পত্রিকার বিনোদন পাতায় উরু বের করে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ধনগ্ন মেয়েটিকে শিবলী প্রথমে বিদেশিনী ভেবেছিল। ওর বন্ধু শাহেদ ভুল শুধরে দিয়ে বলল, দেখেছিস আমাদের দেশের মেয়েরাও কেমন সেক্সি হয়ে উঠছে।
পত্রিকাটা আরো কাছে আনতেই শিবলীর চোখ দুটো বড়ো হয়ে গেল। বাঙালি নারী ওর কাছে চিরকালই সৌন্দর্যের প্রতীক। দেবীমূর্তির মতো ও আপাদমস্তক বাঙালি নারীর আরাধনা করে, অন্তর-বাহিরের নিটোল সৌন্দর্য ভালোবাসে বলে। বিদেশ বিভূঁই এর স্বল্পবসনা নারী দেখে ক্ষণিক মুগ্ধ হওয়া চলে, ‘ইস কি সেক্সি মাইরি’-বলে বন্ধুর দিকে চোখ টেপাটেপি করা চলে; কিন্তু ঘর করা চলে না। কারণ পতিতা নিয়ে সংসার সুখের হয় না। – কথাগুলো বিশ্বাস করে শিবলী । পত্রিকার অর্ধনগ্ন বাঙালি নারীটিকে দেখে তাই ওর দুঃখ লাগে। প্রচণ্ড ঘৃণাও হয়। দুটো প্যারালাইজড চোখ নিয়ে বন্ধুর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। বন্ধুরা চোখের লেখা পড়তে পারে বলেই, ওর হতবিহ্বল চোখের জিজ্ঞাসা শাহেদের অগোচর থাকে না। হেসে উঠে শাহেদ বলে,
শিবলী, কেমন বুঝছিস, দেশ আগাইতাছে না ?
একদম তরতরাইয়া, বন্ধু। নারীমুক্তি আইতে আর বাকি নাই। - শিবলী মুচকি হেসে ডানে বামে মাথা দোলায়।
হাসতে হাসতে ওরা কথা বলে পত্রিকার অর্ধনগ্ন নারীদের নিয়ে। শাড়ি পরা, কপালে কালো টিপ আঁকা, আর কাজল টানা নিখাদ বাঙালি নারীরা কখন যেন ভোল পাল্টালো। তারা আজ মুক্তি চায়। তবে সে মুক্তি যতটা না মেধা আর মননের; তার চেয়ে বেশী উন্মুক্ত হবার। ওরা আজ বেরিয়ে আসতে চায় আড়াল থেকে। আর তাই হয়তো পত্রিকা অফিসে বসে সম্পাদকও টেবিল চাপড়ে হেসে ওঠেন। স্বল্পবসনা বাঙালি নারী, নারী জাগরণের ছাপ শরীরে মেখে - ফিনফিনে নাভি বের করা শাড়ি কিংবা শর্টস পরে – পত্রিকার মডেল হয়ে যায়। কাটতি বাড়ে পত্রিকার। ‘নারীমুক্তি চাই’ শ্লোগানের আগুনে ঘি জমে। তখন শহরের নৈশক্লাবগুলোতে দিনের চঞ্চলতা যোগ হয়। শুধু নারীরাই নয়, উঠতি যুবকেরাও ওদের দাবীতে সুর মেলায়। প্রগতিশীলতা রক্ষা করবে বলে যুবক যুবতীরা মদের গেলাসে যৌবন মিশিয়ে হাঁক ছাড়ে – চিয়ার্স। লেটস সেলিব্রেট দ্য ফ্রিডম। উই আর ফ্রি টুনাইট। সাউন্ড সিস্টেমের যান্ত্রিক জীবন ইংরেজি ছন্দে মধ্যরাতের ক্লাবঘর প্রচণ্ড কাঁপিয়ে বেজে ওঠে। আর তখন ‘লেটস ড্যান্স’ বলে বাঙালির ঘরে জন্ম নেয়া কোনো উঠতি যুবক - আজন্ম ইংরেজ হবার বাসনায় - অপরিচিতা ৩৬ এর হাত চেপে ধরে বলে- ইউ লুক সো গর্জিয়াস। সাথে সাথেই ডিএসএলআর ফ্ল্যাশ দিয়ে ওঠে; সামাজিক গণমাধ্যমে ‘স্ট্যাটাস’ যায় - হ্যাভিং ফান উইথ ফ্রেন্ডস – ফিলিং ফ্রি।
এভাবে বাঙালি যুবকেরা আধুনিক হাওয়া তাদের বেলুনে ভরে টালমাতাল হয়ে সভ্যতার আকাশে উড়ে যায়। আর নারীদের বস্ত্রসংকট প্রকট হলে তারা র্যাম্প-মডেল বলে বিজ্ঞাপনে নাম লেখায়। বাঙালি সুশীল সমাজে এভাবেই আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতা নেমে আসে এবং পত্রিকাওয়ালারা সেসব ছবি খুব যত্ন করে রঙিন পৃষ্ঠায় ছাপিয়ে শিরোনাম দেয় – দিন বদলের কথকতা।
পত্রিকার বিনোদন পাতায় অচেনা ৩৬ এর নাভি, বুক আর উরু দেখতে দেখতে নারীসমাজে পরিবর্তনের জোয়ার আসে। পাড়ায় পাড়ায় মেয়েরা প্রচলিত শালীনতাবোধের বিপরীতে উচ্চকণ্ঠ হয়। মায়ের-অবাধ্য-হতে শেখার হাতেখড়ি হয় তাদের। আর তারা যখন নতুন ব্র্যান্ডের উপটান মেখে মুখ শুকাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে, অলস বিকেলের গল্প থেকে তখন খসে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। এবার ফেরাও মোরে – বলে মিনতি করলেও তাকে ফেরাতে কোনো কৃষ্ণকলি আর এগিয়ে আসে না। বস্তুত শহরের কৃষ্ণকলিরা তখন শ্বেত-শুভ্র-বালিকা হবার চেষ্টায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিউটি পার্লারের দেয়ালে মাথা খুটে মরে। তাদের জন্যে প্রতি সপ্তাহে পত্রিকায় রূপচর্চার বিশেষ পৃষ্ঠা চালু হয়।
শাহেদ আর শিবলী তাশ-জাগা রাতের একান্ত সহচর। ওদের কর্মক্লান্ত সাপ্তাহিকের অন্তে রাতভর তাশ-বৈঠক জমে। সাহেব-বিবি-গোলামের খেলা সচল রাখতে বৃহস্পতিবার অফিস শেষে চলে আসে তন্ময়, সৌরভ, কখনোবা সদ্যবিবাহিত বন্ধু রঞ্জন। গল্প জমে ওঠে। আর অনিবার্যভাবেই পত্রিকার অর্ধনগ্ন ৩৬ ওদের আলোচনা অধিকার করে বসে। কার্ড হাতে সাজাতে সাজাতে শাহেদ কথা আরম্ভ করে,
রঞ্জন, মালটাকে দ্যাখ। চিনতে পারিস?
কে রে মাইরি, দেখি দেখি। রঞ্জনের চোখ ঝিলিক দিয়ে ওঠে। শাহেদ পত্রিকাটা এগিয়ে দেয়।
কে এইটা, কোন মুভির? নতুন নাকি?
আরে না, এইত সেদিন ‘ইয়ং সুপারস্টার’ বিজয়ী হইল। আমাগো পাশের পাড়াতেই তো থাকত। ঐ যে রহমান আংকেলের মেয়েটা। - সৌরভ বলে।
তন্ময় ঘুরছিল কয়দিন পিছন পিছন, মনে নাই তোর? - শাহেদ ওকে চিনিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
আরে হ্যাঁ, তাই তো। নিচে নাম লেখা না থাকলে কার বাপের সাধ্য এরে চিনে। আমি তো ভাবলাম ফরেন জিনিস। কি সাংঘাতিক! এই অবস্থায় দেখলে খোদার কসম! রহমান আংকেলও চিনতে পারবো না। - রঞ্জন চমকে ওঠে।
দ্যাখ, দ্যাখ, একদম বিলাতী লাগতাছে না ? – সৌরভ ৩৬ এর বুকের দিকে ইঙ্গিত করে।
হ, সেইটা তো ঠিক আছে। কিন্তু রহমান আংকেল কি হার্ট এটাক কইরা মইরা গেছে, নাকি এখনো বাইচা আছে ? – রঞ্জন চোখ মোটা করে হাসিতে বিস্ময় মেশায়।
রঞ্জনের প্রশ্নের জবাবে শিবলী কথা খুঁজে পায় না। নিচু স্বরে বলে, আনকালচারের মত কথা কইয়ো না বন্ধু। মাইনশে শুনলে তোমারে ক্ষ্যাত কইবো।
তোর কালচারের মায়েরে বাপ ! – রঞ্জনের কণ্ঠে যেন ক্ষ্যাপা বাউল নৃত্য করে – বছর পাঁচেক আগেও আমাগো ঘরের মাইয়াগো এই ছবি কল্পনাতেও দেখি নাই। আর এখন তাই পত্রিকায় দ্যাখতাছি। এইডারে কস কালচার!!! কালচারের মুখে মুতি। মুখখান ঢাইকা এই ছবি রহমান আংকেলরে দেখাইলে হেরও খাড়া হইয়া যাইব। যেই হালার খাড়াইব না হেরে ডাক্তার দেখাইতে কইস।
হা হা হা, এইডা কিন্তু ঠিকই কইছো বন্ধু – সকলে সমস্বরে সম্মতি দেয়।
নতুন বিয়া করছো, ঘর সামলাইয়া রাইখো বন্ধু। - পাশ থেকে সদ্যবিবাহিত রঞ্জনকে ফোড়ন কাটে শিবলী - দেইখো আবার যেন ভাবি সাহেবা সুন্দরী প্রতিযোগীতায় নাম না লেখায়, তাইলে কিন্তু ...
কথাটা বলতেই শিবলী কেমন মিইয়ে যায়। আজ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সুচিত্রার সাথে কথা জমছে না ওর। বছর পাঁচেকের প্রেম। এবার বিয়ে করবে ওরা। কিন্তু ছুটি মিলছে না সুচিত্রার। আর তাছাড়া ওর মধ্যে তেমন উচ্ছ্বাস নেই আগেকার মত। কেমন যেন যন্ত্র হয়ে গেছে। মেয়েদের মন বোঝা এমনিতেই দায়, তার উপর চাকুরীজীবী মেয়ের মন বোঝা তো রীতিমত অসাধ্য মনে হয় শিবলীর। তাছাড়া চারপাশের যা অবস্থা। যেন স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা, যা খুশি তাই করা। যেন পশ্চিমা অনুকরণে ছেলে বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে নিত্যনতুন রেস্টুরেন্টে হাজিরা দিলেই নারী স্বাধীনতার পতাকা আকাশ চিরে উপরে ওঠে। এরা আবার সমঅধিকারের কথা বলে, এবং তা খর্ব করে সবখানে বিশেষ অধিকার লাভ করতে চায়। নারীবাদ নারীবাদ করে অসুস্থ চিন্তার বোমা ফাটায়। শহরের আধুনিকাদের দেখে তাই ভীষণ খারাপ লাগে শিবলীর। মাঝে মাঝে ভয়ও হয়, সুচিত্রা আবার এই স্রোতে গা ভাসিয়ে দেবে না তো। কিন্তু এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই বাধে যত বিপত্তি। সেদিন কথায় কথায়,
আচ্ছা অফিসে ওড়না পরে যেতে পারো না তুমি ?
ওড়না ? ফর হোয়াট ? লুক, শিবলী। আমার অফিসের সবাই তোমার মত মিন-মাইন্ডেড না। ইউ আর সো ... সো ...
কথাটা আর শেষ করে না সুচিত্রা। তবু শিবলী যা বোঝার বুঝে যায়। আর কথা বাড়ায় না। চুপ করে থাকে। সে রাতে কথা আর জমে না ওদের। ইদানিং আর জমছেও না। ফোন দিতেও কেমন যেন দ্বিধা কাজ করে। আর মুঠোফোনের অদৃশ্য সংযোগ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলে শিবলীর ভীষণ উদাস উদাস লাগে। ওর ক্যানভাসে আঁকা ছিলো ছোট্ট একটা সংসার আর দুজন সুখী মানুষের হাস্যোজ্জ্বল ছবি। সেখানে কীভাবে যেন অসংখ্য ভাঙা কাঁচের টুকরো যখন তখন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে ইদানিং। বিভ্রান্ত লাগে ওর। ও ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
গত সপ্তাহেই শিবলী আর সুচিত্রা অফিস শেষে একটা রেস্টুরেন্টে বসেছিল। তারপর একসময় বিয়ের প্রসঙ্গে শিবলী বলল, সুচি, অফিসে এ্যাপ্লিকেশন করে ছুটি নিয়ে নাও না কিছুদিন?
কেন? এই অসময়ে ছুটি নিতে হবে কেন?
বিয়ে করে ফেলি এবার। তারপর বেড়িয়ে আসি কোথা থেকে। অনেকদিনই তো হলো...
শুনে যেন ভূত দেখার মত আঁতকে উঠল সুচিত্রা। বলল, হোয়াট? এখন! না, কিছুতেই না। এই সময়ে ছুটি নিলে প্রমোশন আঁটকে যাবে। আই মাস্ট কিপ গোয়িং শিবলী। ক্যারিয়ার ইজ ফার মোর ইম্পর্টেন্ট দ্যান ব্লাডি ম্যারেজ ইউ নো।
কিন্তু আমি তো তোমাকে চাকরি ছাড়তে বলছি না! জাস্ট কয়েকটা দিনের ছুটি নিয়ে নাও। তারপর বিয়েটা সেরে নাহয়... – শিবলীর অনুক্ত কথা সম্পূর্ণ করতে দেরী হয় না সূচিত্রার।
বিয়েটা সেরে কি ? আই মিন ...হোয়াট ? বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে থাকো, এইতো? নো নো শিবলী, আমার সাথে এসব হবে না। আগে ক্যারিয়ার, তারপর অন্যকিছু।
শিবলীর মুখে আর কথা জোগায় না। আসলে ঠিক কোন ধরনের ক্যারিয়ার যে সুচিত্রা চায় - সে ব্যাপারে ওর কোনো ধারণা নেই। অথচ ওরা দুজন এইত বছর খানেক আগেও একসাথে একটি যৌথ ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখেছিল। তখনো ওদের ‘পাগলী, তোমার সঙ্গে লেট স্লিপ কাটাব জীবন’ – টাইপ সম্পর্ক ছিলো। সুচিত্রার মুখের সৌন্দর্য রক্ষায় বিউটিপার্লারের তখনো কোনো অবদান ছিলো না। স্কিন-টাইট জিনস আর ওড়নাবিহীন বুকে অফিসে গিয়ে সুচিত্রা তখনো নারী স্বাধীনতা কিংবা প্রগতিশীলতা রক্ষার সংগ্রামে নামে নি। বরং বিকেলের অভিসারে নীল শাড়ি আর কালো টিপে ওকে যেন আকাশের মতো লাগত। ওর চুলগুলো – যেগুলো এখন ঘাড় বেয়ে আর নিচে নামে না বিউটিশিয়ানের কেঁচির আঘাতে – ওগুলো তখন ছিলো ‘কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’।
নারী তার সহজ স্বাভাবিক সৌন্দর্যেই অতুলনীয়া – এ মহাসত্য মিথ্যে করে এখন সুচিত্রা আধুনিকা হয়েছে বেশ। তাই ওকে আর ঠিক চেনা যায় না। ভীষণ বিপণ্ণ বোধ হয় শিবলীর। ইদানিং তাই একা লাগে খুব।
কি রে, ওই শিবলী ? চাল দে তাড়াতাড়ি।
ও!! এইত দিতাছি। - সৌরভের কথায় শিবলী খেলায় ফেরে।
কিন্তু অমনোযোগী খেলোয়ার তাশে হারবে, এ তো জানা কথা। তাই সেদিন শিবলীর খেলা আর জমে না। কেমন বিমনা লাগে ওকে। চালের পর চাল হারতে থাকে দেদারসে। রঞ্জন খেয়াল করে ব্যাপারটা।
কিরে শালা, তোর আবার কি হইল? হঠাৎ এমন ম্যাদা মাইরা গেলি যে! – জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায় রঞ্জন।
শিবলী বলে , না, কিছু না বন্ধু। এমনিই খেলায় মন নাই। অফিসের চাপে জীবন তামা তামা হইয়া যাইতাছে।
কথাটা বলে ঘাড় ঘোরাতেই পাশে পড়ে থাকা বিনোদন পাতায় রহমান আংকেলের আবেদনময়ী মেয়েটার শরীরে চোখ পড়ে শিবলীর। কেমন যেন শিউরে ওঠে ও। ওই স্থানে ও কখনো সুচিত্রাকে ভাবে না। ভাবে না ওর পরিচিত কোনো বান্ধবীকেও। নারীবাদের খোসপাঁচড়া চুলকে যেসব পত্রিকা আর ম্যাগাজিন শরীর দেখিয়ে নারী স্বাধীনতার ঝাণ্ডা উড়ায়, তাদের জন্যে শিবলীর মনে ঘৃণা জন্ম নেয়। আর মুখের মধ্যে জমা হয় একদলা থুতু। তবু ‘আনকালচার’ শব্দটা শুনতে ওর ইচ্ছে নেই বলেই সুচিত্রাকে ও আর কখনো বলে না যে, সুচি, অমন স্কিন-টাইট জিনস পরে অফিসে না গেলেই তো পারো, ওটা অশোভন।
সভ্য ও সুন্দর হওয়ার প্রয়োজনেই তো মানুষ বস্ত্র পরিধান করতে শুরু করেছিল, তবে আজ আবার সভ্যতার দাবী করে সেগুলোকে অস্বীকার করতে কেনো চায় ? – এ কথাটা ভাবতে ভাবতেই তাশ-পিটিয়ে ক্লান্ত শিবলী ঘুমিয়ে পড়ে। শাহেদ, সৌরভ আর রঞ্জন অবশ্য এতে অবাক হয় না। ভাবে, অফিসের চাপে বেচারা হয়তো একটু বেশিই ক্লান্ত।
তারপরদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই শিবলী প্রথমে পত্রিকার বিনোদন পাতাটি হাতে তুলে নেয়, তারপর টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে উড়িয়ে দেয় সকালের বিশুদ্ধ বাতাসে।
উৎসর্গঃ
নীল লোহীত আপনাকে।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন