বাজারে জিনিসের দাম যখন বাড়তে থাকে তখন কী হয়, এ কথা কাউকে বলে বোঝাবার দরকার হয় না। আমরা সবাই বুঝি, শুধু বুঝি না, হাড়ে হাড়ে টেরও পাই, কিন্তু যখন তার ঠিক উল্টোটা হয়, জিনিসের দাম কমতে থাকে তখন কী হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বিষয়টির একটু গভীরে যেতে হয়। কারণ, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় দাম কমলে তো ভালোই। আমরা তো সবকিছুই সুলভে কিনতে চাই। দামাদামি করি, দরাদরি করি সস্তায় কেনার জন্যই তো। দাম কমলে অসুবিধাটা কী? অসুবিধা আছে বৈকি। কিভাবে? সেটা দু’ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তার আগে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, হঠাৎ কোনো কারণে দ্রব্যমূল্য একদফা পড়ে গিয়ে আবার থিতু হয়ে যাওয়া বিশেষ ক্ষতিকর কিছু নয় এবং এটা এক কথা, আর সময়ের সাথে বাজারদর ক্রমেই কমতে থাকা সম্পূর্ণ আলাদা কথা। ইদানীং তেলের বাজারে যা হচ্ছে তা প্রথমটি নয়, বরং দ্বিতীয়টি, আর তাই সবার জন্যই চিন্তার বিষয়।
জিনিসের দাম ক্রমেই কমতে থাকলে একসময় গিয়ে দেখা যায়, উৎপাদন খরচ পুষিয়ে বিক্রেতার আর কোনো মুনাফা থাকছে না। অল্প কিছু দিন সে লোকসানেও ব্যবসায় করতে পারে, কিন্তু বোধগম্য কারণে তার পক্ষে এ অবস্থা বেশি দিন চালানো সম্ভব হয় না। একসময় সে ব্যবসায় গুটিয়ে নেবে। অন্য কিছু করার না থাকলে নিজে বেকার হবে, তার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অবস্থাও হবে তথৈবচ। একইভাবে সব জিনিসের দাম যদি কমতে থাকে, তাহলে সারা দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে। বিষয়টি অর্থনীতির গণ্ডি পেরিয়ে অবশেষে দেশে মারাত্মক সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায়ও রূপ নিতে পারে।
এবার দেখা যাক মূল্য-হ্রাস যদি কেবল মাত্র একটি বিশেষ দ্রব্যের বাজারেই সীমাবদ্ধ থাকে তা হলে কী হয়। যে জিনিসটার দাম কমছে সেটা যদি নিতান্ত আবশ্যকীয় হয় তাহলে ক্রেতারা সাবধানে কিনবে, অর্থাৎ ঠিক ততটাই কিনবে যতটা দরকার। বস্তুটা যদি নেহায়েত নিত্য প্রয়োজনীয় না হয়, তাহলে ক্রেতারা পড়ন্ত বাজারেও জিনিসটা কিনতে চাইবে না। তারা হাতপা গুটিয়ে বসে থাকবে এই আশায় যে, পরে ওই জিনিসের দাম আরো কমবে। ইংরেজিতে এটাকে বলে, "Nobody tries to catch a falling knife"। তেল যেহেতু আবশ্যকীয় পণ্য, তাই এর দাম কমার সাথে সাথে ক্রেতারা সাবধানে অল্প অল্প করেই কিনবে। কম দামে কম তেল কেনার কারণে মানুষের হাতে বাড়তি কিছু টাকা থেকে যাবে, যা দিয়ে তারা তাদের পছন্দমত অন্য জিনিস আগের তুলনায় কিছুটা বেশি কিনতে পারবে। তেলের বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করলেও বাকি সব বাজারে রমরমা ব্যবসা চলবে। সার্বিক অর্থনীতিতে মন্দা আসবে না। কিন্তু ইদানীং তেলের দামের সাথে সার্বিক বিশ্ব অর্থনীতির সম্পর্কটা একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে। অর্থাৎ তেলের কমতি দাম স্বত্বেও অন্যান্য দ্রব্যের বাজারে রমরমা ভাব দেখা যাচ্ছে না। তার কিছুটা আলামত বোঝা যায় শেয়ার বাজারের দিকে তাকালে। যেদিন তেলের দাম পড়ে, সেদিন স্টকের দাম কমে যায়। হওয়া উচিৎ ছিল ঠিক তার উল্টোটা। কারণ তেলের দাম পড়া মানে কম উৎপাদন খরচ, কম পরিবহন ও বিপণন ব্যয় এবং বাড়তি মুনাফা। আর বাড়তি মুনাফা মানেই সার্বিক শেয়ার বাজারের উর্ধগতি। ইদানীং এ চূড়ান্ত ফল না আসারও একটা ব্যাখ্যা আছে। ব্যাখ্যাটা এ রকম। এবারকার তেলের দামের ক্রমাবনতিকে বিশ্ব বাজারব্যবস্থা শুধু তেলের দাম পড়ছে বলেই মনে করছে না। তারা এটাকে আরো গভীর এবং জটিল একটি অর্থনৈতিক সমস্যার আলামত হিসেবেই দেখছে। অর্থাৎ তেলের নি¤œগামী মূল্যকে তারা সার্বিক বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ব্যাপক মন্দার আগমনী বার্তা হিসেবে ব্ুেঝ নিচ্ছে। কোনো কোনো সময় বাজারের সাইকি কেন এমন হয়, তারও কারণ আছে, কিন্তু সেটা আরো জটিল এবং কঠিন। তার কিছুটা আমার জানা কিছুটা এখনো অজানা। সে আলোচনার এটা উপযুক্ত জায়গা নয়, এবং আমি এর উপযুক্ত বিশেষজ্ঞও নই।
এই ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে এবার দেখা যাক সম্প্রতি বিশ্ববাজারে কেন এভাবে তেলের দাম পড়ছে। ২০০৭ সালে যে তেল কেনাবেচা হচ্ছিল ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১৪০ ডলারে, সেটা এখন মাত্র ৩০ ডলারের কাছাকাছি ওঠানামা করছে। ক’বছর আগেও যেসব তেল কোম্পানি আকাশছোঁয়া মুনাফা করেছে, তারা ইদানীং লোকসান গুনতে গুনতে দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন-রিগ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক ইন্টারনেটসূত্রে পাওয়া এক হিসাবে দেখা যায়, দুনিয়াব্যাপী অয়েল সেক্টরে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার লোক চাকরি হারিয়ে বেকার বনে গেছে।
অতি সম্প্রতি ওপেক সদস্যরাষ্ট্র সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলা, কাতার এবং রাশিয়া উৎপাদন না বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। যে জায়গায় এখন দাম আছে, এতে করে সৌদি এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর তেল থেকে রাজস্ব আয় শুধু এ বছরই কমবে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে। কেউ কেউ মনে করেন, এভাবে যদি তেলের দাম আরো পড়তে থাকে তাহলে সৌদি বাদশাহ সালমানের রাজত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। তবে কথাটা কতটুকু যথার্থ তা আমরা একটু পরে আরেকটু তলিয়ে দেখব। এদিকে ইরান আমেরিকার সাথে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি করেছে এই আশায় যে, তাদের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তারা তাদের আটকেপড়া নগদ ১৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ ফেরত পাবে এবং তার চেয়ে বড় কথা, তারা বছরে শুধু তেল রফতানি থেকে আয় করবে আরো ২৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো। এখন তেলের দাম যেভাবে পড়েছে, এতে করে তাদের সব হিসাব-নিকাশ ওলটপালট হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান বাজার দরে তারা তেল থেকে কোনোভাবেই ৩০ বা ৩৫ বিলিয়নের বেশি রাজস্ব জোগাড় করতে পারবে না।
এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেও কেউ কেউ ওই কঠিন প্রশ্ন- অর্থাৎ তেলের দাম এভাবে কমছে কেন? এর উত্তর খুব সহজ ভাষায় দিচ্ছেন। তারা বলছেন, চাহিদা-সরবরাহের মধ্যেই এর পুরো উত্তর নিহিত আছে। গত কয়েক বছরে আমেরিকা তার দেশজ তেল উৎপাদন দ্বিগুণ করেছে। যার ফলে সৌদি আরব, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া, যারা এতদিন তেল বেচত আমেরিকার কাছে তারা এখন পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করছে এশীয় বাজারে গিয়ে। এই নতুন প্রতিযোগিতার ফলে উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের তেলের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কানাডা এবং ইরাকও তাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে গেল ক’বছরে। রাশিয়ানরাও অনবরত কূপ থেকে তেল তুলতেই আছে। ফলে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার তেলে তেলে সয়লাব হয়ে আছে।
এবার চাহিদার দিকে তাকালে দেখা যায়, ইউরোপ, চীন ও ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি দুর্বল অর্থাৎ আগের মতো রমরমা নয় এবং উন্নত বিশ্বে যেখানে ঘরে ঘরে এক বা একাধিক মটরগাড়ি আছে সেখানে মানুষ অধিকহারে পুরনো গাড়ি পাল্টে হাইব্রিড ফুয়েল এফিশিয়েন্ট নতুন মোটরযান কিনছে। ফলে উভয় অঞ্চল থেকে তেলের চাহিদা কমছে। তাই তেলের দামের ওপর নিম্নগামী বাড়তি চাপ পড়ছে। এ ছাড়া ইরাকে আইসিস দেদার তেল পাম্প করছে এবং সস্তা দামে কালোবাজারে বিক্রি করছে। শোনা যায়, বড় বড় ক্রেতারাও কেউ কেউ কাঁচা টাকা দিয়ে সে তেল কিনছে সস্তায়, একেবারে ছ’কড়া-ন’কড়া দামে। এ সব কিছুর যোগফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা আরো কমে গেছে।
সরবরাহের প্রাচুর্য এবং চাহিদার স্বল্পতার জন্য তেলের দাম কমছে এবং এই পড়ন্ত বাজারে ক্যাসকেড ইফেক্টেরও জন্ম হচ্ছে। অর্থাৎ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো দেখছে আগে যে পরিমাণ তেল রফতানি করে তারা যে অঙ্কের রাজস্ব আয় করত, এখন তা আসছে না। এই রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে তাদের কেউ কেউ তেলের উৎপাদন এবং রফতানি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে তেলের দাম আরো দ্রুত পড়ে যাচ্ছে।
অর্থশাস্ত্রের সাধারণ যুক্তি বলে, যেভাবেই হোক, তেলের দাম কমলে শুধু তেল রফতানিকারক দেশগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর বাকি সর্বত্র অর্থনীতি শনৈ শনৈ উন্নতি হওয়ার কথা। কারণ তেল হচ্ছে জ্বালানির উৎস, যাবতীয় দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদনের একটা মৌলিক উপাদান। শুধু তাই নয়, এই তেল ব্যবহার করেই উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা-ভোক্তাদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেয়া হয়। তাই তেলের দাম কমলে সব জিনিসের উৎপাদন ও বিপণন খরচ কমার কথা। একই দামে কিংবা কিছু কম দামে বেচলেও ব্যবসায়ীদের মুনাফার পরিমাণ বাড়বে। তারা বিনিয়োগ বাড়াবে, মানুষ নতুন নতুন চাকরি পাবে, উৎপাদন বাড়বে, আয় উপার্জন বাড়বে, দেশে দেশে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। বরং দেখা যায়, যেদিন তেলের দাম কমে সেদিন দুনিয়াব্যাপী স্টকমার্কেট পড়ে যায়। অর্থনীতিতে এ বৈপরিত্যেরও ব্যাখ্যা আছে। আর ব্যাখ্যাটা হলো- দুনিয়াজোড়া তেলের যে দাম কমছে তার কারণ কিন্তু নিছক সরবরাহ আর চাহিদাই নয়, অন্য কিছু। তেলের এই দাম পড়া রোগ নয়, বরং এটা রোগের লক্ষণ। শুধু ‘রোগের লক্ষণ’ বললে কম বলা হয়, আসলে এটা বড় রোগের লক্ষণ। আর ‘বড় রোগটি হলো সার্বিক মন্দা, ইংরেজিতে যাকে বলে রিসেশনের আলামত।
এগুলো হচ্ছে কেতাবি বা শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা, তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে শুধু এ বিশ্লেষণে সন্তুষ্ট নন। তাদের মতে, এ সবই শাস্ত্রের কথা, সত্য কথা, বাস্তবতা। আর এসব বাস্তবতার আড়ালে লুকিয়ে আছে আরো বড় এক বাস্তবতা। আর এ লুকানো বাস্তবতাকে বুঝতে হলে জানতে হবে সাম্প্রতিক বিশ্বরাজনীতি, তার সমরনীতি, কূটকৌশল ও কূটনীতি। এবার দেখা যাক সেগুলো কী? আড়ালের এসব বাস্তবতার সামনে আছে তিনটি দেশ- সৌদি আরব, ইরান এবং রাশিয়া। পর্দার আড়ালে আছে আমেরিকা এবং ইউরোপ। সম্প্রতি রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং ইউক্রেনে ইউরোপের সাথে পরোক্ষভাবে কূটনৈতিক এবং সামরিক সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়াকে পশ্চিমা বিশ্ব ফের ঠাণ্ডা লড়াইয়ের একটা অশুভ সূচনা হিসেবে দেখছে। ইউরোপ-আমেরিকার পক্ষে রাশিয়ার সাথে সম্মুখ সমরে নামার প্রশ্নই ওঠে না, তাই বলে তারা চুপ করেও বসে থাকতে পারে না। তারা অন্যভাবে রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে চায় এবং করছে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে পারলে রাশিয়া সহজেই কাবু হয়ে যাবে। আমেরিকা এবং ইউরোপ অন্যতম তেল উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবকে দিয়েই এ কাজটা কৌশলে করাতে চাচ্ছে এবং করাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।
এখন প্রশ্ন হলো, সৌদি আরব এ কাজ করবে কেন। করলে তার লাভ কী আর ক্ষতিইবা কী? এ কাজে সৌদিদের লাভও আছে, ক্ষতিও আছে। ক্ষতি হলো রাশিয়ার মতো তাদেরও তেল রফতানি থেকে রাজস্ব আয় কমে গেছে মারাত্মকভাবে। তবে রাশিয়ার বা অন্য যেকোনো ওপেক দেশের তুলনায় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান অনেক মজবুত। কারণ তাদের রয়েছে বিশাল পরিমাণ সোনা ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ। সুতরাং এভাবে তেলের দাম আরো দুই-চার বছর পড়ে থাকলেও সৌদিদের তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। তারা নগদ টাকা ভাঙিয়ে ভাঙিয়ে চলতে পারবে অনেক দিন এবং এতে একটা লাভও আছে। লাভের অঙ্ক, নগদ টাকা ভাঙিয়ে খাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি। আর তা হলো, সুন্নি-সৌদিদের চিরশত্রু শিয়া-ইরান পাশ্চাত্যের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করে যে স্বপ্ন দেখছিল সেটাকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে পারবে। কীভাবে সে কথা একটু আগেই বলেছি। শিগগির ইরান আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ঢুকবে, কিন্তু হলে কী হবে, আগের হিসাব অনুযায়ী ২৫০ বিলিয়নের বদলে মাত্র ৩০ বিলিয়ন নিয়েই ইরানকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগোবার কথা ছিল, তা আর হবে না। এ বয়ান যদি সত্যি হয় তাহলে সৌদি আরব যে খেলায় মেতেছে তা ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ ছাড়া আর কিছু নয়।
লেখক : অধ্যাপক, অর্থনীতি, টেনেসি স্টেইট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র;
এডিটর - জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ;
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন