সর্বগ্রাসী মূল্যবোধহীন, অস্থির, অশান্ত, অসুস্থ প্রতিযোগিতামূলক সমাজের চারদিক দেখতে দেখতে হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা যে উপলব্ধি, পর্যবেক্ষণ দৃষ্টিতে আটকে পড়া যে অসংগতির চিত্রপট তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
স্ট্যাটাসটি হচ্ছে ‘‘ এক সময় ভিখেরি মিলতো বায়তুল মোকাররমে, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এখন ভিখেরি পাওয়া যায় রাজনীতিতে, লেখক পাড়ায়, খবর আর আমলা পাড়ায়। পথ ভিখেরি কমে গেছে, ঈদে চান্দে দেখা মিলেনা। রাজ ভিখেরি বেড়ে গেছে হামেশাই দেখা মিলে, সরকারের ছায়ায়, ব্যবসায়ীর দুয়ারে, প্রকল্পের টেবিলে টেবিলে, নিয়োগ বাণিজ্য, ব্যাংক খাত, শেয়ারবাজার, আর তদবিরের মিছিলে। পথ ভিখেরিরা পেটের দায় ভিক্ষে করে,রাজভিখিরীরা ভিক্ষে করে ক্ষমতা বিত্ত আর বিলাসী জীবনের লোভে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ দুদলেই পরেনা। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মর্যাদার জীবনের জন্য সংগ্রাম করে। এসব ভাবতে ভাবতে আমি সিগারেটে টান দেই সুখে মহা সুখে। ধুমপান মানেই মৃত্যু। তবু যারা অপছন্দ করেন আজ এ নিয়ে মন্তব্য করবেননা। প্লিজ এটা আমার প্রতিবাদ। প্রয়োজনে এড়িয়ে যান। ভিখেরিদের না বলুন।’’
স্ট্যাটাস প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুকে অসংখ্য বন্ধু তা শেয়ার করেছেন। প্রায় সহস্রজনে লাইক দিয়েছেন। ২ শতাধিক সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। আমাদের আর্থসামাজিক অগ্রগতি উন্নয়ন যাই বলি না কেন অনেক দূর এগিয়েছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশ আজকের দুনিয়ায় মর্যাদাশীল অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। একদিন যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, তারা এখন এই অঞ্চলে ব্যস্ত সফরের মধ্যে জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই বাড়িটি, যেটিতে স্বাধীনতার সংগ্রাম সূচিত হয়েছিল। সেখানে জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও তার মহান নেতার প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। গ্লানিমুক্ত হচ্ছেন আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের স্বীকৃতি দিচ্ছেন। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, দেশি বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের।
স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে পরিষ্কার দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু থেকে সকল রাষ্ট্র নায়কের হাত ধরে আজকের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাকিতায় বিপ্লব সূচিত হয়েছে। দিনে দিনে ৭ কোটি বাঙালির দেশে আজ ১৬ কোটি অর্থাৎ দ্বিগুণের বেশি জনসংখ্যা হয়েছে। কর্মজীবী মানুষের চাপ, কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকায় মানুষের স্রোত প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এত ফ্লাইওভার, এত প্রশস্ত সড়ক, নতুন নতুন সড়ক হলেও যানজটে ঢাকা কার্যত মৃত নগরী। হিমশিম খাচ্ছে সরকার, হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। আমাদের এত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব সূচিত হয়েছে। গ্রামের মানুষকে এখন আর কাঁদাপানিতে হাটতে হাটতে শহরে আসতে হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি ঘাটে বসে থাকতে হয়না।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়েছে। নারী ক্ষমতায়নে দেশ দুনিয়ার দৃষ্টি কেড়েছে। প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ই হয়নি বরং খাদ্য রপ্তানিতে মাথা তুলেছে। ওষুধ শিল্পের বিকাশই হয়নি, ১৩০ দেশে রপ্তানির দুয়ার খুলেছে।
নানা ষড়যন্ত্র, অশুভ তৎপরতার মুখেও পোশাক শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম বাজার থেকে জাতিসংঘের শান্তি মিশন, দেশে দেশে প্রবাসীরা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাই বাড়েনি, গড় আয়ুও বেড়েছে। প্রতিবছর শত শত ছেলে মেয়ে পশ্চিমা দেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাচ্ছে। মানুষ হয়ে উঠেছে পরিবেশবান্ধব। বাড়ির আঙিনায় ফলবান বৃক্ষ এবং ওষুধি গাছ লাগাতে কার্পণ্য করেনি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ বেড়েছে অনেক। কর্পোরেট সংস্কৃতিতে গণমাধ্যম এখন শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হয়েছে।
দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফিরিস্তি অনেক দেয়া যায়, কিন্তু দৈন্যতার জায়গা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪৬ বছরে আমরা দিনে দিনে শক্তিশালী করার বদলে দুর্বল করতে করতে পঙ্গু করেছি। ৭৫ উত্তরকালের দুইযুগের সামরিক আমলকে আমরা অভিযুক্ত করেছি। কিন্তু ৯০ উত্তর গণতন্ত্রের দুইযুগকে কিভাবে সাজাবো, কিভাবে দেখবো? কিভাবে তৈরি করবো এর চিত্রপট? রাজনীতি সমাজ সর্বত্র মূল্যবোধের অবক্ষয় কেন!
সেদিন এক টকশোতে সঞ্চালক প্রশ্ন করেছিলেন, গৌরব করার মতো রাজনীতি কি আমাদের কখনোই ছিল? দৃঢ়তার সঙ্গে বললাম-ছিল বলেই এত আকুতি, এত ক্রন্দন করি। আমাদের রাজনীতির ইতিহাস গৌরবময়। কৃষকের বন্ধু শেরে বাংলা ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সহোরাওয়ার্দী, জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কার কথা বলবো? মানুষের কল্যাণে আত্মত্যাগের মহিমায় রাজনীতি করেছেন তারা। মিথ্যা দম্ভ, বিত্তবৈভবের লোভ লালসা তাদের স্পর্শ করেনি।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘মহাকাব্যের যুগ অতীত হইয়া গিয়াছে।’ আমাদের রাজনীতির সেইসব মহান পূর্বসূরিদের কথাই উঠে আসে, এটি মনে পড়লে। শুধু তারাই নন; বামপন্থী রাজনীতির পুরোধা ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমিউনিস্ট পার্টির মনি সিংদের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীত্ব যারা বহন করতেন সাদাকালো যুগে তারাও রাজনীতিতে সুপথে টেনেছেন। সামরিক শাসকদের হেরেমে গিয়ে যারা রাজনৈতিক অতীতকে বিসর্জন দিয়েছেন, আদর্শের সতীত্ব বিসর্জন দিয়েছেন তাদের দিকে আঙুল তুলে যারা বলেছিলেন, সামরিক শাসকরা গণতন্ত্রই হরণ করেননি পেশী শক্তি আর কালোটাকার প্যাকেজ প্রোগ্রামে নীতিহীন সুবিধাবাদের দুয়ার খুলে দিয়ে রাজনীতিকে অবক্ষয়ের পথে টেনেছেন। রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন। শিক্ষাঙ্গনে দল করতে গিয়ে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বিপথগামী করেছেন। ছাত্ররাজনীতিকে গৌরবের উত্তরাধিকারীত্বের পথ থেকে বিচ্যুত করেছেন। আদর্শ ও ত্যাগের পথ থেকে ভোগ বিলাস ও বিত্তবৈভবের নেশায় নেশাগ্রস্থ করেছেন। আমাদের তারুণ্যে রাজনীতির সেইসব হ্যামিলনের বংশীবাদকদের কথায় আস্থা স্থাপন করে আমরা মহৎ আদর্শে সামরিক শাসনের কবল থেকে নিঃশর্তভাবে গণতন্ত্র মুক্তির মিছিলে ছুটি গেছি। আমাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে সেই সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে কেউ জীবন দিয়েছি, কেউ বুলেটবিদ্ধ হয়েছি, কেউ জেল খেটেছি, কেউ ফেরারি হয়েছি, কেউবা শিক্ষাজীবন হারিয়েছি। আমরা সেদিনের তারুণ্য পথভ্রষ্ট বা লক্ষ্যচ্যুত হইনি। সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে রক্তেলেখা গণতন্ত্র উদ্ধার করেছি।
আমাদের নেতারা অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছেন। গণতন্ত্রের ২৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচন স্তব্ধ করে দিয়ে আদর্শবান রাজনৈতিক কর্মী গড়ার পাঠশালা ছাত্ররাজনীতিকে মেধাহীন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভোগবিলাসের পথে ঠেলে দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে বন্ধাত্ব্য তৈরি হয়েছে।
শহীদের রক্তে লেখা অঙ্গীকার সংসদীয় গণতন্ত্রের গর্ভ জাতীয় সংসদকে কার্যকর করতে পারেননি। সংসদীয় গণতন্ত্রকে দিতে পারেননি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। সংঘাত ও প্রতিহিংসার রাজনীতি জাতীয় ঐক্যকে ভেঙেই দেয়নি, অবিশ্বাসের চোরাবালিতে ডুবিয়েছে। বিভক্তির রাজনীতির পথ ধরে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বল থেকে পঙ্গু করা হয়েছে। অঙ্গীকার ছিল সকল সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হবে শক্তিশালী। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতারা যেমন করে সংসদকে শক্তিশালী করে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন, আমলাতন্ত্রকে সংবিধান ও আইনের দ্বারা পেশাদারিত্বের চেতনায় শক্তিশালী করেছেন, নির্বাচন কমিশনকে বাঘের শক্তি দিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছেন। গণতন্ত্রকে ভারতবর্ষজুড়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা আমাদের নেতাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে দেখিনি।
আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুদানের টাকা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করাননি। নিজে ভোগবিলাসের জীবনযাপন করেননি। মানুষের কল্যাণে রাজনীতির জন্য দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। বেগম মুজিব নানা কষ্টের মধ্য দিয়ে সংসার সামলেছেন। অনুদানের টাকা সংগঠন, রাজনীতি ও মানুষের জন্য ব্যয় হয়েছে। সন্তানদের এই টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করতে দেননি। বিদেশে পড়াশুনা করতে পাঠাননি। তার সঙ্গে রাজনীতি করে করে বিশাল হৃদয়ের উষ্ণ সান্নিধ্য পাওয়া নেতারা যখন ক্ষমতায় এসে বিত্তবৈভবের মালিক হন, দেশ-বিদেশে চাঁদার টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করেন তখন কর্মীরাও রাজদুর্নীতির এই স্রোতে গা ভাসান। পর্যবেক্ষকরা তখন বলেন, দেশে রাজনীতি নেই, রাজদুর্নীতি রয়েছে।
মানুষের দুয়ারে দুয়ারে, বায়তুল মোকাররমের গেটে এখন আর ভিখেরি পাওয়া যায় না। ভিখেরি পাওয়া যায় রাজনীতি পাড়ায়, আমলাপাড়ায়, লেখকপাড়ায়, খবরপাড়ায়, একে একে সব পাড়ায়। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠলেও লাগামহীন দুর্নীতি রয়েছে বলেই শেয়ার কেলেংকারির নায়করা, ব্যাংক লুটেরারা রাজনৈতিক শক্তির ছত্রছায়ায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ান।
মাওলানা ভাসানী ক্ষমতার রাজনীতি করতেন না। মানুষের মোটা ভাত কাপড়ের জন্য সংগ্রাম করতেন। তার সঙ্গে রাজনীতি করা নেতারা বর্ণাঢ্য অতীত নিয়ে যখনই সামরিক বা গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তখনই অভিযোগ, নানা কেলেংকারিতে জড়িয়ে তাদের লোভ-মোহের চরিত্র ফুটিয়েই তোলেননি, প্রশ্নবিদ্ধও হয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির ছোটবড় সকল দলের অধিকাংশ নেতাই নিজেদের ইমেজ নিয়ে দলের কর্মী বা জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তায় রাজনীতি করতে পারছেন না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী, সমর্থক ও মানুষের আস্থার জায়গায় রয়েছেন দুই নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বাকিরা কেবল তাদের করুণাশ্রিত জীবনযাপন করছেন।
সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, আদর্শিক, রাজনীতি আমাদের পূর্বসূরিদের উত্তরাধিকারীত্ব বহন করে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে, দুর্নীতির লাগাম টানতে না পারলে, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করা না গেলে মানুষের আস্থা অর্জনের শক্তিশালী রাজনৈতিক সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার হবে না।
ভোগ নয়; ত্যাগই রাজনীতির মূলমন্ত্র। ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, বিত্তবৈভব আর বিলাসী জীবন নয়; মানব কল্যাণের লক্ষ্যে দেশের গণতান্ত্রিক চেতনায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের রাজনীতি জনগণের প্রত্যাশা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণের মধ্য দিয়ে বিভক্ত রাজনীতির অভিশাপে অভিশপ্ত পেশাদার লোকজনকে দলীয়করণমুক্ত করা না গেলে এই প্রশ্ন থেকেই যাবে-রাজনীতি কই? আছে কেবল রাজদুর্নীতি ও রাজভিখেরি।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন