পুলিশ কখনো অন্যায় করে না, যতক্ষণ তারা আমার পুলিশ- কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার এই পঙ্ক্তি কতবার কত রিপোর্টে, কত কলামে ব্যবহার করেছি তার হিসাব নেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অর্ধবেলা হরতাল ডেকেছিল জাতীয় তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা কমিটি। কতগুলো নিরীহ মানুষের প্রতিবাদী হরতাল কর্মসূচি ছিল তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র চায় না। তাদের দাবি বিদ্যুৎকেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে নিন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে নানাবিধ যুক্তি উত্থাপন করে বলেছিলেন, এতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পরিবেশবাদী ও জাতীয় কমিটি তা মানছে না। তারা বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে আসছেন।
বহুদিন পর বৃহস্পতিবার অর্ধবেলা হরতালে রাস্তায় রাস্তায় কোনো পিকেটার ছিল না। বরং নগরীজুড়ে ছিল যানজট। বামপন্থি কিছু আদর্শভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের হাতেগোনা কর্মীরা পিকেটিংয়ে নেমেছিল শাহবাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে পল্টন পর্যন্ত। এই পিকেটারদের রুখে দেওয়ার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনীর রণসজ্জারও প্রয়োজন ছিল না। মৃদু উত্তেজনা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বলেছিলেন, ওরা ওদের আন্দোলন করুক, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও চলুক। কারণ তিনি জানেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে জনগণের সমর্থন বা সম্পৃক্ততা দৃশ্যমান নয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের আখের গোছানোর আন্দোলনেই নামতে পারছে না। সেখানে রামপালবিরোধী আন্দোলনে আগুন জ্বালানোর তেল খরচের সামর্থ্য যে তাদের নেই, সেটিও সবাই জানেন। তবুও পুলিশ সেদিন বাড়াবাড়িই করেনি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, যেখানে একজন আহত পুলিশকে দায়িত্ব পালনরত সংবাদকর্মীরা গভীর মমতায় তুলে নিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসাসেবার জন্য, সেখানে আরেক ভিডিও ফুটেছে ভাইরালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে একটি বেসরিকারি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার ও ক্যামেরাপারসনকে নির্দয়ভাবে শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় পিটিয়েও তাদের খায়েশ মেটেনি।
এমন নির্দয় নির্যাতনের ছবি গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষ ব্যথিত হয়েছে, ক্ষুব্ধ হয়েছে, সংবাদকর্মীরা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। কিন্তু সরকারের ওপর মহলের টনক নড়েনি। কোথায় যেন ক্ষমতাবানরা বোধহীন হয়ে পড়ছেন। শাহবাগ থানায় নির্যাতনকারী পুলিশের একজন এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মাত্র। এর আগে এই অভিযুক্ত এসআই রাজারবাগে পুলিশের তেজি ঘোড়াগুলো দেখবাল করতেন। ঘোড়ার লাথি তার গায়ে পড়েছে কিনা জানি না, তবে তার বুটের লাথি সংবাদকর্মীর গায়ে কীভাবে পড়েছেÑ সেটা দেশবাসী দেখেছে। এই বুটের লাথির নেপথ্যে থাকে ক্ষমতাবানদের নিঃশব্দ সমর্থন। তাই বুট আর লাঠি হয়ে ওঠে বেপরোয়া। পুলিশ করে বাড়াবাড়ি। আইন রক্ষককারীরা লংঘন করে মানুষের গণতান্ত্রিক ও পেশাদারিত্বের অধিকার।
এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশ সাংবাদিক নির্যাতন করে না, মাঝে মধ্যে ধাক্কা লেগে যায় এবং এটি স্বাভাবিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিকথনে পারদর্শী ছিলেন না। এ জন্য প্রশংসিতও হয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। গণতন্ত্রমনা মানুষের হৃদয়েও সাংবাদিকদের মতো রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। একটা রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন নির্যাতনের চিত্র দেখে এমন নির্মোহ, অমানবিক ও সত্যের মুখোমুখি হয়ে কীভাবে এমন মন্তব্য করলেন?
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী যেখানে বলেছিলেন, শাহবাগ থানার এসআই এরশাদকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। ছবিতে তাকে মারধর করতে দেখা গেছে, সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন, ধাক্কা লেগে যায় এবং এটি স্বাভাবিক; তখন মানুষের গণতন্ত্র ও পেশাদারিত্বের অধিকার হরণে অতিউৎসাহী পুলিশ বেপরোয়া হয়ে যায়। রাজনীতিবিদরা সব সময় বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষাই হচ্ছেÑ ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেন না। ক্ষমতার তাপ সূর্যের চেয়ে বালির তাপের মতোই বেশি হয়ে যায়। তাই ক্ষমতায় থাকলে আচরণ ও ভাষা একরকম, বিরোধী দলে থাকলে আরেক রকম। সরকারে থাকলে নির্যাতনকারী পুলিশ হয় আমার, বিরোধী দলে গেলে নির্যাতিত সাংবাদিকের পক্ষে প্রতিবাদমুখর হয়ে বলা হয়, গণবিরোধী সরকারের লাঠিয়াল হয়েছে পুলিশ।
স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বিরোধী দলের নেতা হিসেবে হরতালের মাঠে নেমেছেন তখন তার পুলিশ আর তার থাকেনি। তখন আমার পুলিশ, আমাকেই লাঠিপেটা করে; পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন টাঙ্গাইলের আবদুল মান্নান। জিয়া-এরশাদের পুলিশের হাত কাঁপেনি রাজপথে তাকে লাঞ্ছিত করতে। জিয়াউর রহমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কর্নেল (অব) এএসএম মোস্তাফিজুর রহমান। সেনাশাসক এরশাদের পুলিশ তাকে টেনেহিঁচড়ে জেল খাটিয়েছিল। এরশাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান। খালেদা জিয়ার ৯১ শাসনামলে পুলিশ তাকে রাজপথেই হেনস্তা করেছে। টেনে নিয়ে জেলে ঢুকিয়েছে। বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আবদুল মতিন চৌধুরী। দোর্দ- প্রতাপশালী মতিন চৌধুরী পরবর্তী আওয়ামী লীগ শাসনামলে রাজপথে পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের ’৯৬ শাসনামলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসা বিএনপি জোটের পুলিশের হাতে রাজপথে লাঠিপেটার শিকার হন। বিএনপি শাসনামলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই সম্রাটের মতো বাবরের পুলিশ বাহিনী কোহিনূরের আলোয় এতটাই বেপরোয়া হয়েছিল যে, আবারও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ আজকের মন্ত্রিসভার অনেক সিনিয়র নেতাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছিলেন। ওয়ান-ইলেভেন থেকে বাবর কারাগারে। পুলিশ মাঝে মধ্যে ধাক্কাধাক্কি দিয়ে আদালতে এনে হাজির করে। আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ আগেই বিএনপির জামানার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর তার ভাগ্নে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। আজকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চিরদিন মন্ত্রী থাকবেন না। প্রকৃতির নিয়মেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পথেই একদিন তাকে বিরোধী দলের রাজনীতিতে মাঠে-ময়দানে সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করতে নামতে হতে পারে। সেদিন কোনো বেপরোয়া পুলিশ তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করবে আর সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেনÑ এটা স্বাভাবিক, ধাক্কাধাক্কি ছাড়া কিছু নয়। এমনটি আমরা চাই না। আমরা অন্যায়কারী পুলিশের প্রাপ্য শাস্তি চাই।
ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী নয়। ইতিহাসের ক্যানভাসে তাকালে দেখা যায়, যখন যারা ক্ষমতায়, পুলিশ তখন তাদের হয়ে ওঠে। তারা যখন বিরোধী দলে পুলিশ তখন তাদের প্রতি রাজপথে মারমুখী হয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে কোহিনূরের মতো অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কার্যালয়ে প্রবেশ করে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে নেতাকর্মীদের। রাজপথে নেতাকর্মীদের তো দাঁড়াতে দেয়নি, মহিলাকর্মীদেরও নাজেহাল করেছে। কখনো করেছে বিবস্ত্র। সেই সময় পূর্ণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশি আচরণে রাজপথকে ভয় পান। কথায় আছে, ‘বাঘে ছুলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুলে ৩৬ ঘা।’ এখন দেখা যায়, দিনে দিনে উন্মাসিক পুলিশ সদস্যের সামনে সাংবাদিক পড়লে সেটি হয় ৭২ ঘা।
সংবাদকর্মীরা সত্য প্রকাশের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বত্র ছুটে বেড়ান। জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক দুর্র্বৃত্ত, চরমপন্থিদের মুখোশ উন্মোচনে যুগের পর যুগ যেমন কাজ করে যাচ্ছেন, তেমনি মৃত্যু ও নির্যাতনকে বরাবর আলিঙ্গন করতে হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, গোটা সমাজ যেখানে রাজনৈতিক দুটি ধারায় বিভক্ত; সেখানে সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের জায়গাটিও এই আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। দলকানা সমাজে দলকানা লেখক সাংবাদিকের অভাব নেই। বড় বড় সংবাদ সম্মেলনে লাইভে দেখা যায়, যখন যারা ক্ষমতায় তাদের অনুসারী সিনিয়র সাংবাদিকরা ক্ষমতাবানদের চেয়ে বড় করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। প্রশ্ন ভুলে গিয়ে প্রশংসায়, স্তুতিবাক্য আর মোসাহেবির ধারায় তেলের নোহর বইয়ে দেন। সেই তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাঠ সংবাদকর্মীদের জীবন ও সম্ভ্রমের হেফাজত করতে পারেন না শুধু। এই লজ্জা, এই গ্লানি তাদের স্পর্শ করে না।
আওয়ামী লীগ এ দেশের ঐতিহ্যবাহী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নাম। এই দলটিকে সাংগঠনিক ক্যারিশমায় নিজের ইমেজের ওপর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধিকার, স্বাধীনতার রথ ধরে জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে এসেছিলেন জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সুমহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের। গণতন্ত্রকামী সংবাদকর্মীরা ছিলেন তার স্নেহ, ভালবাসায় সিক্ত। পরিবার-পরিজনসহ, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় ঘাতকের হাতে নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে সামরিক শাসনের যে অন্ধকার যুগ নেমে এসেছিল, সেখানে এই দলের নেতৃত্ব নিয়ে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের সংগ্রামের কুপির আলো জ্বালিয়েছিলেন। তার দীর্ঘ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক পঞ্জিকা ঘটনাবহুল, আন্দোলন-সংগ্রামের কুসুমাস্তীর্ণ মসৃণ ছিল না সেই পথ। তিনি মিডিয়াবান্ধব হিসেবে সংবাদকর্মীদের কাছে আলাদা ইমেজ ধার করিয়েছেন। বিরোধী দলে থাকতে সাহসী সংবাদকর্মীদের এক নেপথ্য শক্তি হয়ে তিনি সমর্থন জোগাতেন। আজ তিনি ক্ষমতায়। অনেক ইস্যু তার সামনে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে নিয়ে ছুটছেন তিনি।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বরাবর বলে আসছে, সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। তবুও সরকারবিরোধী আন্দোলনের কোনো আলামত রাজপথে নেই। শীতের অতিথি পাখিরা নামা শুরু করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ে পরিবার-পরিজনসহ নগরবাসী ছুটছেন পাখি দর্শনে। তবুও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির কোনো কর্মসূচি নেই মাঠে-ময়দানে। এমন রাজনৈতিক উত্তাপহীন শীত মৌসুম অতীতে কখনো পার হয়নি বাংলাদেশে। সামরিক জামানায়ও নয়। রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র যারা চাইছেন, তারা দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই করছেন বলে অনেক যুক্তি উপস্থাপন করছেন। সুন্দরবন বাঁচাতে রামপালে যারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইছেন না, রাজপথে আন্দোলন করছেন তারাও দেশকে ভালবাসেন। এই গণতান্ত্রিক অধিকারটুকু মুক্তিযুদ্ধে রক্তে লেখা অর্জিত সংবিধান তাদের দিয়েছে। সাংবিধানিকভাবে গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বিচার পাওয়া যায়নি। কিন্তু একটি ছোটখাটো কর্মসূচিকে ঘিরে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যে পুলিশ সদস্যরা সংবাদকর্মী বেধড়ক পিটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। কোনো ক্ষমতাই চিরস্থায়ী নয়, ইতিহাসের এই অমোঘ সত্য সবচেয়ে বেশি এ দেশের রাজনীতিতে উপলব্ধি করেছে আওয়ামী লীগ। তার চেয়েও বেশি উপলব্ধি করেছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচারের এই নির্দয় আচরণের বিচারের দাবি জানাতেই পারি। কারণ তার মতো এ দেশে নির্যাতিত রাজনৈতিক কর্মীদের দেখভাল আর কাউকে করতে হয়নি। স্বজন হারানোর বেদনা যেমন তার গভীর, তেমনি নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করার সামর্থ্যও তার বেশি। মানুষ এই সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার চায়।
পীর হাবিবুর রহমান, প্রধান সম্পাদক পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন