কৈশোরত্তীর্ণ বয়সের কিছু ঝামেলা আছে। তার একটা হলো বাঁধভাঙা আবেগ। এই আবেগের আসলে কোন নাম নেই, চরিত্রও নেই। কৈশোরের আবেগের ক্ষেত্রে ছেলেদের আবেগের কাঠামোটা রবীন্দ্রনাথ "ফঁটিক" দিয়ে আঁকলেও, কৈশোরত্তীর্ণ বয়সটাকে কেউই লিখলেন না, বুঝলেনও না।
১.
ক্লাস নাইনে পড়া টিনা, বড়লোক বাপের ল্যান্ডফোন আমলের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া দুই মেয়ের মধ্যে বড়। দুপুরে কাজ নাই, তাই খেলা বের করল; ফোনটা নিয়ে প্রথম তিন ডিজিট দেখে, আর শেষ চার ডিজিট না দেখে ডায়াল করে। ওইপাশে যে ফোন ধরে তার সাথে কথা বলে প্রেম প্রেম গলায়। কোনদিন নম্বর একবারে লাগেনা, কোনদিন নারীকন্ঠ ধরে, তো কোনদিন সংযত পুরুষকন্ঠ। তবে অনেকদিনই কথা বলে। ফোন রাখার আগে পরদিন আবার ফোন করবে বলে, কিন্ত আর করেনা। কিভাবে করবে? নম্বরই তো দেখেনি। এভাবে ভালই চলছিল। একদিন এভাবেই ফোনটা গেল সালিল এর বাসায়।
২.
সালিল ইউনিভার্সিটি সেকেন্ড ইয়ারে উঠল মাত্র। সেমিস্টার ব্রেকে আপাতত নিয়মিত কাজ সপ্তাহের ৬ দিন দুপুর ঠিক ৩:৫০ এ বাসার ল্যান্ডফোনের সব প্যারালাল লাইন বন্ধ করে ড্রয়িংরুমের ফোনের পাশে বসে থাকা, নায়রার ফোনের অপেক্ষা করা। প্রত্যেকদিন ঘড়ি মেলানোর পরেও কেন নায়রা একদিনও ঠিক সময়ে ফোন করেনা সালিল এতদিন প্রেম করে মিশেও বুঝতে পারেনা। হয় আগে, নাহয় এত দেরিতে ফোন করে, কথার অর্ধেক সময় এই ঝগড়াতেই চলে যায়। আজ ঠিক ৩:৫০ এ ফোন টা বাজতেই ছোঁ মেরে রিসিভার উঠিয়েই বলল, "বাব্বাহ! রাজকুমারীর ঘড়ি দেখি আজ ঠিক সময় দিচ্ছে!"
ওপাশ থেকে উত্তর এলো, "রাজকুমারী সবাইকে অপেক্ষায় রাখলেও, রাজকুমারকে কিভাবে বসিয়ে রাখে বলো?"
যদিও সালিল বুঝল এ নায়রা নয়, আর টিনাও জিজ্ঞেস করলনা কেন সালিল ফোন ধরেও এভাবে কথা শুরু করল; তবে ফোন রাখার আগে সালিল নম্বর চাইলে টিনা বলল, কাল আমিই ফোন করব, নম্বর দাও। সালিল কথা না বাড়িয়ে নম্বর দিয়ে দিলো। মা'র ঘুম থেকে উঠার সময় হয়েছে, ফোনের লাইনগুলো আবার ঠিক করতে হবে। আজ আর নায়রার সাথে কথা হলোনা, তবে সালিলের কেন যেন খুব মুড ভাল। অনেকদিন পর মেজাজ খারাপ করে ফোন রাখতে হলোনা সেইজন্যই বোধহয়!
এরপর থেকে প্রতিদিনই কথা হতে থাকে সালিলের সাথে টিনার। নায়রার সাথে কথা প্রায় হয়ই না। মাঝে মাঝে কম্পিউটারে চ্যাট করা, আর বাইরে দেখা করা। সালিল যেন টিনার সাথেই কথা বলতে বেশি অপেক্ষা করে, আর টিনার বয়সের তুলনায় ম্যাচিউরিটি একটু বেশিই। কেমন যেন একটু দাবি খাটিয়ে অধিকার নিয়ে কথা বলে। ভালই লাগে সালিলের। কয়েকবার সালিল দেখা করতে, ছবিও চেয়েছে, টিনা দেয়না। বলে পরে। তবে তাতে দুইজনের কথা বলা আর গল্পে সময় যায়, তবে সালিলের সময় বাঁধা, টিনার যেন অফুরন্ত সময় কথা বলার। সালিল তার সবই বলে। বাসা, বন্ধু, আড্ডা, ইউনিভার্সিটি, ক্লাস- পরীক্ষা, পরিবার, এমনকি নায়রার কথাও। টিনা শোনে, উপদেশ দেয়, বকে, আবার সালিলের আবদারে সায় দেয়। কথার ধরন বন্ধু থেকে বেড়ে অনেকটাই এগিয়ে যায়। টিনাও আবদার করে ফোনে অনেককিছুর, যা এতদিন নায়রাই করত শুধু! কিন্ত দেখা করা আর ছবি দেয়ার বেলায় কেমন যেন কথা ঘুরিয়ে ফেলে।
৩.
ক্যালেন্ডারের পাতা বদলাতে বদলাতে ক্যালেন্ডারও বদলায় তিনবার। সালিল বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেছে, নায়রাও। টিনা অবশ্য ও'লেভেল শেষ করে এ'লেভেলে পড়ছে মাত্র। কথা চলে আগেরমতই, মাঝে ইন্টারনেট এলো, কম্পিউটার এ মেসেঞ্জার এ চ্যাট হয়, দেখা হয়নি আজো। সালিলের মোবাইল আছে, টিনা ফোন করে। সালিলও ফোন করে টিনার বাসায়, আর ফোন করতে রাখতে টিনাকে প্রমিজ করায় পরের সপ্তাহে মোবাইল নিতে আর দেখা করতে। এ পর্যন্ত টিনাও ৫ মাসে বিশবার প্রমিজ করেছে, যদিও দেখা করা মোবাইল নেয়া কোনটাই করেনি।
সেদিন হঠাৎই টিনা ফোন দেয় বিকেলে, সালিল ছুটির দিনে হাফ অফিস করে ফিরছিল, মোবাইলে অপরিচিত মোবাইল নম্বর দেখে একটু অবাক হয়ে ধরল। টিনা হড়বড় করে বলল "এটা আমার নম্বর, আধা ঘন্টা পর ফোন দিবা। দেখা করব আজকে।" হঠাৎ টিনার এত শুভবুদ্ধি দেখে একটু থতমত হলেও খুব খুশি সালিল। নায়রা কে ফোন করে জানালো আজ বিকেলে দেখা হচ্ছেনা, শরীর খারাপ। বাসায় যেয়ে ঘুমাবে।
সেদিন আর ফোন এলোনা টিনার। ফোন করে মোবাইল বন্ধ পেল সালিল। তার পরেরদিনও। কয়েকদিন বাসায় ফোন করেও দেখল, টিনা ধরেনা। এক মেয়ে কলিগকে ম্যানেজ করে ফোন করালো, ল্যান্ডফোনের ওই প্রান্ত থেকে বলল, এই বাসায় টিনা নামের কেউ থাকেনা!
৪.
বছর সাতেক চলে গেল। সালিলের প্রায়ই মনে পড়ে টিনাকে। অথবা বলা যায়, টিনা নামের আসলে নাম না জানা না দেখা মেয়েটাকে। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে সালিলের। মোবাইল নম্বর, চাকুরি, ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ীর ঠিকানা সবই পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন এসেছে জীবনেও। নায়রা এখন জীবনসঙ্গিনী। শুধু সাত বছরে নিয়ম করে সালিল প্রায় সাতশ বার পুরনো ই-মেইল টা চেক করেছে। জাঙ্ক মেইলগুলোও খুঁটিয়ে দেখে। পেশাগতভাবে খুব সফল না হলেও তাকে আসলেও ব্যার্থও বলা যাবেনা। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসমেটরা একটু বোধহয় ঈর্ষাও করে। সবকিছু মিলিয়ে পুরনো একাউন্ট আর জাঙ্ক ই-মেইল দেখার বিরতি প্রতিদিন থেকে প্রায় দু-সপ্তাহে একদিন এ এসে ঠেকেছিল। "টিনা" নামটাই কেমন একটা হাস্যস্পদ বিষয় হয়ে উঠছিল সালিলের কাছে, কারন নামটাও যে মিথ্যা, তা তো জানাই হয়ে গেছে। একটা বড় সময় ধরে কথা বলার স্মৃতি তাই মাঝে মাঝে মনে আসে। ভুলতেই বসেছিল, যদি না...
৫.
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সায়ন্তনী। প্রায় কোমর ছুঁই চুলগুলো এখন কমতে কমতে পিঠ পর্যন্ত এসেছে। তবে এখনো চিকন চাকন গড়নে, আকর্ষনীয়ই লাগে। বিয়ের প্রায় সাত বছর হলো, ছেলের বয়স ৬। দেখে বোঝার উপায় নেই। বিয়ে সংসার মিলিয়ে একটু দেরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও, ক্লাসের কেউ বুঝতে পারেনা। ব্যাপারটা বেশ উপভোগই করে সায়ন্তনী। যতক্ষণ বাইরে থাকে, মনে হয় বেঁচে আছে। বাসায় আয়নার সামনে এতদিন পর নিজেকে খুঁজতে যেয়ে অনেক কথা মনে পড়ল। বাসার চাপে ঠিক যেদিন বিয়েটা হলো, সেদিনই তো আসলে জীবন টা অন্যদিকে যাওয়ার কথা ছিল। গিয়েছেও, তবে নিজের পথে না, অন্যের পথে। ল্যাপটপ টা খুলে বসে সায়ন্তনী, পুরনো ই-মেইলগুলো দেখতে দেখতে হেসে দেয়, এরপর চোখ দুটো একটু ভিজে উঠল। মনে মনে ভাবে, এতদিনে কি মনে রেখেছে? অন্তঃত ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। দেরিতে হলেও। আগে হলে কখনই এভাবে ভাবত না। ই-মেইল লেখে সায়ন্তনী,
"ভাল আছ? ইতি - টিনা"!
৬.
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে ল্যাপটপ বন্ধ করার আগে সালিল পুরনো ই-মেইল টা কারন ছাড়াই খুলল, আর ইনবক্সে মেইল টা দেখে তাকিয়েই থাকল। মাথায় তখন অনেক কথা, অনেক প্রশ্ন, রাগ, অভিমান, আনন্দ, হতাশার একটা মিশ্র অনুভূতি।
বাড়ীর পথে ড্রাইভ করে ফিরছে সালিল। মেইল রিপ্লাই দেবে কি না, দিলে কি দিবে ভাবছে। গাড়ীতে বব মার্লের গান চলছে
I wanna love you
Every day and every night
.... is this love that I'm feeling...
ছুটির দুইটা দিন খুব লম্বা গেলো, এমন না বাসা থেকে ইমেইলের উত্তর দেয়া যেত না, তবু...
৭.
রবিবার ৯ টায় অফিস, কিন্ত সকাল ৮ টার আগে যেয়ে ঢুকল। ইমেইল টা আবার খুলে নিয়ে বসল। প্রায় ৯ টা বাজার আগ পর্যন্ত কয়েকবার ই-মেইল টা খোলা বন্ধ, মুছে দিয়ে আবার "ট্রাশ" থেকে "ইনবক্স" করে উত্তর লিখল
"ভালো আছি। তোমার আসল নাম টিনা না, তাইনা? কোথায় ছিলে এতদিন?"।
সায়ন্তনী দুদিন উত্তর না পেয়ে ধরেই নিয়েছিল, আর যোগাযোগ করবেনা সালিল, কিন্ত রবিবার দুপুরে উত্তর এর আদলে আসলে অনেক প্রশ্ন দেখে একই সাথে হেসে দিল আবার মন ও খারাপ হলো। ই-মেইল প্রতিউত্তর লিখল
"হ্যা, আমি টিনা না, আমি সায়ন্তনী। শুধু এটুকুই মিথ্যা বলেছিলাম আমি। দেখা করবা আমার সাথে? একবার? আমি তোমাকে একবার স্যরি বলব।"
শুধু "স্যরি" বলবে বলে এতদিন, আসলে এত বছর পর ই-মেইল করতে হলো! সালিল মনে মনে অনেক পেছনে ফিরে গেলো, টিনা না হয়ে সায়ন্তনী, যদি দেখা হতো, কি কি অন্যরকম হতে পারত? সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো সালিল। দেখা করবে। দেখা যাক, কোনদিকে যায়। ই-মেইল করল "এ সপ্তাহে দেখা করবে? যেকোন দিন? বুধবারে? সকালে ১১ টায়? মনে আছে আমরা প্রথম দেখা করা নিয়ে কত কিছু চিন্তা করতাম? শাড়ী পড়বে? কালো রঙের? কিংবা সাদা? তুমি বলতে ছেলেরা নীল পড়তে বলে, আর আমি গরু - ছাগলের রং পড়তে বলি। আচ্ছা একটা কথা তো শুনবে আমার নাকি? কালো, অথবা সাদা পড়ে এসো। মেয়েদের টিপিক্যাল সাদা আছে কালো আছে শাড়ীতে, সেরকম না। আচ্ছা তোমাকে চিনব কিভাবে? এখন তো মোবাইল নিয়েছ, নাকি নাওনি আজো? আমার নম্বর দিলাম। বুধবারে ঠিক সকাল ১১ টায়, হাতিরপুল ফাস্টফুড টার সামনে থেকো। হ্যা, বিগবাইট। এখন অনেক কিছু হয়েছে জানি, তবু, ওখানেই তো যাব প্ল্যান করতাম তাইনা?
আসবে? জানিয়ো।"
সায়ন্তনী রবিবারে করা ই-মেইল ঠিকমতো দেখবে কি না চিন্তা করতে করতেই উত্তর চলে এলো
"হ্যা আসবো বুধবারে। সকালেই। ঠিক আছে পড়ব শাড়ী।"
৮.
আগামী দু'দিনের কাজ কি কি হবে গুছিয়ে ফেলল সালিল। ছুটি নিতে হবে অফিস, বাসা ম্যানেজ করতে হবে। আচ্ছা দেখা করতে যাবে কি নিয়ে? গিফট কি কিনবে? সায়ন্তনী নিশ্চয়ই বিয়ে করে ফেলেছে। হুট করে কিছু নিলে যদি নিতে না পারে! সে যাক, আগে দেখা তো হোক। উত্তেজনার সাথে কিছুটা অবিশ্বাসও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সায়ন্তনীকে নিয়ে। সে'দিন দেখা হলে সালিল চিন্তা করতনা, কিন্ত এখন একটু চিন্তায় পড়ে গেল, কি পরে যাবে! বুধবার সকাল ১১ টায় অফিস না যেয়ে পাঞ্জাবী পরে কোথায় আর কেনো যাবে, এই ব্যাখ্যা কিভাবে দিবে? নাকি অফিস শার্ট-প্যান্টেই বের হবে? সায়ন্তনীর সাথে একবার কথা বলতে পারলে ভালো হতো। এতদিন মুখে মনে "টিনা টিনা" করে এখন সায়ন্তনী নামটাও ঠিক হজম হচ্ছেনা, কেমন পর পর লাগছে নামটা!
বাস্তবটা গল্পের মতন না। গল্প হলে বলা যেত "এরপর যেন প্রতিটা মিনিট একটা দিনের মত লাগছে"। কিন্ত সালিল অফিসের ব্যস্ততায় যখন মনে করল সায়ন্তনীর কথা, মনে পড়ল, দু'দিন চলে গেছে! কালই বুধবার! বিকাল ৬ টা ছুঁই ছুঁই। বসের কাছ থেকে ছুটি নেয়া হয়নি। কিছু কেনা হয়নি। সব এলোমেলো! মাথায় ঘুরছে সকাল ১০ টা না ১১ টায় সময়? ইস্টার্ন প্লাজা না বিগ-বাইট?
তাহলে কি সায়ন্তনীর ফিরে আসাটা ইচ্ছার মধ্যে ছিলোনা?
আসলেও হয়ত তাই। নাহলে বস'কে কেন বলে বের হলো দুপুরে অফিসে আসবে, সকালে ডাক্তারের কাছে যাবে! পুরোটা দিনই তো থাকার প্ল্যান করার কথা। আসলেও সারা রাত মনে করতে পারল না, ১০ টা না ১১ টা! ইস্টার্ন প্লাজা না বিগ-বাইট!
৯.
পরদিন সকালে তাই রিস্ক নিলোনা সালিল। সকাল ১০ টায় হাতিরপুল চলে এলো। এসে দাঁড়ালো ফুটপাথে, যেখান থেকে দু'পাশেই চোখ রাখা যায়। প্রায় ঘন্টাখানেকের মত সময় যাওয়ার পরে মনে হলো, সময় বোধহয় ১১টাই! তবে জায়গা থেকে নড়লনা। অফিস করবে বলে পাঞ্জাবি পরে আসেনি, তবে চোখ খুঁজছে শাড়ী পরা কাউকে! এর মধ্যে শাড়ী পরা কয়েকজন হেঁটে গিয়েছে, কিন্ত কেউই বিগবাইট বা মার্কেটে ঢোঁকেনি। এর মধ্যে একবার একটা অচেনা নম্বর থেকে মিসড কল এসেছিল, ধরতে ধরতে কেটে দিল। এরপর কলব্যাক করেও আর লাইন পায়নি, ফোন বন্ধ।
প্রায় সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অফিসের পথে পা বাড়ায় সালিল। মনে একটু রাগ, মেজাজ খারাপ। তার চেয়েও বিরক্তি দাঁড়িয়ে থাকার। যাওয়ার আগে বিগবাইটে উঁকি দিয়ে দেখল, না, শাড়ী পরা কেউ বসে নেই।
তিনদিন পর একটা এস.এম.এস আসলো
"সালিল, তুমি পাঞ্জাবি পরে আসোনি। আমি শাড়ী পরেই এসেছিলাম। গাড়ীতে বসে তোমাকে অনেক্ষন দেখেছি। মিসড কল টা আমিই দিয়েছিলাম। স্যরি, দেখা করলাম না। হয়ত আমাকে তুমি চাওইনি। এটুকু তো পারতে, পারতে না? মনের মেঘের ভেলায় ভেসে নাহয় কিছু ঋণ জমল! এটাই হয়ে থাক তোমার আর আমার প্রেমের সাথে একটা দিন। এবার তো মনে রাখবে আমাকে?"
১০.
এস.এম.এস আসা নম্বরটিতে সালিল কোনদিনই ফোন করে পায়নি।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন