মাথার মধ্যে গুনগুন করছে কয়েকটি লাইন, শব্দ চারপাঁচটা । গুনগুন ছেড়ে মাঝে মধ্যে রূপ নিচ্ছে সাগরের- নদীর ভাঙ্গনের মতো মাঝে মাঝে...
“ভালবাসাকে ফ্লাক্সে বন্দি করে রাখব”- তারপর ফাঁকা- শরতের মৌমাছি যেন একটা- বারবার ফিরে আসছে রান্নাঘরের চালের উপর জাম্বুরা ফুলেরে সাদায়- চলে যাচ্ছে নিমেষে। ফিরে আসছে চলে যাচ্ছে চোদ্দ বছরের বালিকাটার মতো যে ঠিক করতে পারছে না ডাকে সারা দেবে কিনা পূজারির।
“ভালবাসাকে বন্দি করে রাখব ফ্লাক্সে,
চাঁদটা ঠাণ্ডায় জড়িয়ে নিলে মেঘের চাঁদর, টুপ করে
টোলে পড়লে শিশির উষ্ণ কাঁধে আমার, থরথরিয়ে
কেঁপে খেয়ে নেব কাপ দুই ভালবাসা।”
আবার হারিয়ে গেল যেমন খড়কুটো হারিয়ে যায় কুটকুটে ঘনমেঘ বর্ষার ভরা স্রোতে।
“ফ্লাক্সে রাখব করে বন্দি ভালবাসা” ............ “ ফ্লাক্স বন্দি ভালবাসা রাখব- খেয়ে নেব একচুমুক ঢক করে জড়িয়ে নিলে ছন্দার তিলের মতো চাঁদটা মেঘের চাঁদর ঠাণ্ডায়”
হচ্ছে না ...জমছে না তুষারের মতো কবিতা...নষ্ট ডিমের মতো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে- ফেলে দিতে হবে একে... আরেকটা লাইন এসে জায়গা করে নিয়েছে “ফ্লাক্স বন্দি ভালবাসা”কে তারিয়ে। অন্য ভাব অন্য অনুভুতি সম্পূর্ণ।
নিখিল উঠে বসল। পাওয়ার বাটনে চাপ দিল ল্যাপটপের; নামিয়ে ফেলবে অসম্পূর্ণ বাক্যগুলো চিরতরে- আর কোনদিন ভাববে না এদের নিয়ে ছোটবেলার প্রানের বন্ধুকে যেমন ভাবে না।
ভালবাসা... ফ্লাক্স শব্দ দুটা বারবার ফিরে আসছে- আসতে চাইছে কবিতা হয়ে...
“তোমাকে বন্দি করে রাখব ভালবাসা ফ্লাক্সে-
যখন ইচ্ছা খেয়ে নেব এককাপ – দুকাপ
কখনোবা চার কাপ একসাথে- ভালবাসা
জ্বরে ভুগে এক কাপ রক্ত প্রশাব করব,
প্রশ্বাসে টেনে নেব এক সিলিন্ডার,
আর নিশ্বাসে এক লিঙ্গ কাম!-
বের হয়ে যাবে;
ভালবাসা, আমি তোমাকে ফ্লাক্সে বন্দি করে রাখব।
খুন করেছ চারটা গোলাপ, আর একটা মৌটুসি!
হাসছ ভালবাসা, বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?”
হচ্ছে না, কিছুই হচ্ছে না। এরকম বস্তাপচা কবিতা রাশি রাশি জমা হয়ে আছে সাহিত্য অফিসের ডাস্টবিনে। নতুন কিছু লিখতে হবে। আমি পারছি না, আমি পারছি না আগের শত বারের মত। কবিতা বিজ্ঞ মাছের মতো ঘা দিয়ে যাচ্ছে টোপে- আর আমি মূর্খ- টোপ গেলার আগেই টেনে নিচ্ছি বড়শি। নিখিল ভাবে।
এবার খাতা টেনে নেয়- কবিতা তো প্রকৃতি- ল্যাপটপের অত্যাধুনিক পৃষ্ঠায় জন্ম নেবে না হিজল গাছ, উড়বে না “বউ কথা কও”, আলের ধারের মেয়েটাও হেঁটে যাবে না হাস তাড়াতে তাড়াতে কচুরিপানা পুকুর থেকে। লিখতে শুরু করে, হাত কাঁপছে- লিখছে কম্পমান হৃদয় প্রতি লাইনে লাইনে।
“হাসছ? ছিঃ লজ্জা করে না?
খুন করে পাঁচটা শিমুল, পুড়িয়ে ফেলে
নক্ষত্র রাত- হাজার, ভেঙ্গে দিয়ে একশো কিশোর
হাসছ তুমি?”
একটা সিগারেটের অভাব বোধ করে খুব। উঠে নিচের দোকান থেকে নিয়ে আসে এক প্যাকেট!নিকোটিন উড়াতে উড়াতে লিখতে থাকে যাচ্ছেতাই খাতায়-
“ভালবাসাকে সিগারেটের মতো উড়িয়ে দেব,
একলা থাকার খুব দুপুরে
উড়িয়ে দেব পুড়িয়ে দেব
একশো প্যাকেট ভালবাসা!”
কেটে দেয় সম্পূর্ণটা। “একলা থাকার খুব দুপুরে” শব্দকটিকে মুছতে মুছতে তুলে ফেলে খাতার ছাল। হেলাল হাফিজ কি সুন্দর জায়গা করে নিয়েছে! খাতার ছালে মুছে যায় হেলাল হাফিজ!
“ বন্দী করে রাখব তোমায়, ভালবাসা!”
লাইনগুলো উড়ছে শিমুল তুলো বসন্তের মতো।
“ শিমুল তুলায় উড়বে তুমি?
ছড়িয়ে পড়ে ছুঁয়ে যাবে কিশোর মুখ?
যাবজ্জীবন বন্দী তুই ভালবাসা!”
শালা; বাল; বলতে বলতে লিখতে থাকে-“ ভালিবাসা!”
হয়নি হয়নি ফটিকজলের মতো চীৎকার করে কাব্যরাজকন্যা। পৃষ্ঠাটা ছিরে ফেলে দেয়- “যাবজ্জীবন বন্দী তুই ভালবাসা!” হা।আবার টেনে নেয় ল্যাপটপটা। পরাবাস্তব একটা শব্দ করে কাম দহনে খাট যেমন করে চালু হোল সভ্যতার সর্বোৎকৃষ্ট নচ্ছার! ওয়ালপেপারে নিজের স্তন ঢেকে একহাতে আরেকহাত সবুজ লালে ভাসিয়ে দিয়েছে মেটে কামাজ্ঞী এক!
হাত চলতে চলতে থেমে যায় কিবোর্ডে নিখিলের। কি লিখবো- কি লেখার আছে! আমার লেখায় কেউ বিদ্যাসাগর হবে? কেউ আমার ছেঁড়াখোঁড়া শব্দরাশি অনুভব করে PhD পাবে ঢাকা কিংবা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে? একেকটা ছন্দ বাঁশির মতো বেজে সম্মোহিত করবে নারীকে কোন যেমন করেছিল রাঁধাকে কানু? নাকি আমার দীর্ঘশ্বাস থেকে হাওয়া পেয়ে নড়ে উঠবে দীঘল স্থির কাঁঠাল গাছটা, ঝরে পরবে বাঁশপাতা অনুরাগে, ছুঁয়ে যাবে ছন্দার চুল বৈশাখে কোন হটাত বাতাস হয়ে এলোমেলো ঈশানে মুখ করে দাঁড়ালে সূর্যাস্তের সময়? নিখিল ভাবে আবার ভাবে না। কিবোর্ডে হাত অচল হয়ে থাকে!
সেদিন উৎস এসে বলেছিল, “ চল দোস্ত কোথাও যাই-এক জায়গা আর ভালো লাগে না”। বেড়িয়ে পরেছিল ওরা- কোন উদ্দেশ্য নেই, গন্তব্য নেই। পূর্ব দিকে যেতে চেয়ে পশ্চিমে পৌঁছাল ওরা; তখন সূর্য মাঝপথে থমে আছে, ভাবছে পাড়ি দেবে কি না বাকি অর্ধপথ; রাস্তাটা নদীর মতো কোন বারবার একেবেকে চলে গেছে সামনে; তখন হেমন্ত কাল। সারা দেহে প্রেমিকার হাতের মতো রোদের স্পর্শ নিতে নিতে ওরা এগিয়েছিল হলুদ সর্ষের পাশ দিয়ে আরেক হেমন্তের দিকে; মাঝে মাঝে ট্রাক-বাস-ট্রাক্টর গুলো মূর্খের মতো শব্দ করতে করতে থামিয়ে দিয়েছিল ওদের পথ; মাঝে মাঝে অপর দিক থেকে আসা কোন তরুণী বাড়িয়ে দিচ্ছিল হারানোর গতি! হারিয়ে গিয়েছিল ওরা সেদিন পরিচিত আর অচেনা-অপরিচিতের মাঝে। উৎস একবার একটা নদীতে নেমে মুখ ধুয়ে নিয়েছিল স্বচ্ছ জলে; হেঁটে বেড়িয়েছিল প্রায় মরা নদীটার গর্ভবতী মহিলার পেটের মতো খাঁতে হাঁটু পর্যন্ত ভিজিয়ে। নিখিলের সেদিন খুব আফসোস হয়েছিল নদীতে না নামার কারণে!সেদিন হেমন্তের হলুদ আর ছাগলের দরি ধরে হেঁটে যাওয়া মেয়েটাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখতে পারেনি নিখিল।
আরেকদিন রিয়াজ বলেছিল, “ বন্ধু চল নদী দেখে আসি”। সেবার নদীতে জল ছিল বুক ভরা, পানকৌড়ি বাতাসের দোলনায় একবার ভাসছিল একবার নামছিল, আকাশের মেঘ ঝগড়া করে গচ্ছ গুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল, ভাঙ্গা পার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অন্যমনস্ক হয়ে আকাশের নীল আর সাদার দিকে তাকিয়ে “ নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা’র” কথা মনে না পরে ভালবাসার এক আকাশের মাঝে একগুচ্ছ যৌবনের কথা মনে হয়েছিল ওঁর; সেদিনও বাউন্ডুলে মেঘের কবিতা লিখতে পারেনি নিখিল। হাওয়ায় চুল ভাসে যাওয়ার কথা, ঘাসের বুক চিরে বেড়িয়ে আসা লাল নাকি গলাপি গোল ফুলের কথা ছোট ছোট ধরে রাখতে পারেনি রাসায়নিক গন্ধের বাধা খাতায়!
শুধু নদী দেখার কথা থাকলেও পারের মাঠে ঘাস খেতে থাকা দুর্বল গরু, ঐ দূর থেকে মাথায় ঘাস বোঝাই বুড়ির আসতে থাকা, মাছরাঙ্গার ঝুপ করে নক্ষত্রপতনের মতো ঝাপিয়ে পুঁটি নিয়ে উড়ে যাওয়া, বাতাসে কাশফুলের হেলে পরা দেখেছিল ওরা বাঁকা একটা পাকৈরের নিচে বসে। ওখানে বসেই রিয়াজ লিখে ফেলেছিল মনে মনে তিন লাইনের দুটি কবিতা। ওকে আবৃতি করে শুনিয়েছিল ফেরার সময়। নদীর বাঁকা জল সেদিন খেলা করেছিল ওঁর কবিতায়! নিখিল কিছুই লিখতে পারেনি।
“পথিকমেঘে ভাসছ তুমি
চোরাস্রতের মতো।
জানোনা কি ভেবে ভেবে
রাত জেগেছি কতো!”
এই চার লাইন শুনিয়েছিল সেদিন রিয়াজ। খুব ভালো লেগেছিল ওঁর সেদিন যদিও জানত কিছুই হয়নি এটা।
সেই ছোট বাচ্চাটার কথা লেখা হয়নি যে তাকিয়ে ছিল মোটরসাইকেলে বসে থাকা ললিপপ মেয়েটার চাটনি খাওয়ার দিকে। ও হয়ত সকাল থেকে কিছুই না খেয়ে ঠাণ্ডায় মায়ের পিছনে পিছনে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। বড় করুন লেগেছিল সেদিন বাচ্চাটার চাহনি। পকেটে টাকা না থাকায় একটা আকবরিয়া কেক কিনে দেয়ার ইচ্ছেটাকে দমন করতে হয়েছিল। অনেক দুঃখবোধ হয়েছিল সেদিন ওর যেন ওই বাচ্চাটার তুলে দিতে পারেনি সকাল থেকে এক গ্রাস ভাত। এই দুঃখবোধ থেকেও ও লিখতে পারেনি কোন বিদ্রোহী কিংবা দীর্ঘশ্বাসের কবিতা।
আরেকদিন একটি প্রশ্ন মনে ঝড় তুলেছিল; অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেছিল আরেকটি অবিশ্বাস্য চোখ তাকিয়ে আছে। নিখিল বুঝতে পারেনি প্রশ্নটা তাকে করা হচ্ছে কিনা।প্রশ্নকারিও বুঝতে পেরেছিল আসলে ঠিক হয়নি, কিন্তু চোখ নামিয়ে নেয়নি সে। তাকিয়ে ছিল যেমন করে শিক্ষক তাকায় পড়া বলতে না পারা ছাত্রের দিকে, নিখিল হতচকিয়ে গিয়েছিল।
“ভাইয়া আপনি সিগারেটও খান?” প্রশ্নটা করে তাকিয়ে ছিল মেয়েটা। এভাবে কেউ জিজ্ঞেস করবে এটা অভাবনীয় ছিল। ও ভাবে আমি কি একে চিনি? এমন ভাবে তো চেনা ছাড়া কেউ প্রশ্ন করেনা! ঠোঁটে আগুন নিয়ে এ প্রশ্নের জবাব দেয়া বাতুলতা হলেও বোকার মতো বলেছিল “এই আর কি মাঝে মাঝে”।চেনা মনে হয় না মেয়েটাকে। হাঁটতে থাকে ওরা মেহেগুনিঝরা পাতা দিয়ে। রোদ পাতার মেরুন ভেদ করে মাঝে মাঝে পৌঁছায় ওদের শরীরে। বাঁশপাতারা রাস্তার পিচে সরসর শব্দ করে উড়ে যায়।
ওরা হাঁটতে থাকে।
“ আমি কিন্তু আপনাকে অনেক ভদ্র ভেবছিলাম”
“সিগারেট খেলে কেউ অভদ্র হয় না” ।
“তা হয় না। আচ্ছা আপনি আর কি কি খান?” হেসে জিজ্ঞেস করেছিল মেয়েটা যেন শুনতে চায় ও গাঁজা, আফিম, হিরোইন সব খায়।
“আর কিছুই না”। বলেছিল নিখিল। “ও” বলে জবাব দেয় মেয়েটা। কৌতুক খেলা করতে শুনেছিল মেয়েটার কণ্ঠে সেদিন। বাড়ির কাছাকাছি এলে মেয়েটা চলে গিয়েছিল অন্য রাস্তা ধরে। এর পর আর নিখিল দেখেনি মেয়েটাকে কোন পাতাঝরা বিকেলে। যখন বৃষ্টির খেয়ালীতে ভেজা মাটি থেকে গন্ধ আসছিল মায়ের শরীরের মতো; যখন একটা দোয়েল টুই করে অস্তিত্ব যানান দিয়ে লুকিয়েছিল কাজুবাদাম গাছটায় বসন্তের মন কেমন করা দুপুরে- তখনও দেখা মেলেনি ওর।ওকে কেন ভদ্র ভেবেছিল মেয়েটা তা আর জানা হয়নি।
এই অজানার কথা ভেবে কতো দুপুরে মন কেমন করেছে, “একরাত্রি” পড়ার সময় সুরবালার শাড়ির টুংটাং, কাপড়ের খসখসানি শুনে নিজের কাছে নিশ্বাসকে ভারি মনে হয়েছিল। তখন এই মেয়েটার “ভাইয়া আপনি সিগারেটও খান” কথাটা কতবার দীর্ঘশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।
একে নিয়েও কোন কবিতা লিখতে পারেনি নিখিল। শীতের রাতে চাঁদের মেঘের সাথে লুকোচুরি আর পাতার শনশন শোনার কালে মেয়েটার কথা মনে করে আবৃতি করেছিল উৎসের লেখা কবিতার একটা লাইন,
“অনিদ্রায় পাতি শয্যাভূমি
যখন জানি তুমিই
অনিদ্রার জননী”
নিজের হাত কবিতাক্রান্ত না হওয়ায় চাপর মেরেছিল সেদিন দেয়ালের স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলায়। কিন্তু আঘাত কোন কবিতার জন্ম দেয়নি।
“ভালবাসাকে ভাতের সাথে খেয়ে নেব!
ঘামে ভেজা দুপুর বেলা,শীতের
রাতে ভর্তা দিয়ে খেয়ে নেব”
ক্লান্তি আসে, ব্যর্থতার ক্লান্তি, কবিতার ক্লান্তি; শব্দের ক্লান্তি; নিখিলের মনে হয় ও ঘুমিয়ে পরবে খাতার উপর- কবিতা হয়ে শুয়ে রবে। খাতায় মাথা রাখে ও, নিজেকে একদানা মুক্ত মনে হয়। যদি এই মাথাটা কবিতা হয় মুহূর্তেই! আমার ছেড়া ছেড়া ব্যর্থতা যদি ঢেকে যায় কাব্যের জটিল আবরণে! ক্লান্তিতে আসে পা হতে বুকের দিকে। নিখিল দেখে- ও একটা নদীর পারে দৌড়ে যাচ্ছে, পিছনে তাড়া করছে পৃথিবীর সব ধ্বনি! সকল সবুজ পাখি আর হলুদ- নীল ফুল বিমূর্ত হয়ে ধেয়ে আসছে ওর দিকে; ও ব্যর্থতার ভার বোঝা নিয়ে হারিয়ে যায় মেঘ কিংবা জানোয়ারের ভিড়ে- ও নদীর তীর দিয়ে পালাতে থাকে।
মাথা তুলে নেয় খাতা থেকে- কাটিকুটি ছাড়া আর কিছুই নেই। ফ্লাক্স নেই, ভালবাসা নেই, শিমুল নেই, তুলো নেই, মেঘ নেই , ঘাস নেই, ভর্তা নেই, সিগারেট নেই, চা নেই নেই! শূন্যতায় হাতরে মরে ফেরারি কবিতা।
নিখিল ঘর থেকে বের হয়ে আসে।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় “ফ্লাক্স বন্দী ভালবাসা”।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন