সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রতি গোটা দেশের মানুষের দৃষ্টি শুরু থেকে শেষ অবধি যেমন নিবদ্ধ ছিল, একইভাবে ২০১৪ সালে সংঘটিত নৃশংস ৭ খুনের মামলার রায় দেখার জন্যও দেশের মানুষ অধীর অপেক্ষায় ছিলেন। নাসিক নির্বাচনের আগে অনেকেই সন্দেহে ছিলেন এই ভেবে, সরকার নির্বাচনটি আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে দেবে কিনা। এ নিয়ে মাঠে নানা ধরনের প্রচার ছড়িয়ে অনেকেই বোঝাতে চেয়েছিলেন, নির্বাচনটি হয়তো শেষ পর্যন্ত ‘নতুন মাগুরা স্টাইলে’ হবে, কেউ কেউ আবার ডিজিটাল কারচুপি হবে বলে বাজিও ধরেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং ভোটারদের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েই শেষ হয়েছে। একইভাবে ৭ খুনের মামলা নিয়েও প্রায় আড়াই বছর ধরে অনেক শঙ্কা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, প্রচার-প্রচারণায় কম-বেশি সবাই ছিলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের শাস্তির ব্যাপারে সন্দিহানমুক্ত হতে পারেননি অনেকেইÑ এ ধরনের বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছিল। ৭ খুনের মামলাটি আইওয়াশই হতে যাচ্ছে বলে ব্যাপক প্রচারও হচ্ছিল। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা দায়রা জজ সাবেক র্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ১৬ সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্য এবং আলোচিত আসামি নূর হোসেনসহ মোট ২৬ জনকে ফাঁসির দ-াদেশ, অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদানের যে রায় দিয়েছেন তাতে গোটা দেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। সরকারের আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, এমনকি বিএনপি নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারেক সাঈদ শুধু একজন সেনা কর্মকর্তাই ছিলেন না, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। এই দুই কারণে অনেকেরই সন্দেহ ছিল, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী মন্ত্রীর জামাতার অপরাধের শাস্তি হওয়ার নজির নেই, সে কারণেই রায় ঘোষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেকেই রায়টি শোনার অপেক্ষায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবার সব সন্দেহ, দ্বিধা এবং অবিশ্বাস ও অনাস্থা বাতিল হলো, সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণ ও বরণ করতে সুযোগ করে দেওয়া হলো। নারায়ণগঞ্জ যেমনি নির্বাচন শেষে প্রমাণ করেছে, অপপ্রচারকারীদের সব অপপ্রচার অপপ্রচারই, ঠিক একইভাবে আদালত প্রমাণ করেছেন আইন ও বিচারের হাত অনেক লম্বা, আদালত প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির রায় দিতে মোটেও দ্বিধা করেননি, সরকার এই মামলায় মোটেও প্রভাব বিস্তার করতে চায়নি, রায় ঘোষণার আগেই রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পরিষ্কার করেই বলেছিলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবে তা হবে না, অপরাধের বিচার হবেইÑ অপরাধীরা শাস্তি পাবেই এটিও স্পষ্ট বোঝা গেল। সরকারের কোনো মন্ত্রী, নেতা একবারের জন্যও অপরাধীদের পক্ষে কোনো মন্তব্য করেননি। এর পরও এই বিচারের রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচারের ব্যাপারে সন্দেহের প্রচারটি খুবই উদ্বেগের বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্য এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তাদের বিচার হবে নাÑ এমনটি ভাবাই কষ্টের বিষয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে এক সময় উর্দি পরে কোনো সামরিক কর্মকর্তা ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ে অংশ নিয়েছিল, বিচার বন্ধ করে রেখেছিল, বঙ্গবন্ধু, জেলহত্যাসহ বেশ কিছু হত্যাকা-ের বিচার দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অনেকেই হত্যাকা- সংঘটিত করেছে, বিচারকে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিল, বিশেষ বাহিনীর নাম এবং ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করে পার পেয়েছিল বলেই সম্ভবত মানুষ ভরসা পাচ্ছিল না। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ বলেও একটি কথা আছে। এখানে শীতলক্ষ্যা নদীতে অসংখ্য মানুষের মৃতদেহ ডুবিয়ে নাই করে দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাস, মাদক, বালুভূমি দখল, অবৈধ নানা দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সময় ধরে হত্যা, খুন ও নির্যাতনের নানা ঘটনা ঘটেছে, মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছে অনেক কিছু। ফলে নারায়ণগঞ্জকে কেন্দ্র করে এক ধরনের ভীতি এবং আতঙ্ক জনমনে বিরাজ করছে। আলোচিত ৭ খুনের ঘটনাও লোমহর্ষক ঘটনা, সামান্য একজন ট্রাক হেলপার থেকে কীভাবে নূর হোসেন সন্ত্রাসী ও গডফাদার হয়ে গিয়েছিলÑ সেই বিবরণ তো মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। এ ধরনের নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জে একজন নয়, অনেক আছে। এখানে ত্বকীর মতো একজন অসম্ভব মেধাবী তরুণকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যার বিচার এখনো শেষ হয়নি, সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যাবে কিনাÑ তা নিয়ে এখনো সংশয়মুক্ত হওয়া যায়নি। নারায়ণগঞ্জ সত্যিই ভয়ঙ্কর আতঙ্কের জায়গা হয়ে উঠেছিল। হেফাজত ও জঙ্গিবাদ এখানে আস্তানা গেড়েছে। তাদের হাতেও নারায়ণগঞ্জবাসী নিরাপদ নয়। সবকিছু মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জকে অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গডফাদারদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করছে। সেই নারায়ণগঞ্জে অবশেষে এমন একটি হত্যা মামলার বিচার অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে রায় বের হয়েছে, এটি একটি বড় ঘটনা। সেই রায়ে ২৬ জনের ফাঁসি, ১০ জনের নানা মেয়াদে জেল শাস্তির মতো বিষয়টি বেশ সুখের খবর। সে কারণেই ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর থেকে গোটা দেশ রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতিক্রিয়াও যথেষ্ট ইতিবাচক। তবে ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ দাবি করছে, ৭ খুনের হত্যার পেছনে কোনো কোনো গডফাদার রয়ে গেছে। তাদেরও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করা, খুঁজে পাওয়া জরুরি। তাদের চিহ্নিত করা গেলে বিচারটি আরও দৃষ্টান্তমূলক হয়ে উঠতে পারে। আমরা জানি না, উচ্চ আদালতে যখন মামলাটি অধিকতর শুনানি এবং বিচার-বিশ্লেষণের জন্য উপস্থাপিত হবে তখন যদি সে রকম কিছু থাকেÑ সেটি উন্মোচিত হলে, রায় এলে আমরা আরও খুশি হব, দেশবাসী আরও বেশ খুশি হবে। নারায়ণগঞ্জ তার ফলে অধিকতর আলোচনায় আসবে, ভরসার জায়গা হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এই রায়ও কম যথেষ্ট হয়নি। নারায়ণগঞ্জের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের মস্ত বড় বার্তা দিয়েছেÑ যা তাদের স্বর্গরাজ্যকে ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত বলেই ধরে নিতে হবে। নাসিক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছেÑ এ কথা সবাই বলেছেন, আমিও বলছি। আমি যে বিষয়টি অধিকতর যোগ করতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী রাজনীতিতে মস্ত বড় এক পরিবর্তনও সূচিত হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এখানে সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র পদে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বারবার প্রমাণ করেছেন, নারায়ণগঞ্জের বৃহত্তর জনগণের কাছে আইভী অনেক বেশি আস্থার জায়গা তৈরি করেছেন। এতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের উপাদান যুক্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ তথা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা আইভীকে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করে তার রাজনৈতিক বার্তাটিও সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফলে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বলে কুখ্যাতিপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একটি সন্ত্রাসবিরোধী ইমেজও তৈরি হওয়ার সুযোগ হয়েছে। সেলিনা হায়াৎ সেই লড়াকু ভাবমূর্তি তৈরিতে বিগত বছরগুলোতে নিরলসভাবে সংগ্রাম করে গেছেন, তিনি দলের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন, একইভাবে নারায়ণগঞ্জের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার আইভীকে বিপুলভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার মাধ্যমে যে বার্তাটি আওয়ামী লীগ এবং দেশের রাজনীতিকে দিয়েছে তা হচ্ছে রাজনীতিতে সেলিনা হায়াৎ আইভীরাই জনগণের ভোটপ্রাপ্তিতে সবচেয়ে অগ্রণী। ফলে সন্ত্রাসী, বিত্তশালী বা ধর্ম নামধারীদের দিয়ে রাজনীতি বা নির্বাচন নয়, নির্বাচনে ত্যাগী, সংগ্রামী, সাহসী ও জনগণের পাশে থাকা নেতারাই যোগ্যতম, সেটি বুঝিয়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ। আওয়ামী লীগকে এখন আগামী দিনের নির্বাচনে, স্থানীয় রাজনীতিতে আইভীদের মতো নেতাকর্মী তৈরি, পৃষ্ঠপোষকতাদান এবং সাংগঠনিক দায়দায়িত্ব প্রদানে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে, দিলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আওয়ামী লীগের নতুন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে দেশব্যাপী যে ইতিবাচক ধারণা বিরাজ করছে, তার মূলে রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের স্পষ্টবাদী কথা, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান, দল ও দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করা; কোনো বাগাড়ম্বর কথাবার্তা না বলা ইত্যাদি। সেলিনা হায়াৎ নারায়ণগঞ্জে সেভাবেই উঠে এসেছেন। একজন নারী হয়েও আইভী যে সাহসের পরিচয় দিচ্ছেন তা মানুষের কাছে তাকে বড় করে তুলেছে। আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিয়ে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে, নির্বাচনে সহজ বিজয় পেয়েছে। যদি ওলটপালট কিছু করা হতো তা হলে এমন ফল আশা করা যেত না, লাভবান হতো প্রতিপক্ষই। বিষয়গুলো আওয়ামী লীগ গভীরভাবে বিবেচনায় নিয়ে দেশব্যাপী তাদের স্থানীয় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচনে কোনো ধরনের ভুল করবে না, এটিই রাজনীতি সচেতন মহল আশা করে। আওয়ামী লীগে হাইব্রিড নেতার প্রয়োজন নেই, মূর্খদেরও জায়গা হওয়া উচিত নয়। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন সে রকম বার্তা দিয়ে গেছে।
একইভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি ৭ খুনের মামলায় প্রকাশিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দেশব্যাপী লাভবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যে অপপ্রচার ভেতরে ভেতরে জাল বিস্তার করেছিল সেটি ১৬ জানুয়ারি রায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে গেছে, বঙ্গোপসাগরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সরকার যে কথা প্রতিদিন বলেও মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় নিতে পারত কিনা সন্দেহ আছে, বছরের পর বছর আওয়ামীবিরোধী প্রচারণার ঢোল থামাতে পারেনিÑ তা নারায়ণগঞ্জের নাসিক নির্বাচন এবং ৭ খুনের মামলার রায় থেকে মুহূর্তের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের জগতে নতুন অভিজ্ঞতার প্রমাণ সৃষ্টি করেছে। এমন অনেককে দেখেছি যারা নির্বাচনের আগে অনেক কথাই বলেছিলেন, তাদের নির্বাচনের পর মোবাইল বন্ধ করে রাখতে দেখেছি, আবার ৭ খুনের হত্যাকা-ের পর থেকে গত আড়াই বছর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে কেবলই কথা বলেছেন, রায়ের আগে নানা সন্দেহ ছড়িয়েছেন তাদের দেখেছি ১৬ তারিখ রায় ঘোষণার পর মোবাইল বন্ধ করে রাখতে, পরে যখন জিজ্ঞেস করেছি তখন বলতে থাকেন, দেখেন না উচ্চ আদালত কী রায় দেয়, তাতে না হলে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রাণভিক্ষা নিয়ে বের হয়ে যাবেনÑ এমন দাবিও কেউ কেউ করছেন। তবুও তারা বিশ্বাস করতে চান না যে, এই ২৬ জনের ফাঁসির রায় হবে বা তা কার্যকর হবে। এমনটি যুদ্ধাপরাধীদের মামলা নিয়েও শুনেছি। বাংলাদেশে এমন একটি গোষ্ঠী রাজনীতিতে রয়েছেন, তাদের এভাবে বলার জায়গাটি এখন সংকুচিত হয়ে পড়েছেÑ এটিই তারা মেনে নিতে পারছে না। তাদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। তবে আওয়ামী লীগ নানা দুর্বলতা ও সমালোচনার পরও নারায়ণগঞ্জে যা ঘটতে দিয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ জাতীয় রাজনীতিতে শক্তিশালী হওয়ারই ইঙ্গিত দেয়, আওয়ামীবিরোধীদের দুর্বল হওয়ার ধারণা দেয়। এই শিক্ষাটি এখন সবার জন্যই প্রযোজ্য।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, কলাম লেখক ও অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন