|
আহমেদ জী এস
|
|
ভাগীদার..
14 May 2015, Thursday
মেজাজটা খিচড়াইয়া গেল কেরামইত্তার । যাইবেই তো । এডা আবার নতুন কোন আপদ আইসসা জুটছে । নিজেরই চলেনা ঠিক মতোন, নুন আনতে পান্তা ফুরাইন্নার অবস্থা হের উফরে আবার নতুন ভাগীদার আইছে । এ্যাদ্দিন এইহানে চার জনে মিইল্লা আছিলো তো ভালোই । হুদা বাসষ্ট্যানের এই জায়গাডার বখরা দেওয়া আছে পুলিশগো । হাত পাইত্তা যা পাওয়া যায় হের থেইক্কা পুলিসগো দিয়া থুইয়াও লোকাল মাস্তানদের নিয়মিত ফেনসিডিল, গাজার আসনাই মিডাইতে হয় । এইয়ার বাইরে তাগো রাজ্য নাই । থাকলেও হেহানে অন্য রাজাগো রাজত্ব । হেগো প্রবেশাধিকার নাই । হের উপর আবার নতুন এই ভাগীদার, তা ও আবার মাইয়ামানুষ ।
হিসাবটা ঠিক মেলাতে পারেনা কেরামত আলী সিকদার ওরফে কেরামইত্তা ।
কি যেন নাম কয় রোগটার.. পোলিও না ফোলিও, হেতেই হেই ল্যাংডা বয়স থিক্কা লুলা অইয়া যাওয়া দুই ঠ্যাং নিয়া হাতে বানাইন্না হুইল চেয়ার ঠেইল্লা ঠেইল্লা ইনাইয়া বিনাইয়া দিনশ্যাষে হের কামাই শ’দুই । চাইরজন হাত-পাতনেওয়ালাদের মইধ্যে হের আয়-রোজগারডাই বেশী ল্যাংড়া হওয়ার সুবাদে । আইজ কাইলকার মানুষগুলোও কেমন যেন বজ্জাত আর হারামী অইয়া গেছে । তিন টাহা চাইর টাহা দামের খবরের কাগজ কেনার পরে ফেরত পাওয়া খুচরা খাচড়া এক-দুইটাহার বেশী দান-খয়রাত করতে যেন হাত আর ওডেনা মানুষগুলানের । কপালডা ভালো থাকলে দু’একজন যে বেশী দেয়না, হেডা না ।
ক্যারে বাপ, পাঁচ-দশ টাহার একটা নোট দিলে কি অয় ! হেতে কি তোগো ট্যাকে টান ধরবে বেআক্কল ! দুইআনা চাইরআনার যুগ তো গেছে হেই কবে বাপ-দাদার আমলে ।
মনে মনে এইরকম বাপ-বাপান্ত করা তার নিত্যদিনের খাসলত ।
পেরথমে ভাবছিলো, মাইয়া মানুষটা নেহায়েত ভুল কইররাই এইহানে আইয়া পড়ছে । সিনামার একটা গানও মনে পড়ছিলো হের ।
“পুরান পাগলে ভাত পায়না...” । হয়তো ভাত না পাইয়া একদিনেই ওই আবাগীর বেডিও চইল্লা যাইবে এইহান থাইক্কা, এমোন ধারনা জন্মাইছিলো হের । কিন্তু আইজ কুড়ি – পচিশ দিন হইয়া গেল, বেডির নড়ন চড়ন নাই । কুড়ি – পচিশ দিন না আরও বেশী ? হিসাবেরও ঠিকঠিহানা থাহেনা আইজ কাইল। একটা সিলভারের বাডি হোমকে ফালাইয়া রাইকখা কেমনে হাত পা ছড়াইয়া পাগলীর মতো পেরথম দিন যেমন বইয়া আছিলো, আইজ এ্যাদ্দিন পরেও ঠিক হেমন কইররাই বইয়া রইছে । বে-শরম ।
আসলেই পাগল না ...কি ?
হুইল চেয়ারডা ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ভিক্ষা খোজার উছিলায় বার তিন পাগলীডার চাইরপাশে চক্করও দিয়া আইছে হে রোজ । আত্মসম্মান আছে কেরামইত্তার । চাইরজনের দলের লিডার হে । আগ বাড়াইয়া প্রতিদন্ধীর লগে কথা কওন হের সাজেনা । দ্বিতীয় দিনে পাগলীডার ঠিকুজি বাইর করার ভার দিছিলো এক চোউক অন্ধ বুড়ী আবুইল্লার মা’য়েরে । আবুইল্লার মা কোনও কিছু বাইর করতে পারে নাই মাইয়া মানুষটার প্যাড থিক্কা । মাগী নাহি মুক-ই খোলে নাই । কেবল কিছুক্ষন উদাস দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছিলো আবুইল্লার মার দিগে তারপরে আগের মতোই মন দিছিলো জট লাগা চুল থিক্কা উঁকুন বাছতে । “হুমমমম....পাগল, শেয়ান পাগল না হইলেই বাইচ্চা যাই” , মনে মনে নিজেরে শ্বান্তনা দেয় কেরামইত্তা ।
হের নাম কেরামত আলী সিকদার অথচ ব্যাডারা ক্যান যে হেরে হুদা কেরামইত্তা কইয়া ডাহে ! এই এউক্কা অভিমান তাই অনেকদিন থাইক্কাই বাজে বুহে । মাইনষের দয়ায় যে জীবন চলে হেতে বেশীক্ষন এই অভিমানের চারাগাছে পানি ঢালা চলেনা । কেরামইত্তার ও চলেনা । চলার কোনো সুযোগও নাই । তাই নিত্যকার মতোই মন দেয় হাত পাতায় । আইজ তিন দিন পরে হের খেয়াল হইল, জমা কম হইতেছে । বিশ্ব এজতেমার দিন যতোই ঘনাইয়া আইতেছে মানুষ ততোই আইতেছে বানের লাহান । অথচ রোজগার-পাতি কমতেছে ।
কিল্লইগগা ?
থাইক্কা থাইক্কা প্রশ্নডা হের মাথার মইদ্যে চাগাড় দিতে থাহে । দুদ উতলাইন্নার মতো খালি বলক দেয়, খালি বলক দেয় । উত্তরডাও পাইয়া যায় আবুইল্লার মার কাছ থেইক্কা ।
-“ওই মাগী আসলে পুরাপুরি পাগল না । মাতায় এট্টু ছিড আছে মনে হয় । হগল ব্যাডারা হেরে পয়সা দিয়া যায়.. ।” আর কি মিডা একখান যে হাসি দ্যায় মাগী !
যুগপৎ স্বাইক্ষ্য দেয় আর দুই’জন । দুই চোউক অন্ধ আজাহার মোল্লা আর সর্ব কনিষ্ঠ দিল্ল্যুয়া ওরফে দিলদার হোসেন । দিলদার হোসেনের বেত্তান্তডা কি ?
কেরামত আলীর এমোন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিলো দিলদার হোসেন ওরফে দিল্ল্যুআ’ কে এই সিন্ডিকেটে ঢুকতে ।
-“ রিকসাওয়ালা বাপ আর একটা বিয়া কইররা মায়েরে আর মোগো হালাইয়া গ্যাছে । আর মায় মোরে আর দুই বুইনেরে নিয়া পড়ছে পান্তে ।”
আট - নয় বচ্ছরের দিলদার হোসেনের উত্তরডা ছিলো এরহমডাই, একদম নামতা পড়ার মতো । আর হেই থেইক্কা প্যাড নামের নিঠুর বাস্তবতার লগে হাতখড়ি দিল্ল্যুয়ার । বাসষ্টানে খবরের কাগজ ফেরি করা আর ভিক্ষা, এক লগে হের দুইডা কাজ । কেরামইত্তার সুবিধা এই, মাঝেমাঝে দিল্ল্যুয়া তার হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে । হেই সোমায় হাতে এট্টু আরাম পায় কেরামত আলী । আর আজাহার মোল্লার লাভ যে, দিল্ল্যুয়া কখনো কখনো তার পার্ট টাইম হেল্পার । লাডি ধইররা টাইন্না টাইন্না লইয়া যায় । বাসে তুইল্লা দেয় আবার নামাইয়া ও আনে কখনো কখনো ।
স্বাক্ষী দুজনার কাছ থেকে যা জানা গেল তার সারমর্ম হলো এই -
- মাইয়াডা পাগল না । দিল্ল্যুয়ার লগে ঠিকমতো কতাবার্তা কয় । কার বার্তে কেডা আছে হেইডা জিগায় । মনে অয় এক্কেরে খারাপ না ।
তয় দিল্ল্যুয়া একটা গোপন কতা কিন্তু এই সমাবেশে গোপনই রাহে । হোমকে রাহা সিলভারের বাডিতে যত পয়সা জমা অইছিলো দ্বিতীয় দিন পাগলীডা দিল্ল্যুয়ারে তার থাইক্কা কয়েকটা টাহা দিয়া কইছিলো- “
- মুখটা শুকনা লাগতিছে যে । আয় বাবা চা আর রুটি নে আয়, তুই আর হামি খাবোনেনে ।”
দিল্ল্যুয়া চা দিয়া রুডি ভিজাইয়া খাইতে খাইতে ভাবছিলো - বাহ.. বেশতো মাগনা খাওয়া । এ্যাদ্দিন এগো লগে থাইক্কাও এইরহম কেউ-ই হেরে খাইতে কয় নাই । দিলদার আলী খাইতে খাইতে আড়চোউক্ষে অবাক হইয়া দেখতে আছিলো পাগলীডারে । নির্বিকার বইয়া থাহে সব সোমায় । অথচ এহোন কেমন হাসিহাসি মুখে হের দিকে চাইয়া রইছে । ঠিক দিল্ল্যুয়ার মায়ের চোউক দুইডার মতোন চোউক দিয়া যেন কইতেছে - আর দুইডা ভাত দেই তরে ?
হের পরের দিন আবারও পাগলীডা হুদা তারে না , সবাইরে রুডি কিইন্না খাওয়াইলো ।
কেরামইত্তার উফরে তার অনেক রাগ হয় । কেরামইত্তার অর্ডার দেওয়া আছে, ঐ পাগলীডার ধারেকাছে না যাইতে -
... যদি দেহি কোনও কামে হের কাছে গ্যাছো তয় খবর আছে তোগো । আর নাইলে মাগীরে যাইতে ক এহান দিয়া । ভাগ বওয়াইতে আইছে হারামজাদী !
কেরামইত্তা যেনো মার্শাল – ল জারি করে ।
পুরো পাগল হোক কিম্বা আধ-পাগল, তাদেরও তো কাজ থাকে । মেয়ে মানুষটাকে মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যেতে দেখে কেরামত আলী । কোথায় যায় ? কার কাছে যায় ? কে আছে তার ? তবে দিন দিন যে এই পাগলীর চেহারাটা খোলতাই হচ্ছে তা নজরে বেশ লেগে থাকে কেরামত আলীর ।
মোনের মইদ্যে কেমোন জানি করে এট্টু । সিনামার শাবনুরের চেহারাডা ভাইসসা ওডে চোকখুতে । মোনের মইদ্যে এই আকামইয়া ভাবনারে ঠাই দেওয়া ঠিক না । তোবা ...তোবা... । মাতার টুফিডারে টাইন্না ঠিক করে । ভিতর ভিতর ফুসলাইয়া উটতে থাহে কেরামইত্তার মেজাজ । এত্তোদিনের সাঙ্গপাঙ্গো তিনজনেই ক্যামন যেন দুর দুর থাহে আইজকাইল এইডা হের চোউক এড়ায় না । ঐ মাইয়া মানুষটা আওয়ার পর থিক্কাই সব কিছু ক্যামন ক্যামন যেনো হইতেছে । ভালো না...ভালো না । মনের মইদ্যে গজরাইতে থাহে কেরামইত্তা । পাগলীডার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে । মাগী যে কই কই যায়, হেআন দিয়া আর ফিইররা না আইলেই ভালো ।
গত দুই দিন থিক্কা আবার হরতাল দেছে ক্যারা য্যানো । কামাইপাতি কম হইবে এইডা ভাব্বিয়াই কাইল দিয়া মেজাজটা হের তুঙ্গে । হরতাল মাইনেই গন্ডোগোল যত্তো । কোনহান দিয়া কেডা যে বোমা মারে , কেডা যে গাড়ী ভাঙে, ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় । তহন তো পুলিশেরা যারে হোমকে পায় হেরেই মারে । হুইল চেয়ারডা সাবদানে ঠ্যালে কেরামইত্তা ।
এই যাহ্... গন্ডোগোল তো লাগলোই । মিছিলকারীরা ওবারব্রীজের নীচে আইতেই পুলিশেগো লগে লাগলো মাইর । ধুমমমমম. কইররা একটা বোমাও ফাডলো এইমাত্তর । একটা ছোড মিনিবাসে আগুন দেছে যেন ক্যারা । মাইনষেরা দৌড় আর দৌড় । পুলিশেরা লাডি নিয়া । মোনে অয় কেয়ামত আইয়া পড়ছে । বাসষ্ট্যান ছাইররা জোরে জোরে হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে কেরামইত্তা । উলডাইয়া যায় হের হুইল চেয়ারডা মাইষের ধাক্কায় , পুলিশের লাডির বাড়িতে । ল্যাংড়া ঠ্যাং নিয়া আছড়াইয়া পড়ে কেরামইত্তা রাস্তার পাশে । মাতাডা গিয়া টাক খায় ফুটপাতের ইডার লগে । রক্ত এট্টু বাইরাইছে কি মাতা দিয়া ? কফাল ডা কি ফাটছে ? একটা চোউক আডা আডা লাগে ক্যা ?
হাতটা বাড়াইয়া দ্যায় কেরামইত্তা । কেউ যদি এট্টু উডাইতো হেরে । হালার পুত দিল্ল্যুয়া ও এহোন নাই ধারেকাছে । কোতায় যে গেছে চু..... বাই !
কেউ নেই । বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে।
চাইরপাশ দিয়া মানুষগুলান জেবন লইয়া দৌড়ায় । কেউ হের দিগে ফিইররাও চায় না । জোরে জোরে ট্যাং দুইডারে টানে কেরামইত্তা । ট্যাঙে জোর নাই । চোহে ঝাপসা ঝাপসা দ্যাহায় সব । হুইল চেয়ারডা কই ? ওইডা ধর্তে পারলেও অইত । খাড়াইতে পারতো এট্টু । হাত দুইডা দিয়া হে আবার শূন্যে হাতড়ায় । এই সোমায় কেডা য্যানো হাত দুইডা ধরে , হ্যাচকা টান মারে ।
- আন্নে আজি বাইরিয়েছেন ক্যানে ? মরিতে ? দ্যাখেন নাই কালিকে কত্তো গন্ডোগোল হইয়েছে ?
মুহের কাছে কেডা য্যানো কতা কইয়া ওডে । হের পর দুইডা হাতে জাবরাইয়া ধইররা হেরে হুইল চেয়ারে বওয়াইয়া দ্যায় । তারপর ঠ্যালতে ঠ্যালতে নিয়া যাইতে থাহে । এতুক্ষনে কেরামইত্তার য্যানো হুশ অয় । মুক দিয়া এইবার কতা বাইর অয় –
- এই মাগী, তুই তাইলে বাইরাইছো ক্যা ? মুই মরলে তোর কি ?
- তয় আন্নে মরি যান । আই চলি যাতিছি ।
চেয়ারডারে কাউল্লার আধখোলা চায়ের দোকানের সামনে রাইকখা ঠ্যালাওয়ালী চইল্লা গেলে কেরামইত্তার ভিত্রে কি জানি অয় ।
যে আবাগীর বেটিরে তাড়াতে পারলেই কেরামত আলীর মনে স্বস্তি জুড়তো , গায়ের জ্বালা কমতো সেই আবাগীর বেটি তার চোখের সামনে দিয়ে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে । তার চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পোড়া বারুদের গন্ধ নয় , নাকের কাছে কিসের একটা মিষ্টি সুগন্ধের আভাস টের পায় কেরামত আলী ।
আইজ মানুষজন কম । কম তো অইবেই ! দুইদিন থিক্কা আবার হরতালের লগে কি য্যানো দেছে ক্যারা । কি জানি কয় , অবরোদ । হেইডা আবার কি ? এরে ওরে জিগাইয়া কেরামইত্তা বুইজ্জা যায়, অবরোদ কি ! কয়দিনের অবরোদ হেডা কেউ কইতে পারে নাই । মনে মনে দোয়া করে, মাইনষে জানি অবরোদ না মানে । মানলে এই আমাগো মতো ফহিরগুলা খাইবে কি ? তয় রুজির মালিক আল্লায়, হে একটা ব্যাবস্তা করবেই !
বাসষ্ট্যানে আইজ ভীড় নাই খুউব । বাস ও কোম কোম। হের সাঙ্গ-পাঙ্গোরাও নাই ধারে কাছে । দুইদিন যাবৎ দিল্ল্যুয়ার দ্যাহা নাই । দ্যাহা নাই আরেকজোনার ও । ক্যামোন যানি থমথইম্মা চাইরদিক । থমথইম্মা কেরামত আলীর মোনডা ও । কেমন য্যানো খাইল্লা খাইল্লা লাগে ।
আইজ দুইদিন ভাগীদার আধ-পাগলীডার দ্যাহা নাই । মাজে মইদ্দ্যে যেরহম উধাও অইয়া যায় আইজ দুইদিন থাইক্কা তেমনি হের পাত্তাও নাই ।
চিন্তাডা পুস্কুনিতে ইডা ছোড়ার মতো টুপ কইররা পইড়রা ঢেউয়ের লাহান ছড়াইতে থাহে কেরামইত্তার মোনে । অবরোদে পাগলীডা আইবে কেম্নে ! আইতে পারবে তো ! নাহি আইবেনা ! মোনডা খোঁস-পাচড়ার মতো চুলকাইতে থাহে । হাত দুইডা থমকাইয়া থাহে হুইল চেয়ারের চাক্কায় । চোউক দুইডা চাইয়া থাহে কোতায় জানি । বুহের খাচার মইদ্দ্যের পাখিডা ঝাপটায় ।
আইতে পারবে তো !
আইবে তো হে !
বাসের দরজায়, রাস্তার এ মাতায় ও মাতায় চোউক ঘোরে হের রোজকার লাহান । কই, কাউরে কি দ্যাহা যায় ?
ঐতো ..... ঐ তো ...আবাগীর বেডি আইতেছে কাউল্লার চা দোহানের সামনে দিয়া । লগে দিল্ল্যুয়া । কতা কইতে কইতে আইতেছে আবার হাসতেও আছে দুইজনে ।
মনে মনে গাইল দেয় কেরামত আলী “.....ওরে হারামজাদা দিল্ল্যুয়া...... আয় তুই , আইজ তোরে দ্যাহামু .... “
আধফোঁটা ফুলের মতো একটুকরো হাসি ছড়িয়ে যেতে থাকে কেরামত আলীর মুখে ।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
Thank you very much, your review is very helpful, I was going to try that GrweFh-tloxV. I’m 25 years old, trying to grow 1 or 2 more inches, if Growth-FlexV does not work, do you know anything that does help? Thank you.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন