দেশে একের পর এক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গিদের এসব আস্তানা গাড়ার প্রধান উদ্দেশ্য থাকে নিকটবর্তী কোথাও বড় ধরনের কোনো ‘আক্রমণ’ পরিচালনা করা, সরকারকে দুর্বল করা, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভীতির ধারণা তৈরি করা। এসব আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুও থাকে নানামাত্রিক। এক সময় জঙ্গিদের টার্গেটে দেশের প্রগতিশীল লেখক, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন। ধীরে ধীরে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ধর্মযাজক, ব্যক্তিগোষ্ঠীদেরও টার্গেট করে ছোঁ মেরে এসে হত্যা শেষে চম্পট দিত জঙ্গিরা। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় তারা একের পর এক এভাবে হত্যাকা- ঘটিয়ে বছর দুই আগে বেশ আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল। এ ছাড়া বিদেশিদের আক্রমণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি দুই নাগরিককেও তারা একই কায়দায় হত্যা করেছে। এসব তরুণ জঙ্গির আস্তানা কোথায়, এ সম্পর্কে প্রথম দিকে তেমন কোনো ধারণা জানা ছিল না। তবে বিভিন্ন ছাত্রাবাস বা ছাত্রমেসে সুবোধ বালকের ভাবমূর্তি নিয়ে কিছুদিন থেকে সুযোগমতো হত্যাকা- সংঘটিত করে তারা হঠাৎই উধাও হয়ে যেতÑ এমনটি পরে জানা গেছে। তখন পর্যন্ত তাদের তেমন কাউকেই হাতেনাতে ধরা যায়নি। বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হয় গুলশানের হলি আর্টিজানে হত্যাকা-ের পরÑ যখন জঙ্গিদের কয়েকজন বর্বর ওই হত্যাকা- শেষে মারা যায়, ধরা পড়ে। এর এক সপ্তাহ পর শোলাকিয়ায় ঈদের ময়দানে হামলা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে দুর্ধর্ষ এক জঙ্গি মারা যায়। পত্রপত্রিকায় উভয়স্থানের জঙ্গিদের ছবি প্রকাশের পর তাদের আগেকার আস্তানার খবর জানাজানি হতে থাকে। তাদের পরিচয় ও জঙ্গি হওয়ার নানা বিস্ময়কর তথ্য জানা যায়। হলি আর্টিজানের হত্যাকা- ছিল সম্পূর্ণরূপে বিদেশিদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভয়ানক এক আন্তর্জাতিক সংকটে ফেলে দেওয়া। গুলশান হত্যার আগে আগে জঙ্গিদের নতুন আস্তানা আশপাশেই গড়ে তোলা হয়। কোনো আস্তানাই তাদের বেশিদিনের ছিল না। এ মিশন শেষে অন্য মিশনের নতুন নতুন সাময়িক আস্তানা গড়ে তোলা হয়Ñ যা না বুঝেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, না বুঝেছে বাড়িওয়ালা তথা সাধারণ জনগণও। জঙ্গিরাও ততদিনে পরিবারের নারী-শিশুদের নিয়ে বাড়িভাড়া করে থাকা শুরু করেÑ যেন কেউ টের না পায়। এগুলোয় নানা ধরনের বিস্ফোরক, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি মজুদ করা হতে থাকে। তবে এমন পর্যায়ে আস্তানা গাড়ার পর বড় ধরনের কোনো অপারেশন সংঘটিত করার আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব আস্তানার সন্ধান পেতে থাকে এবং জঙ্গিদের সব প্রতিরোধই প্রতিহত করার মাধ্যমে আস্তানাশক্তিকে দুর্বল করে দিতে থাকে। বড় বড় কয়েক জঙ্গিনেতার মৃত্যু ঘটে, কয়েকজন ধরাও পড়ে। গত প্রায় ১০ মাসে জঙ্গিরা বড় ধরনের কোনো হামলা চালাতে পারেনি। তাদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সরকারি কৌশল জঙ্গিদের অনেকটাই দুর্বল করে ফেলে। এ অবস্থায় জঙ্গিরাও কৌশল পরিবর্তন করে চট্টগ্রামের সীতাকু-ের মতো বিশেষ জায়গায় আস্তানা গাড়তে থাকে। কিন্তু সেটিও তাদের খুব একটা টিকল না। জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ওই আস্তানা ভেঙে যায়, দুই জঙ্গি ধরাও পড়ে। তবে জঙ্গি আস্তানায় নারী জঙ্গিদের অবস্থান বেশ চমকে দেওয়ার মতো মনে হতে থাকে, এমনকি জঙ্গি পরিবারের উঠতি কিশোররাও এর সঙ্গে সহায়ক হয়ে ওঠে। অবশেষ মৌলভীবাজারের নাসিরপুর ও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহলে নব্য জেএমবির নেতা মুসাসহ কয়েকজনের অবস্থান, গোলাবারুদের মজুদ কার্যক্রম, অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপকতা প্রতিরোধ করার দক্ষতা ইত্যাদি সচেতন মহলকে শঙ্কিত করে তুলেছে। এর আগে ঢাকায় র্যাব সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলার বিষয়টিও বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। সিলেটে জঙ্গিদের আকস্মিক অস্ত্র নিক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুই সদস্যের মৃত্যু, র্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গুরুতর আহত হওয়া ও সাধারণ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় জঙ্গিদের বেপরোয়া হওয়ার মানসিকতারই প্রকাশ পায়। কে জানে নিকট বা দূরবর্তী ভবিষ্যতে জঙ্গিরা দেশের অন্য কোনো স্থানে, প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জে কোনো বড় ধরনের আস্তানা গড়ে তোলার চেষ্টা করে থাকে কিনা; বনাঞ্চল, গ্রামাঞ্চল, উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করে কিনা, তা দেখার বিষয়। তাদের বর্তমান নেতা মুসার মৃত্যুর পর নতুন কোনো নেতার আবির্ভাব ঘটলে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা একবার যারা এমন উগ্র ও হঠকারী বিশ্বাসে আপ্লুত হয়ে জঙ্গিবাদের মতো মতাদর্শে দীক্ষা নিয়ে মানুষ হত্যায় মেতে ওঠে, তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম কেউ ছাড়া অধিকাংশই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে না। এখনো অনেক তরুণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা আদৌ বেঁচে আছে, নাকি জঙ্গি আস্তানা আস্তানায় ছুটে বেড়াচ্ছে কোথাও কিছু যদি করা যায়Ñ তেমন বিশ্বাস তাদের তাড়িত করে থাকতেও পারে। তবে হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঘটনার পর জঙ্গি রিক্রুটমেন্টে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। মা-বাবারা চেষ্টা করছেন সন্তানদের আগলে রাখার জন্য। তা ছাড়া এরই মধ্যে আইএসের শক্তিক্ষয়। সিরিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, সুদান, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ সর্বত্র জঙ্গিদের বাড়াবাড়িতে মারাত্মক আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিকবলিত মুসলিম দেশগুলোয় খাদ্য সংকট, দুর্ভিক্ষ অবস্থাসহ নানা বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মানুষকে কিছুটা হলেও নাড়া দিতে শুরু করেছে। জঙ্গিদের বাড়াবাড়ি ঘটলে আমাদের দেশেও উন্নয়নের ধারা উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিতÑ এমনটি অনেকেই এর মধ্যে বুঝতে শুরু করেছেন। বস্তুত আন্তর্জাতিকভাবে খিলাফত শাসনের আকাক্সক্ষায় এখন আর আগের মতো বিভক্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এর আগে তালেবান, আল কায়েদার অবস্থাও এখন আর তেমন শোনা যাচ্ছে না। ফলে এক ধরনের পতনাবস্থা আইএসসহ সব জঙ্গি প্রভাবিত অঞ্চলগুলোয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে সরকারের জিরো টলারেন্স, অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোর ভেতরে আরব বসন্ত তালেবান, আল কায়েদা, আইএসÑ যে নামেই জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আবেগ তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলো এখন অধঃগতিতেই শুধু চলছে না, ওইসব দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাও শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। সেখান থেকে লাখ লাখ মানুষ প্রাণে বাঁচার জন্য ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে, এখন যেতেও পারছে না, জীবনধারণও বেশ কষ্টকর হয়ে উঠছে। এই বাস্তবতায় জঙ্গিবাদের দিকে এক-দুই বছর আগের মতো এখন আর ছুটে যেতে পারছে না। এরপরও কিছু মহল দেশে বয়ে গেছেÑ যারা জঙ্গিদের ওপর ভর করে দেশের সর্বত্র নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। তাদের ভরসার শক্তি হতে পারে এসব জঙ্গি। যেসব জঙ্গি আস্তানা এরই মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিংবা যেসব জঙ্গি কর্মকা- সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর পেছনে অর্থ, অস্ত্র ও রাজনৈতিক সমর্থন তারা কেউ না কেউ দিচ্ছে বলেই নতুন নতুন আস্তানা গড়া, জঙ্গিদের ভরণ-পোষণ দেওয়া, অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য সরবরাহ, অর্থের জোগান দেওয়া ইত্যাদিতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এসব কেউ না কেউ দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থার দলগুলোর একটি বড় ধরনের চেষ্টা গোড়া থেকেই ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই পথেই দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যাপক সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পেছনে সরকার উৎখাতে আশাবাদী হওয়ার ঝোঁক বেশি ছিল। কিন্তু সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কারণে সহিংস ওই ‘আন্দোলন’ শেষ পর্যন্ত যেমন সফল হয়নি, তেমনি সরকারও উৎখাত করা সম্ভব হয়নি। তবে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার টার্গেট বেশকিছু জঙ্গি বা উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিত্যাগ করেনি। শেখ হাসিনার জীবননাশের চেষ্টা নানাভাবে নেওয়া হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কারা এসবের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে, তা বলা মুশকিল। তবে দূর থেকে কলকাঠি নাড়ার অপশক্তি বাংলাদেশে কম নেই। প্রতিক্রিয়াশীলরা কোনোকালে কোনো দেশে প্রগতিশীল ব্যক্তি ও সরকারকে মেনে নেয়নি, হত্যা করতে দ্বিধা করেনি। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ অনেকেই ওই অপশক্তির ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনাও বেশ কয়েকবার তাদের পাতা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। এখনো তাদের অস্ত্র শেখ হাসিনার প্রাণসংহার করতে পিছু পিছু ছুটছে। জঙ্গিদের সবাই খিলাফত বা ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ পথে যোগ দিয়েছেÑ এমনটি বলা মুশকিল। জঙ্গি নামের আড়ালে কেউ শেখ হাসিনাকে উৎখাতের কোনো ফাঁদ পেতে নেই, সেভাবে নিযুক্ত হননিÑ তা বলা যাবে না। বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদের বিশ্বাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অভিন্ন কোনো লক্ষ্য থাকার কথা নয়। কেননা যারা এর নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা জঙ্গিবাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কথা নয়। এ ধরনের হতাশাবাদী অবস্থায় তাদের ব্যবহার করার অপশক্তির অভাব দেশে নেই। এককালের সর্বহারাদের পরিণতি কী হয়েছিল, তা এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে। বর্তমানে জঙ্গিদের ভেতরে আসলে কী ধরনের রাজনৈতিক মিশন দূরের রিমোট কন্ট্রোল স্থাপনকারীরা নির্ধারণ করে আছে, তা জঙ্গিদের অনেকের হয়তো জানা নাও থাকতে পারে। তবে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে সরিয়ে নিতে অনেকেই কলকাঠি নাড়তে পারেন অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে, বিদেশি বিনিয়োগ পরিবেশকে আস্থাহীন করে তোলার কোনো গভীর নীলনকশা আঁটা হতে পারে। দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে অনেকেরই মুখে নানা ধরনের উলটপালট কথাবার্তা শুনে মনে হয় না তারা জঙ্গিবাদকে অপছন্দ করেন, এর অবসান চান। বরং জঙ্গি উৎখাত অভিযানের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন, জঙ্গি হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশের মতো মনোবৃত্তি পোষণে করতে দেখা যায়। ফলে তাদের রাজনৈতিক দলের বিশাল একটি অংশ জঙ্গিবাদ নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বর্তমান সরকারকে উৎখাতে জঙ্গিদের সহযোগিতা নিতেও কোনো দ্বিধা নেইÑ এমন মনোভাবই পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ মুখে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কথা বললেও তাদের উত্থানে পাল্টা কিছু বৈশ্বিক ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। দেশে গণতন্ত্রহীনতাকেও কেউ কেউ জঙ্গিবাদের উত্থানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসবই শেষ বিচারে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদকেই প্রচ্ছন্নভাবে টিকে থাকতে সুযোগ করে দিচ্ছে। জঙ্গি ইস্যুর সঙ্গে দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে একাত্ম করে দেওয়ার প্রবণতাও বিস্ময়কর। বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতা বাংলাদেশে যত বিস্তৃত উদারবাদী, অসাম্প্রদায়িক পুঁজিবাদী ভাবাদর্শ ইত্যাদি ধারা সেভাবে শানিত নয়। বরং এসবের ভেতরেই স্থান করে নিচ্ছে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী, তাদের পৃষ্ঠপোষক ও সহানুভূতিশীল গোষ্ঠীÑ যারা আবারও বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, শূন্যতার পরিবেশ তৈরিতেই ভূমিকা রাখছে। এখানেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলাম লেখক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন