ঘুম ভেঙ্গেই শুনি ফজরের আজান হচ্ছে। অন্যসময় পাশের বেডের আব্দুল্লাহ সাহেব আমাকে ফজরের নামাযের জন্য ডেকে দেন,কিন্তু আজকের কথা আলাদা।
আজ একটি বিশেষ দিন।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মুয়াজ্জিন এর সুরেলা কন্ঠ শুনতে পাচ্ছিঃ
"হাইয়ালাস সালা(নামাযের জন্য এসো)
হাইয়ালাল ফালা(কল্যানের জন্য এসো)......"
শোয়া থেকে উঠে বসলাম। বাইরে তখনো অন্ধকার; জানালা দিয়ে তাকালে কিছু দেখা যায় না- শুধু আধারের তীব্রটাটুকু অনূভব করা
যায়। আমাদের এই ওল্ড হোমটি অনেকখানি জায়গা নিয়ে গড়া। মেইন বিল্ডিংটি ওল্ড হোমের সীমানার ভিতরে এক সাইডে, অন্য পাশে বিরাট এক মাঠ।মাঠটাকে ঘিরে আছে পরিচিত-অপরিচিত বিশাল বিশাল সব গাছ। রুম থেকে গাছগুলোকে কেমন নিঃসংগ প্রেতের মত লাগছে দেখতে ; কে জানে, ওরাও হয়তো কিছুটা আমাদের মতই একা !
আমি বিছানা থেকে নামার প্রস্তুতি নিলাম। স্যান্ডেলটা খুজে পেতে খুব সমস্যা হল। টেবিল থেকে চশমাটা নিয়ে দেয়াল ধরে ধরে হেটে গিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম।ওযু করে বেরিয়ে এসে আব্দুল্লাহ সাহেবকে ডাকতে গিয়ে দেখি উনি ততক্ষনে উঠে পড়েছেন।
"ব্যাপার কি মবিন ভাই, আজ যে নিজে নিজেই উঠে পড়লেন; ঘুম হয় নি নাকি?"
আমি একটু হাসলাম শুধু।
"আপনি আস্তে আস্তে উঠুন আব্দুল্লাহ সাহেব, আমি নামাজ পড়ে একটু হেটে আসি বাইরে থেকে। আজ ভোর হওয়া দেখবো"
আমি খেয়াল করলাম আব্দুল্লাহ সাহেব আমার কথা শুনে একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। থাকুক, আজ একটি বিশেষ দিন বলে কথা। আজকে সারাটাদিন আমি পৃথিবীর সব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখবো, সব ভালো ভালো কথা শুনবো। আজ যে আমার ছেলে আমাকে এখানে দেখতে আসবে! এই ওল্ড হোমে আসার পর এটাই তার সাথে আমার প্রথম দেখা।
নামাজ পড়ে বাইরে যখন হাটতে বের হলাম, ততক্ষনে আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে। হেটে একটু সামনে গিয়ে একটা বেঞ্চ পেয়ে তাতে বসলাম। এখন আর একনাগাড়ে অনেকক্ষন হাটতে পারি না, হাতের লাঠিটার জোর থাকলেও দু'পায়ে জোর থাকে না।
কতদিন পর আজকে আবার ভোর হওয়া দেখলাম -মনে করতে পারছিনা। সাধারনত এখানে আসার পর থকে প্রতিদিনই নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতাম,কিন্তু নামাজ পড়েই আবার শুয়ে পড়তাম বিছানায়। আমার কিংবা আব্দুল্লাহ সাহেব- কারোরই ঘুম আসতো না, কিন্তু আমরা কেউই কাউকে সেটা বুঝতে দিতাম না। আব্দুল্লাহ সাহেব হয়তো শুয়ে শুয়ে আমার মতই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা চিন্তা করতেন। একটা বয়সে এসে মানুষ শুধু বারবার ব্যাকুল হয়ে পেছনে ফিরে তাকায়; সাদাকালো চলচ্চিত্রের এক একটি দৃশ্যের মত একে একে দেখে তার দূরন্ত শৈশব, বাধনহারা কৈশোর, রঙ্গীন যৌবন আর বাস্তবতার মধ্যবয়স।
আমার দুই রুম পরের জাফর সাহেবকে দেখলাম হেটে বোধহয় এদিকেই আসছেন। আমার বেঞ্চে এসেই বসলেন তিনি।
"কেমন আছেন ভাই? আজ হঠাত এতো ভোরে মাঠে?"
"এমনি। অনেকদিন ভোর হওয়া দেখি না। যখন ভার্সিটিতে পড়তাম, তখন তো সারা রাত আড্ডা,চা খাওয়া এগুলো করতে করতেই রাত ভোর হয়ে যেতো। কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি ......" হঠাতই থেমে যাই আমি।" বাদ দিন,আপনি কেমন আছেন বলুন"
"এই বয়সে যতটা ভালো থাকা যায়। হা হা হা" জাফর সাহেবের প্রানখোলা হাসি দেখে মনটাই ভালো হয়ে গেলো। ওনাকে জানালাম সাব্বিরের আসবার খবরটা: "জাফর ভাই, সাব্বিরের কথা বলেছি না আপনাকে? আমার ছেলে। আজ আসবে আমাদের এখানে।"
"ভেরী গুড"
"ছেলে থাকে আমেরিকায়। নাসায় চাকরী করে। ইঞ্জিনিয়ার। ছুটিতে দেশে এসেছে কয়েকদিন হোল-তাই দেখা করতে আসছে আজ।"
জাফর সাহেব বাচ্চাদের মত খুশি হয়ে ওঠেন। কিন্তু সেই খুশির আড়ালে কি সামান্য হোলেও মনোকষ্ট লুকিয়ে থাকে না? আমার জানামতে তার তিন ছেলে । কারো সাথে ওনার তেমন একটা যোগাযোগ নেই, কেউই খুব একটা খোজ-খবর করে না।
সূর্য -সদ্য কিশোরী থেকে তরুনী হওয়া মেয়ের মত দীপ্তি ছড়াচ্ছে, আমি জাফর সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে নাস্তা খাবার জন্য উঠে দাড়ালাম। ক্যান্টিনে সকালের এ এই সময়টাতে লোকজনের বেশ ভীড় থাকে। অন্যসময় আমার এতো মানুষ খুব একটা ভালো লাগে না ,কিন্তু আজকের কথা আলাদা। আজ আমার সবকিছুই ভালো লাগছে। এই যে চারপাশে এতো প্রবীনেরা, সবাইকে ডেকে ডেকে বলতে ইচ্ছে করছে, শুনুন-আজ না আমার ছেলে আমাকে দেখতে আসবে।
চা-নাস্তা শেষ করে একটু টিভি রুমের দিকে গেলাম। সেখানে আসাদ ভাই-ভাবী,সেলিম-সেলিমের বৌ, জাহিদ ভাই-ভাবী,যাকের ভাই- আরো অনেকের সাথেই দেখা হোল। সবাইকে জানালাম খুশির খবরটা। তারপর পেপারটা হাতে নিয়ে সোফায় গিয়ে বসলাম।
হাতে পেপার নিয়েও তাতে মন বসাতে পারছিলাম না। শুধু সাব্বিরের কথা মনে পড়ছিলোঃ সেদিন বিকেলে মাঠে বসে আছি, হঠাতই মোবাইলে ফোন বেজে উঠলোঃ"হ্যালো বাবা"
"কে সাব্বির? কেমন আছিস?"
"এইতো আছি মোটামুটি। শোন বাবা,আমি কয়েকদিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছি; ভাবছি পরশু এসে তোমাকে দেখে যাবো একবার।"
"বাহ ভালো,খুব ভালো। তা কয়দিন থাকবি? বৌ-বাচ্চা নিয়ে এসেছিস,নাকি......"
"বেশিদিন থাকতে আসি নি। খুব জরুরী একটা কাজে এবার ঢাকায় আসা। তোমাকে দেখেই সরাসরি এয়ারপোর্ট চলে যাবো। এসেছি আমি একাই। আসার পর থেকে প্রচন্ড ব্যাস্ততার মধ্যে আছি। এখন রাখি বাবা,কেমন? তোমার কিছু লাগবে? লাগলে বল,আসার দিন নিয়ে আসবো"
"না রে বাবা,কিছু লাগবে না। তুই ভালো থাকিস।"
"ঠিক আছে বাবা,বাই। টেক কেয়ার......"
আজ সেই বিশেষ দিন। আজই ছেলেটা আসবে। কতদিন দেখি না তাকে- দুই বছর,তিন বছর নাকি আরো বেশী? টিভিরুম এর এক কোনায় দেখলাম সাবের সাহেবরা কয়েকজন মিলে গল্প করছেন।প্রায়ই গল্প করেন উনারা,আমি কখনো তাতে যোগ দেইনা; আজ দিলাম। বেশ লাগলো সবার সাথে গল্প করে। কার নাতি কেমন দুষ্টু,কার নাতনীটি দেখতে পুতুলের মত,কার নাতিটি ভীষন পাকা- সব কিছু শুনে অনেকদিন পর মন খুলে হাসাহাসি করলাম।
আজকের এই খুশি আনন্দের দিনে শুধু একজনের কথা মনে পড়লেই মাঝে মাঝেই মনটা কেমন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকেই একটু পর পর খুব মনে পড়ছে রুপার কথা। সে আজকে এখানে থাকলে কতই না খুশি হোত; রুপা যখন মারা গেলো তখনো আমি এখানে এসে উঠিনি। মালিবাগের বাসাটাতেই থাকতাম আমরা দুজন। সেই রাতটির কথা আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে। প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিলো সেদিন। ইলেক্ট্রিসিটি নেই সন্ধ্যা থেকেই। বাতাসে মোমের শিখা কাপছে, রুপা আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে শক্ত করে আমার হাত ধরে রেখেছিলো। হঠাতই সে বাধনটা কেমন আলগা হয়ে গেলো, চিরদিনের মতই। আমাদের কাউকেই একে অন্যের কাছ থেকে বিদায় নেবার সময়টুক পর্যন্ত দেয়া হল না! অবশ্য এটা হয়তো এক দিক দিয়ে ভালো, কারন আয়োজোন করে বিদায় নেয়াটা বেশী কষ্টের।
মৃত্যুর সময় রুপা সাব্বিরকে দেখতে পায় নি। সাব্বির এর আরো অনেক আগেই দেশের বাইরে চলে যায়। মা'র মৃত্য সংবাদ শুনে অবশ্য ৩ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছিলো সে। আজ যদি আমার সাথে রুপা থাকতো, তার আনন্দটাও নিশ্চয়ই আমার মতই হতো; কিংবা কে জানে হয়তো আমার থেকেও বেশী। হয়তো আমি আর সে পাশাপাশি দাড়াতাম-সাব্বির এসে আমাদের দু'জনকে পা ছুয়ে সালাম করতো; আমরা দু'জন হয়তো তার মাথায় হাত রেখে ছেলেটাকে মন থেকে আশীর্বাদ করে দিতাম।
রুমে ঢুকে গোসল সেরে বেরিয়ে নামায শেষ করতে করতে দেখি দুপুরে খাবার সময় হয়ে গিয়েছে। খেয়ে দেয়ে রুমে এসে ঢুকলাম একটু বিশ্রাম করবো বলে। আব্দুল্লাহ সাহবেকে দেখি আগেই তিনি এসে শুয়ে পড়েছেন। আমাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ"মবিন ভাই, ছেলে কখন আসবে?"
"আসবে নিশ্চই বিকেলের দিকে।"
"ফোনে কথা হয়েছে?"
"না,পরে আর কথা হয় নি"
"ও" -আব্দুল্লাহ সাহেব চুপ করে যান। আমিও আর কথা বাড়াই না। শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি নিজেও টের পাই না।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বহুদিন পর অদ্ভূত সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখি আমি। আহ! এতো সুন্দর স্বপ্নও দেখে মানুষ!! দেখলাম যেনো ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি আর ছোট্ট সাব্বির বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমাদের ঘরের উঠোনে ফুটবল খেলছি। রুপা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমাদের খেলা দেখছে আর একটু পর পর হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ছুয়ে দিচ্ছে। কে বলে স্বপ্ন সাদাকালো,অস্পষ্ট,আমার কাছে স্বপ্নটা এতটাই বাস্তব এবং জীবন্ত মনে হচ্ছে যে আমি রুপার হাতের রঙ্গীন চুড়িগুলো পর্যন্ত স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। সাব্বির মাঝে মাঝেই দৌড়াতে গিয়ে হোচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছে মাটিতে। কাদায় পানিতে মাখামাখি হয়ে আবার উঠে দাড়াচ্ছে। সেটা দেখে রুপা হাসছে খিল খিল করে। সাব্বির এক সময় দৌড়ে গিয়ে তার মাকে ধরে উঠোনের দিকে টেনে নিয়ে এলো। চারদিক অন্ধকার করে বৃষ্টি আরো ঝেপে আসছে। ছোট্ট সাব্বির আমার কাধে। আমি আর রুপা দু'জনে হাত ধরাধরি করে বৃষ্টিতে ভিজছি ,মনে হচ্ছে প্রকৃতির সমস্ত আশীর্বাদ যেনো বৃষ্টির ফোটা হয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে আমাদের সবার গায়ে ......
আমার ঘুম ভাংলো শেষ বিকেলের দিকে। ঘুম ভাঙ্গার পরও অনেকক্ষন বিছানায় শুয়ে রইলাম। মন তখন আনন্দে পূর্ন, মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিলাম এতো সুন্দর একটা স্বপ্নের জন্য। বিছানা ছেড়ে উঠে হাত মুখ ধুলাম, চশমা পড়ে লাঠিটা নিয়ে বেরুলাম রুম থেকে। বাইরে বেরিয়ে আসতেই জাফর সাহেবের সাথে দেখা হোলঃ "ছেলে কি দেখা করে চলে গিয়েছে নাকি মবিন সাহেব?"
"না জাফর ভাই; এখনো আসলো না তো। সামান্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে।"
"ফোন করেন একটা ; হয়তো জ্যামে আটকে আছে।"
"হ্যা দেখি ফোন করে।"
আস্তে আস্তে হেটে গিয়ে মাঠের এক সাইডের একটা বেঞ্চে বসলাম; যেই সাব্বিরকে ফোন দিতে যাবো তখনি মোবাইলটা বেজে উঠলোঃ"হ্যালো বাবা?"
"হ্যা সাব্বির, তুই কোথায় বাবা? আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম"
"ইয়ে বাবা; আমি খুব বড় একটা ঝামেলায় পড়েছি। এবার আর মনে হয় আসতে পারলাম না। পরেরবার এসে প্রথমেই তোমার সাথে দেখা করবো ,আই প্রমিস। প্লিজ মাইন্ড কোরো না। হ্যালো বাবা,হ্যালো ......"
"না না ঠিক আছে। সাবধানে থাকিস। বৌমা আর তোর ছেলের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।"
"রাখি তাহলে বাবা। শরীরের যত্ন নিয়ো,কেমন? আর কিছু লাগলে আমাকে অবশ্যই ফোন করে জানাবে,আমি ওখান থেকে পাঠিয়ে দেবো-ঠিক আছে?"
"ঠিক আছে। বন ভয়াজ মাই সান"
ওপাশ থেকে সাব্বির ফোন রেখে দেয়। আমি তার পরও অনেকক্ষন মোবাইল কানে চেপে বসে রইলাম। বিকেল প্রায় শেষ হয়ে আসছে। পাখিরা সবাই যার যার মত ঘরে ফিরে যাচ্ছে। সূর্য বিদায় নিয়েছে,কিন্তু যাবার আগে দিগন্তকে সাজিয়ে দিয়ে গেছে তার শেষ সময়ের আলোটুকু দিয়ে।
সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাতই আমার দু'চোখ ভিজে উঠলো, ওল্ড হোমে আসার পর আজই প্রথম বুঝতে পারলাম আমি আসলে
কতটা একা, কি বিপুল নিঃসংগ ! পৃথিবীর মানুষের কারো প্রতিই আমার কোনো অভিযোগ নেই, কিন্তু রুপা......সে কেনো আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। এমন তো হবার কথা ছিলো না। চরম নিঃসঙ্গতার মুহূর্তেও সবসময় যাকে পাশে পেয়েছি ,আজ সে কোথায়? কেনো সে আমাকে এভাবে একা রেখে হারিয়ে যাবে?
দু'চোখ ভরা জল নিয়ে দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আছি, একাকীত্ব আমাকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। হঠাত চমকে উঠলাম- চোখের পানিতে ঝাপসা হয়ে যাওয়া আমার চারপাশের পৃথিবী, দূর থেকে ভেসে আসা নাম না জানা ফুলের সৌরভ, আর সাঝবেলায় নামতে থাকা কোমল অন্ধকার -সব মিলিয়ে আমার মধ্যে একটা ঘোর তৈরী হোল। গোধূলীলগ্নে দিগন্তের সোনালী-লাল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার হঠাত মনে হোল রুপা হারিয়ে যায় নি। ওই তো আমি রুপাকে দেখতে পাচ্ছি- যেনো ফাল্গুনী লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি পড়ে তরুনী রুপা দাঁড়িয়ে আছে !
আমি আমার চোখের পানি না মুছেই লাঠিতে ভর দিয়ে উঠে দাড়ালাম। চোখের জলটুকু মুছতে গিয়ে আবার যদি হারিয়ে ফেলি রুপাকে!
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন