|
কলমের কালি শেষ
|
|
অসম্পূর্ণে ঝরিয়ে দেওয়া পাতাগুলো । (গল্প)
26 March 2015, Thursday
১.
আজ সুমনা অনেক খুশি । আসছে কেউ একজন। ইদানিং জানান দিয়ে যাচ্ছে খুব । এইমাত্র টেস্ট করে সুমনা পুরোপুরি নিশ্চিত হলো । ছেলে অথবা মেয়ে ?ছেলে হলে সুদীপ্ত মেয়ে হলে নিশি । এই নাম দুটো অনেক আগে থেকেই সে আর আসাদ ঠিক করে রেখেছে । আসাদ এখনো বাহির থেকে ফেরেনি । সুমনা ভাবছে আসাদকে তার বাবা হওয়ার অগ্রিম খবরটা দিয়ে কিভাবে চমকে দেওয়া যায় । সুমনা এখন রান্না রান্না খেলছে ।সে আজ হরেকরকম রেসিপি রাঁধবে । তবে আসাদের জন্য নয় । আসাদ তেমন একটা খেতে পারে না । তার পেটের বাতিক আছে । অল্পতেই পেটের ব্যারাম দেখা দেয় । তাই তার জন্য এতো কিছু রান্না করেও কোন লাভ নেই । একদিন খুব শখ করে এগারোটা রেসিপি রান্না করেছিল সুমনা ।আর আসাদ কিনা শুধু দুইটা রেসিপি দিয়ে খেয়ে ঢেকুর তুলে উঠে গেল ! সেই থেকে তাদের দু’জনের সংসারে তেমন বেশি কিছু রান্না হয় না । সর্বোচ্চ দুই কি তিনটা রেসিপি থাকে । তাই সুমনাও মায়ের কাছ থেকে শেখা অনেক রেসিপিই ভুলতে বসেছে । সে জন্যই সুমনা আজ মনের আনন্দে রান্না রান্না খেলছে রেসিপিগুলোকে একটু ঝালাই করতে । আসাদ খেলে খাবে আর না হয় পাড়া-পড়শিকে বিলোবে । সুমনা রান্না করতে করতে তার পেঠের সাথে কথা বলছে, ‘ এই শোন তুমি ছেলে অথবা মেয়ে যেই হও না কেন রান্না কিন্তু শিখতেই হবে । রান্না হচ্ছে একটা শিল্প । তাই রান্নাকে একদমই হেলা করা যাবে না । পৃথিবীতে না খেয়ে কেউ বাঁচতে পারে না । আর তাই রান্না জানাটা খুবই জরুরী । তাই তুমি মনোযোগ দিয়ে দ্যাখো মা কিভাবে রান্না করে... হা হা হা......
আসাদ ভাবছে অন্য কিছু । আজ রাত বারোটা এক মিনিটে তাদের বিয়ের তৃতীয় বছর পূর্ণ হবে । তাই সে ভাবছে সুমনাকেও চমকে দেওয়ার কথা ।সে সুমনার জন্য লাল হলুদরঙা একটা শাড়ি কিনেছে । সুমনাকে এই রঙের শাড়িতে খুব মানায় । তাকে দেখলে ইচ্ছে করে যেন বুকের পিঞ্জরে ঢুকিয়ে ফেলি । আসাদ একটা বড় পুতুলও কিনেছে । সুমনার পতুল খুব পছন্দ । যদিও রাতের বেলা এই পুতুলই আসাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ । সুমনা রাতে ঘুমানোর সময় পতুলটা ঠিক তাদের দু’জনের মাঝখানে রাখে আর এমনভাবে জড়িয়ে ধরে ঘুমায় যেন সে আমাকে নয় পুতুলকে বিয়ে করেছে ।আমি কতোদিন বললাম যে আমাকে তুমি পুতুল ভেবে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে পারো । কিন্তু সে বলে আমি নাকি কচ্ছপের মত ! কচ্ছপের খোলসের মতই আমার শরীর শক্ত !কিন্তু সেই খোলসের ভেতর যে তার জন্য একটা নরম আত্মা রাখা আছে সেটাতো সে বুঝলো না ! তবুও আসাদ একটা পুতুল কিনেছে কারণ সুমনা অনেক খুশি হবে ।
আসাদ ভাবছে সে আজ এতো তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে না । সুমনাকে খুব চিন্তায় ফেলে দিবে । যদিও সে একদিন দেরি করে বাসায় ফেরায় সুমনার কিল-ঘুষি একটাও মাটিতে পড়ে নাই ।কিন্তু সুমনার নরম হাতের এই কিল-ঘুষিগুলো আসাদের খুব ভালো লাগে । কারণ তারপর সুমনা তাকে জড়িয়ে ধরে তার চোখের পানিগুলো আসাদের কাঁদে ফেলবে । বৌয়ের এমন ভালোবাসা পেয়ে আসাদের খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে । তাই আসাদ ঠিক করেছে রাত বারোটায় দরজায় নক করে বিবাহ বার্ষিকীর উইশ করে তাকে চমকে দেবে ।সে এর আগ পর্যন্ত বন্ধুদের মেচে কাটাবে । বন্ধুদের মেচটা বাসার কাছাকাছিই আছে তাই তেমন সমস্যা হবে না ।
২.
রহিমন বিবি এই সাঁজ সকালে বাপমরা একমাত্র পুত্র অহিদুলকে ঢাকা পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করছে । মাথায় চিপচিপা করে সরিষার তেল মেখে সিঁথি করে দিচ্ছে । তার শার্টের পকেটে একটা চিঠি ঢুকিয়ে দিলো আর বলল চিঠিটা যেন না হারায় । অহিদুলের এক হাতে একটা বাজারের থলেও ধরিয়ে দিল । এই থলের ভেতর আছে বেল, কামরাঙা, পাকা পেঁপে, আর কটা ছোবড়া ছোলা নারিকেল ।আরেক হাতে দুইটা হাঁসও ধরিয়ে দিল । অহিদুল বড় ঢেকুর তুলতেই রহিমন জিজ্ঞেস করে,
- কিরে বাপ কি হইছে ?
- মা আইজগা তুমি পান্তা ভাত বেশি খাওয়াইয়া দিচো ।পেট টাইট হইয়া গেসে ।
- এতো দূর পথ যাবি রাস্তায় ভুখ লাগলে তখন কি করবি ! আরে চিন্তা করিস না । একটু পর ঠিক হইয়া যাইবো ।আর শোন ঢাকা থেইকা আইজকাই ফিরা আইবি, রাত হইলেও । কাইলকা হাটের তারিখ কিছু তরিতরকারি হাটে তুলতো অইবো । সমিতির কিস্তির টেকা দেওন লাগবো ।এখন তাড়াতাড়ি আল্লাহর নাম লইয়া রওয়ানা দে ।
অহিদুলের চাচারা ঢাকায় থাকে ।তাদের জন্যই রহিমন বিবির এতো আয়োজন । তারা শহরে থাকে এইসব গ্রাম্য ফলফলাদি কি খাইতে পারে ?তাই সে অহিদুলের সাথে এগুলো দিয়েছে । আর চিঠিটা দিয়েছে তাদের খোঁজ-খবর জানার জন্য। তারাও চিঠির উত্তর লিখে পাঠিয়ে দেয় । অহিদুলের মনভোলা রোগ না থাকলে এই চিঠিটা দেওয়ার দরকার হতো না ।আর এতো কষ্ট করে চেয়ারম্যানের পোলা থেকে লেখায়েও আনতে হতো না ।চেয়ারম্যানের পোলা চিঠি লেখার সময় যে ভাব দেখায় রহিমন বিবির গা জ্বলে যায় ।
অহিদুলের চাচার বাসায় পৌঁছাতে দুপুর গড়িয়ে যায় । সে খেয়ে দেয়ে ভাতঘুম দেয় ।বিকালে উঠে বাড়ি যাওয়ার জন্য চাচার কাছ থেকে বিদায় নিতেই চাচা স্বভাবত বলে রাতের খাওয়ারটা খেয়ে যেতে । অহিদুল ও আর না করে না । সে চাচার বাসায় খেতেই চায় । কতো ভাল ভাল খাবার তারা রান্না করে ! এইসব খাবার অহিদুলের খুব খেতে ইচ্ছে করে ।তাই প্রতিবারই আসলে সে চায় চাচা তাকে পরের বেলা খাওয়ার জন্য বলুক !আর সেও চায় সর্বোচ্চ বেলা চাচার বাসা থেকে খেয়ে যেতে ।অহিদুল রাতের খাবার খেয়ে জিরানোচ্ছলে চাচাতো ভাই বোনদের সাথে গ্রামের গল্প বলা শুরু করে দেয়। তারা অহিদুলকে খুব ভাল পায় ।তাদের গ্রামের গল্প শুনতেও খুব ভাল লাগে ।তাই অহিদুলকে ওরা খুব তাগাদা দেয় । অহিদুলও খুব মজা করে বলে ।
তাদের সাথে গল্প করতে করতে অহিদুল বাড়ি যাওয়ার কথা ভুলে যায় । যখন তার মনে পড়ে তখন প্রায় এগারোটা বাজে । তবুও অহিদুল বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় । চাচা তাকে রাতটা থেকে সকালে যাওয়ার কথা অনেক বলে ।কিন্তু সে যাবেই । অন্য কোনদিন হলে সে থেকে যেত । কিন্তু মায়ের আদেশ তাকে আজই বাড়ি যেতে হবে । কারণ কাল হাঠবার । কালকে টাকা হাতে না পেলে মা কিস্তির টাকা দিতে পারবে না । এখন সে রওয়ানা দিলে ভোর হওয়ার আগেই বাড়িতে পৌঁছাতে পারবে ।চাচা তাকে আর বাঁধা দিলো না । তবে সাবধান করে দিল ।এখন দেশের অবস্থা তেমন ভাল না ।অহিদুল চাচার কাছ থেকে চিঠির উত্তরের চিঠিটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে । রাত অনেক হলেও অহিদুলের তেমন একটা ভয় করছে না । কারণ সে গ্রামের বিল ঝিলে গভীর রাতে কতো মাছ ধরেছে ! আর এখন তো গভীর রাতের সবে শুরু ।
৩.
ছয় বছরের রোহান খুশিতে লাফাচ্ছে । বাবা তার জন্য একটা ছোট সাইকেল কিনে এনেছে । সে অনেকদিন ধরে বাবাকে বলছে একটা সাইকেলের কথা । কিন্তু বাবা প্রত্যেকদিন ভুলে যায় । তবে বাবার উপর তার এখন কোন রাগ নেই ।বাবার কোলে উঠে বাবাকে একটা চুমোও খেয়েছে সে । তার বন্ধুরা প্রত্যেকদিন তাকে দেখিয়ে সাইকেল চালায় । সে চাইলেও কেউ তাকে সহজে দিতে চায় না । তাই প্রতিদিন সে মনখারাপ করে বাসায় ফেরে । আজ সন্ধ্যা হয়ে গেছে তাই সে সাইকেল নিয়ে তাদেরকে দেখাতে পারছে না । তবে কালকে সে সবাইকে দেখিয়ে নতুন লাল টুকটুকে সাইকেলটা চালাবে । আর ওই ছেলেটাকেও তার সাইকেল চালাতে দিবে । ছেঁড়া ময়লা কাপড়ের ছেলেটা প্রতিদিন এসে দাঁড়িয়ে থাকে । অন্যরা সবাই তাকে দেখে থুথু ফেলে ।তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ।তখন ছেলেটাকে দেখে রোহানের খুব খারাপ লাগে ।তাই রোহান সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা দু’জন মিলে সাইকেলটা চালাবে । রোহানের এই খুশিতে আর তর সইছেনা । সে বারবার ঘুরেফিরে সাইকেলটাকে দেখছে ।শুধু সকালটা হওয়ার জন্য সে অপেক্ষা করছে ।
৪.
রহিমুদ্দিন ঢাকার ঠাটারী বাজারে মোট বারোটা লাউ নিয়ে এসেছে ।এখন আর একটা আছে ।রাত দশটার উপরে বাজে । এই একটা লাউ বেচার জন্য সে বসে আছে । তবে বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তার কোন চিন্তা নেই কারণ তার সাথে গ্রামের আরও তিনজন এসেছে । তারাও সবজি বিক্রি করতে এসেছে । গ্রামের দিকে সবজি বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়া যায় না তাই এই সুদূর ঢাকার বাজারে আসা ।রহিমুদ্দিন লাউ বিক্রির ফাঁকে তার মেয়ের জন্য একটা জামা আর একজোড়া জুতো কিনে রেখেছে ।বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মেয়ে খুব ধরেছিল ঢাকা থেকে তার জন্য কিছু আনতে ।রহিমুদ্দিন সেগুলোর দিকে বার বার তাকিয়ে দেখছে ।মেয়ে এগুলো পেয়ে কতই না খুশি হবে এই ভেবে রহিমুদ্দিনের মুখের কোণেও অট্টহাসি ফুটে আছে । রহিমুদ্দিন আর বেশিক্ষণ বসবে না ।তার সাথে আসা লোকগুলো অনেক আগেই সবজি বিক্রি শেষে তার জন্য বসে আছে । বাজার প্রায় জনমানব শূন্য হয়ে গেছে । এখন যারা ঘোরাফেরা করছে তারা তার মতোই বিক্রেতা ।তাই এতো রাতে এই একটা লাউ বিক্রি হবে না । সেটা নিয়েই বাড়িতে ফিরতে হবে ।রহিমুদ্দিন বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
৫.
শিহাব বিয়ে করে নতুন বৌ’কে নিয়ে আজ ঢাকায় ফিরেছে ।বিয়ে করার জন্য মা বাবা অনেকদিন ধরে যন্ত্রণা দিয়ে আসছে ।তাদের একটাই যুক্তি একমাত্র ছেলের বৌ’কে দেখে তারা শান্তিতে মরতে চায় । তাই শিহাব বিয়েটা করেই ফেললো । গত কয়দিন যাবত বিয়ের ঝামেলায় তার উপর বেশ ধকল গেছে ।মোটামুটি দশ গ্রাম দাওয়াত করে খাইয়েছে । বৌটাও পেয়েছে পরীর মতন । প্রথম দেখাতেই শিহাবের পছন্দ হয়ে যায় ।মেয়েটা কতো সুন্দর করে হাসে, চোখগুলো বড় বড় টানা টানা । কিন্তু গ্রামে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের ঝামেলায় বৌটাকে ভাল করে দেখতেই পারেনি । তবে আজ কেউ ডিস্টার্ব করবে না । আজ ওরা শুধু দু’জন । সারারাত বৌ’কে দেখবে, কথা বলবে ।এই ভেবে শিহাবের মন খুব ফুরফুরে হয়ে আছে ।এত পথ জার্নি করে এসেও তার ক্লান্তি লাগছে না ।
*****
এমন করে অসমাপ্ত গল্প লিখে গেলে পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় হাজারো গল্প লেখা হয়ে যাবে ।তাছাড়া এমন অসমাপ্ত গল্প লিখেও কি লাভ ?শুধু শুধু সময় নষ্ট, কাগজ নষ্ট । তাই আর লিখবো না ।আপাতত এই গল্পগুলোরই সমাপ্তি টানা দরকার ।
প্রথম গল্পের আসাদ আর সুমনা একে অপরকে চমকে দিতে গিয়ে অন্য কেউ এসে তাদেরকেই চমকে দিল। আসাদ বুকে বুলেট নিয়ে বাসার গেইটে পড়ে ছিল ।শাড়ি আর পুতুলটা তার রক্ত চোষে নিচ্ছিল। আর আসাদের বদলে দরজায় অন্য কেউ টোকা দিয়ে সুমনার বুকে এবং পেটে বুলেট গেঁথে দিয়েছিল । তারা বোধয় জানতো সুমনার পেটেও কেউ লুকিয়ে আছে । টেবিলে এগারোটা রেসিপি সজানো আছে এখনো ।
দ্বিতীয় গল্পে অহিদুলের নিথর দেহটি পড়ে আছে রাস্তায় জমানো ময়লার পাশে ।তার বুক পকেটের চিঠি বেধ করে রক্ত ঝরছে । সে এখনো ঢেকুর তুলছে ।
তৃতীয় গল্পে রোহানের সাইকেলটা ড্রয়িং রুমে দাঁড়িয়ে আছে । রোহানের বাবা মা ফ্লোরে পড়ে আছে । কারা যেন তাদেরকে কিছু বুলেট উপহার দিয়ে চলে গেছে । রোহান শুয়ে আছে খাটে । কিন্তু সে আর কখনো ঘুম থেকে উঠবে না কারণ তার জামা সাইকেলের মতোই লাল হয়ে গেছে । সে তার সাইকেলটা আর কাউকে দেখাতে পারবে না হয়ত কেউ দেখারও ছিল না ।
চতুর্থ গল্পের রহিমুদ্দিন ও তার সঙ্গীরা মৃত কুকুরের সাথে পড়ে আছে । কারা যেন কুকুরকেও রেহাই দেয়নি । কুকুরের ফোলা পেট থেকে রক্ত বের হয়ে রহিমুদ্দিন ও তার সঙ্গীদের রক্তের সাথে মিশে যাচ্ছে ।
পঞ্চম গল্পের শিহাব আর তার নতুন বৌয়ের শরীর তাদের হাতের মতোই মেহেদি রঙ্গা হয়ে আছে । কারা যেন তাদের পুরো শরীরে মেহেদি রঙ করে দিয়েছে ।এখনো গড়িয়ে গড়িয়ে রঙ পড়ছে । সেই রঙে বিছানাও রঙিন হয়ে উঠেছে । তারা খুব নীরবে গল্প করে যাচ্ছে । একে অপরের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে আছে ।
এই হচ্ছে অসম্পূর্ণ গল্পগুলোর সমাপ্তি । আপনারা হয়তো লেখককে পাগল ভাবছেন । এতোগুলো গল্পের একইরকম সমাপ্তি কি করে হয় ! ভাবছেন লেখক গল্পের সমাপ্তি খোঁজে না পেয়ে গল্পগুলোকে আচানকভাবে শেষ করে দিয়েছেন । আহারে বেচারা লেখক ।
আসলেইতো ! এতগুলো অসম্পূর্ণ গল্পের সমাপ্তি একইরকম কিভাবে হয় ! আমি হলেও লেখককে পাগলই ভাবতাম! কিন্তু ওইরাতে এমন হাজারো অসম্পূর্ণ গল্পের সমাপ্তি একেইরকম ছিল । বিশ্বাস করুন ওরা এইভাবেই গল্পগুলোর সমাপ্তি এঁটেছিল । ওরা অসম্পূর্ণ গল্পগুলোর সমাপ্তির একটা নামও দিয়েছিল । অপারেশন সার্চলাইট ।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন