১৯৫২-র পূর্ব পাকিস্তান থেকে এবার ফাস্ট ফরোয়ার্ড ২০১৭-১৮-র আমেরিকাতে। প্রফেসর সাইদুর রহমানের বক্তব্য থেকে আসুন প্রফেসর জেমস স্টাভরাইডিসের বক্তব্যে।
নেটো-র (NATO) অবসরপ্রাপ্ত সুপৃম এলায়েড কমান্ডার এবং বর্তমানে টাফটস (Tufts) ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লম্যাসি-র ডিন জেমস স্টাভরাইডিস (James Stavridis) টাইম ম্যাগাজিনে (২৭.১১.২০১৭) বড় প্রশ্ন (Big Question, বিগ কোয়েশ্চন) শীর্ষক কলামে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন। তার লেখাটির শিরোনাম হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে আপত্তিকারীদের কাজ করা উচিত কি না? (Should objectors serve the Trump Administration?) সশস্ত্র বাহিনীতে তিনি নেভিতে এডমিরাল ছিলেন।
লেখক স্টাভরাইডিসের (৬২) বিশাল অভিজ্ঞতা যেহেতু সেনাতন্ত্র, আমলাতন্ত্র, আইন ও কূটনীতিতে সেহেতু তার এই ছোট নিবন্ধটি এখন আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যারা কাজ করছেন তাদের কাছে অবশ্য পাঠ্য হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ, বিশেষত সেনাতন্ত্র, আমলাতন্ত্র ও কূটনীতিতে যারা কোনোভাবেই তাদের সবার ওপরের পদে অধিষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু নির্দেশ মেনে নিতে পারছেন না, তারা সেই সঙ্গিন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন- আমি কি ওপরের নির্দেশ মেনে চলব? নাকি বিবেকের নির্দেশ মেনে চলব? যদি বিবেকের নির্দেশই মেনে চলতে চাই, তাহলে করণীয় কি? এই একই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনের সময়ে আমার পিতা সাইদুর রহমান।
রিটায়ার্ড এডমিরাল, বর্তমানে প্রফেসর ও চিন্তাবিদ লেখক জেমস স্টাভরাইডিস উত্তর দিয়েছেন :
৩৭ বছর নেভিতে কাজ করেছি জনসেবার জন্য। তাই আমি আমাদের দেশ ও জাতির সেবার জন্য নির্লজ্জভাবে বলে থাকি। আমি মনে করি যে কোনো নাগরিকের এই দায়িত্ব পালন করে চলা উচিত। কিন্তু সম্প্রতি আমার ছাত্ররা যে একটা কঠিন প্রশ্ন তুলছে : যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি ও চরিত্র বিষয়ে আমার প্রচণ্ড মতবিরোধিতা থাকে, তাহলে কি আমি তার প্রশাসনে চাকরি করতে পারব? তেমন চাকরি করা নৈতিকতাচ্যুতি হবে না?
আমি ছাত্রদের উত্তর দেই মূলত তিনটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে :
প্রথমত, মনে রাখতে হবে, কোনো ব্যক্তিবিশেষের চাইতে (তিনি যদি একজন প্রেসিডেন্টও হন) বেশি ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে দেশ।
আর তাই তোমার উচিত মোটামুটি কিভাবে তুমি তোমার দেশকে সেবা করতে পার সেটা সব সময় ভাবতে হবে। প্রশাসনে থাকলেও দেশের চিন্তা সবচেয়ে বেশি করবে।
দ্বিতীয়ত, আমি উপদেশ দেব, এমন কোনো কাজ নিও না যেখানে প্রেসিডেন্টের সরাসরি অধীনে থাকতে হবে। আমার কোনো ছাত্রই প্রেসিডেন্টের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা সভায় এখনই চাকরি পাবে না। আমি বলছি এমন কাজের কথা, যেটা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার নিকট বৃত্তের মধ্যে পড়ে, যেমন হোয়াইট হাউসে কোনো চাকরির কথা। এই ধরনের পদে কোনো চাকরি নিও না। আমার বলতে দুঃখ হচ্ছে, তবুও বলছি, এই প্রেসিডেন্টের সংগঠনের যত কাছাকাছি তুমি যাবে ততই তোমার সুনাম ও সততা বিষয়ে ঝুকির মধ্যে পড়তে হবে।
আর তৃতীয়ত, আদর্শ ও নৈতিক কারণে যদি কোনো প্রেসিডেন্টের কোনো কাজ বা নীতির সাথে তোমার মৌলিক মতভিন্নতা হয়, তাহলে তোমার পদত্যাগ করা উচিত হবে।
ছাত্রদের প্রতি শেষ কথা হলো, সরাসরি ট্রাম্পের অধীনে বা হোয়াইট হাউসে কাজ না নিয়ে তোমার উচিত হবে ইউএসএইড (USAID) অথবা সিআইএ (CIA) অথবা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা স্বদেশ নিরাপত্তা দফতরে (Department of Homeland Security) কাজ নেয়া। সেই কাজে খুব পরিশ্রম করে বোঝাবে যে তুমি সুযোগ্য ও দক্ষতর কর্মচারি। তুমি যে কাজে খুব ভালো, স্মার্ট, বাকপটু (আর্টিকুলেট) সেটা বুঝলে তোমার ব্যক্তিগত ভীতি ও আদর্শ যাই থাকুক না কেন, ওপরওয়ালারা নিজেদের স্বার্থে তোমার ওপরই নির্ভর করবে। নিজের গুণ ও যোগ্যতা বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হও।
দুঃখের বিষয় আমার উপদেশ বহু ছাত্রই নিচ্ছে না এবং তারা সরকারি চাকরির দিকে যেতে চাইছে না। এখানে বলা উচিত, সম্প্রতি আমেরিকার ৬০% ক্যারিয়ার রাষ্ট্রদূতরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। পররাষ্ট্র দফতরে কাজ করার আবেদনপত্র কমে গেছে ৫০%। আমি আশা করি, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অফ স্টেট) রেক্স টিলারসনের উচিত হবে তার দফতরের এসব সমস্যার দিকে নজর দেয়া।
আমার এই উপদেশমূলক লেকচার আমি শেষ করি গৃসের একটি উপকথা বলে :
দায়েদালাস একজন উদ্ভাবক (ইনভেন্টর) ছিলেন। তিনি বন্দি হয়েছিলেন। তখন তিনি মুক্তি কিভাবে পাওয়া যেতে পারে সেটি উদ্ভাবনের চিন্তা করেন। তিনি কৃত্রিম ডানা উদ্ভাবন করেন যেটা তিনি ও তার ছেলে ইকারাস তাদের গায়ে লাগিয়ে কৃট দ্বীপ থেকে পালাতে পারেন। ইকারাস ডানা পেয়ে খুব খুশি হয়ে উড়তে থাকল এবং যতটা পারে সূর্যের কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করছিল। এক পর্যায়ে তার পিতা তাকে সাবধান করে বললেন, তুমি সূর্যের বেশি কাছে যেও না। যদি কাছে যাও তাহলে বিপদে পড়বে।
কিন্তু ইকারাস তার পিতার সতর্কবাণীকে পাত্তা দিল না। সে সূর্যের আরো কাছে উড়তে গেল। ফলে যে মোম দিয়ে তার ডানা দুটি দেহের সঙ্গে আটকান ছিল সেই মোম গলে গেল। ইকারাস ধপাস করে সমুদ্রে পড়ে মারা গেল।
এটা নিছকই গল্প। কিন্তু এই গল্পে আমার ছাত্রদের হুশিয়ারি দেই এই প্রেসিডেন্ট পদধারী সূর্যের খুব কাছে উড়তে যেও না। তাহলে তোমার ডানা দুটিকে যে মোম আটকে রেখেছে সেটা দ্রুত গলে যাবে।
প্রফেসর জেমস স্টাভরাইডিসের উপদেশে হোক বা নাই হোক, ইতিমধ্যে আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে কিছু আমলা পদত্যাগ করেছেন অথবা অন্য কোনো দফতরে ট্রান্সফার নিয়েছেন।
১২ জানুয়ারি ২০১৮-তে পানামায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জন ফিলি ((John Feeley) পদত্যাগ করেন। রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে তার গভীর মতবিরোধিতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। রয়টার্স বলেছে, পররাষ্ট্র দফতরে ল্যাটিন আমেরিকা বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র স্টাফদের অন্যতম ছিলেন। জন ফিলি স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি এমন একটা জায়গায় পৌছেছেন যে ট্রাম্পের অধীনে কাজ করা তার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছিল না। ফিলি বলেন, পররাষ্ট্র দফতরে জুনিয়র অফিসার রূপে যোগ দেয়ার সময়ে আমাকে সই করতে হয়েছিল একটা অঙ্গীকারনামায় যেখানে লেখা ছিল, আমি প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসনের চাকরি করব সম্পূর্ণ অরাজনৈতিকভাবে- এমনকি কোন বিশেষ নীতিতে একমত পোষণ না করলেও। পররাষ্ট্র দফতরের আমার টিচাররা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, যদি আমি সেটা করতে পারছি না এখন বিশ্বাস করি তাহলে আমার পদত্যাগ করাটাই সম্মানজনক হবে। সেই সময়টা এখন এসেছে।
জন ফিলি পানামায় রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন ফেব্রুয়ারি ২০১৬-তে।
১৫ জানুয়ারি ২০১৮-তে রয়টার্সে সংবাদ প্রকাশিত হয় :
কয়েক দিনের মধ্যেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চলেছেন আমেরিকার শরণার্থীবিষয়ক শীর্ষ কূটনীতিক সাইমন হেনশো। এমনটি হলে তিনি হবেন তৃতীয় আমেরিকান কর্মকর্তা, যিনি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শরণার্থী সম্পর্কিত চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা ওই পদ ছেড়ে ভিন্ন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব সাইমন হেনশো তার শরণার্থী খাতের সহকর্মীদের এক ই-মেইলে জানিয়েছেন যে, তিনি আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যুরো থেকে বিদায় নেবেন।
২৯ জানুয়ারি ২০১৮-তে এফবিআইয়ের উপপরিচালক এনড্রু ম্যাককাব স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আসছিলেন অনেক দিন ধরে। তিনি দাবি করছিলেন এফবিআই ও তার বিশেষ কৌসুলি রবার্ট মুয়েলার, রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বিষয়ে যে তদন্ত করছে, সেটা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এফবিআই যে তার বিরুদ্ধে কাজ করছে তার প্রমাণ হিসেবে ট্রাম্প এনড্রু ম্যাককাবের নাম বলেছিলেন। ম্যাককাবের স্ত্রী বিরোধী দল ডেমক্রেটস পার্টির সমর্থক। এটাও ম্যাককাবের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। তাই ম্যাককাব পড়ে যান সেই সংকটে- তিনি কার নির্দেশ মেনে চলবেন? নিজের বিবেকের- নাকি ওপরের নির্দেশ? ম্যাককাবের ওপর ট্রাম্প অব্যাহত চাপ রেখেছিলেন। অবশেষে ম্যাককাব অবসরে যেতে অবিলম্বে ছুটিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-তে সিএনএনের একটি রিপোর্টে জানানো হয়, অস্থিতিশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একের পর এক খালি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের পদ। পদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে স্বেচ্ছা অবসরে যাচ্ছেন অনেকে। এমন সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া প্রশাসনের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে কিছু বাঙালি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক তাদের বিবেকের নির্দেশে পাকিস্তানি পক্ষ ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন।
আমেরিকায় জন ফিলি, সাইমন হেনশো, এনড্রু ম্যাককাব প্রমুখ তাদের বিবেকের নির্দেশ অনুযায়ী চলেছেন। কিন্তু তাদের ও তাদের পারিবারিক সদস্যদের বেচে থাকার সমস্যায় পড়তে হবে নাÑ যেটা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে সাইদুর রহমানের পরিবারের। স্বাধীন বাংলাদেশে এখন সরকারি চাকরির বাইরে অন্য ধরনের জব অপরচুনিটি সৃষ্টি হলেও কেউ যদি সরকার বিরোধীরূপে ছাপ পেয়ে যান তাহলে তার জন্য নতুন চাকরির সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রফেসর স্টাভরাইডিসের উপদেশ মেনে বিবেকের নির্দেশ অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
আর তাই ওপরের নির্দেশ মেনে চলার নিরাপদ পথটিই খুজে নেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তারা হয়তো নিজেদের প্রবোধ দেন ওপরওয়ালার ওপর সব দোষ চাপিয়ে। যেমন, নাৎসি জার্মানিতে বিভিন্ন পাপাচারের সব দায় সেখানে সেনাতন্ত্র ও আমলাতন্ত্র চাপিয়েছিল সর্বোচ্চ পদের অধিকারী চান্সেলর এডলফ হিটলারের ওপর। যুদ্ধে পরাজিত হবার পরে এদের মধ্যে যাদের বিচার হয়েছিল বিখ্যাত নুরেমবার্গ ট্রায়াল-এ, সেখানে বিচারপতিরা রায় দিয়েছিলেন, না, একটা সময় আসে সেখানে, যখন মানুষের চলা উচিত বিবেকের নির্দেশে।
আমার পিতা প্রফেসর সাইদুর রহমান ১৯৫২-তে মুসলিম লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তার বিবেকের নির্দেশ অনুযায়ী ভাষা আন্দোলনের পক্ষে দাড়িয়েছিলেন। শেষ বিচারে সাইদুর রহমান জয়ী হয়েছিলেন- কারণ পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হয়েছিল বাংলা।
এরপরে এপৃল ১৯৭১-এ ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভাইস চান্সেলর বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীও তার বিবেকের নির্দেশে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন। ১৯৭১-এ সেই সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে এবং বিদেশে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত কিছু বিবেকবান আমলা ও সেনা তাদের বিবেকের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এরপর ডিসেম্বর ১৯৭১-এ মুক্তি আন্দোলন জয়ী হয়। অর্থাৎ, শেষ বিচারে আবু সাঈদ চৌধুরীও জয়ী হয়েছিলেন।
আমি তখন কর্মরত ছিলাম হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার শীর্ষপদে- একটিং জেনারেল ম্যানেজার পদে। এই হোটেলের মালিকানা পরোক্ষভাবে ছিল পাকিস্তান সরকারের। করাচি থেকে আমার ওপর চাপ এসেছিল আমি যেন ৭ মার্চে দেয়া শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ না মেনে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী হোটেল চালাই। কিন্তু আমি চলেছিলাম বিবেকের নির্দেশ অনুযায়ী এবং এক পর্যায়ে ৮ জুন ১৯৭১-এ সপরিবারে পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে মুক্তি আন্দোলনে যোগ দেই। কিন্তু সেসব লম্বা ইতিহাস পরে বলা যাবে। এখন ৪৬ বছর পরে ২০১৭-তে এডমিরাল ও প্রফেসর স্টাভরাইডিস বাংলাদেশের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার উপদেশ আমেরিকানদের দিলেন!
(আগামী পর্বে নুরেমবার্গ নীতিমালা)
(বানান রীতি লেখকের নিজস্ব)
উৎসঃ নয়াদিগন্ত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন