অবশেষে অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ১০ জনের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কেএম নুরুল হুদাকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। অনুসন্ধান কমিটি সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে ওই তালিকা হস্তান্তর করার অল্প কিছুক্ষণ পরই রাষ্ট্রপতি ৫ জনের চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর দেন, রাতেই তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়, গণমাধ্যমের সম্মুখে রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রকাশ করা হয়। গোটা দেশ আগ্রহের সঙ্গে সবকিছু লক্ষ করেছে, অবশেষে নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের নাম জানতে পেরেছে, এর মাধ্যমে অবসান হলো অপেক্ষার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া দেখা এবং পাওয়ার বিষয়টি। দেশে প্রায় দুই-আড়াই মাস ধরে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুনতে হয়েছে। অনেকেই অনেক কিছু আশঙ্কা করেছিলেন, রাজনীতিতে উত্তপ্ত অবস্থা তৈরির আশঙ্কাও কোনো কোনো মহল থেকে করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছে, সরকার নিজেদের পছন্দের লোক বসিয়ে নতুন কমিশন গঠন করবে। বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে নানা গালমন্দ এবং কটূক্তিও করা হয়েছিল। সেটি অবশ্য একটি বড় ধরনের পর্যালোচনার বিষয়Ñ যা এই লেখার মূল বিষয়বস্তু নয়।
সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার সরকারের বিষয়। অতীতে বাইরে নির্বাচন গঠন নিয়ে বিরোধী দলগুলো, নাগরিক সমাজসহ সব মহলের মতামত উপেক্ষা করে অনেক সরকারই তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। বিএনপির দুই মেয়াদের শাসনামলে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরে গিয়ে একবারও নির্বাচন কমিশন গঠনে কারো কোনো দাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়নি। বিষয়টিকে বিএনপি হয়তো তাদের দুর্বলতার প্রকাশ ঘটবে বলে ধরে নিয়েছিল। তবে বিএনপির এমন আপসহীন অবস্থার ফল কোনোবারই ভালো হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কারণে বিচারপতি সাদেক কমিশনকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, আবার বিচারপতি আজিজ কমিশনের পরিণতিও ভালো হয়নি। বিচারপতি সাদেক কমিশনকে বিদায় নিতে হয়েছিলÑ সে কারণে বিএনপি কোনো অবস্থাতেই নতুন হেনা কমিশনকে সহ্য করতে পারেনি। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আবু হেনাকে নিয়ে বিএনপি এতটাই মারমুখো ছিল যে, শেষ পর্যন্ত আবু হেনা সিইসি পদ ছেড়ে দেওয়াকে শোভনীয় মনে করে বিদায় নেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আমলা আবু সাঈদকে স্বীয় বিবেচনায় সিইসি নিয়োগ করলে বিএনপি তাকে ভুল করে বাকশালের আবু সাঈদ ভেবে শোরগোল করেছিল। অথচ ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির এই নিয়োগকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে চাননি। তিনি তখন রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতার বাইরেও চলার মতো কিছু কিছু স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সুযোগ থাকার পরও তিনি নিজের দলের কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ দেননি। সম্ভবত রাষ্ট্রপতি পদটির মর্যাদাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার চিন্তা থেকে। কিন্তু সেই বিশ্বাস তার ভেঙে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নির্বাচনসহ অনেক কিছুতেই রাষ্ট্রপতির পদটি মর্যাদাভঙ্গের কারণ থেকে। যে বিএনপি আগে নির্বাচন কমিশনে আবু হেনা এবং আবু সাঈদের নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছিল, সেই বিএনপি আবু সাঈদের মেয়াদ শেষে বিচারপতি আজিজ-মাহফুজ এবং আরও কয়েকজন দলীয় অনুগত ব্যক্তিকে ২০০৬ সালে নিয়োগ প্রদান করে ২০০৭ সালের নির্বাচনকে প- করে দিতে ভূমিকা রেখেছিল, সেই বিএনপি ২০০৯-পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদের শাসনামলে নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় ভিন্ন পরিস্থিতি দেখছে। গেলবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি কমিশনের তালিকা লাভ করেছিলেন, সেখান থেকে ৫ সদস্যের রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন গঠিত হয়। কমিশন শুরুতে যেসব নির্বাচন করিয়েছিল তার সব কটিই প্রশংসিত হয়েছিল। এমনকি ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সব ক’টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০ দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন এবং প্রতিহত করার ফলে নির্বাচনের পরিবেশই বদলে যায়, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা কতটা সম্ভব ছিল, সাংবিধানিক নানা সংকটের বিপদ তখন দেশকে কতখানি আচ্ছন্ন করার আশঙ্কা ছিলÑ বিষয়গুলো স্থির চিন্তা করে ভাবনা প্রয়োজন। কোনো গতানুগতিক বিশ্বাস ও আবেগ দিয়ে দেখা মোটেও ঠিক হবে বলে মনে করি না। একটি বড় ধরনের রাষ্ট্রও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার শিকার হলো নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থা। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটা শুরু হয়েছে অতি সম্প্রতি যখন বিএনপি নারায়ণগঞ্জ পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সবার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সংঘর্ষ এবং উত্তেজনার অংশটি একান্তই রাজনৈতিক দলগুলোর, নির্বাচন কমিশনের মনে হয় না তাতে কোনো ইন্ধন থাকে। রকিব কমিশন তখন সফল হয়েছিল যখন সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, আবার যখন তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা উবে গেছে, প্রতিহত ও বর্জনের মতো শক্তি প্রয়োগের অবস্থান তৈরি হয়, প্রতিদ্বন্দ্বী বাস্তবতা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এর পরিণতি রাজনীতির জন্যই ভালো হয়নি। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন উপলক্ষে বিএনপি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তাদের ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগ হয়তো এবার সার্চ কমিটি গঠন নাও করতে পারে, করলেও তা হবে লোক দেখানো। কিন্তু শেখ হাসিনা এবারও রাষ্ট্রপতি পদকে সম্মান জানিয়েছেন। সাংবিধানিক ক্ষমতার প্রয়োগ নিজে না ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সবার কাছে গ্রহণীয় ভূমিকা রাখার সব কাজে সমর্থন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৬ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিলেন। কমিটি সত্যি সত্যিই একটি গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধানে নেমে পড়ে। এ কাজে তাদের সময় দেওয়া হয় মাত্র ১০ দিন। এরই মধ্যে ১২৫ জনের বেশি বিশিষ্টজনের তালিকা তাদের হাতে জমা দেওয়া হয়েছিল। এটি মূলত রাজনৈতিক দলগুলোই প্রদান করেছিল। তা থেকে প্রথমে ২০ জন, পরে ১০ জনের তালিকা প্রণয়ন করল অনুসন্ধান কমিটি। অবশেষে অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া ১০ জনের নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি যে ৫ জনকে নির্বাচিত করেছিলেন তাদের কেউই খুব বেশি পরিচিত বা আলোচিত ব্যক্তি নন। সিইসিসহ তিনজন প্রশাসনের কাজ করেছেন, একজন নারী সদস্য বিচার বিভাগ থেকে অবসরে গেছেন, অন্যজন সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা। সাধারণভাবে এদের নাম খুঁজে পাওয়া যাবেÑ এমন কোনো কারণ ছিল না। সবাই অবসরে নীরবে জীবনযাপন করছিলেন, কোনো দলীয় বা সুশীল সমাজের ব্যানারে পরিচালিত কোনো সংগঠনের সঙ্গে তাদের কারো যাতায়াত ছিলÑ এমনটি শোনা যায়নি বা দেখা যায়নি, এমনকি অনুসন্ধানকারীরা যখন এই নামগুলো প্রথম পেয়েছিলেন তখন তাদের কাছেও নামগুলো খুব বেশি পরিচিত বলে মনে হয়নি। হয়তো দু-একদিন আলোচনা-পর্যালোচনায় অনুসন্ধানকারীদের কাছে মনে হয়েছিল যেহেতু এই ব্যক্তিগুলো সম্পর্কে দেশের মানুষ তেমন কিছু জানে না, যেহেতু তারা উচ্চতর প্রশাসনিক পদ অতিক্রম করে বর্তমানে অবসরে আছেন তাই তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিটি করা হলে দেশে আলোচনা-সমালোচনা বেশি হবে না। একজন অপেক্ষাকৃত পরিচিত ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত হলেই কেউ না কেউ চেঁচামেচি করার সুযোগ বেশি নিত। সেদিক থেকে প্রথম যখন কেএম নুরুল হুদার নাম সিইসি হিসেবে ঘোষিত হলো তখন অনেক সাংবাদিকই একে অপরের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করছিলেনÑ কে এই নুরুল হুদা। একই অবস্থা প্রায় অন্যদের বেলায়ও ছিল। শুধু
মাহবুব তালুকদার লেখালেখির সঙ্গে জড়িত বলে অনেকে চিনলেন। অন্যদের সম্পর্কে জানতে বেশ খানিকটা সময় নিয়েছিল। রাতের টিভি টক শো তাই ততটা জমেনি। কেননা তাদের সম্পর্কে কেউ তেমন জানতে পারেননি। বিএনপিও সম্ভবত তাই রাতে তেমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেনি। পরদিন দুলু সাহেব শুধু বললেন, শুনেছি হুদা সাহেব ১৯৯৬-এর জনতার মঞ্চের একজন উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি অবশ্য ধার করা কথা বলেছেন। তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য তার কাছে নেই, সেটিই বোঝা গেল। বিএনপি অবশ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর তীব্রভাবে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সুর একেবারেই নরম শোনা গেল। মনে হয়, বিএনপিও বুঝে উঠতে হয়তো পারছে নাÑ এ কী হলো! তারা হয়তো ভেবে বসেছিলেন অন্যরকম কিছু একটা হবেÑ যেটি নিয়ে তীব্র কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। আসলে সবকিছুই কেন যেন বিএনপির হিসাব-নিকাশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হচ্ছে না। সরকারের হিসাব মিলছে কিনাÑ তাও বোধগম্য নয়। আওয়ামী লীগ অবশ্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাদের আস্থা আছেÑ এমনটি বলেছে। আওয়ামী লীগ এ কথাও বলেছে যে, কমিশনের মধ্যে তাদের দেওয়া নামের তালিকা থেকে নারী প্রতিনিধির নামটি কমন পেয়েছে, একইভাবে বিএনপির কমন পড়েছে একজনের নাম। তাই আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে সমানে সমান হয়েছে, এতে কারো জয় বা পরাজয়ের কিছু ঘটেনি। অনুসন্ধান কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অবশ্য নতুন নির্বাচন কমিশন আমলা প্রাধান্য হয়ে পড়েছে, নাগরিক প্রতিনিধিহীন হয়ে পড়ায় তিনি কিছুটা হতাশ হয়েছেন। অন্য একজন সদস্য দাবি করেছেন, নবগঠিত নির্বাচন কমিশন অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধদের নিয়ে হয়েছে, তাই তিনি খুশি আছেন। তবে যে যাই বলছেন, তাতে এপিঠ-ওপিঠ সবই আছে। আসল কথা হচ্ছে, অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এসব অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি অবশ্যই যোগ্য, তাদের কারোরই অতীত অকৃতকার্য বা কোনো ধরনের বিতর্কিত নয়। অনুসন্ধান কমিটি তাদের অতীব প্রয়োজনীয় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে যোগ্য বলে বিবেচনা করেই আমাদের জন্য তুলে এনেছেন। তারা কেউ আবেদনপত্র জমা দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। অনুসন্ধান কমিটি যেভাবেই হোক তাদের খোঁজ পেয়েছেন, তাদের বৃত্তান্ত জেনেছেন, বিচার-বিশ্লেষণ করে এই কাজের জন্য যোগ্য বা উপযুক্ত মনে করেছেন, সেভাবেই তাদের নাম ১০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছে। রাষ্ট্রপতি যে প্রক্রিয়ায়ই হোক ৫ জনকে বাছাই করেছেন, যারা অপর ৫ জন থেকে অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত, অন্য ৫ জনই নানা কারণে বেশি পরিচিত, সম্ভবত বেশি পরিচিত হওয়ায় তাদের নিয়ে বিতর্কটা শেষ পর্যন্ত দলাদলিতে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল, সেই সুযোগটি রাষ্ট্রপতি দিতে হয়তো চাননি। রাষ্ট্রপতি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা এরই মধ্যে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তারা দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি তাদের বলার নেই। আমরা দেখতে চাইব তারা কতটা আন্তরিকভাবে ইসিকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন, তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা অচিরেই আমরা দেখতে পাব। ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা শপথ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিসে প্রবেশ করবেন, কাঁধে তুলে নেবেন বেশ কিছু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার গুরুদায়িত্ব, হাতে নেবেন পরবর্তী সব স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার। কিন্তু তাদের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না যদি সব রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের চেতনাকে ধারণ না করেন, সেভাবে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে বা সফল হতে না দেন। কাউকে অসফল বা ব্যর্থ করে জাতীয়ভাবে লাভবান হওয়া যায় না। বরং জাতীয়ভাবে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইন, নীতি, আদর্শ এবং প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলার নীতিতে সবাইকে এক থাকতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের সাফল্য আমাদের দেশ ও জাতির অগ্রগতির ধারায় মাইলফলক হয়ে থাকবেÑ সেটিই আমাদের কামনা।
য় মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, অধ্যাপক ও কলাম লেখক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন