|
কালের সময়
|
|
মহাকাশের সম্পর্কে অনেকের অনেক কথা ।
20 March 2015, Friday
স্টেশন বললেই তো আমাদের মাথায় প্রথমেই ট্রেন স্টেশনের কথা আসে, যেখানে ট্রেন থাকে আর যাত্রীরা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে। বাসের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু মহাকাশ স্টেশন এদের থেকে একটু আলাদা। কেননা মহাকাশ স্টেশনে সেই অর্থে কোনো মহাকাশযান আসা যাওয়া করে না বটে কিন্তু ঘটনা কাছে ধারেরই কিছু।
মহাকাশ স্টেশন মূলত একটি বিশাল মহাকাশযান। আবার একে তুমি কৃত্রিম উপগ্রহও বলতে পার, যেটা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২২০ মাইল উপরে একটি অক্ষপথ ধরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে থাকে। এই মহাকাশযানে কিছু মহাকাশবিজ্ঞানী একটি নির্দিষ্ট সময় বসবাস করেন এবং মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা করেন। এই গবেষণাগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি এজেন্সি-- ন্যাশনাল এরোনটিকাল এ্যান্ড স্পেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংক্ষেপে যাকে তোমরা NASA নামে চেন, তারা পরিচালনা করেন।
এ ধরণের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহাকাশকে আরও ভালোভাবে জানা ।
মহাকাশ স্টেশনগুলো বেশ কয়েকটি খন্ড নিয়ে গঠিত। ১৯৯৮ সালে রাশিয়ান রকেটে করে প্রথম মহাকাশ স্টেশনের একটি খন্ড মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাকে স্থাপন করার মাধ্যমেই প্রথম মহাকাশ স্টেশনের গোড়াপত্তন হয়। প্রায় দুই বছর নানান খন্ড এর সাথে জুড়ে দেওয়ার পরে এটি মানুষের বসবাস করার এবং কাজ করার উপযোগী হয়। কিন্তু এটার কাজ পুরোপুরিভাবে শেষ হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত লেগে যায়।
এখন কথা হচ্ছে, মহাকাশ স্টেশনগুলো কত বড় হয় যে, এগুলোকে একবারে নেয়া যায় না? এমনিতে মহাকাশ স্টেশন বেশ বড়ই হয়। প্রায় একটি পাঁচ বেডরুমের বাসার সমান বড়! সেই সঙ্গে দুটা বাথরুম, জিমনেসিয়াম থাকলে যত বড় হতে পারে, তত বড়! তবে শুধু থাকার জন্যই তেো আর মহাকাশ স্টেশন নয়, গবেষণাগার, যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে ঠাসা বলে পুরো জিনিসটা আসলে একটি ফুটবল মাঠের সমানই বড় হয়। কেননা একটা স্টেশনে গবেষণাগার শুধু একটি দেশেরই থাকে না। কয়েকটি দেশের কয়েকটি গবেষণাগার থাকে। সব মিলে মহাকাশ স্টেশনটির ওজন হয় প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ড।
এত বড় যার আকার সেই স্টেশন চালাবার শক্তি কোথা থেকে আসে ধারণা করতে পার? এত বড় স্টেশন চলার শক্তি শুধু সেই জোগান দিতে পারবে যার নিজের শক্তি অসীম এবং তা শেষ হবার ভয়ও নেই। ঠিক ধরেছ, মহাকাশ স্টেশনের শক্তির যোগান দেয় সূর্য। স্টেশনের দুইপাশে দুইটা পাখার মতো সোলার প্যানেল লাগানো থাকে যেগুলোকে দেখতে পাখা মনে হলেও আসলে এগুলো সৌরকোষের সমষ্টি।
এত আয়োজন করে যে মহাকাশ স্টেশন বসানো হয়, সেগুলোর কাজ কী তা নিশ্চয়ই এখন জানতে ইচ্ছে হচ্ছে? নাসা এই মহাকাশ স্টেশনগুলোকে মূলত তিন ধরণের কাজে ব্যাবহার করে। এক, মহাকাশ যাত্রীদের বসবাসের জন্য। এক একটি স্টেশনে ৬ জন করে মহাকাশ যাত্রী বসবাস করতে পারে। দুই, যদিও তাদের
মহাকাশ যাত্রী বলা হয়েছে কিন্তু তাই বলে তারা কেউই সাধারণ যাত্রী নন। তারা প্রত্যেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানী যারা মহাকাশে বসবাস করে যার যার গবেষণাগারে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে থাকেন, যে গবেষণা পৃথিবীতে বসে করা সম্ভব না। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, নাসা মহাকাশের আরও অজানা অংশকে জানার জন্য মহাকাশের আরও গভীরে মানুষ পাঠাতে চায়। এই স্টেশনগুলো সেই অর্থে অপেক্ষার স্থান না হলেও এখানে যারা বসবাস করেন, তারা অজানা মহাকাশ এবং পৃথিবীর মানুষের মধ্যে একটি যোগাযোগ সেতু তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।এখানে একটি ক্লিক
মহাকাশ যাত্রায় বিনামূল্যে ছবি পাঠানোর সুযোগ
এটা মনে হচ্ছে তাদের থাকার জন্য একটি ঘর তৈরি করছেন ।মহাকাশ ভ্রমণ হয়তো আপনার জন্য হবে না। কিন্তু নিদেনপক্ষে আপনার ছবিটিও যদি মহাকাশ ভ্রমণ করতে পারে, সেটাই বা কম কী! ভ্রমণেচ্ছু এমন মানুষজনের জন্যই মার্কিন মহাকাশ এজেন্সি নাসা দিচ্ছে একটি বিশেষ সুযোগ। জানা গেছে, ইচ্ছে করলেই যে কেউই নাসার ‘ফেস ইন স্পেস’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মহাকাশে নিজের ছবি পাঠাতে পারবেন।
মহাকাশ ভ্রমণে নাসার যে দু’টি ফ্লাইট বাকি আছে তার একটিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে নাসার কাছে পাঠানো এসব পোর্ট্রটে। আর, এ জন্য নাসাই ছবি চেয়েছে আগ্রহীদের কাছে।
এ জন্য নতুন একটি ওয়েবসাইটও নাকি বানিয়েছে নাসা। বিশেষ এই সাইটে প্রবেশের পর কোন ফ্লাইটে যেতে (ছবি পাঠাতে) ইচ্ছুক সেটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। দুইটি ফ্লাইটের মধ্যে ডিসকভারি মহাকাশে যাবে এ বছরের সেপ্টে¤^রে আর ইনডোভার যাবে নভেম্বরে। যেকোনো একটি ফ্লাইট বেছে নিতে হবে ছবি পাঠানোর জন্য।
আরো জানা গেছে, কেউ যদি ছবি ছাড়াই কেবল নাম পাঠাতে চান তাও পারবেন। এছাড়াও ফ্লাইট সফলভাবে শেষ হবার পর নাসার মিশনে অংশগ্রহণ বিষয়ক একটি সনদও দেবে নাসা।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ তাদের ছবি পাঠিয়েছেন নাসার ঠিকানায়।
চাইলে এখানে একটি ক্লিক করতে পারেন ।
মহাকাশ পরিক্রমণকারী নভোযানে প্রবেশ করলেন চীনা নভোচারিরা মহাকাশ পরিক্রমণকারী নভোযানে প্রবেশ করলেন চীনা নভোচারিরা
চীনের তিন নভোচারি এই প্রথম মহাকাশ পরিভ্রমণকারী অন্য একটি নভোযানে প্রবেশ করেছেন। চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত লাইভ ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তিয়ানগং-ওয়ান নামে এ নভোযানে নীল পোশাক পরা এক মহিলাসহ তিন চীনা নভোচারি ঢোকার পর হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন। চীন নভোচারীবাহী রকেট শেনঝু-নাইন উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গত শনিবার এ তিন নভোচারিকে মহাকাশে পাঠিয়েছে।
চীনা সেনাবাহিনীতে চাকরিরত ৩৩ বছর বয়সী মহিলা মেজর লি ইয়াং গত দু'বছর ধরে মহাশূন্য ভ্রমণের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
১৫ ঘনমিটার কেবিনের নভোযান তিয়ানগং-কে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। সাড়ে আট টনের এ নভোযান ২৬৩ দিন ধরে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করছে। শেনঝু'র সঙ্গে তিয়ানগং নভোযানের স্বয়ংক্রিয় সংযোগ ঘটাতে বা ডকিং করতে তিন ঘন্টার একটু কম সময় লেগেছে। মানুষবাহী কোনো মহাকাশযানের সঙ্গে এই প্রথম নভোযানের সংযোগ ঘটালো চীন।
ছয়দিন পর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দুই মহাকাশযানকে সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। এ কাজে সফল হলে বোঝা যাবে চীন মহাকাশে স্টেশন গড়ার ক্ষমতা রাখে এবং মহাকাশ স্টেশনে নভোচারি ও মালামাল আনা-নেয়া করতে পারবে।
আগামী ২০২০ সালের মধ্যে চীন মহাকাশে স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা'র আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র অথবা রাশিয়ার সাবেক স্টেশন মিরের মতো ওই স্টেশনে নভোচারিরা কয়েকমাস অবস্থান করতে পারবেন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চীন ওই তিন নভোচারিকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। ২০০৩ সালে চীন প্রথমবারের মতো মানুষবাহী যান মহাশূন্যে পাঠিয়েছিল।#
ছোট একটি ক্লিক
এখানেও মহাকাশ সম্পর্কে আর অনেক তথ্য পাবেন ।
চাঁদের দিনকাল বহুকাল ভালো যাচ্ছিল না৷ মানে ঠিক চাঁদ নয়, চাঁদের প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা হচ্ছে৷ সেই ১৯৬৯ সালে চাঁদে পা রাখার আগে-পরে আমেরিকার কয়েকটি অভিযানের পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক বস্তুটি তেমন গুরুত্ব পায় নি৷ এবার সেই চিত্র বদলাতে চলেছে৷ তবে আমেরিকার পক্ষে বিশাল ব্যয়বহুল অভিযান আর সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে আসরে নামছে বেসরকারি কোম্পানিগুলি৷ তারাই চাঁদে পাকাপাকি বসবাসের দিশা খুলে দিতে চলেছে ।মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা-র নির্দেশে বিগেলো এয়ারোস্পেস নামের এক সংস্থা মহাকাশ সম্পর্কে বেসরকারি কোম্পানির আগ্রহ যাচাই করে দেখেছে৷ আমেরিকায় প্রায় ২০টি কোম্পানি ছাড়াও বিদেশের কিছু মহাকাশ ও গবেষণা সংস্থাকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ তাদের আগ্রহের সবকটি প্রকল্পই যে কল্পবিজ্ঞান ছবির মতো রোমাঞ্চকর – তা নয়৷
যেমন পৃথিবীর কক্ষপথে কোনো যানের মধ্যে অথবা চাঁদের বুকে ওষুধপত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় অনেকে৷ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতার বাইরে এমন পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কোম্পানি হিসেবে বিগেলো পৃথিবীর কক্ষপথ অথবা চাঁদের বুকে অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করতে, লিজ দিতে ও চালাতে চায়৷ বেলুনের মতো এই তাঁবু প্রয়োজনে অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷
অর্থাভাবের কারণে নাসা অবশ্য পুরোপুরি হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে অসংখ্য গ্রহাণুর যে বলয় রয়েছে, ২০২৫ সালে তারই একটিতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ এর এক দশক পর খোদ মঙ্গলগ্রহে মানুষ পা রাখবে৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী অর্থবছরে নাসার জন্য প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ডলার বাজেটের প্রস্তাব রেখেছেন, যা দিয়ে এই কাজ শুরু হতে পারে৷
নাসা বেশ কিছুকাল ধরেই বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার পথে চলেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত সাধারণত কোনো অভিযানের পরিকল্পনা শেষ করে তারপরই বেসরকারি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ নাসার ‘স্পেস অপারেশনস' বিভাগের প্রধান উইলিয়াম গ্যার্স্টেনমায়ার এখন ঠিক বিপরীত পথে এগোনোর কথা ভাবছেন৷ অর্থাৎ আগে কোম্পানিদের আগ্রহ খতিয়ে দেখে তারপর সেই অনুযায়ী অভিযানের পরিকল্পনা করতে চাইছে নাসা৷
১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (ussr) স্পুটনিক (Sputnik) নামক প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করে তখন থেকেই মহাকাশ যুগের সূচনা হয়। তারপর থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্র গ্রহে মানুষের পদার্পণসহ মহাকাশ প্রযুক্তি বিদ্যার অগ্রগতি ঘটে। এরপর থেকে প্রত্যহই নতুন নতুন উন্নতিমূলক কাজ এবং গবেষণা চলছে। ইদানীং মহাকাশে দীর্ঘকাল অবস্থান করার প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা চলছে। মহাকাশ গবেষণার কাজে সতর্ক দৃষ্টি রাখার উদ্দেশ্যে স্পেস স্টেশন (Space station) অর্থাৎ মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের প্রচেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। স্কাইল্যাব (Sky lab) এরূপ একটি কাজের পরিকল্পনা, যার দ্বারা স্পেস স্টেশন স্থাপনের সম্ভাবনাকে রূপ দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানব পরিচালিত স্পেস স্টেশন 'স্কাইল্যাব' ১৯৭৩ সালের মে মাসে প্রথম মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। স্কাইল্যাব মহাকাশে এক বিরাট বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার। মহাকাশে অবস্থানকালে স্কাইল্যাব-এর তিনজন চালক ভারহীনতাসহ জীববিদ্যা সংক্রান্ত অনেক বিষয় আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় স্কাইল্যাব মহাকাশ যাত্রীরা ২৮ দিন মহাকাশে অবস্থান করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সব বৈজ্ঞানিক গবেষণা করেন। যার ফল খুবই সন্তোষজনক ছিল। ১৯৭৩ সালের ২৮ জুলাই তৃতীয় স্কাইল্যাব প্ররণ করা হয়। এটা ৫৯ দিন মহাকাশে অবস্থান করে এবং মহাকাশ ভ্রমণ ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়। ১৯৭৩ সালের ১৬ নভেম্বর চতুর্থ স্কাইল্যাব মহাকাশে প্রেরিত হয় যা ৪৮০ কি.মি উচ্চতায় ৮৪ দিন মহাকাশে অবস্থান করে। পাঁচ বছর পর এ ৭৭ টন ওজনের মহাকাশ গবেষণাগারটি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। সান স্পট (Sunspot)-এর উগ্র ক্রিয়াশীলতার ফলে গবেষণাগারটি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে শুরু করে। ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার পর স্কাইল্যাবের যেসব অংশ বায়ুমল্ডলে ঘর্ষণের ফলে প্রজ্বলিত হয়নি সেসব অংশ ১৯৭৯ সালের ১১ জুলাই অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগরে পতিত হয়। সৌভাগ্যবশত এসব স্কাইল্যাবের পতনের ফলে কোনো মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। ভবিষ্যতের মহাকাশ প্রযুক্তিঃ স্পেস এলিভেটরমহাবিশ্ব জয়ের স্বপ্ন মানুষের অনেক দিনের স্বপ্ন।আমরা সৌরজগতের প্রায় সকল জায়গায়ই অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা এখনো যথেষ্ট উন্নত না হওয়ায় আমরা এখনো আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু করতে পারি নি।আর মহাশূন্য অভিযান অতিরিক্ত ব্যায়বহুল হাওয়ায় কোন সাধারন বেক্তির পক্ষে মহাকাশ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নেওয়া প্রায় অসম্ভব।যদিও নাসা জানিয়েছে তারা হয়ত খুব তারাতারি সাধারন মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমনের সুযোগ করে দিবে।হয়ত এত দিনে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ও হয়ে গিয়েছে।কিন্তু বাস্তবে তা এত বেশি ব্যায়বহুল হবে যে তা খুবই কম সংখ্যক মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে।যাই হোক এবার আসল কথায় আসি,স্পেস এলিভেটর হল এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মুলত পৃথিবীকে কক্ষপথের সাথে ক্যাবল যোগে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।এই প্রযুক্তির ফলে হয়ত সাধারন মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমনের দ্বার উন্মুক্ত হবে।কারন এই প্রযুক্তি শুরু হলে এটি হবে খুবই কাজের ও অনেক বেশি সাশ্রয়ী।স্পেস এলিভেটর এর ধারনাতে পৃথিবীকে কক্ষপথের সঙ্গে ক্যাবল যোগে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় শক্তির ব্যাবহারে মহাশূন্যযান উৎক্ষেপণ সহজতর হবে।যখন কোন বস্তু কক্ষপথের বাইরে ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত হবে, ক্যাবল এর ভরকেন্দ্র থাকবে জিওষ্টেশনারী কক্ষপথে(যে কক্ষপথে বিষুবরেখার উপর উপর স্থাপিত একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে সংগতি রেখে সদা ঘূর্ণায়মান রয়েছে,তাই এটিকে পৃথিবীর অনেকের কাছেই একই জায়গায় স্থির মনে হয়)।বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী কাবলের দৈর্ঘ্য হবে ৫০০০০ থেকে ১০০০০০ কিলোমিটার।সাধারনত মহাকাশযানগুলো একটি রকেট এর সাহায্যে উতক্ষেপন করা হয়। আর এটি একটি রকেটবিহীন মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ বেবস্থা । আর আশা করা যায় এটি আগামি ১০-২০ বৎসর এর মধ্যে তৈরি করা সম্ভব হবে।এই স্পেস এলিভেটর এর ধারণাটি পৃথিবীর সেরা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক (আমার সবচে প্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক) আর্থার চার্লস ক্লার্ক(C. clark) তার ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত উপন্যাস "দ্যা ফাউন্তেন অফ প্যাঁরাডাইস " উপন্যাসে প্রথম প্রকাশ করেন।যাই হোক এটি হলে হয়ত অদুর ভবিষ্যতে আমরা না পারলেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মহাকাশে যাবার সুযোগ পেলে পেতেও পারে!!
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
A plalnisgey rational answer. Good to hear from you.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন