এক সময় আমাদের এখানে বেশকিছু এনজিও নিম্নবর্গের মানুষদের সম্মান জানিয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘তৃণমূল’ শব্দটির ব্যবহার করত, তাদের মুখ থেকে শব্দটি শোনা যেত। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস থেকে বের হয়ে নিজে নতুন দল গঠন করলেন ‘তৃণমূল’ কংগ্রেস নামে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সংগঠনের প্রাথমিক স্তরে যারা কাজ করেন, তাদের তৃণমূলের নেতাকর্মী বলে ডাকেন। শব্দটি শুনতে ভালো লাগে, এটি বেশ অর্থবহ শব্দও বটে। যত অর্থবহ শব্দই হোক, সমাজ ও রাজনীতিতে অপপ্রয়োগের বিষয়টি মোটেও অস্বীকার করার উপায় নেই। যখন তেমনটি ঘটে তখন এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ নষ্ট হতে বাধ্য। এর প্রতিক্রিয়া দলের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত পড়ে। এশিয়া, আফ্রিকা বা লাতিন আমেরিকার অনেক দেশেই এটি রাজনীতিতে সাধারণ প্রবণতা হয়ে বিরাজ করছে। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের মতো দেশগুলোয় রাজনৈতিক দলগুলোয় আদর্শের চর্চা সচরাচর নির্দিষ্ট মানদ-ে করা হচ্ছে না। নানা ধরনের সুবিধাবাদী প্রবণতার কাছে দল ও নেতৃবৃন্দ আত্মসমর্পণ করে, ভোটের হিসাব থেকেও আদর্শবিরোধী অনেক কিছুকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়Ñ যা শেষ পর্যন্ত দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না, বরং বিপর্যয় ডেকে আনে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ৩৩ বছর শাসন করেছে। কিন্তু শেষ পরিণতিটা কী হলোÑ তা বোঝার বিষয়। সিপিএমের তৃণমূলের অনেকেই এখন মমতার তৃণমূলে আশ্রয় নিয়েছে। সিপিএম থেকে যা কিছু আদায় করে নেওয়ার তা পাওয়ার পর এখন অনেকেই সিপিএমবিরোধী, তৃণমূল কংগ্রেসদরদি। এসব দেখে সিপিএমের অনেক নেতারই এখন চোখ ছানাবড়া। কিন্তু করার কিছু নেই, পাখি উড়ে গেছে, সময় চলে গেছে, মমতাও নেই, করার কিছুই নেই। রাজনীতি এমনই এক বিস্ময়কর জায়গা। এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যারা তৃণমূল নামে অভিহিত হচ্ছে এবং একইভাবে সবকিছু গ্রোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে তারা আসলে তৃণমূলকেও একইভাবে খাচ্ছেÑ এমনটি আমি পশ্চিমবঙ্গের আমার ক’জন পরিচিতজনের সঙ্গে আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছি। তাই তৃণমূল শব্দটি যত সুন্দরই মনে হতে পারে তাকে নষ্ট করতে একশ্রেণির নেতাকর্মী একদম চিন্তা করে না, একটুও ভাবে না। এদের আমি তৃণমূল না বলে ‘মূলখোর’ বলে ডাকি। আমার পরিচিতজনরা শব্দটি শুনে মাথা নেড়ে সম্মতি জানান, শব্দটিকে বেশ জুতসই বলেও অভিহিত করে থাকেন। আমাদের দেশে গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি বড় দল ক্ষমতায় যাওয়ার ধারা শুরু হয়। ১৯৯১-এর নির্বাচনের আগে বিএনপি সংহত কোনো দল ছিল না। কিন্তু নির্বাচনে ধর্ম ও ভারত-কার্ড ব্যবহার করে বাজিমাত করে বিজয় লাভ করে বিএনপি। বিএনপি সরকার গঠনের পর রাতারাতি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত ব্যাপক তরুণ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে যুক্ত হয়। এর আগে এদের অনেকেই জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলত। যেহেতু এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলমান ছিল তাই চক্ষুলজ্জা এবং স্থানীয় জাতীয় পার্টি থেকে চাপ অতিক্রম করতে না পারায় অনেকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রকাশ্যে দূরত্ব রাখলেও টেন্ডার, কাবিখা ইত্যাদি প্রকল্পের সুযোগ পেতে মেম্বার-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখত। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসার পর এদের অনেকেই দলে দলে বিএনপিতে যোগদান করে। তখন থেকে তৃণমূল শব্দটি বিএনপির নেতৃবৃন্দের মুখেও শোনা যেত। এরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি-বাণিজ্য, কমিটির সদস্য হওয়া, চাঁদাবাজি করা, হাটবাজার দখল করা, ইউপিতে গম-চালে ভাগ বসানো, স্থানীয় উন্নয়ন কাজে ভাগ বসানোর কাজে এসব তৃণমূল হাত পাকাতে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ভোটে নির্বাচিত হয়। গ্রামের অনেকেরই মোহ কিছুটা ভাঙায় তাদের ভোট ধানের শীষের বদলে নৌকায় পড়ে। ফলে নৌকা বিজয় লাভ করে। আওয়ামী লীগের তৃণমূল তখন আদর্শিক, সৎ, নিবেদিতপ্রাণ, তাদের বিরুদ্ধে তখন তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। ছাত্রলীগের কিছু কিছু উঠতি নেতা ছাত্রদলকে অনুসরণ করতে গিয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা নড়েচড়ে ওঠে। তবে স্থানীয় কিছু কিছু নেতা দলের ভাবমূর্তির চেয়ে নিজের ক্ষমতা ও আয়-উন্নতির দিকে মনোযোগী হয়। কিছু অঞ্চলে গডফাদার হিসেবেও কেউ আবির্ভূত হয়। তার পরও বলব, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনীতির বিষয়টি অধিকতর বিবেচিত ছিল। তার পরও ২০১১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত হতে হয়, সেই পরাজয়ের নেপথ্যে অন্য মহাশক্তির মহাষড়যন্ত্র মুখ্য ছিল। ক্ষমতায় শুধু বিএনপি একা আসেনি, জামায়াতসহ উগ্রপন্থার সব শক্তির জোট দেশের ক্ষমতা হাতে নিয়ে আওয়ামী নিধনে মেতে ওঠে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর দখল, পুকুর, দোকানপাট দখল ছাড়াও নানা ধরনের অর্থদ- আরোপ করা হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাপটে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে থাকা ‘কষ্টকর’ হয়ে ওঠে, তৃণমূলের এসব বিএনপি নেতাকর্মী অর্থপ্রাপ্তির অবাধ লাইসেন্স পেয়ে যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ, থানা স্বাস্থ্যকর্মীসহ নানা ধরনের নিয়োগের নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায়, ডাক্তারি চাকরি পেতেও টাকা দেওয়ার রেওয়াজ চালু হয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার, চাঁদাবাজি, গ্রামে কাবিখাসহ সব ধরনের সরকারি উন্নয়ন তহবিলে ভাগ বসানোর সংস্কৃতি গ্রাম ও শহরের রাজনীতিতে হাঁটু গেড়ে বসে। এলাকার সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে তৃণমূল নেতাকর্মী বলে পরিচিতরা রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম হিসেবে পরিচিত হতে থাকে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সবই জানতেন, কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাড়াবাড়িকে অনেকটাই তুচ্ছজ্ঞান করেছিল। এসব দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী ততদিনে ‘বিশিষ্ট ব্যবসায়ী’ বনে যান, তাদের উত্থান চারপাশের মানুষের মুখে মুখে শোনা যেতে থাকে। ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে নৌকায় ভোট প্রদান করে। যেসব ভোটার ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১-এ ধানের শীষে ভোট দিয়েছিলেন ধর্ম, ভারত-কার্ডের খপ্পরে পড়ে তাদের বিরাট অংশই মুখ ফিরিয়ে নেয়। এর মূল কারণ ছিল ‘তৃণমূল’ পরিচিতদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে। বস্তুত বিএনপির তৃণমূলরা তলার দিকের সাধারণ ভোটারদের সমর্থন হারায়, বিএনপির প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের জন্য কী করছেন, কী করছেন না তা নিয়ে অনেকে ভাবতে চায়নি, এরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। বিএনপির সব নেতাকর্মী এমন অপকর্মের জন্য দায়ী তা বলছি না। তবে গ্রামাঞ্চলে একটি বড় সংখ্যক নেতাকর্মীর কর্মকা-ে সাধারণ ভোটারদের একটি বড় অংশ অতিষ্ঠ হয়ে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, নৌকায় চড়ে। সেটিই ঘটেছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনে। নির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বেশ সংযত থাকলেও ছাত্রলীগকে বাগে আনা যায়নি দীর্ঘদিন। স্থানীয় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এদের মধ্যে পদ-পদবি, টেন্ডার, ভর্তি-বাণিজ্য ইত্যাদি নিয়ে হানাহানি লেগে ছিল। অনলাইনে কলেজে ভর্তির বিষয়টি চালু হলে ছাত্রলীগের উঠতি নেতাদের ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়। দলীয়প্রধান শেখ হাসিনার নানা নির্দেশ উপেক্ষা করেও এদের নিয়ন্ত্রণ করা শতভাগ সম্ভব হয়নি। তবে নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সফল হলেও কিছু কিছু নেতা অর্থবিত্ত কামিয়ে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন কিংবা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ধরেছেন। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু নেতাকর্মী বয়স্ক-ভাতা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানাক্ষেত্রেই চাঁদা তুলছে বলে অভিযোগ আছে। চাকরি বা বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে কোনো কোনো নেতা বিএনপির পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন, নানা তদবিরে জড়িয়ে অনেকেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন, এতদিন বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গোপনীয় কিছু নয়। স্থানীয় নেতাদের বড় অংশই অর্থের বিনিময়ে বিচার-আচারসহ নানা কাজে অংশ নিচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি খাসজমি দখল করাসহ নানাভাবে বিত্তশালী হওয়ার প্রবণতায় অনেকেই ব্যস্ত থেকেছেন। বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে মোটেও অজানা থাকে না। এলাকার কোন আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী আগে কী করতেন, এখন কী করছেন, কত টাকার মালিক কীভাবে হচ্ছেনÑ সবই মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। এ হলো সম্পদ ও বিত্তের দিক। অন্যদিকে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন নিজের দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা না করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন, বিভিন্ন জায়গায় তাদের অর্থের বিনিময়ে সহযোগিতা করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, ঠিকাদারিসহ নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িত আছেন, নিজ দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে রাখেন, স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে নিজের ভবিষ্যৎকে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’হীন রাখার চেষ্টা করেন। প্রকৃতপক্ষে গত ৮ বছর বেশিরভাগ এলাকায় দলীয় রাজনীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বিরোধ সাধারণ প্রবণতা হয়ে আছে। এমপি গ্রুপ, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গ্রুপ ইত্যাদি গ্রুপে নেতাকর্মীরা বিভক্ত। কেউ কাউকে ছাড় দিতে সামান্য রাজি নন, দলে নেই দলীয় ও আদর্শিক উদারতা, ক্ষমতার প্রভাব ও বিত্তের প্রসার নিয়েই যেন রাজনীতি। প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে দেখা যায়, অমুক কর্মী এক গ্রুপ করছেন তো অন্যজন ভিন্ন নেতার গ্রুপ করছেন, সেভাবেই সুযোগ-সুবিধা বিতরণ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি জানি না, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব জটিলতা কীভাবে নিরসন করছেন বা করবেন। তবে তৃণমূলের এতসব বিষয় সাধারণ ভোটারদের অজানা নয়। তাদের বড় অংশই এসব পছন্দ করছেন না। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তাতে কিছু যায় আসে না, দল ডুবল কী ভাসল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না, নিজেরটা ঠিক থাকলেই হলো। তৃণমূলের রাজনীতি অনেক ক্ষেত্রেই এমন পর্যায়ে চলে গেছে। তাই এমন দ্বিধাবিভক্ত এবং নৈরাজ্যকর অবস্থা নিয়ে রাজনীতিতে আদর্শবাদের চর্চা ও প্রতিষ্ঠার আশা একেবারেই দুরাশার বিষয়। দলে প্রকৃতই কোনো চেইন অব কমান্ড না থাকায় অনেক জায়গায়ই কেউ কাউকে মানছে না। এর ফলে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় যে সাফল্য বয়ে আনছেন তার সুফল আওয়ামী লীগ জনগণের কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারছে না। যেখানে তৃণমূল বলে খ্যাত নেতাকর্মীরা দলীয় আদর্শপরিপন্থী অপকর্ম করার ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছেন তারা আসলে সেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে কম-বেশি নষ্ট করে দিয়েছেন। প্রকৃতই তারা আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে খাওয়ার কাজটি করে দিয়েছেন। নির্বাচনে জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট না দেয় সেটি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অপকর্মের কারণেই কেবল হতে পারে, শেখ হাসিনার কারণে নয়। তাই আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এসব মূলখোরের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ের বিতর্কিত নেতাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে এসব মূলখোরের শাস্তির বিধান করে তাহলে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যদি স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নিবেদিতপ্রাণ, সৎ, ত্যাগী ও যোগ্যদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তাহলে জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া ঘটবে তাতে আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশি সংহত হবে, মানুষ এসব ক্ষেত্রে দলীয় বিতর্কিত, মূলখোরদের শাস্তি, বহিষ্কার এবং সমর্থন না দেওয়াকে কতটা মনেপ্রাণে গ্রহণ ও সমর্থন করে তার কিছু নজির সাম্প্রতিক সময়েই ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সত্যিকার সৎ ও যোগ্য তৃণমূলকেই বড় হতে দেবে, অযোগ্য, দুর্নীতিপরায়ণ এবং আদর্শবিরোধীদের উপড়ে ফেলবে সেটিই রাজনীতিসচেতন মহল আশা করে।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, কলাম লেখক
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন