|
শাহ আজিজ
|
|
ছোট্ট একটি বাসা বহুদিনের আশা
19 January 2015, Monday
বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর যারা ঢাকা শহরে বসবাস করেন তাদের বড় শখ থাকে মনে নিজের একটি ফ্লাট হবে। মনের মাধুরি দিয়ে সাজাবো আর বদ বাড়িওয়ালার কবল থেকে মুক্তি পাবো । কারো কারো এই শখ অচিরেই মেটে , কারো তা মেটাতে সময় নেয়। এটা নির্ভর করে কি কাজ আপনি করেন তার ওপর। বিদেশে থাকলে দ্রুত হয়, দেশে কিছু কোম্পানিতে বা ব্যাঙ্কে চাকরি করলে লোণে কেনার সুযোগ হয়। আর অর্থ মন্ত্রীর এলান মোতাবেক হালাল আয়ে একাধিক ফ্লাট কিনে ফেলা যায়। এই মুহূর্তে ঢাকায় রিহ্যাব ও অন্যান্য ব্যাক্তিগত অবিক্রিত ফ্লাট প্রায় চল্লিশ হাজার। পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখলে দেখবেন বিক্রয়ের নোটিশ অজস্র। আবার জেলা শহরগুলিও থেমে নেই। বুদ্ধিমান অবসর নিতে যাওয়া লোকেরা বা স্থানীয় ব্যাবসায়ি সবাই নিজ জমির ওপর ফ্লাট করেছেন বা সুন্দর বাড়ি করেছেন। যেহেতু আমাদের প্রায় সবকিছু ঢাকা শহর কেন্দ্রিক তাই আমিও বুঝি এবং আমার মতো লক্ষ লক্ষ ভাসমান লোক বোঝেন কেন জেলা শহরে নিজ বাড়ি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় থাকতে হয়। এ আলাপ পারলে তা লম্বা হয়ে যাবে। শুধু জানবেন আমরা একটি ভয়াবহ অপরিকল্পিত রাষ্ট্র ব্যাবস্থার শিকার।
যাহোক সাধ এবং সাধ্যে কুলালে ৩৯০০ বর্গফুট মেলে আর না কুলালে ৭৫০ বঃ ফুঃ স্বপ্ন সীমিত রাখতে হয়। সীমিত স্বপ্নের দুজন মানুষ বা সাথে একটি পিচ্চিকে নিয়ে একটু গুছিয়ে মোটামুটি থাকার ব্যাবস্থা হয়ে যায়। নান্দনিক এইসব ডিজাইন আপনার মনের ৭৫০ বঃ ফুটের দুঃখ ভুলিয়ে দেবে । কিছু ছবি দিলাম আর্কিটেকচার ও ডিজাইনের পাঠানো , ওরা নিয়মিতই পাঠায় আমাকে কিন্তু ওরা জানেনা আমি কোনদিন ফ্লাট কিনবনা। ছেলে মেয়েকে তাই বুঝিয়েছি। ওরা আমার হিসাবটা বুঝেছে।
বাবারা কোথায় কখন চলে গিয়ে ঘাটি গাড়বে আর এই বুড়োকে বলবে চলো গাঁঠটি বোঁচকা বাঁধো আর প্লেনে ওঠো ।
তো দেখে নিন আপনার পছন্দের ডিজাইন এবং স্বপ্ন শুরু করুন। সাড়া পেলে আরও দেবো যাতে আপনাদের কাজে দেয় ব্যাপারটি।ডিজাইন গুলো শুধুমাত্র একটি ধারনা দেয়ার জন্য , একদম ট্রু কপি করতে হবে বলে কোন বাধাধরা নিয়ম নেই।
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন