জাহান্নাম থেকে জাহান্নামের আগুনে পুড়ি, বেহেস্তের দেখা পাই না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে যাওয়া শফিক রেহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। ফেসবুকে যে কোনো স্ট্যাটাসে কেউ সমালোচনা করলে আমি গ্রহণ করি। সমালোচনার জবাব দেয়ার চেষ্টা করি। গালি দিলে ব্লক করে ওটি মুছে দেই। কিন্তু আজ স্ট্যাটাস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুড়ি মুড়কীর মতো ফেসবুক বন্ধুরা সমালোচনার তীরেই ক্ষত বিক্ষত করেননি, রীতিমত গালমন্দ শুরু করেন। ১০ ঘণ্টায় ৭৩৭টি লাইক, ১৯৫ কমেন্ট ও ৫১ জন স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন। ১৯৫ কমেন্টের মধ্যে ১৫০ জনই আমাকে উল্টো দলকানা, পক্ষপাত দুষ্ট আওয়ামী লীগের দালাল, সরকারের সুবিধাভোগী এমন কোনো গালি নেই যা দেননি। জাহান্নামের আগুনে বসে আমি হাসি পুষ্পের হাসি। একটি গালিও আমি ডিলিট করিনি। এমনকি শেয়ার বাজার লুট, ব্যাংক ডাকাতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, গুম, খুন, রাজনৈতিক নিপীড়ন, সাগর-রুনি থেকে তনু হত্যাসহ দেশে ঘটে যাওয়া তাবদ ঘটনার উপর সরকার, তার মন্ত্রী, ও প্রশাসনকে নিয়মিত চাঁচাছোলা সমালোচনায় ক্ষত-বিক্ষত করলেও এদের অভিযোগ এসব ইস্যুতে নীরব থেকে আজ শফিক রেহমানকে এমনভাবে আক্রমণ করে নিজেকেই দলদাসে পরিণত করিনি সরকারকে খুশি করতে চেয়েছি এমন অভিযোগ তারা দিয়েছেন। আশরাফ হোসেন নামের একজন লিখেছেন, আওয়ামীলীগ ও শেখ মুজিব বিদ্বেষ দলদাসের প্রধান পরিচয় হয় তাহলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জিয়াউর রহমান ও বিএনপি বিদ্বেষী হিসেবে আপনাকে আমরা কি উপাধি দেব? আপনার লেখায় কতবার মুজিবকে জাতির পিতা বলেছেন আর জিয়াউর রহমানকে সামরিক শাসক ও স্বৈরশাসক কতবার বলেছেন? নিউ ইয়র্ক থেকে জলি আহমেদ কমেন্ট করেছেন দেশে এত বড়বড় ঘটনা ঘটছে, মানুষের সত্য কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে, Peer-Habibur-Rahmanটিএসসির ঘটনা সাগর-রুনি, তনু হত্যাকাণ্ড ও নারায়ণগঞ্জ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপনি লিখেন না, আপনি নিজেই তো দলকানা। এসএম ইসলামসহ দু’চার জন লিখেছেন, কত টাকা পেয়েছেন? অনুরোধ থাকবে টাকাই যেহেতু নিবেন দামটা বাড়িয়ে অন্তত মানসম্মানটা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, আপনি যে আওয়ামীলীগের অন্ধভক্ত তা আপনার লেখনীতে প্রকাশ পেয়েছে। একজন তো বর্তমান সংসদে আসা আমার সহোদর ছোট ভাইকে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। একজন বাইচান্স সাংবাদিক বলে আমাকে আক্রমণ করতে ভুলেননি। আর একজন প্রশ্ন করেছেন, মাহমুদুর রহমানের নাম আনিনি কেন? একি ভাসুরের নাম নিতে লজ্জার মতো নাকি ভয়ে?
আমার স্ট্যাটাস্ট ছিল এটি:
সাংবাদিক শফিক রেহমান যদি সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে আমার সন্দেহ একুশের গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে।ভাবতেও খারাপ লাগে, যিনি লাল গোলাপ ও ভালোবাসা দিবসের সুবাস ছড়ালেন তিনি এতটা খারাপ হবেন? তিনি সহ সবাই যেন ন্যায় বিচার পান। আর যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে গ্রেফতার ও রিমান্ড নিয়ে জেলে রাখা হয় তাতে সরকার খারাপ নজির স্থাপনের জন্য নিন্দিত হবে। শফিক রেহমানকে আমি একজন আধুনিক মানুষ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে পছন্দ করতাম। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা যেখানে আমার কাছে গুরুত্বহীন, সেখানে শফিক রেহমানের লেখা গুরুত্ব পেতো বেশি আমার কাছে। তার লেখা টানে। কিন্তু তিনি যখন আওয়ামী লীগ সমালোচক হতে হতে, আওয়ামীলীগ বিদ্বেষী,বঙ্গবন্ধু বিদ্বেষী হয়ে একদম বিএনপির দলদাস হলেন তখন থেকেই আর পছন্দের তালিকায় নেই। শওকত মাহমুদ ও একজন চমৎকার সংবাদকর্মী ছিলেন।তার হাতের লেখায় শব্দের গাঁথুনি,ভাষাশৈলী আমায় মুগ্ধ করতো।তিনিও বিএনপি জামাত ফোরাম করতে করতে একদম বিএনপির দলকানা হয়ে গেলেন।যদিও আওয়ামী সাংবাদিকদের কাউকে কাউকে তার করুণায় থাকতে দেখেছি। তিনিও জেলে পচছেন।রিমান্ডের মুখোমুখি হয়েছেন।শফিক রেহমান বিএনপি জামাত জমানায় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিশেষ করে সংবাদ সম্মেলন ও রাজনৈতিক ভাষণ লিখে দিতেন।এখনো দেন। তেজগাঁওয়ে জনগনের জায়গা ও দৈনিকের মালিকানা পেয়েছিলেন সরকারি করুনায়।রাজনীতিতে একদলের করুনায় সুবিধা নিলে অন্যদল ক্ষমতায় এলে জামাই আদরতো পেতেই হয়।প্রতিটা সরকারও তাদের দাসদের জনগনের সম্পদ উপহার দিতে কার্পন্য করেনা।ক্ষমতায় না থাকলে তখন এর পরিনতি বুঝা যায়।শফিক রেহমানের সঙ্গে আরেকজন নুরুল ইসলাম ছোটন কাজ করতেন।এই বামপাড়ার কর্মি থেকে শফিক রেহমানের ছায়া হয়ে আসা ছোটন কোথায়?হেফাজতের সঙ্গে তারএ শাপলা চত্বর ব্যার্থ বিপ্লবে যোগাযোগ ছিলো।একুশের রাত কয়েকদিন উপস্হাপনকালে দেখেছি ফরহাদ মাজহারকে নীচের বারিস্তায় চা খাইয়ে চলে যেতে। আমার প্রশ্ন সাংবাদিক যখন রাজনৈতিক দলের কর্মি হয়ে যায় তখন তার পেশাগত চরিএ ও পরিচয় হারিয়ে যায়।সাংবাদিক যে দলের দাসত্বই করুননা কেন তাকে রাজনৈতিক পরিস্হিতির শিকার হতে হয়।সেখানে পেশাগত সহকর্মিরা নয়,তাদের দলকেই তাদের জন্য লড়তে হয়।আওয়ামীলীগেরও অনেক দলকানা সংবাদিক রয়েছেন,এদের ভবিষ্যৎ পরিনতি কি জানিনা,তবে চাই সাংবাদিকরা কোন দল নয়,দেশ ও মানুষের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বৈষম্যহীন গনতান্এিক রাষ্ট্রের জন্য কাজ করবেন।সরকার বা বিরোধী দল ভালো করলে প্রশংসা করবেন,ভুল বা খারাপ করলে নিন্দা সমালোচনা করবেন।দলবাজিতেই আস্হা হারাচ্ছে সাংবাদিকতা।তবে চাই সকল ঘটনারই নিরপেক্ষ তদন্ত ও সবার জন্য ন্যায়বিচার।কেউই আইনের উর্ধে নন।তেমনি আইন সকল নাগরিকের জন্য সমান থাক।আদালত নাগরিকের সুবিচার নিশ্চিত করুক।
আমার পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ ও মতামত:
আমাদের গণমাধ্যম জগতে সাংবাদিক শফিক রেহমান আমার দেখা একজন সাহসী সাংবাদিকই নন, একজন আধুনিক, পড়াশোনা জানা, মেধাবী, সৃজনশীল ও স্মার্ট অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও লেখক। লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব, বিচ্ছেদ, তিক্ততা দেখেছি। পাঠক হিসেবে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা আমাকে টানে না, বিশ্বাসযোগ্যতা দেয় না। শফিক রেহমানের লেখা আমায় মুগ্ধ করেছে, তৃষিত পাঠক হৃদয়কে ভাবিয়েছে, নিত্যনতুন আইডিয়া জাগিয়েছে। আমাদের যৌবনে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আমরা যখন ছাত্র মিছিলে শফিক রেহমানের সাহসিকতা উজ্জীবিত করেছে। সেনা শাসক এরশাদের জামানায় যে ক’জন সাংবাদিকের উপর নির্যাতন নেমে এসেছে তাদের অন্যতম শফিক রেহমান, বিবিসি খ্যাত মরহুম আতাউস সামাদ ও মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখের নাম নিতে হয়। সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে তার লেখা দিনের পর দিন পাঠ করে মুগ্ধই হইনি, নতুন আঙ্গিকে দুই পরিণত বয়সে নর-নারী মইন ও মিলার প্রেম টেলিফোন কথোপকথনে আবহাওয়াসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক ঘটনাবলি চিত্রপট তুলে আনা মুন্সিয়ানা দেখে অভিভূত হয়েছি। জোনাক জ্বলে শিরোনামে নস্টালজিক লেখা লিখতেন মরহুম মন্ত্রী ভোলার মোশারফ হোসেন শাহজাহান। মৃত্যুর আগে বহুবার তিনি আমার কলাম পড়ে তার সঙ্গে আড্ডায় বসার জন্য টেলিফোন করেছেন। সময় দিতে না পারায় তিনি প্রস্তাব করেছিলেন রাতের লঞ্চে চড়ে তার সঙ্গে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ভোলায় ঘুরে আসতে। সেটি হয়নি বলে আফসোস রয়েছে। শফিক রেহমানের সঙ্গে আমার দু’বার মুখোমুখি কথা হয়েছে। একবার তার অফিসে আর একবার এক ভ্যালেন্টাইন ডে’তে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে টকশো উপস্থাপন করতে গিয়ে। তিনি যে ট্যাবলয়েট দৈনিকটি করেছিলেন সেটি বলা যায় আঁতুড়ঘরেই মৃত্যু হয়েছে। বরাবরই তার লেখায় বিএনপির প্রতি দুর্বলতা ও আওয়ামীলীগের প্রতি চাঁচাছোলা একপেশে সমালোচনা শোভা পেত। কখনো বা মুজিব বিদ্বেষী হয়ে উঠত। গণতান্ত্রিক সমাজে নানা মত ও পথ থাকবেই। একজনের সব মত ভালো না লাগলেও চিন্তার খোরাক যোগায়। শফিক রেহমান এ দেশের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা দিবসে আবেগ উচ্ছ্বাস ও আলো ছড়িয়েছেন। রঙিন পোশাক ও লাল গোলাপের সঙ্গে নিত্য নতুন আইডিয়ায় গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধ করেছেন। বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য রাজনৈতিক ভাষণ নিয়মিত লিখে দেয়ার মধ্য দিয়ে তার পেশাদারিত্বের নির্মোহ জায়গা থেকে বিচ্যুত হতে থাকেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তার সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের কলামিস্ট ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনীতি থেকে উঠে আসা চুলের মুঠি বাঁধা নুরল ইসলাম ছোটন। বিএনপি জামানায় তিনিও হন অদৃশ্য ক্ষমতাধর ব্যক্তি। শফিক রেহমান বিএনপি সরকার থেকে তেজগাঁও-এ সরকারি প্লট পান। যায়যায়দিন করার মতো বড় বাজেট পান। জনগণের সম্পদ শাসকরা এভাবেই তাদের দলকানাদের জন্য দিতে কার্পণ্য করে না। বিএনপি আগের শাসন আমলে দলীয় মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল মরহুম মীর শওকত আলী বীর উত্তমের সকালের খবরের নামে তেজগাঁও-এ শিল্প প্লট দিয়েছিল। মৃত্যুর আগে সেটি তিনি র্যাংগস গ্রুপের কাছে বিক্রী করেন। শফিক রেহমান পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ই হননি, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাও হয়েছেন বৈদেশিক যোগাযোগ কোরের অন্যতম সদস্য। একজন ব্যক্তি সাংবাদিকতা ছেড়ে যখন একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হন তখন তার পেশাদারিত্বের পরিচয় কতটা থাকে সেটি ভাববার সময় সবার জন্যই এসেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ তিনিও জেলে পচছেন। রিপোর্টার হিসেবে তা ভাষা শৈলী, শব্দ চয়ন, বাক্য গঠনের গাঁথুনি পাঠক হিসেবে তারুণ্যে মুগ্ধ করেছিল। একজন স্বাধীন নাগরিকের যে কোনো সময় তার পেশা ছেড়ে যে কোনো রাজনৈতিক দল করার অধিকার রাখেন। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে যখন গ্রেফতার হন, রিমান্ডে যান বা কারাগার বরণ করেন তখন রাজনৈতিকভাবেই তাকে সেটি মোকাবেলা করতে হয়। তথ্য ও আইন মন্ত্রী বলেছেন, ‘শফিক রেহমানকে সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নির্দোষ প্রমাণ হলে মুক্তি পাবেন।‘ সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘সরকারের কাছে তাঁকে অপহরণ ও হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে।‘ সব সরকারই কম বেশি রাজনৈতিক নিপীড়ন করে থাকেন প্রতিপক্ষকে। সব সরকারই নিজ স্বার্থে প্রশাসনকে কম বেশি ব্যবহার করে থাকেন। শফিক রেহমানের মতো ভালোবাসা দিবসের রঙ, গোলাপের সুবাস ও গণমাধ্যমে আধুনিকতার সংযোজন করা একজন আধুনিক মানুষ বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রকে অপহরণ ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন এটি আমি বিশ্বাস করি না। আমার সন্দেহ এ দেশের রাজনীতির অন্দর মহলে প্রতিহিংসার বিষ কতটা ছড়িয়েছে সেটি একুশের গ্রেনেডের হামালায়ই জেনেছে বাংলাদেশ। শফিক রেহমান যদি জয়কে হত্যা ও অপহরণের ষড়যন্ত্রে সত্যিই জড়িত থাকেন তাহলে একুশের গ্রেনেড হামলায়ও তার জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটাই আমার সন্দেহ। কারণ সেই সময় বিএনপি সরকারের অন্দর মহলে তার প্রভাব প্রবল ছিল। তার সঙ্গে থাকা নুরুল ইসলাম ছোটনকে হেফাজতের শাপলা চত্বরের ব্যর্থ বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত থাকার আভাস দেখেছি। সেই সময় একুশের রাতের টকশো উপস্থাপনকালে ফরহাদ মাজহারকে নামিয়ে দিতে এসে ওই ভবনের নিচ তলার বারিস্তায় চা-পান করেননি জেল খাটা বিদায়ী মালিকের সঙ্গেও বসতেন। হেফাজতের নেতা যখন তেঁতুল তত্ত্ব দিয়ে বিতর্কের ঝড়ে পরেছিলেন তখন ওই টিভির বিদায়ী জেল খাটা চেয়ারম্যান আমাকে তেঁতুল হুজুরের পক্ষে টকশোতে ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। তা না রাখায় তিনি নাখোশ হন। পরবর্তীতে ওই টকশোই ছেড়ে চলে আসি। আমরা চাই আইনের ঊর্ধ্বে যেমন কেউ নন তেমনি সকল নাগরিকের জন্য আদালত সুবিচার নিশ্চিত করুক। কোনো রাজনৈতিক প্রভাবে নয়। নির্মোহ নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। শফিক রেহমান ন্যায় বিচার পান।
আমার জবানবন্দি:
ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের উক্তি, ‘আমি তোমার মতের সঙ্গে একমত হতে নাও পারি কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিতে পারি’-কে হৃদয়াঙ্গন করে পেশার তারে জড়ানো জীবনে কাজ করার চেষ্টা করছি। জীবন আমার সারাবেলায় বৈরি স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার মতোই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তালিম নিয়েছিলাম স্কুল জীবনে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির কর্মীদের জন্য ৭৫’উত্তর সেই সময়টা ছিল কঠিন দুঃসময়। ছাত্রলীগের হয়ে রাকসুতে ভোটের লড়াইও করেছি। এরশাদ জামানায় জেল খেটেছি। জীবনে রাজনীতি করারই স্বপ্ন ছিল। ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামীলীগের প্রতি দুর্বলতা থেকে মহুমুক্তি ঘটিয়েছি পেশাদারিত্বের শক্তিতে। রাজনীতি যদি করতাম আওয়ামীলীগই করতাম। কোনো দলে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা আদর্শ যেমন নেই তেমনি আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করছে সেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। রূপবতী নারী যেমন রূপের প্রশংসায় ভুল করেন রাজনীতিবিদরাও তেমনি স্তুতি বাক্যে ডুবেন। যতই গণতন্ত্রের কথা বলুন না কেন দু’হাত ভরে দিলেও একবেলা দু’ চারটে সুলোচনা সইবার ক্ষমতা রাখেন না। গণমুখী রাজনীতির আদর্শ এখন একক কোনো দলে নেই। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির কাছে আছে। ফেলে আসা প্রেমিকার দিকে ফিরে তাকাবার অভিজ্ঞতা যেমন নেই ছেড়ে আসা রাজনীতিতে ফিরে যাবার খায়েশও আমার নেই। হঠাৎ নেতা, হঠাৎ মন্ত্রী, হঠাৎ এমপি হবার যে রাজনীতি শুরু হয়েছে সেখানে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা কর্মীর হৃদয় নিঃসৃত বেদনা আমি অনুভব করেছি। ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের মতো করুণাশ্রিত রাজনীতিবিদদের অতিকথনে মানুষ যেমন হাসে তেমনি তারাও বুঝেন বেঁচে আছেন বলেই রাজনীতি করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি না করে আসা অনেক সহকর্মীরা আওয়ামীলীগ বিট কাভার করতে গিয়ে যেখানে দলকানা হয়েছেন, বা আওয়ামীলীগের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করেছেন সেখানে নিজেকে বের করে এনেছি। বিএনপি বিট করতে করতেও অনেকে বিএনপি হয়ে গেছেন দেখেছি। এদের হাব-ভাব, কথাবার্তা শুনলে মনে হয় শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার চাইতেও বড় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তারা। তারা সরকারি ও দলীয় অনুকম্পা, তদবির, বিদেশ সফর, সরকারি প্লট, সরকারি নিয়োগ লাভ করে থাকেন। কোনো কোনো রাজনীতিবিদ যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না তেমনি এরাও যা বলেন তা বিশ্বাস করেন না। রাজনৈতিক কারণে গোটা সমাজ এখন কার্যত মূল্যবোধের অবক্ষয়ের শিকার।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংস তাণ্ডবের কারণে জীবনের পঞ্চাশতম বসন্ত সন্ধ্যার আয়োজন করতে পারিনি। একান্নতম জন্মদিনে আনন্দ সন্ধ্যায় সরকার, বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ ও শুধিজনদের সামনে আমি ঘোষণা করেছি, আমার নেতার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার দলের নাম মানুষ। দুই ভাগে বিভক্ত সাংবাদিক ফোরাম আওয়ামী ফোরাম ও জাতীয়তাবাদী (বিএনপি-জামায়াত) ফোরাম। এতদিন আওয়ামী ফোরামের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সেই সন্ধ্যায় আরো ঘোষণা দিয়েছি, আওয়ামী ফোরামের সঙ্গে আমি আর যুক্ত থাকব না। ফোরামে থাকার সময়ও সরকার ও আওয়ামীলীগের কোনো খবরকে রিপোর্টার জীবনে যেমন সেল্ফ সেন্সরশিপ বা ব্লাক আউট করিনি, এমনকি অফ দ্য রেকর্ডকে মিডিয়া স্বীকৃত প্রহসন বলেই জেনেছি। কারণ সত্যই বড়। বিশ্বাস করেছি খবর কারো একার সম্পদ নয়, জনগণের। তাই প্রকাশ করতে কখনো দ্বিধা করিনি। কলাম, মন্তব্য প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলারই চেষ্টা করেছি। বিবেক মানে না, যুক্তি মানে না, মন মানে না এমন কথা টকশোতে যেমন বলিনি লেখায়ও তেমন আনিনি। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, ‘সত্য সে যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম আমি। কারণ সে করে না বঞ্চনা।’ এটিকে হৃদয়ে ধারণ করেই আমাদের ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের উচ্চতায় রেখে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদানকে স্বীকৃতি ও সম্মান দিতে কার্পণ্য করিনি। আমাদের পূর্বসূরিরা সুমহান মুক্তিযুদ্ধে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন নিয়েই আমি পরিষ্কার হৃদয়ে আমার পেশাগত দায়িত্বের জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করছি। একজন ধর্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে আমি আমার পথ থেকে বিচ্যুত হইনি। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে একদলীয় শাসন, সামরিক শাসন, সেনা সমর্থিত সুশীল শাসন পর্যবেক্ষণ করে ব্যক্তিগত চিন্তার জায়গা থেকে সংসদীয় গণতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থাকেই উত্তম বলেই বিশ্বাস করি। ওয়েস্ট মিনিস্টার ডেমোক্রেসি ধাঁচে সংসদীয় গণতন্ত্র সেনাশাসক উত্তর জামানায় আসি আসি করেও হাতছাড়া হয়েছে সেটিকেই আমরা চাইছি। বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বললেও জিয়াউর রহমানকে সেনাশাসক বলে লেখায় উপস্থাপন করি বলে যারা অভিযোগ করেন তারা যথার্থই করেন। বঙ্গবন্ধু আমার কাছে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি একজন কঠোর সেনাশাসক। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত মুসলিম লীগ ও চীনপন্থি অতিবামদের নিয়ে সেনাশাসনের গর্ভ থেকে কট্টর আওয়ামীলীগ বিরোধীদের নিয়ে বিএনপির জন্ম দিয়েছিলেন। তার হাতে রক্তের দাগই নয় বিরোধী দলকে ভাঙা-গড়া, নিষ্ঠুর দমন নির্যাতনের ছবিও শোভা পায়। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে সংগ্রামে উঠে আসার কারণে তাকে আমি গণতন্ত্রের নেত্রী বলে মর্যাদা দিতে ভুল করিনি। তার প্রথম শাসন আমল প্রশংসিত হলেও শেষ শাসন আমল হাওয়া ভবন মিলিয়ে দুর্নীতি, দলীয়করণ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ একুশের গ্রেনেড বোমা, বিরোধী দলের উপর দমন নির্যাতন ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড মিলিয়ে অভিশপ্ত শাসন আমল ছিল। সেই শাসন আমল ও ভ্রান্ত নীতি বিএনপিকে যে গর্তে ফেলেছে তাতে তাদের কোমরই ভাঙেনি পরবর্তী হঠকারী রাজনীতি আজকের আওয়ামীলীগ জোট সরকারকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী করে দিয়ে রাজনীতির ভারসাম্যটাই নষ্ট করে দিয়েছে। একুশে গ্রেনেড হামলার দায় বিএনপির নেতৃত্ব এড়াতে পারে না। আর বিএনপি নেতৃত্ব এড়াতে পারেনি বলেই আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব বিরোধী দলের রাজনীতিকে জীবনের জন্য নিরাপদ মনে করছে না। তারাও ক্ষমতার রাজনীতিকে অস্তিত্বের বাহন মনে করছে। মাঝখানে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, আস্থা ও বিশ্বাসহীনতার সঙ্কটে পতিত। শেখ হাসিনা ৯৬ এর শাসন আমল আর চলমান শাসন আমলের মাঝে বিস্তর ফারাক। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া গুম, খুন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন নির্যাতন, ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে রিক্ত নিঃস্ব করে শেয়ার বাজার লুট করে নিয়ে যাওয়া, ডাকাত, ব্যাংক লুটেরাদের নিয়ে অসংখ্য কলাম লিখেছি। টকশোতে স্পষ্ট উচ্চারণে প্রতিটি ইস্যুতে কথা বলেছি। তারপরও শফিক রেহমানকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে যদি আওয়ামীলীগের দালালি হয়ে থাকে তাহলে কি করে বোঝাই আমি! আমরাওকি মরিয়া প্রমাণ করিতে হইবে আমি মরি নাই? যারা প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি সুবিধা গ্রহণের, তাদেরকে বিনয়ের সাথে বলতে চাই, কোনো সরকারের কাছ থেকে বিদেশ সফর, সরকারি প্লট, নিয়োগ বা কোনো সুবিধা গ্রহণ করিনি, করবও না। টাকার প্রশ্ন যারা তুলেছেন তাদের বলি শাহবাগ আন্দোলনের নেপথ্য মতলববাজদের নিয়ে নিয়ে টকশোতে যখন প্রশ্ন তুলেছিলাম তখনও এমন প্রশ্ন উঠেছিল ওয়ান ইলেভেনের পর ক্ষমতা থেকে আকস্মিক বিদায় নেয়া লতিফ সিদ্দিকিকে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাবে ও ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সমাবেশে অভিযোগ করেছিলেন শতশত কোটি টাকা কামিয়েছি। এই সব ফালতু কথাবার্তা জবাব নাই বা দিলাম। আরেকজন বলেছেন এবার নতুন চাকরি জুটে যাবে। তাদের জন্য বলছি, আমি ঘোষণাই দিয়েছি আর কোনো দিন কর্পোরেট সংস্কৃতির যুগে কোনো কর্পোরেট হাউজের গণমাধ্যমে চাকরী করতে যাব না। পূর্বপশ্চিম নিউজ পোর্টালকে দাঁড় করাতে সংগ্রাম করছি। ব্যর্থ হলে জল জোস্নার শহরে, বাউলের আসরে বৃষ্টি ও জোস্নায় ভিজতে ভিজতে বিস্তীর্ণ হাওরে বুকভরে শ্বাস নিয়ে প্রয়োজনে সন্ন্যাস হবো। আপনারা নিশ্চিন্তে সুখে থাকুন চাকরিতে আর যাচ্ছি না। আমার অহম, আমার জেদ, আমার আত্মমর্যাদাবোধ প্রশ্নে বেহেস্তের সন্ধান না পাই দুনিয়ার জাহান্নামে ফিনিক্স পাখির মতো বারেবারে পুড়ব। তবু সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত হব না। আমার সহোদর ছোট ভাই পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সুনামগঞ্জ সদর আসর থেকে বিনাভোটে সংসদে জাতীয় পার্টি থেকে এসেছেন বলে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এর আগেও এই প্রশ্ন এসেছে। আমার বড় ভাই অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কঠিন দুঃসময়ে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও পরে দু’বার সম্মেলনে জেলা সভাপতি হয়েছিলেন। বলা হয় সে সময় তার হাত ধরে ছাত্রলীগের স্থানীয়ভাবে পুনর্জন্মই হয়নি কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচনে প্রথম বিজয়ের মুখ দেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামীলীগের প্রতি তার আনুগত্য প্রশ্নের ঊর্ধে পার্লামেন্টেরই ভোটে তাকে মনোনয়ন দানের সুপারিশ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে রাজনীতিতে নাবালক যুবলীগের এক তরুণকে মনোনয়ন দেয়া হয়। আমার বড় ভাই মতিউর রহমান পীর আমৃত্যু আওয়ামীলীগই করতে চান। আওয়ামীলীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছিল সেদিন দলের নেতা কর্মীরা তা মানেননি। পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ নিজেও ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এসেছিল। বিএনপি-জামায়াত শাসন আমলে সে রাজপথে সক্রিয় ছিল। সেই সময় রাজনীতিতে ওই নাবালক তরুণটি লন্ডনে ছিলেন। দলের মধ্যে যখন চরম অসন্তোষ তখন অপমানের যন্ত্রণায় সে যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করে এরশাদের জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নেয়। সে জানত ভোটের লড়াই হবে। বিনাভোটে নির্বাচনটা তার হাতে ছিল না। এই সংসদ যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে ছোট ভাই বিনাভোটে এমপি এটা আমার নিজের জন্য গ্লানিও বটে। বলতে দ্বিধা নেই, লজ্জারও। যেদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে সেদিন আমি গ্লানিমুক্ত হবো। যে কেউ সুনামগঞ্জ সদর আসনে গিয়ে গণহারে মানুষের সঙ্গে কথা বললে নিশ্চিত হবেন, আমার সহোদর পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে নিয়ে আর যাই হোক কেউ অনৈতিক অভিযোগ তুলবে না। দুর্নীতি দূরে থাকুক। সন্ত্রাস, স্বজনপ্রীতি ও প্রতিহিংসা খেকে দূরে থেকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করে নিরলস পরিশ্রম করছে। ব্যক্তিজীবনে সৎ নির্লোভ, নিরহংকারী, বিনয়ী কিন্তু দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়ত প্রতিবাদী জেনে আপনিও মুগ্ধ হবেন। শফিক রেহমান যদি স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে সরকারের হয়রানি বা নির্যাতনের মুখে পরতেন আমি তার জন্য হাত ও মুখ খুলতাম। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে খায়রুল কবির খোকন পর্যন্ত যখন গ্রেফতার হয়েছেন টকশোতে কথা বলেছি। কলামে প্রতিবাদ করেছি। একজন কমেন্টদাতা আমাকে বাইচান্স সাংবাদিক বলেছেন, রাগে ক্ষোভে বলেছেন। শফিক রেহমান অগ্রজ আমি অনুজ দু’জনই পেশাদারিত্বের দীর্ঘ পথ হেঁটে এসেছি। আমি দল ছেড়ে সাংবাদিকতাকে গ্রহণ করেছি। উনি সাংবাদিকতা ছেড়ে দলকে গ্রহণ করেছেন। বাইচান্স এডিটর হলেন মাহমুদুর রহমান। উগ্র হঠকারী হেফাজত কানেকশনে অতি বিপ্লবী এই মানুষটি বিএনপি জামায়াতের শক্তিতে উপর থেকে হঠাৎ সম্পাদক হয়েছিলেন। বিএনপিকে ডুবিয়ে নিয়েই জেলে পচছেন। যে কোনো রাজনৈতিক নেতার প্রতি সমালোচনা গণতন্ত্রে গ্রহণযোগ্য হলেও বিদ্বেষ বা প্রতিহিংসা গ্রহণযোগ্য নয়।
লেখক: প্রধান সম্পাদক, পূর্বপশ্চিমবিডি ডটকম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন