিসংঘের একটি কমিটি সার্বিক বিষয় তদারকি করবে। এরপরও সমাধান না হলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে। তাতেও কাজ না হলে জাতিসংঘের চ্যাপ্টার ৭ অনুযায়ী সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের সুপারিশ করেছেন তিনি। জাতিসংঘের এই সুপারিশ তথা মতামত শুধুমাত্র জাতিসংঘেরই নয়, আমেরিকা এবং ইউরোপেরও বটে। একমাত্র ভারত ছাড়া বলতে গেলে সমগ্র গণতান্ত্রিক এবং মুক্ত বিশ্ব এসব প্রস্তাব সমর্থন করেছে। বলাবাহুল্য, এসব প্রস্তাব বেগম জিয়ার নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারেরই ভাবসম্প্রসারণ। সুতরাং এমন যুক্তিনির্ভর শক্ত অবস্থানের ওপর যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন বেগম জিয়া, সেখানে তাকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে কেন?Email:
[email protected] Email:
[email protected]
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন